Tuesday, September 30, 2014

শিক্ষা উন্নয়ন পরিকল্পনা

1.
উচ্চশিক্ষা

১.প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকদের জন্য নিজস্ব Ranking প্রথা প্রবর্তনের প্রস্তাব করছি। এতে শিক্ষকরা নিজেদের মান উন্নয়নে সদা সচেষ্ট থাকবেন। আবার মানসম্পন্ন শিক্ষকদের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মেধাবী শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ করতে সমর্থ হবেন।
  • ছাত্রছাত্রীদের দেওয়া Points এর ভিত্তিতে; গবেষণাপত্র প্রকাশ ও একটা মানদণ্ড (Research Culture গড়ে তোলা)
  • ৩ মাস পরপর Ranking প্রকাশ - শিক্ষকদের নিজেদের অবস্থান উন্নত করার সুযোগ প্রদান;
  • শিক্ষকরা Online Resources যেমন Coursera, EdX, Udacity ইত্যাদি ব্যবহার করে নিজেদের সমৃদ্ধ করবেন।

২.বিশ্ববিদ্যালয় - ইন্ডাস্ট্রি Collaboration; বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং, বিজ্ঞান, ব্যবসা ইত্যাদি অনুষদের শিক্ষার্থী - শিক্ষক ইন্ডাস্ট্রির কাছে নতুন প্রকল্প প্রস্তাব করবেন - ইন্ডাস্ট্রি প্রকল্পটিকে নতুন প্রোডাক্ট হিসেবে বাজারে আনা যায় কিনা বিবেচনা করে দেখবে। কোন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর প্রজেক্ট হবে অপর একটি ইন্ডাস্ট্রির প্রোডাক্ট। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্সগুলোর পাঠ্যসূচি নির্ধারণে ইন্ডাস্ট্রির চাহিদা বিবেচনায় নিতে হবে। ইন্ডাস্ট্রিতে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাক্টিকাল কোর্সগুলো পরিচালনার সুযোগ দেওয়া যায়।
 

৩.শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন নতুন Competition, Contest প্রচলন; শিক্ষার্থীরা এসব প্রতিযোগিতার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে নিজেদের মানোন্নয়ন ঘটাবেন। দেশের ইন্ডাস্ট্রিগুলো যেসব সমস্যা সমাধান করতে গিয়ে ব্যর্থ হচ্ছে, সেসব সমস্যা শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রতিযোগিতা হিসেবে উপস্থাপন করার সংস্কৃতি চালু করতে হবে।  
 

 ৪.বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রত্যেক Course এ শিক্ষার্থীদের অন্তত একটা মানসম্পন্ন Project সম্পন্ন করতে হবে। প্রয়োজনে Project অন্য একজন শিক্ষক তদারক করবেন। শিক্ষার্থী নিজে Project করেছেন কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে।
 

 ৫.প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগকৃত শিক্ষক - উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মান ইউজিসি কর্তৃক তদারকির প্রস্তাব করছি।
 


রেফরেন্স: 
  1. নাগরিক শক্তির শিক্ষা উন্নয়ন পরিকল্পনার রূপরেখা




2.
প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি এজুকেশান (১ম শ্রেণী থেকে ৮ম শ্রেণী) এ পরিবর্তন আনা হবে। 
 

৩টি বিষয়ের উপর জোর দেওয়া হবে
১. গাণিতিক দক্ষতা
২. ইংরেজি দক্ষতা
৩. কম্পিউটার দক্ষতা
       সার্চ করে, ওয়েব ব্যবহার করে যে কোন তথ্য খুঁজে বের করা;
       কম্পিউটারে হিসেবনিকেশ / কম্পিউট করতে শেখা; 
       ScratchAlice ধরণের শিশুতোষ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে প্রোগ্রামিং এ হাতেখড়ি; 

আমরা জানি, দেশে গণিত, ইংরেজি এবং কম্পিউটারে দক্ষ শিক্ষকের অভাব রয়েছে, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে।
এই তিনটি দক্ষতা গড়ে তুলতে দেশের সব স্কুলে ইন্টারনেট সংযোগসহ কম্পিউটার এবং প্রজেক্টার সরবরাহ করা হবে। স্ক্রিনে শিক্ষার্থীদের lessons পরিবেশিত হবে। শিক্ষার্থীরা কম্পিউটারে পাঠ নেবে। 

প্রজেক্টার সাশ্রয়ী করতে প্রয়োজনে আমিই দেশে প্রজেক্টার উৎপাদন করবো।






3.

বাংলাদেশের অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধ্যয়নরত আছেন।
আমরা চাই পড়াশোনা শেষ করে তারা দেশে ফিরে আসবেন এবং স্বপ্নের আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করবেন।
আমরা দেশে বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তুলবো। এই কর্মযজ্ঞে দেশের মেধাবী মানুষরাই নেতৃত্ব দেবেন।
দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার - কর্মী, পর্যাপ্ত জ্বালানি সরবরাহ, উন্নত অবকাঠামো গড়ে তুলে বিশ্বের সেরা ব্র্যান্ডগুলোকে আমরা বাংলাদেশে নিয়ে আসবো।

প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে আমরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধ্যয়নরত বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রীদের
"নাগরিক স্টুডেন্টস এসোসিয়েশান (NSA)"তে যোগ দেয়ার এবং এর মাধ্যমে দেশের সাথে একটা যোগসূত্র তৈরির আহ্বান জানাবো।
 
নাগরিক শক্তি শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক দল নয়, জনকল্যাণ এবং দেশ গঠনের প্ল্যাটফর্মও বটে।




দেশে একটা Research Institute গড়ে তোলা হবে।


  • বিজ্ঞান এবং গণিতের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধান হবে। 
  • Published হবে High Impact সব Paper. 
  • Industry তে applicable Technology উদ্ভাবিত হবে। 
  • DNA sequencing, Microarray Analysis [1], Functional Genomics [2] নিয়ে কাজ হবে।
  • PhD, Post Doctorate করতে দেশ সেরা মেধাবীরা আসবেন। 
  • পৃথিবীর সেরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে PhD ডিগ্রী প্রাপ্ত এবং সেরা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বাংলাদেশীদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। 
  • বাইরে পড়াশোনা শেষ করে যোগ দেবেন আমাদের গণিত এবং অন্যান্য অলিম্পিয়াডের সোনার ছেলেমেয়েরা। 
এমন একটা Research Institute. 
(এটা আমার ছোটবেলার স্বপ্ন!) 
ড. মাহবুব মজুমদার, প্রফেসর ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, প্রফেসর ড. মাকসুদ আলম, ড. আবেদ চৌধুরী [3] - সহ অনেকেরই পরিকল্পনা (এবং স্বপ্ন!) রয়েছে। 
সামনের দিনগুলোতে প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে।






References
  1. Research Institute নিয়ে স্বপ্ন
  2. জ্ঞান চর্চার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জ্ঞানের বিকাশ 
  3. কৃষিতে নবজাগরণ  
  4. Knowledge Based Economy 





4.

যে যেখানে জীবনের যে পর্যায়ে থাকুন না কেন - প্রত্যেকটা মানুষের মাঝে লুকিয়ে আছে অনন্য ক্ষমতা।
প্রত্যেকের মাঝে সুপ্ত ক্ষমতা বিকাশের উপায় আমি দেখিয়ে দেবো।
 

ছেলেবেলার স্বপ্নগুলো বাস্তবতার যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে হারিয়ে গেছে?
আমি খুঁজে দেবো!

২০১৩ সালের জানুয়ারির দিকে নিজেকে প্রশ্ন করেছিলাম, আমি যদি রাজনীতিতে আসি তাহলে সবচেয়ে বড় কি Contribute করতে পারবো যা অন্য কেউ করতে পারবে না?
উত্তরটা ছিল, প্রত্যেকটা মানুষের যে বিশাল শক্তি সুপ্ত হয়ে আছে - তা বিকাশের পথ করে দিতে পারবো। আর ১৬ কোটি মানুষ মানে বিশাল ব্যাপার - ১৬ কোটি অনন্য শক্তি! সেই শক্তির সামনে কোন কিছুই বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না! কাজেই ১৬ কোটি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। একটা শক্তিকেও হারাতে দেওয়া যাবে না।  





5.

স্বাক্ষরতার হার ১০০% এ উন্নীত করতে বাধ্যতামূলক Adult Education প্রচলন করা হবে।
 

দেশের প্রতিটি মানুষ 
  • লিখতে (Writing), 
  • পড়তে (Reading), 
  • প্রাথমিক অংকের হিসেব করতে (Basic Arithmetic) এবং 
  • তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার (Basic Computer skills) 
করতে পারবে।     




6.

আমরা অন্যের কাছে যাই শুনেছি - তা-ই নিজের মত (Opinion) করে নেবো না। 
 

নিজের বিচার বিশ্লেষণ দিয়ে নিজস্ব মতামত তৈরি করবো।
এতে কারও সাথে দ্বিমত থাকলে - নিজস্ব যুক্তি দিয়ে আলোচনা - বিতর্ক করতে পারবো - নিজের মতামত প্রতিষ্ঠিত করতে পারবো।
অন্যের কাছে যা শুনেছি - তাকেই বিচার বিশ্লেষণ ছাড়া নিজের মতামত করে নিলে - সেই Opinion এ ভুল বা সীমাবদ্ধতা থাকলেও ধরতে পারবো না।

"Believe nothing. No matter where you read it or who said it, even if I had said it, unless it agrees with your own reason and your common sense."
- Buddha.

বেশিরভাগ মানুষ যাপন করে অন্যের দ্বারা defined জীবন। আশেপাশের মানুষ, সংস্কৃতি যেভাবে বলে - সেভাবে যাপিত জীবন। অন্যে যা ভালো বলে - তাই ভালো; যা খারাপ বলে তা-ই খারাপ - এমন জীবন।

আমরা এমনটা হব না। আমরা প্রত্যেকে আলাদা হব। প্রত্যেকে নিজেদের বিচার বিশ্লেষণ দিয়ে নিজেদের জীবন গড়ে তুলবো।  

No comments:

Post a Comment