Sunday, March 30, 2014

প্রিন্সেসকে লেখা চিঠি - ৯

প্রিন্সেস এখন যা যা করতে পারে

Mr. and Mrs. তাহসিন

  • আমার জীবনটা কেমন হবে - কল্পনা করতে পারে! 
  • আমাদের বাড়িটা দেখতে কেমন হবে - ডিজাইন করতে পারে।
  • আমি কোথায় কোথায় ঘুরতে যেতে পারি - ঠিক করতে পারে। 
  • আমার কোম্পানির নাম ঠিক করতে পারে। (Catchy একটা নাম হতে হবে কিন্তু!)
  • আমাদের ওয়েবসাইটে কি কি থাকবে (ব্লগ পোস্ট, ভ্লগ (Vlog), ইন্টারেক্টিভ কনটেন্ট, নিউজ লিঙ্কস, বুকমার্ক্স, আর?) আর আমার সোশ্যাল মিডিয়া আকাউন্টগুলো কিভাবে দুইজন মিলে ম্যানেজ করা যায় তা নিয়ে ভাবতে পারে। 

Entertainment, Edutainment (Education + Entertainment)

  • বই পড়তে পারে। 
  • গান শুনতে পারে। 
  • বিভিন্ন বিষয় নিয়ে Documentary দেখতে পারে।

আর্কিটেকচার অ্যান্ড ডিজাইন

  • ডিজাইন করতে পারে।
  • আর্কিটেকচার বিষয়টাতে কি কি পড়ানো হয় - Google করে বিস্তারিত জানতে পারে। 
  • Book 2.0 ডিজাইন করতে পারে। (আমাকে দেখাতে হবে কিন্তু!) 
  • Wearable Device ডিজাইন করতে পারে। 
  • SuperMarket কিংবা Smart Home এ মানুষের Experience ডিজাইন করতে পারে। 

রাজনীতি

  • রাজনীতি নিয়ে ভাবতে পারে। 
  • (অ্যাই, তুমি নাগরিক তরুণ শক্তি আর নাগরিক নারী অধিকার ফোরাম consider করতে পারো!)


ইন্টেলেকচুয়াল লাইফ (!) 

  • নতুন নতুন বিষয় শিখতে পারে।
  • সবকিছু নিয়ে ভাবতে পারে। 
    • ভাবনাগুলো লিখে রেখো। 

Life skills শেখা

  • সবসময় কিভাবে Happy থাকা যায় - সেই Secret জানতে পারে! (আমি আছি - আর কিছু লাগবে? আমার কাছে আসা পর্যন্ত প্রতি মুহূর্তে যদি তুমি happy থাকতে পারো, তোমাকে নিয়ে আমার আর কোন চিন্তা নেই। পারবে না?) 
    • তুমি যদি জীবনে অন্যায়ভাবে না পাওয়া ব্যাপারগুলোর কথা ভাব - মন খারাপ হবে। কিন্তু অন্য দশজনের দিকে তাকাও। তোমার এমন অনেক অনেক কিছু আছে, যেগুলো ওদের নেই। ওদের পক্ষে কল্পনা করাও সম্ভব না। তোমার যা আছে, তুমি ওগুলো ছেড়ে থাকতে পারতে? পারতে না। তোমার কি কি আছে তার হিসেব কর - দেখবে ভাল লাগবে। সৃষ্টিকর্তা তোমাকে যা দিয়েছেন ওগুলো নিয়ে ভাবাই happy হওয়ার ভাল উপায়। 
    • জীবনের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য happy হওয়া। তুমি চাইলেই যা হতে পারো।
  • Mindfulness practice করতে পারে।





এই লিস্টে আর কি কি অ্যাড করা যায় - ভেবে লিস্টাটাকে আরও বড় করতে পারে!

তোমাকে রোল মডেল হতে হবে - ভুলো না যেন! 

Leadership Secrets From President Bill Clinton

The "Explainer in Chief" (President Bill Clinton) believes that successful leadership starts by asking the right questions. But great leaders are good listeners too. And while they forge new paths, they also build consensus and "creative networks of cooperation".

"Explain where we are and decide where we want to go. Figure out how to get there. Get good people and trust them to do the job as long as they're competent, realistic, and flexible when change is required. Keep score - are people better off? How, and how many? That's my approach to leadership. I think many of the successes of my presidency were due to the fact that we began by asking the right questions: How can we build a nation and a world of shared responsibilities and shared prosperity? How can government, the private sector, and civil society work together to solve the most pressing challenges of our time? How can we appreciate and benefit from our diversity in an increasingly interdependent world?"

"I've gotten a lot of good advice and wish I'd taken more of it! I once asked Nelson Mandela whether, when he walked out of prison for the last time, he didn't feel anger and hatred again for having all those years stolen. He said that, briefly, he did feel old demons rise up until he realized that if he held onto his hatred after his release, he would still be a prisoner: "I wanted to be free, and so I let it go."

On another occasion, I asked him how he found the inner strength to do that. He said the long years of confinement had taken a terrible toll. He had been abused physically and emotionally. His marriage didn't survive. He didn't see his kids grow up. Then he said that one day "I realized they could take everything from me, except my mind and my heart. Those things I would have to give away. I decided not to give them away." Then he looked at me, smiled, and said, "And neither should you." [1]



What does leadership mean to you?

"Leadership means bringing people together in pursuit of a common cause, developing a plan to achieve it, and staying with it until the goal is achieved. If the leader holds a public or private position with other defined responsibilities, leadership also requires the ability to carry out those tasks and to respond to unforeseen problems and opportunities when they arise. It is helpful to be able to clearly articulate a vision of where you want to go, develop a realistic strategy to get there, and attract talented, committed people with a wide variety of knowledge, perspectives, and skills to do what needs to be done. In the modern world, I believe lasting positive results are more likely to occur when leaders practice inclusion and cooperation rather than authoritarian unilateralism. Even those who lead the way don't have all the answers."

What attributes do leaders share?

"Steadfastness in pursuit of a goal, flexibility in determining how best to achieve it. The courage to make a hard decision, and the confidence to stay with it and explain it. The common sense to listen to others and involve them. And the strength to admit it when you make a mistake or when a given policy is not working. You have to be able to trust others, and trust your instincts as well as your intellect. Finally, if the objective is to get something done on a matter that is both important and controversial, you have to be able to compromise as well as know the lines you can't cross." [2]



References

What Makes Some Ideas Survive

The qualities of an idea that make them survive and stick to everyone's mind according to "Made to stick: Why some ideas survive while other die"

  1. Simplicity
    • Simple = core + compact.
    • A successful defense lawyer says, “If you argue ten points, even if each is a good point, when they get back to the jury room they won’t remember any.”
    • We must create ideas that are both simple and profound. The Golden Rule is the ultimate model of simplicity: a one-sentence statement so profound that an individual could spend a lifetime learning to follow it.
  2. Unexpectedness
    • We can use surprise—an emotion whose function is to increase alertness and cause focus—to grab people’s attention.
    • For our idea to endure, we must generate interest and curiosity.
    • We can engage people’s curiosity over a long period of time by systematically “opening gaps” in their knowledge—and then filling those gaps.
  3. Concreteness
    • Naturally sticky ideas are full of concrete images—ice-filled bathtubs, apples with razors—because our brains are wired to remember concrete data.
    • Speaking concretely is the only way to ensure that our idea will mean the same thing to everyone in our audience.
  4. Credibility
    • We need ways to help people test our ideas for themselves—a “try before you buy” philosophy for the world of ideas. 
    • When we’re trying to build a case for something, most of us instinctively grasp for hard numbers. But in many cases this is exactly the wrong approach. In the sole U.S. presidential debate in 1980 between Ronald Reagan and Jimmy Carter, Reagan could have cited innumerable statistics demonstrating the sluggishness of the economy. Instead, he asked a simple question that allowed voters to test for themselves: “Before you vote, ask yourself if you are better off today than you were four years ago.
  5. Emotions
    • How do we get people to care about our ideas? We make them feel something.
    • Research shows that people are more likely to make a charitable gift to a single needy individual than to an entire impoverished region. 
    • Sometimes the hard part is finding the right emotion to harness. For instance, it’s difficult to get teenagers to quit smoking by instilling in them a fear of the consequences, but it’s easier to get them to quit by tapping into their resentment of the duplicity of Big Tobacco.
  6. Stories
    • How do we get people to act on our ideas? We tell stories.
    • Research shows that mentally rehearsing a situation helps us perform better when we encounter that situation in the physical environment. 

Reference

Saturday, March 29, 2014

মুক্তিযুদ্ধের "লোকদেখানো" চেতনা

বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের ন্যায্য অধিকার ছিল না বলে, গনতান্ত্রিক অধিকার ছিল না বলে, ৭০ এর নির্বাচনে জয়ী হয়েও আমরা সরকার গঠন করতে পারিনি বলে, ৭১ এ “ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে” তুলে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। [১] আজ যে দলটি জনগণের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা তো দূরের কথা - ন্যায্য অধিকার কেড়ে নিয়েছে এবং একটি তামাশার নির্বাচনের মাধ্যমে গনতন্ত্রকে ভূলুণ্ঠিত করেছে, সেই দলটি কিভাবে দাবি করে, তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করছে?

আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখার মত যে প্রশংসনীয় কাজটি করেছে তা হল মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করিয়েছে। কিন্তু এই আওয়ামী লীগকে এবং আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে আমরা ৯৬ এর নির্বাচনের আগে জামায়াতে ইসলামী এবং মানবতাবিরধী যুদ্ধাপরাধী গোলাম আজমের সাথে দহরম মহরম দেখেছিলাম।

আওয়ামী লীগ সরকারের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডঃ মহিউদ্দিন খান আলমগীর, যিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় ময়মনসিংহের ডিসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন, তাকে মুক্তিযোদ্ধারা একজন রাজাকার হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। আবু রেজা নদভি, যাকে জামায়াতে ইসলামীর গোলাম আজমের সাথে দেখা গেছে, তিনি এবার সাতকানিয়া-লোহাগড়া থেকে আওয়ামী লীগের সাংসদ মনোনীত হয়েছেন। [৪]

বিদেশী শক্তিকে তুষ্ট করতে যারা দেশের স্বার্থ বিরোধী চুক্তি করতে দ্বিধা করে না তাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দাবি আজ বড় হাস্যকর শোনায়। (জনসমর্থনহীন একদলীয় স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে বিদেশী শক্তির সমর্থনের মুখাপেক্ষী হতে হয়।)

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার দাবি এবং আওয়ামী লীগের বিরোধিতাকারি সবাইকে যুদ্ধাপরাধীদের দোসর এবং সাম্প্রদায়িক হিসেবে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালানো ভোটার টানতে আওয়ামী লীগের মার্কেটিং স্ট্রাটেজি ছাড়া কিছুই না। যিনি এমন ব্যবসা চালু করেছেন যেখান থেকে মালিক শুধুমাত্র প্রাথমিক বিনিয়োগ তুলে নেওয়া ছাড়া কোন লভ্যাংশ নেবেন না এমন আদর্শ ব্যক্তিকেও "ঘুষখোর" হিসেবে আওয়ামী লীগ মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালিয়েছে।

ক্ষমতার লোভে দেশ বিকিয়ে দিয়ে আসবেন না - এতটুকু আস্থাও আমরা রাখতে পারছি না।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দাবিদার দলটি আজ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, বিচার বিভাগ তথা সমগ্র প্রশাসনকে সম্পূর্ণভাবে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করে স্বৈরতান্ত্রিক চেতনাকে ধারণ করছে।

"মুক্তিযুদ্ধ নামাবলী গায়ে দিলেই যা খুশি তাই করবার এখতিয়ার তৈরি হয় না। ১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিলো স্বৈরতন্ত্র সাম্প্রদায়িকতা আধিপত্য আর বৈষম্যের বিরুদ্ধে, মানুষের মুক্ত একটি ভূখন্ডের জন্য। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তাই কখনোই চোর ডাকাত আর সন্ত্রাসীদের কাছে জিম্মি হতে পারে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মানে কখনোই মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার বিসর্জন দেওয়া হতে পারে না। গণতন্ত্রের সঙ্গে কখনো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা-র বিরোধিতা হতে পারে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কখনোই নিপীড়ন, প্রতারণা, বর্বরতা, বৈষম্য, আধিপত্য সমর্থন করতে পারে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কখনোই অপরাধীদের অপরাধের বর্ম হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের চিহ্ন ব্যবহার অনুমোদন করতে পারে না।"

- আনু মুহাম্মদ, অর্থনীতিবিদ ও অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।


আরওঃ



রেফরেন্স
১. ৭০ এর সাধারণ নির্বাচন
২. Autocracy বা স্বৈরতন্ত্র
৩. Jamaat-e-Islami Pakistan
৪. আবু রেজা নদভিঃ জামাতি? না কি আওয়ামী?



বিদেশী শক্তির সমর্থন পেতে দেশ বিকিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ

দেশ বিকিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া কি তবে শুরু হয়ে গেছে?
ক্ষমতার লোভে কি আমরা কি টেস্ট খেলার অধিকার হারাবো?
"The reality for the BCB is that we cannot afford to go against the BCCI," the BCB director said. "..majority in the board believe that favouring India would be the best option for us."
আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান সাবেরের

আওয়ামী লীগ জানে, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তারা কখনই ক্ষমতায় আসতে পারবে না। কাজেই মরিয়া হয়ে ক্ষমতা ধরে রাখতে বিদেশী শক্তিকে তুষ্ট করতে একদিকে তারা দেশ বিকিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া আরও চরমভাবে শুরু করবে এবং অন্যদিকে জনগণের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনসহ সংবিধান লঙ্ঘন করবে।

নাগরিক শক্তি জনগণকে নিয়ে দেশের জনগণ, সম্পদ এবং সর্বোপরি সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে।  

Friday, March 28, 2014

নাগরিক শক্তির শিক্ষা উন্নয়ন পরিকল্পনার রূপরেখা

নাগরিক শক্তির শিক্ষা উন্নয়ন পরিকল্পনার রূপরেখা


বিশ্ববিদ্যালয় ও উচ্চশিক্ষা
  • বাংলাদেশে বিশ্বমানের কয়েকটা বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হবে। 
    • দেশে বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়ে, বিনিয়োগ নিশ্চিত করে বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে PhD ডিগ্রি প্রাপ্তদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
    • BUET এবং DU কে এখনই বিশ্বমানের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। পরিবর্তনের হাওয়া লাগলে সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে তা ছড়িয়ে পড়বে। একে একে MIST, SUST, CUET, RU, KUET, RUET, CU, KU এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো Ranking এ উপরের দিকে উঠে আসবে। ঠিক যেভাবে ICPC কিংবা TopCoder Ranking এ আমরা শীর্ষস্থানগুলো দখল করছি। 
    • বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সত্যিকারের গবেষণা শুরু হবে - বরাদ্দ বাড়বে, গবেষণা সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনা হবে। ফ্যাকাল্টি মেম্বাররা শুধুমাত্র পদোন্নতি পাওয়ার জন্য নয়, বরং ইন্ডাস্ট্রির কোন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে, নতুন তত্ত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গবেষণা করবেন, পেপার পাব্লিশ করবেন।
    • বিশ্ববিদ্যালয় - ইন্ডাস্ট্রি এর মধ্যে যোগাযোগ গড়ে তোলা হবে। 
      • ইন্ডাস্ট্রির চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাঠ্যক্রমে পরিবর্তন আনা হবে।
      • প্রোডাক্ট ডেভেলাপমেন্ট এবং রিসার্চে বিশ্ববিদ্যালয় - ইন্ডাস্ট্রি একসাথে কাজ করবে। 
      • কোন শিক্ষার্থীর প্রজেক্ট হয়ে উঠবে আরেকটি ইন্ডাস্ট্রির প্রোডাক্ট। 
      • ফ্যাকাল্টি মেম্বাররা প্রোডাক্ট ডেভেলাপমেন্ট এবং রিসার্চে ইন্ডাস্ট্রির কাছে ফান্ডিং এর আবেদন করবেন। 
    • প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এবং এদের শাখাগুলোর অনুমতি প্রদানে স্বচ্ছতা আনা হবে - ন্যূনতম মান নিশ্চিত করা হবে।
  • বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন রাঙ্কিং প্রথা প্রবর্তিত হবে। 
    • রাঙ্কিং প্রথায় বিভিন্ন objective measures ব্যবহার করা হবে - যেগুলো নিয়ে বিতর্কের সুযোগ নেই। জার্নালে এবং কনফারেন্সে পেপার পাব্লিকেশানের উপর এত পয়েন্টস, পেপারের ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টরের উপর এত, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় সাফল্যের উপর এত, পাশ করার ৩ মাসের মধ্যে চাকরি প্রাপ্তির হারের উপর এত, শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও গবেষণা প্রোফাইলের উপর এত, ছাত্র - শিক্ষক অনুপাতের উপর এত পয়েন্টস - এরকম কিছু measures। 
    • প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেদের মাঝে এবং সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে মেধাবী ছাত্র ভর্তির জন্য এক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা করবে - ফলশ্রুতিতে সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের মান বাড়বে। 
    • বিষয়ভিত্তিক রাঙ্কিং প্রথা চালু করা হবে। 
    • কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হয়ত গর্বের সাথে বলবে, জান, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ দেশ সেরা! যাকে বলা হবে সে উত্তর দেবে, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ দেশ সেরা আর এশিয়ার সেরা ১০টার একটা!  
  • বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী দেশের কিশোর গণিতবিদদের কাছে যে ৩টি স্বপ্নের কথা বলেছিলেন তাদের মধ্যে ছিল ২০২২ সালের মধ্যে একজন বাংলাদেশী গনিতবিদের ফিল্ডস মেডল জয় এবং ২০৩০ সালের মধ্যে একজন বাংলাদেশী বিজ্ঞানীর নোবেল পুরষ্কার জয়। নাগরিক শক্তি ২০৩০ সালের মধ্যে ফিল্ডস মেডেল এবং নোবেল পুরস্কার জয়ের লক্ষ্যে গবেষণা সংস্কৃতিতে নতুন জাগরণ এবং বিশ্বমানের গবেষণা ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করবে।
  • উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষা কার্যক্রম যাতে অপরাজনীতির কারণে বাঁধাগ্রস্থ না হয়, দুর্নীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্থ (যেমন নিয়োগে অনিয়ম) না হয়, সে ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 
    • সেশন জটের কারণগুলো চিহ্নিত করে দূর করা হবে। আন্ডারগ্রাজুয়েট শিক্ষার্থীরা ৪ বছরে বাচেলারস ডিগ্রী শেষ করবে। 
    • আমরা শিক্ষাঙ্গনে সুস্থ রাজনীতির চর্চা, উদ্ভাবনী উদ্যোগ দেখতে চাই - ছাত্রছাত্রীরা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে, মানুষের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে দল বেঁধে কাজ করবে।
  • দেশের যেসব জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় নেই, সেসব জেলায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হবে।যেগুলো আছে ওগুলোর আসন সংখ্যা বাড়ানো হবে। 
    • সুযোগ দিলে অনেকেই সর্বোচ্চ চেষ্টার মাধ্যমে “কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নিয়ে ভাল চাকরি” করতে চাইবে। কিছু কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি শুধুমাত্র এইচএসসি বা সমমানের শিক্ষার্থীদের মাঝে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। সমাজে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার এটাই একমাত্র উপায় - অনেকে একটু বড় হওয়ার পর বুঝতে পারে!




শিক্ষা ব্যবস্থায় মৌলিক পরিবর্তন 
  • শিক্ষা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেকটা মানুষের মাঝে লুকিয়ে আছে বিশাল সুপ্ত ক্ষমতা। শিক্ষার মাধ্যমে প্রত্যেকে তার সুপ্ত ক্ষমতাকে জাগিয়ে তুলে এক একটা বিশাল শক্তি হয়ে উঠতে পারে। জ্ঞান আর মেধা দিয়ে জীবনে সবকিছু অর্জন করা যায়। যে কেউ প্রায় যে কোন বয়সে সঠিকভাবে চেষ্টা করলে যে কোন কিছু হয়ে উঠতে পারে – এই বিশ্বাসটা সবার মধ্যে জাগিয়ে তুলতে হবে। মানুষগুলোকে জাগিয়ে তুলতে পারলে আর কিছু লাগবে না। এক একটা মানুষ যেখানে বিশাল শক্তি হতে পারে সেখানে ১৬ কোটি মানুষকে জাগিয়ে তুলতে পারলে আমাদের আর পিছে ফিরে তাকাতে হবে না। 
    • শিক্ষা শুধুমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় সীমাবদ্ধ না, আমরা চাইলে জীবনের প্রতিটা মুহূর্তে চারপাশ থেকে শিখতে পারি। 
    • ইতিহাসের যে কোন সময়ের তুলনায় নিজেকে উপরে তোলার সুযোগও সবচেয়ে বেশি আমাদের প্রজন্মের। আধুনিক প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন আমাদের হাতে দিয়েছে অনন্য সব আবিষ্কার - মানুষ এখন যে কোন প্রান্তে বসে যে কোন কিছু শিখতে পারে, যে কারও সাথে যোগাযোগ করতে পারে, কোটি মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে, কাজ করতে পারে, পারে আয় রোজগার করতে।
  • বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হবে।
  • শিক্ষাবিদদের নিয়ে শিক্ষা কমিশন গঠন করা হবে। কমিশনের পরামর্শের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী - অভিভাবকদের মতামত নিয়ে প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত শিক্ষাবাবস্থার প্রতিটি পর্যায়ে আমূল সংস্কার আনা হবে। 
  • সৃজনশীল এবং বাস্তব জীবনে প্রয়োগ নির্ভর শিক্ষা বাবস্থা চালু। 
    • বই থেকে শেখা জ্ঞান দিয়ে জগতটাকে দেখতে শেখানো। 
    • “লার্নিং বাই ডুইং” (হাতে কলমে শিক্ষা) চালু করা হবে। এতে বইয়ের জগত এবং বাস্তব জীবনের মধ্যে মেলবন্ধন তৈরি হবে। 
  • শিক্ষার্থীরা আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে নিজেরা শিখবে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে পারস্পরিক যোগাযোগের মাধ্যমে শিখবে।
  • তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রকৌশলী থেকে শুরু করে কৃষক পর্যন্ত সবার জন্য “লাইফলং লার্নিং” (জীবন ব্যাপী শিক্ষা) এর সুযোগ।


প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা
  • দেশের প্রত্যেকটা স্কুলে আধুনিক লাইব্রেরি গড়ে তোলা হবে। 
    • লাইব্রেরিগুলো হবে জ্ঞান চর্চা ও জ্ঞান আদানপ্রদানের কেন্দ্র। 
    • বই, উচ্চগতির ইন্টারনেটসহ কম্পিউটার এবং কিছু যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হবে। 
    • স্কুল লাইব্রেরিগুলো সবসময় খোলা থাকবে। শিক্ষার্থীরা যতক্ষণ খুশি লাইব্রেরিতে সময় কাটাতে পারবে। 
  • সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে পাঠ্যসূচীতে পরিবর্তন। নৈতিকতার শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
  • পরীক্ষা পদ্ধতি, মূল্যায়ন পদ্ধতিতে সংস্কার আনা হবে।
  • শিক্ষার্থীরা মেধাভিত্তিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। বিভিন্ন অলিম্পিয়াড, প্রতিযোগিতা এবং অন্যান্য উদ্যোগের মাধ্যমে মেধাবী জাতি গড়ে তোলা হবে। 
    • ছাত্র - ছাত্রী, কিশোরকিশোরী, তরুণ-বৃদ্ধ সবাই অবসরে ধাধার সমস্যার সমাধান করবে। মেধা-বুদ্ধি শানিত করবে। সূচনা হবে নতুন সংস্কৃতির। প্রত্যেকে হয়ে উঠবেন চিন্তাশীল, মেধাবী, বুদ্ধিমান।  
    • গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত গণিত অলিম্পিয়াড, বিজ্ঞান প্রকল্প এর সংস্কৃতি ছড়িয়ে দেওয়া হবে।




মাদ্রাসা শিক্ষা  
  • মাদ্রাসা শিক্ষাবাবস্থার সংস্কার (সবার মতামতের ভিত্তিতে) - আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞান অন্তর্ভুক্তিকরন - যাতে মাদ্রাসা শিক্ষাবাবস্থায় শিক্ষিতরা মেডিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং, বাবসা, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও বেশি সুযোগ পায়।


শিক্ষা নিয়ে আরও


তোমাদের জন্য লেখা


শিক্ষাবিদরা কি ভাবছেন


- ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা; উপাচার্য, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক; সভাপতি, বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি।


তরুণ প্রজন্ম এখন নেতৃত্ব নিতে সক্ষম
শিক্ষার্থীরাই দেশের সম্পদ
- ডঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল, বিভাগীয় প্রধান, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। 


"আজ থেকে ৫০ বছর আগে পৃথিবীর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে যদি র‌্যাংকিং করা হতো, নিশ্চয়ই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানজনক তালিকায় থাকত। কিন্তু এখন বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকায় বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নেই। তাতে আমাদের চৈতন্যোদয় হয়েছে বলে মনে হয় না। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ সফলভাবে মোকাবিলা করার জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোকে যে বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করতে হবে, সে কথা কিন্তু শিক্ষাবিদেরা সাংহাইয়ে অনুষ্ঠিত প্রতিটি ওয়ার্ল্ড ক্লাস ইউনিভার্সিটি কনফারেন্সে মনে করিয়ে দিচ্ছেন।"দুষ্টচক্রে আবদ্ধ শিক্ষাব্যবস্থা

দুষ্টচক্রে আবদ্ধ শিক্ষাব্যবস্থা part-2
ভর্তি, মান ও দক্ষ জনশক্তি
- ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ: অধ্যাপক, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও ফেলো, বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্সেস।



শিক্ষায় বাংলাদেশী উদ্যোগ 

Thursday, March 27, 2014

Application Of Data Analytics, Mining, Machine Learning & Network Science To Election Campaign Strategy

Application Of Data Analytics, Data Mining, Machine Learning & Network Science To Election Campaign Strategy


Analysis Of Political Survey Data
  • Rows contain data of each participant in the survey (Age, M/F, Area, Profession, Which candidate are you going to vote for, Why, Which party did you vote for in 2008 Election, Why did you vote for that candidate, Which party did you vote for in 2001 Election). 
  • Columns are features.
  • The goal of Data Analysis is to group voters together to determine strategies. 
    • Our candidate is weak in that particular area of his constituency.
      • How do we win votes using our network map?
    • Our candidate is weak among that particular age group of his constituency.
    • Our candidate is weak among people belonging to that particular profession of his constituency.
      • What social initiatives can we take for people belonging to that particular profession? 
    • Swing voters - x% of total voters. 
      • People who voted for candidates from different parties in 2001 and 2008 Elections.
    • For people belonging to that profession, the reason behind candidate preference is “X”.
      • From answers to our survey question - "Why did you vote for that candidate?" 
    • For people belonging to that age group (say, young generation), the reason behind candidate preference is “Y”.
      • What can we do to win the votes of this age group? Look at the reason
  • Usage of Machine Learning Algorithms for extraction of patterns from Data.
    • Decision Tree Learning can be utilized for predicting candidate preference of a particular voter from the voter's features. 
      • A Decision Tree might learn, for example, if a voter 
        • 18 < age < 35
        • area = “X”
        • is a Male
      • Then, he will vote for “Nagorik Shakti”. 




Usage Of Network Map

How Facebook Got Big

Facebook is really really big. By the end of 2013, Facebook boasted 1.23bn monthly active users worldwide, adding 170m in just one year. [1]


So how did Facebook got so big?

  • People started using a social network with their Real Identities. (“X” is on Facebook!)
    • Real identities were rare in the pre-Facebook era.
    • How?
      • Limited Access in the initial stage
        • Facebook started out only with Harvard students (you were supposed to have a Harvard University issued EMail Address) [2]; then limited only to College students. So when it was opened for all, people got used to having real identities.
      • Privacy Options 
        • Before Facebook came along, Myspace, Hi5 were as public as possible.
        • With Facebook, you could control privacy according to your desires and socialize only among selected friends.
  • Facebook Platform 
    • Viral spread of Apps and Games and farming in Farmville.
    • Only social interactions would have bored many of the users.
  • Facebook is popular because you can connect with all the people you ever knew: your classmates, your long forgotten neighbours, colleagues - many of whom you met years back.


References

নাগরিক শক্তির সোশ্যাল মিডিয়া স্ট্রাটেজি

নাগরিক শক্তির Website
  • মেম্বারশিপ ফর্ম - SMS verification; চাইলে ফেইসবুক আকাউন্ট লিঙ্ক জুড়ে দিতে পারেন। কোন কোন ক্ষেত্রে দক্ষতা-আগ্রহ, দেশের জন্য কোন ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে চান, দলের সদস্য হিসেবে কিভাবে ভূমিকা রাখতে চান, দলের কোন অঙ্গ সংগঠনের সাথে যুক্ত হতে চান। কাগজের ফর্ম পূরণ করেও মেম্বার হিসেবে যোগ দেওয়া যাবে।
  • মতামত ফর্ম - দলের জন্য, দেশের কল্যাণে যে কোন মতামত।  
  • Blog (Anyone can submit; Moderation) সাইট ব্লগে প্রত্যেকের চিন্তা ভাবনা, প্রত্যাশা প্রকাশ করার সুযোগ দেওয়া হবে।
  • Forum on different topics. বিভিন্ন বিষয়ে আলাদা আলাদা থ্রেডে আলোচনা। আপাতত ফোরাম হবে অনলাইনে মতামত জানানোর মূল মাধ্যম। পরবর্তীতে তরুণদের মতামত নিয়ে বিভিন্ন ফিচার সমৃদ্ধ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা হবে।  
  • Video (Youtube API), Image Gallery
  • News, Links
  • Mobile Optimized (m.nagorikshakti.org) গ্রামে সবাই ফোন ব্যবহার করে এক্সেস করবে।
  • Facebook / Google+ / Twitter login for commenting, forums etc. সবাই পড়তে পারবে, কিন্তু সাইটে কমেন্ট করতে / মতামত দিতে ফেইসবুক লগইন। (তা নাহলে স্প্যাম, উদ্দেশ্য প্রণোদিত কমেন্ট - অ্যাডমিন মডারেশান এর পর পাবলিশ) 
  • Development: Drupal, Wordpress, phpBB - (quick setup, bug-free code) 
  • স্বপ্নের বাংলাদেশের ভিডিও
  • সিকিউরিটি

Facebook
  • বাংলাদেশের ৫০ লক্ষের উপর মানুষ বর্তমানে Facebook ব্যবহার করে। তার চেয়েও বড় কথা - এই সংখ্যা অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বাড়ছে। ব্যবহারকারীর সংখ্যা এক কোটিতে পৌঁছাতেও খুব বেশি সময় লাগবে না। 
  • Facebook Page
  • Facebook Groups: তরুণ তরুণীরা সবচেয়ে বেশি উৎসাহ নিয়ে কাজ করবে। তরুণ তরুণীদের মাঝ থেকেই ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গড়ে উঠবে। টীম গড়ে তুলতে হবে। সবাই একসাথে বসে মিটিং এর পাশাপাশি যাতে ভার্চুয়ালি একসাথে কাজ করতে পারে, সাজেশান দিতে পারে, যোগাযোগ দিতে পারে সে লক্ষ্যে বাবস্থা - “ফেইসবুক গ্রুপ”। 
  • Image with Quotes (বেশি User পড়ে); নাগরিক শক্তি, প্রতীক - বই trademarked। লেখাগুলো ভাগ করে ইমেইজ হিসেবে শেয়ার দেওয়া হবে (দলের নাম, প্রতীক থাকবে ইমেইজে) - সবাই পড়বে, লাইক - শেয়ার দিবে এবং এভাবে ছড়িয়ে পড়বে। বড় একটা লেখায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা থাকলে অনেক সময় কিছু না কিছু অমনোযোগের কারণে মিস হয়ে যায়। কারও মনে একটা অংশ দাগ কাটে, অন্য কারও মনে আরেকটা অংশ। দুচার লাইনের ছোট ছোট লেখা পুরোটা সবাই মনোযোগ দিয়ে পড়ে।  
  • ডিজিটাল মিডিয়া / সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, তারুণ্য। স্বপ্নের বংলাদেশের ভিডিও (দলের নাম, প্রতীক) -> লিংকঃ ফেইসবুক, ইউটিউব পেইজ, ওয়েব সাইট। দলটা আমাদের সবার। সবার মতামতের ভিত্তিতেই পরিচালিত হবে দল এবং দেশ। স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে উঠবে তারুণ্যের শক্তিতে। তরুণদের জন্য প্ল্যাটফর্ম গড়ে দেওয়া হবে যাতে তারা বিভিন্ন কল্যাণমুখী, উদ্ভাবনী উদ্যোগ নিতে পারে।
  • পরবর্তীতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ Occasion এ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে একই সময়ে সবাই একই Profile Pic এবং Status দিবেন।
  • তরুণরা সোশ্যাল মিডিয়ায় সকল অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর হিসেবে ভূমিকা পালন করবেন। মানুষের চাওয়া পাওয়া তুলে ধরবেন।  

Twitter
  • International Audience
  • Hashtag: #Nagorik

Youtube
  • Youtube Channel: স্বপ্নের বাংলাদেশের ভিডিও, দেশ নিয়ে ভিডিও, দলীয় কর্মকাণ্ডের ভিডিও
  • পুরো ভিডিও; ছোট ক্লিপ্স (বেশি মানুষ দেখবে)

Video Media

  • স্বপ্নের বাংলাদেশের ভিডিও, দেশ নিয়ে ভিডিও, দলীয় কর্মকাণ্ডের ভিডিও। 
  • সেল ফোনের মাধ্যমে সারা দেশের মানুষের কাছে ছরিয়ে পড়বে।
  • পুরো ভিডিও; ছোট ক্লিপ্স (বেশি মানুষ দেখবে)
  • তরুণরা ভিডিও তৈরি করে আপলোড করবে। 
    • দেশে এবং প্রবাসীদের মাঝে ২০১৪ ক্রিকেট বিশ্বকাপ উপলক্ষে ফ্ল্যাশ মব তৈরি নিয়ে আলোড়ন থেকে ধারণা করা যায় এটা সাড়া ফেলবে।
    • তরুণদের কাছে “স্বপ্নের বাংলাদেশ” এর ভিডিও চিত্র / শর্ট ডকুমেন্টারি আহবান করা যায়। আমরা জানতে চাই, দেশ নিয়ে তরুণদের ভাবনা। জানতে চাই, তরুণরা স্বপ্নের বাংলাদেশে কি কি দেখতে চান। তরুণরা টীম গঠন করে তাদের সৃজনশীলতা দিয়ে স্বপ্নের বাংলাদেশ কেমন হবে তার একটা চিত্র ফুটিয়ে তুলে প্রস্তাব দেবেন। সবচেয়ে ভাল প্রস্তাবগুলোকে টীমের সক্ষমতা বিবেচনায় নিয়ে স্পন্সরের মাধ্যমে ফান্ড দেওয়া হবে। ফান্ড দিয়ে বাছাইকৃত টিমগুলো ভিডিও চিত্র / শর্ট ডকুমেন্টারি তৈরি করবেন। সেরাদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হবে। সেরা ক্লিপ্স / ডকুমেন্টারিগুলো আমরা নাগরিক শক্তির ওয়েবসাইটে রাখব। ফেইসবুক, ইউটিউব, ফোন এর মাধ্যমে ছড়িয়ে দেব। আমাদের দলের নির্বাচনী ইশতেহারে কোন কোন প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করা যায় তা পর্যালোচনা করা হবে। সবচেয়ে বড় কথা - আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা থাকবে নতুন প্রজন্মের স্বপ্নগুলো বাস্তবায়নে। [2] 


Google+

  • Google+ Page
  • Google+ Community

E-Mail
  • সবাই যাতে মতামত জানাতে পারে সেজন্য বেশ কয়েকটি ই-মেইল অ্যাড্রেস। 

Mobile
  • Quick polling; survey 
    • যে কোন বিষয়ে দ্রুত জনগণের মতামত নিতে ব্যবহার। 
  • SMS
    • SMS Server.
  • People should be given the opportunity to express their opinions.  
  • বেশ কয়েকটা নাম্বার। তথ্য দেওয়ার জন্য, মতামত নেওয়ার জন্য।  

Database, Data Analytics & Mining

  • জনগণের আশা আকাঙ্খা সমস্যা প্রত্যাশা লিপিবদ্ধ করতে হবে। আমরা এ লক্ষ্যে নিজস্ব ডেটাবেইস গড়ে তুলব। ডেটাবেইসে 
    • বাংলাদেশ বিষয়ক সব তথ্য 
    • জনগণের আশা-আকাঙ্খা সমস্যা মতামত 
    • বিভিন্ন সার্ভেই রেসাল্ট 
    • আমাদের বিভিন্ন নেটওয়ার্ক 
    • সোশ্যাল মিডিয়া ডেটা
    • প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় দলীয় অবস্থান, প্রার্থীর অবস্থান, নির্বাচনী ফান্ডের হিসাব ইত্যাদি থাকবে। 
  • ডেটা এর উপর ডেটা অ্যানালাইসিস (Data Analysis), স্ট্যাটিস্টিক্যাল অ্যানালাইসিস (Statistical Analysis) হবে, সার্চ (Search) করার বাবস্থা থাকবে। [3]
  • নেটওয়ার্ক ম্যাপ করা 
    • আমাদের নেটওয়ার্কে কারা আছেন 
    • যারা নেটওয়ার্কের বাইরে আছেন তাদের কিভাবে নেটওয়ার্কের মাঝে থাকাদের দিয়ে জয় করা যায়। (নাগরিক শক্তির প্রচার জনগণের মাধ্যমে হবে - যারা আমাদের উপর আস্থা রেখেছেন, তারাই বাকিদের ঐক্যবদ্ধ হতে অনুপ্রাণিত করবেন।) 
    • দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া।


রেফরেন্স

স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নাগরিক শক্তির অগ্রযাত্রা


  • তরুণদের মাঝে রাজনৈতিক সচেতনতা সৃষ্টিতে এবং স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ করায় নাগরিক শক্তি
  • সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিময় দেশ গড়ার লক্ষ্যে নাগরিক শক্তি 
  • হরতাল সহিংসতা মুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে নাগরিক শক্তি 
  • জঙ্গিবাদ ও চরমপন্থা মুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে নাগরিক শক্তি 
  • দেশের সম্মান সম্পদ রক্ষায় নাগরিক শক্তি 
  • নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় নাগরিক শক্তি 
  • মানবতাবিরধী অপরাধীদের বিচারে নাগরিক শক্তি 
  • শাহবাগে আন্দোলনরত তরুণ এবং মাদ্রাসা ছাত্রদের মাঝে দূরত্ব দূরীকরণে নাগরিক শক্তি  
  • বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার দাবিতে নাগরিক শক্তি
  • বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে নাগরিক শক্তি 
  • ছাত্র রাজনীতিতে সুস্থ ধারা ফিরিয়ে আনতে নাগরিক শক্তি 
  • বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশী হত্যা-নির্যাতনের বিরুদ্ধে নাগরিক শক্তি 



তরুণদের মাঝে রাজনৈতিক সচেতনতা সৃষ্টিতে এবং স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ করায় নাগরিক শক্তি

রাজনীতি নিয়ে তরুণদের মাঝে যে অনীহা ছিল, হতাশা ছিল, নাগরিক শক্তির প্রচেষ্টায় আমরা তা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছি। আমরা কয়েক মাস আগেও দেখতাম, তরুণরা ফেইসবুকে "Political Views" এ লিখে রাখছে, "I hate politics" ("রাজনীতি ঘৃণা করি")। "রাজনীতিবিদ" ভাবলেই তরুণরা ভাবত দুর্নীতিপরায়ণ বা সন্ত্রাসীদের গডফাদারদের কেউ। গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনে প্রথম যখন রাজনীতিবিদরা যোগ দিতে যান, তখন তাদের কথা বলতে দেওয়া হয়নি। তরুণদের সামনে সুস্থ ধারার রাজনীতি করেন এমন কোন রোল মডেল ছিল না। কিন্তু ২০১৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু করে মাত্র কয়েকমাসে আমরা লক্ষ লক্ষ তরুণের মানসিকতায় ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করছি। তরুণরা এখন সুখী সমৃদ্ধ স্বপ্নের বাংলাদেশ নিয়ে, উন্নত "innovative" রাজনীতি নিয়ে স্বপ্ন দেখছে। আমাদের আধুনিক তরুণরা এখন রাজনীতিতে আসতে চাইছে, রাজনীতিতে পরিবর্তন আনতে চাইছে। মানবতাবিরধী অপরাধীদের বিচার নিয়ে ২০১৩ সালে আমরা দেখেছি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তরুণরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পরস্পরকে আক্রমণ করছে এবং নিজেদের পক্ষে দল ভারি করার চেষ্টা করছে। কিন্তু গত কয়েকমাসে আমরা লক্ষ্য করছি, তরুণরা সব ভেদাভেদ ভুলে দেশের জন্য কাজ করতে চাইছে। 






সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিময় দেশ গড়ার লক্ষ্যে নাগরিক শক্তি 

নাগরিক শক্তি বাংলাদেশকে 
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে পূর্ণ এবং সবকিছুর উপর মানবতার অবস্থান দেখতে চায়। এ লক্ষ্যে সকল সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে নাগরিক শক্তি দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জনমত গঠনে কাজ করছে। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের মানুষ সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসকে ঘৃণা করবে এবং বাংলাদেশে আর কখনও সাম্প্রদায়িক হামলা হবে না। 
  


হরতাল সহিংসতা মুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে নাগরিক শক্তি 

নাগরিক শক্তি সবসময়ই মানুষকে জোর করে হরতাল পালনে বাধ্য করার বিপক্ষে। হরতাল-অবরোধ সহিংসতা জানমালের ক্ষতির বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিয়ে, জনসচেতনতা তৈরি করে বিএনপির মত দল, যে দলটি বিরোধী দলে থাকলে কথায় কথায় হরতাল ডাকে, যাদের জোটে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম বেসরকারি সশস্ত্র সংগঠন ছাত্রশিবির আছে, তাদের হরতাল-সহিংসতা থেকে দূরে রেখে দলকে সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী করতে মনোযোগী হতে আনুপ্রানিত করেছে। হরতাল-সহিংসতা নয় বরং জনগণকে সম্পৃক্ত করে আন্দোলন করলেই আন্দোলন ফলপ্রসূ হয় - এই সত্য আমরা প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছি। গত ৩ মাসে আমরা দেশে হরতাল দেখিনি।   






জঙ্গিবাদ ও চরমপন্থা মুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে নাগরিক শক্তি 

নাগরিক শক্তি বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদ মুক্ত করতে কঠোর অবস্থানের পাশাপাশি ইসলাম ধর্মের সঠিক ব্যাখ্যা প্রদানকে উৎসাহিত করে।


দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার রায় ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে নাগরিক শক্তি সকল 
চরমপন্থার বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান ব্যক্ত করেছে। 



দেশের সম্মান সম্পদ রক্ষায় নাগরিক শক্তি 


বিদেশী শক্তির সমর্থন লাভের লক্ষ্যে সরকার দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের টেস্ট মর্যাদা বিসর্জন দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। নাগরিক শক্তি গনসচেতনতা সৃষ্টি করে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে তার মর্যাদা হারিয়ে ফেলার সম্ভাবনা থেকে রক্ষা করেছে।



দেশের স্বার্থ বিরোধী রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।



নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় নাগরিক শক্তি 

নাগরিক শক্তি নারীর প্রাপ্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। 


গ্রামীণ নারীদের ব্যাংক সরকারের কেড়ে নেওয়ার অপচক্রান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নাগরিক শক্তি স্পষ্ট করেছে। দেশবাসীর মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি এবং গ্রামীণ নারীদের তথা গ্রামীণ ব্যাংকের ৮৪ লক্ষাধিক গ্রাহককে এই ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধ করেছে।


মানবতাবিরধী অপরাধীদের বিচারে নাগরিক শক্তি 

নাগরিক শক্তি ৭১ এ ৩০ লক্ষ মানুষ হত্যার দায়ে অভিযুক্ত মানবতাবিরধী অপরাধীদের বিচারে বদ্ধপরিকর। এই লক্ষ্যে দেশের তরুণ প্রজন্ম - যারা একাত্তরের চেতনা ধারণ করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শাহবাগে আন্দোলন করেছে - নাগরিক শক্তি তাদের পাশে ছিল, সবসময় থাকবে। এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক জনমত গঠনে নাগরিক শক্তি ভূমিকা রাখছে।





শাহবাগে আন্দোলনরত তরুণ এবং মাদ্রাসা ছাত্রদের মাঝে দূরত্ব দূরীকরণে নাগরিক শক্তি  


শাহবাগে আন্দোলনরত তরুণ এবং মাদ্রাসা ছাত্রদের মাঝে পারস্পরিক ভুল বোঝাবুঝির কারণে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল - নাগরিক শক্তির নেতৃত্বে সেই দূরত্ব মুছে গেছে।




বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার দাবিতে নাগরিক শক্তি

শ্রদ্ধেয় ডঃ মুহম্মদ জাফর ইকবালের পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার দাবির আন্দোলনে নাগরিক শক্তি জনগণকে নেতৃত্ব দিয়েছে।




বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে নাগরিক শক্তি 

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রশিবির এবং ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে নাগরিক শক্তি দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে।    



ছাত্র রাজনীতিতে সুস্থ ধারা ফিরিয়ে আনতে নাগরিক শক্তি

নাগরিক শক্তি দেশের ছাত্র রাজনীতিতে সুস্থ ধারা ফিরিয়ে আনতে চায়। দেশের আধুনিক তরুণ প্রজন্মের মাঝে নাগরিক শক্তির জনপ্রিয়তা প্রচলিত ছাত্র সংগঠনগুলোকে সুস্থ রাজনীতি প্রচলন করতে অনুপ্রাণিত করছে।




বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশী হত্যা-নির্যাতনের বিরুদ্ধে নাগরিক শক্তি

নাগরিক শক্তি বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশী হত্যা-নির্যাতনের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছে। বর্তমান সরকার দেশের স্বার্থ বিরোধী রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করবে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে খুশি করতে দেশের টেস্ট মর্যাদা বিকিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নেবে আবার সীমান্তে বাংলাদেশীদের নিরাপত্তা রক্ষায় কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেবে না - শুধুমাত্র বিদেশী শক্তিকে তুষ্ট করে সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশী হত্যা-নির্যাতন বন্ধে দৃঢ় অবস্থান নিতে আহ্বান জানিয়েছি। 
আমরা পর্যবেক্ষণ করছি বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত (Human RIghts Violation) হচ্ছে। আমরা এব্যাপারে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

Wednesday, March 26, 2014

পাকিস্তান ভারতকে ছাড়িয়ে বাংলাদেশ




অর্থনীতির সূচকে পাকিস্তানকে টপকে বাংলাদেশ

"রপ্তানি বাণিজ্যে বাংলাদেশের চেয়ে অনেকটাই পেছনে পড়েছে পাকিস্তান। দুই দেশের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর হিসাবে দেখা যায়, ২০১২-১৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ২৭ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে আর পাকিস্তানের রপ্তানির পরিমাণ ২৪ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার। চলতি অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় পাকিস্তানের চেয়ে আরো অনেক বেশি হবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

কেবল রপ্তানি বাণিজ্যই নয়, দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতেও বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা আমদানি-নির্ভরতা অনেকটাই কমিয়েছে, যতটা পারেনি পাকিস্তান। শিল্পের কাঁচামালের জোগানদাতা ও আমদানি-বিকল্প শিল্প কারখানা বিকশিত হওয়ায় শিল্প খাতে বাংলাদেশের আমদানি ব্যয় কমছে। আবার খাদ্য উৎপাদন পাকিস্তান আমলের ৯৬ হাজার টন থেকে বেড়ে তিন কোটি টনে দাঁড়িয়েছে। ফলে খাদ্য আমদানি ব্যয়ও কমেছে। তাই রপ্তানি আয়ে পিছিয়ে থাকা পাকিস্তানের আমদানির পরিমাণও বাংলাদেশের চেয়ে বেশি হয়ে গেছে। গত অর্থবছরে পাকিস্তান ৪৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। সেখানে বাংলাদেশের আমদানি ব্যয়ের পরিমাণ ৩৪ বিলিয়ন ডলার। রপ্তানি আয়ে এগিয়ে থাকার পাশাপাশি আমদানি ব্যয় কমে যাওয়ায় সামগ্রিক বৈদেশিক বাণিজ্যে ঘাটতিও পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশের অনেক কম। ২০১২-১৩ অর্থবছরে পাকিস্তানের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০ বিলিয়ন ডলার। সেখানে বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যে ঘাটতি সাত বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের আরেকটি বড় খাত হলো প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। সেদিক থেকেও পাকিস্তানকে বহু পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ। গত অর্থবছরে প্রবাসীদের কাছ থেকে পাকিস্তান রেমিট্যান্স পেয়েছে ৯ বিলিয়ন ডলার। সেখানে বাংলাদেশের প্রবাসীরা পাঠিয়েছে ১৪ বিলিয়ন ডলার।

এসব সূচকে এত দূর এগিয়ে থাকার প্রভাবটা আরো বেশি স্পষ্ট করে দিয়েছে দুই দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে। গত ১৭ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৯ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। সেখানে তুলনামূলকভাবে বেশি আমদানি ব্যয়ের দেশ পাকিস্তানের রিজার্ভের পরিমাণ ৯ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী, একটি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ওই দেশের কমপক্ষে তিন মাসের আমদানি ব্যয়ের সমান হতে হয়। সেই হিসাবে, পাকিস্তানের রিজার্ভ তার চেয়েও কম। দেশটির তিন মাসের আমদানি ব্যয়ের পরিমাণ ১১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। আর বাংলাদেশের তিন মাসের আমদানি ব্যয় ৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার।

অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যের বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতির কারণে সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হারও ছাড়িয়ে গেছে পাকিস্তানের প্রবৃদ্ধিকে। গত অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৬.২ শতাংশ আর পাকিস্তানের প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৩.৬ শতাংশ। পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশ কম-বেশি ৬ শতাংশ হারে ধারাবাহিকভাবে প্রবৃদ্ধি অর্জন করে আসছে। সেখানে পাঁচ বছরে পাকিস্তানের গড় জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার বছরান্তে ২.৯ শতাংশ।

অন্যান্য সূচকেও অনেক ক্ষেত্রেই পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশে মাথাপিছু সঞ্চয়ের হার প্রায় ২৮ শতাংশ, সেখানে পাকিস্তানের মাত্র ১৫ শতাংশ। সঞ্চয় কমে গেলে স্বাভাবিকভাবেই একটি দেশের জাতীয় মূলধন বিনিয়োগও কমে যায়। আর এর প্রভাবে জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার কমাটাও স্বাভাবিক।

পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখা গেছে, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মানবসম্পদ উন্নয়নেও পাকিস্তানকে হার মানিয়েছে বাংলাদেশ। ‘পাকিস্তান ইকোনমিক সার্ভে ২০১২-১৩’-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০১১-১২ অর্থবছরে দেশটির ১০ বছরের বেশি বয়স্কদের মধ্যে শিক্ষিতের হার ৫৮ শতাংশ। আর বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে বাংলাদেশে শিক্ষিতের হার প্রায় ৬০ শতাংশ। ১০ বছরের বেশি বয়স্কদের হিসাব নিলে এ হার আরো বাড়বে।

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর ওয়েবসাইটে ‘দুই অর্থনীতির গল্প ১৯৭১-বর্তমান বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের তুলনা’ শিরোনামে ১৯৮০ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই সব সূচকের আগামী কয়েক বছরের সম্ভাব্য অগ্রগতি ও পতনের দিকনির্দেশনাও রয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনীর ওয়েবসাইটটিতে। তুলনামূলক চিত্রে দেখানো হয়েছে যে বিভিন্ন সূচকে পাকিস্তানের অবস্থান বাংলাদেশের চেয়ে নিম্নমুখী। ওয়েবসাইটটিতে দুই দেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার, জিডিপি অনুপাতে সামষ্টিক বিনিয়োগ, সঞ্চয়ের গতি-প্রকৃতি, মূল্যস্ফীতির হার তুলে ধরা হয়েছে। এসব সূচকের প্রতিটিতে বাংলাদেশ পাকিস্তানের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশের এই অগ্রগতি ও পাকিস্তানের পতনের কারণ সম্পর্কে সাইটটিতে সাধারণ মানুষের মন্তব্য চাওয়া হয়েছে।
কারান নামের এক পাকিস্তানি মতামত দিতে গিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশ শিগগিরই পাকিস্তানকে অর্থনৈতিকভাবে পেছনে ফেলবে। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার ‘নতুন প্রিয় দেশ’ (নিউ ডার্লিং) হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর্যায়ে রয়েছে।
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘দেশ স্বাধীনের আগ পর্যন্ত পশ্চিম পাকিস্তানের শোষণ আর শাসনের কারণে দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়েছিল পূর্ব পাকিস্তানের অর্থনীতি। মূলত পূর্ব পাকিস্তানের আয় পশ্চিম পাকিস্তানের উন্নয়নকাজে ব্যয় করা হতো। ফলে তখন পশ্চিম পাকিস্তান দ্রুত উন্নত হলেও পূর্ব পাকিস্তান নাজুক হয়ে পড়ছিল। ওই অবস্থা থেকে মুক্তির জন্যই আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। এখন অন্য কারো শোষণ-বঞ্চনা নেই। নিজেদের কর্মকাণ্ডের সুফল আমরা পাচ্ছি। ফলে কেবল পাকিস্তানই নয়, অনেক উন্নয়নশীল দেশের চেয়ে বাংলাদেশ নানা দিক দিয়ে ভালো করছে। গত অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ভারতের প্রবৃদ্ধিকেও ছাড়িয়ে গেছে।’ [1]


The economy expanded at an annual rate of 4.7% in the three months to December, down from 4.8% in the previous quarter. [2]



The Gross Domestic Product (GDP) in Bangladesh expanded 6.01 percent in the fiscal year 2012/2013 from the previous year. GDP Annual Growth Rate in Bangladesh is reported by the Bangladesh Bank. From 1994 until 2013, Bangladesh GDP Annual Growth Rate averaged 5.6 Percent reaching an all time high of 6.7 Percent in June of 2011. [3]


সামাজিক সূচকে ভারত পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে বাংলাদেশ





References

  1. পাকিস্তানকে টপকে গেছে বাংলাদেশ
  2. India's economy grows slower than expected
  3. BANGLADESH GDP ANNUAL GROWTH RATE



নাগরিক শক্তির পরিকল্পনা


"ভারতের মাথাপিছু জিডিপি (পিপিপি) $3,991, পাকিস্তানের $3,144, আর বাংলাদেশের $2,083।

বাংলাদেশের জিডিপির মোট আকার - $324.628 বিলিয়ন। ধরা যাক, শীর্ষ দুর্নীতিবাজদের কালো টাকা দেশে ফিরিয়ে এনে বিনিয়োগ করা হল এবং তাতে ১ বছরে পণ্য এবং সেবার আকার বাড়ল $108 বিলিয়ন। তাহলে মাথাপিছু জিডিপি হবে $2,776।

আমাদের হিসাবে মতে ২০১১ সালের শেয়ারবাজার ধ্বসে ৪০ বিলিয়ন ডলারের বেশি বা প্রায় ৩ লক্ষ কোটি টাকার উপর অর্থ কারসাজির মাধ্যমে সরানো হয়েছে।

কালো টাকা ফিরিয়ে আনতে পারলে এবং দুর্নীতি রুখে দিতে পারলে, সেই সাথে বাবসা-বিনিয়োগ-উদ্যোক্তা-শিল্প বান্ধব পরিকল্পনা হাতে নিয়ে বাস্তবায়ন করতে পারলে মাথাপিছু আয়ের দিক দিয়ে কয়েক বছরে ভারত-পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে যাওয়া সম্ভব।" [1]



"জিডিপি প্রবৃদ্ধির হারকে বর্তমান ৬% থেকে যত দ্রুত সম্ভব ১০% এ উন্নীত করা হবে। জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৮% হলে মাথাপিছু আয় দ্বিগুণ হতে ৯ বছর (rough estimate)লাগবে। হার ১০% হলে দ্বিগুণ হতে ৭ বছর (rough estimate) লাগবে। ১২% হলে দ্বিগুণ হতে ৬ বছর লাগবে। {(1+ 0.08)^x = 2, x = 9} {(1.10)^x = 2, x = 7.27} {(1.12)^x = 2, x = 6.12}

মাথাপিছু আয়ের দিক দিয়ে কয়েক বছরে প্রতিবেশী দেশগুলোকে ছাড়িয়ে যাওয়ার লক্ষ্য থাকবে। ভারতের মাথাপিছু জিডিপি (পিপিপি) $3,991, পাকিস্তানের $3,144, আর বাংলাদেশের $2,083; হিসাবটি খুব সহজ। মাথাপিছু জিডিপির দিক দিয়ে পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে যেতে দেশে উৎপাদিত মোট পণ্য ও সেবার পরিমাণ দেড়গুণ করতে হবে আর ভারতকে ছাড়িয়ে যেতে দেশে উৎপাদিত মোট পণ্য ও সেবার পরিমাণ দ্বিগুণ করতে হবে। অন্যভাবে বললে, দেশে এখন যেসব প্রতিষ্ঠান আছে, প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান যদি পণ্য / সেবা উৎপাদন দ্বিগুণ করতে পারে তবে সম্মিলিতভাবে আমরা প্রতিবেশী দেশগুলোকে ছাড়িয়ে যেতে পারবো।" [2]



Bangladesh As An Emerging Country

Bangladesh As An Emerging Country As Identified By International Economic & Financial Research Institutes 


Next Eleven

"The Next Eleven (known also by the numeronym N-11) are the eleven countries – Bangladesh, Egypt, Indonesia, Iran, Mexico, Nigeria, Pakistan, the Philippines, Turkey, South Korea, and Vietnam – identified by Goldman Sachs investment bank and economist Jim O'Neill in a research paper as having a high potential of becoming, along with the BRICs, the world's largest economies in the 21st century.

The criteria that Goldman Sachs used were macroeconomic stability, political maturity, openness of trade and investment policies, and the quality of education."

Reference
Next Eleven - Wikipedia




10 New Emerging Countries

The Philippines, Indonesia, Bangladesh and Ethiopia are among 10 countries set to take over as emerging economies from the powerful BRICS nations, a French credit body said.

"After 10 years of frenetic growth" the big 5 emerging economies of Brazil, Russia, India, China and South Africa – the BRICS – "are slowing down sharply," the French trade credit and insurance group Coface said.

But "at the same time, other emerging countries are accelerating their development," it said.

Coface broke the 10 new emerging economies it has identified into two groups.

The first comprises Peru, the Philippines, Indonesia, Colombia and Sri Lanka, which it named the PPICS.

They had "strong potential confirmed by a sound business environment," Coface said.

The second group comprises Kenya, Tanzania, Zambia, Bangladesh and Ethiopia.

But these countries are marked by "very difficult or extremely difficult business environments which could hamper their growth prospects," Coface said.


Reference

বাংলাদেশে গণিত অলিম্পিয়াডের সংস্কৃতি

বাংলাদেশে গণিত অলিম্পিয়াডের সংস্কৃতির সূচনার পর বেশকিছু ব্যাপার আমরা লক্ষ্য করছি।

আমরা লক্ষ্য করছি, অনেকগুলো ছেলেমেয়ে গভীর আগ্রহ নিয়ে গাণিতিক সমস্যা সমাধানে প্রতিদিনের একটা বড় অংশ ব্যয় করে।

স্কুল কলেজে আমরা গণিত বলতে exercise করি - কিছু নির্দিষ্ট ধাপ বা কম্পিউটার বিজ্ঞানের ভাষায় অ্যালগরিদম মেনে চলি মাত্র। কিন্তু গণিত অলিম্পিয়াডের সমস্যাগুলো সমাধানে ধাপগুলো বা অ্যালগরিদমটা নিজেকে দাঁড় করাতে হয়। অন্যকথায়, গণিত সৃষ্টি করতে হয়।

একটা উদাহরণ দেই।

দুটা সংখ্যাকে গুণ করতে আমরা না বুঝেই কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলি - প্রথমে দুটি সংখ্যার সবচেয়ে ডানের অঙ্ক দুটিকে গুণ করি, তারপর হাতে রাখি ইত্যাদি।

কিন্তু গণিত অলিম্পিয়াডের সমস্যাগুলো সমাধানে এই ধাপ বা নিয়মগুলো - কোন ধাপের পর কোন ধাপ হবে - নিজেকে চিন্তা করে বের করতে হয় - অর্থাৎ গণিত সৃষ্টি করতে হয়।

আমরা বলি, স্কুল কলেজে তোমরা exercise কর, আর আমরা গণিত অলিম্পিয়াডে problem solve করি। কাজেই এখনও যারা Problem Solving কর না, আশা করি, তোমরাও দ্রুত আমাদের দলে যোগ দেবে!

যারা Problem Solving করে তাদের অনেক ভাবতে হয়। ভাবতে গিয়ে তাদের "নিউরনে অনুরনন" হয় এবং তারা অনেক ভালভাবে চিন্তা করতে, বিশ্লেষণ করতে শেখে। গণিত অলিম্পিয়াড সূচনার পর একটা প্রজন্ম গড়ে উঠছে যাদের গড় IQ আগের প্রজন্মগুলোর তুলনায় বেশি। নতুন প্রজন্মের এই ছেলেমেয়েরা অনেক ভালভাবে চিন্তা করতে পারে। আমাদের দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দৈনিক এ নিজের ছবি দেখা, বিশ্ব প্রতিযোগিতায় নিজ দেশকে represent করা - অনেক বড় inspirationএই মেধাবী ছেলেমেয়েগুলো যখন দেশ ও সমাজের দায়িত্ব নেবে, তখন আমরা নতুন একটা দেশ গড়ে তুলবো।

আমরা লক্ষ্য করেছি, গণিত অলিম্পিয়াডের অনুষ্ঠানগুলোতে অনেক ভাল ভাল কথা হয়। আলোকিত মানুষ হওয়ার, দেশকে ভালবাসার অনুপ্রেরণা পায় ছেলেমেয়েরা। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা দেশের গুণী মানুষদের কাছ থেকে দেখার সুযোগ পায়, প্রশ্ন করতে পারে, কথা বলতে পারে এবং এমনকি চাইলে অটোগ্রাফও নিতে পারে!

দুটা চমৎকার ব্যাপারের

  • একটা হল “গণিত শেখো, স্বপ্ন দেখো” থিম - অনেকগুলো ছেলেমেয়ে নিজের জীবন নিয়ে দেশ নিয়ে বড় বড় স্বপ্ন দেখছে এবং তার চেয়েও বড় কথা স্বপ্নগুলোকে বিশ্বাস করছে। বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী দেশের শিশুকিশোর গণিতবিদদের কাছে যে ৩টি স্বপ্নের কথা বলেছিলেন তাদের মাঝে ছিল ২০২২ সালের মধ্যে একজন বাংলাদেশী গনিতবিদের ফিল্ডস মেডল জয় এবং ২০৩০ সালের মধ্যে একজন বাংলাদেশী বিজ্ঞানীর নোবেল পুরষ্কার জয়। আমাদের ক্ষুদে গণিতবিদরাও এই স্বপ্নগুলো বাস্তবায়নে নিজেদের তৈরি করছে। 
  • আরেকটা হল একেবারে ক্লাস থ্রি - ফোরের ছেলেমেয়েরা ড. জাফর ইকবালের ভাষায় “পেন্সিল কামড়ে” অঙ্ক করতে আসে!


আমরা লক্ষ্য করেছি, বাংলা মাধ্যমের বেশ কিছু ছেলেমেয়ে বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আন্ডারগ্রাজুয়েট লেভেল এ পড়ার সুযোগ পেয়েছে। মুন পড়ছে Harvard University তে [1], নাজিয়া MIT তে [2] (তা নাহলে "MIghTy" শব্দটা এভাবে লেখা আমরা কোত্থেকে শিখতাম!), ইশফাক Stanford University তে [3], তানভির Caltech এ [4] (আমাদের শ্রদ্ধেয় প্রফেসর ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল এই বিশ্ববিদ্যালয়ে Post-Doctoral Researcher হিসেবে কর্মরত ছিলেন) [5], সামিন Cambridge University তে [6]।

আগে অ্যামেরিকা, ইউরোপ, এশিয়া বা অস্ট্রেলিয়ার গ্রাজুয়েট স্কুলগুলোতে আমরা এমএস বা পিএইচডি করতে যেতাম। ইংরেজি মাধ্যমের অবস্থাসম্পন্ন ছেলেমেয়েরা পড়তে পারত আন্ডারগ্রাজুয়েট লেভেলে। কিন্তু “বাংলা মাধ্যম” থেকে "স্কলারশিপ নিয়ে" “আন্ডার গ্রাজুয়েট” লেভেলে “বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে” পড়তে যাওয়াটা নতুন!

“বাংলা মাধ্যম” থেকে "স্কলারশিপ নিয়ে" “আন্ডার গ্রাজুয়েট” লেভেলে “বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে” পড়ার পথ দেখানোর কৃতিত্বের একক দাবিদার বাংলাদেশ গণিত দলের কোচ ড. মাহবুব মজুমদার  [7]; যিনি নিজে MIT থেকে Electrical Engineering এ আন্ডারগ্রাড, Stanford University থেকে Civil Engineering এ মাস্টার্স এবং Cambridge University থেকে Theoretical Physics এ PhD করে Imperial College এ [8] Post Doctoral করছিলেন। ২০০৫ সালে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের সাথে সম্পৃক্ত হন এবং স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশে থেকে যান। বিদেশী ও ইঞ্জিনিয়ারিং আন্ডারগ্রাড ডিগ্রি থাকা এবং আরও কিছু হাস্যকর কারণ দেখিয়ে তাকে Dhaka University র Physics Department এ যোগ দিতে দেওয়া হয়নি [9]। তিনি স্বপ্ন দেখেন বাংলাদেশে একটা বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার। তার মত ভাল মানুষ সচরাচর দেখা যায় না। আমরা তার পাশে থাকবো।

১৯০৫ এ আইনস্টাইনের "Miracle Year" [10] স্মরণে ২০০৫ সালের বাংলাদেশ জাতীয় গণিত অলিম্পিয়াডে আইনস্টাইন এবং পদার্থবিজ্ঞানের উপর একটা প্রশ্ন উত্তর পর্ব ছিল। সেখানে কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলাম। তাই গণিত ক্যাম্পে ড. মাহবুব মজুমদার আগ্রহের সাথে পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা করতেন। মেক্সিকোতে যাওয়ার আগে প্রেস কনফারেন্সে দেখি তিনি স্ট্রিং থিউরি (String Theory) র [11]  একটা জটিল পেপার নিয়ে হাজির!

আরেকটা ব্যাপার লক্ষ্য করার মত। আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে আমাদের সাফল্যের মাত্রা দ্রুত বাড়ছে। আমাদের কিশোর - তরুণ গণিতবিদরা ২০০৬ সালে প্রথমবারের মত অনারেবাল মেনশান, ২০০৯ সালে প্রথমবারের মত ব্রোঞ্জ মেডেল, ২০১২ সালে প্রথমবারের মত সিলভার মেডেল জয় করে এনেছে। আমরা আশা করছি, এই ধারা অব্যাহত রেখে বাংলাদেশ গণিত দল ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াড থেকে গোল্ড মেডেল নিয়ে ফিরবে! গোল্ড মেডেল জয়ী সেই গণিতবিদ হতে পারো তুমিই!

গণিত অলিম্পিয়াড সূচনা এবং সাফল্যের পর বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে অলিম্পিয়াড শুরু হয়েছে।

  • পদার্থবিজ্ঞান অলিম্পিয়াড 
  • রসায়ন অলিম্পিয়াড
  • জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড 
  • প্রাণরসায়ন অলিম্পিয়াড
  • ইনফরমেটিক্স অলিম্পিয়াড 
    • কম্পিউটার প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা। আমাদের স্কুল কলেজের ছেলেমেয়েরা এখন আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় মেডেল জয় করে আনছে! ভাবা যায়!  


গণিত অলিম্পিয়াডের এই সংস্কৃতি সম্ভব হয়েছে কিছু তরুণ - তরুণীর স্বেচ্ছা কর্মোদ্যোগে। আমরা তাদের "মুভারস" (MOVERS - Math Olympiad Volunteers) বলে জানি। একটা শুভ উদ্যোগে দেশের তরুণ তরুণীদের উৎসাহী অংশগ্রহণ আমাদের প্রাণশক্তিতে ভরপুর তরুণ প্রজন্মকে সংজ্ঞায়িত করে।


নাগরিক শক্তি গণিত অলিম্পিয়াডের এই সংস্কৃতিকে দেশে আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেবে।



- ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা; উপাচার্য, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক; সভাপতি, বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি।

তরুণ প্রজন্ম এখন নেতৃত্ব নিতে সক্ষম
- ডঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল, বিভাগীয় প্রধান, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

ভর্তি, মান ও দক্ষ জনশক্তি
- ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ: অধ্যাপক, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও ফেলো, বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্সেস।




তোমাদের জন্য লেখা




আরও কিছু লেখা




বাংলাদেশে বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড




রেফরেন্স
  1. Harvard University
  2. MIT
  3. Stanford University
  4. California Institute Of Technology
  5. Dr. Muhammed Zafar Iqbal
  6. Cambridge University
  7. Dr. Mahbub Majumdar
  8. Imperial College
  9. A painful funny story
  10. Einstein's Miracle Year
  11. String Theory