Sunday, March 9, 2014

বাংলাদেশ ৯/৩/১৪

রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে উদ্বোধন করা হলো ম্যানুয়াল লিফট ও দুটি র‍্যাম্প। ষষ্ঠ শ্রেণির একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী ছাত্রের লেখাপড়া অব্যাহত রাখার জন্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বাংলাদেশি সিস্টেমস অ্যাডভোকেসি নেটওয়ার্কের (বি-স্ক্যান) উদ্যোগে ম্যানুয়াল লিফট ও র‍্যাম্প দুটি তৈরি করে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, পদ্মা নদীর ওপরে সেতু তৈরি যে অসাধারণ ঘটনা হবে, আজ যা হলো তা সে ঘটনার চেয়েও অসাধারণ। ঐতিহাসিক এ ঘটনার সাক্ষী হতে পেরে আমি আনন্দিত।

সিদ্ধেশ্বরী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র কে এম সিয়াম ফারজিন অনয় শারীরিক প্রতিবন্ধকতার শিকার। সে হুইল চেয়ারে চলাফেরা করে। তার ক্লাসরুম দোতলায় হওয়ায় তার পক্ষে হুইল চেয়ারে করে দোতলায় ওঠা সম্ভব হচ্ছিল না। ফলে পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটে অনয়ের। এ সংবাদ জানতে পেরে বি-স্ক্যানের উদ্যোগে অনয়ের স্কুলে তৈরি করে দেওয়া হয় একটি ম্যানুয়াল লিফট।

প্রতিবন্ধী ছাত্রের জন্য ম্যানুয়াল লিফট

রাজশাহী-৪ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ও এনা প্রপার্টিজের কর্ণধার এনামুল হককে সাত কর্মদিবসের মধ্যে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে, দুই হাজার কোটি টাকার বেশি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ রয়েছে এ এমপির। আয়কর দাখিলের সময় এনামুল ২০০৮-০৯ ও ২০১২-১৩ অর্থবছরের সম্পদ গোপন করেছেন। 

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ রয়েছে, এনা প্রপার্টিজের নিজস্ব ভবনসহ ১৭টি প্রকল্প রয়েছে রাজশাহীর এ এমপির। যার বর্তমান মূল্য দুই হাজার একশত বিশ কোটি পঞ্চাশ লাখ টাকা। দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে এ টাকার বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি। কীভাবে তিনি এনা প্রপার্টিজের মতো বড় এ প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন? আয়ের উৎসই বা কি ছিল? এসব উত্তরের জন্য তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব চেয়ে কমিশনে আবেদন করেছে রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি বিরোধী সংস্থাটি।

প্রাথমিক অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে, এনামুল হকের মালিকানাধীন এনা প্রপার্টিজে তার ও তার স্ত্রী তহুরা হকের আনুপাতিক শেয়ার ৪:১।

অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এনা প্রপার্টিজ আয়কর দাখিলের সময় যে অডিট প্রতিবেদন দাখিল করেছেন আর ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণকালীন সময় যে অডিট দাখিল করেছেন তা ভিন্ন। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে তিনি ৩১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা তিনি গোপন করেছেন। যা তার জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।

একইসঙ্গে ২০১২-১৩ অর্থবছরে দাখিল করা আয়কর রিটার্নে তার দু’ছেলেকে সালেহা ইমারত কোল্ড স্টোরেজ ৩ কোটি ২৯ লাখ ৯০ হাজার টাকায় ৩ কোটি ২৯ লাখ ৯০ হাজার শেয়ার ক্রয় করলেও তা আয়কর রিটার্নে উল্লেখ না করে তথ্য গোপন করেছেন।

চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি এনামুলের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। দুদকের কাছে অভিযোগ আসে, ২০০৮ সালে শুধু বেতন-ভাতা থেকে তার বছরে আয় ছিল ২০ লাখ টাকা। পাঁচ বছর পরে এখন কৃষি, বাড়ি ও দোকান ভাড়া, ব্যবসা ও পেশা থেকে বছরে তার আয় হয় ৫০ লাখ টাকা। এ আয়ের পরিমাণ তিনি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় উল্লেখ করেছেন।

সাত কর্মদিবসের মধ্যে এনামুলের সম্পদের হিসাব চেয়েছে দুদক

সাতক্ষীরার কলারোয়া সীমান্তের বিপরীতে ভারতের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সরুপনগর থানার পদ্মবিলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়েছে।

সাতক্ষীরা ৩৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শাহাজান সিরাজ পতাকা বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, সীমান্তে মাদক, নারী-শিশু পাচার ও চোরাচালান প্রতিরোধে আলোচনা হয়েছে।
চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি-বিএসএফ’র পতাকা বৈঠক

মেড ইন বাংলাদেশ উইথ প্রাইড, এটা বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে অন্যতম স্লোগান। এই স্লোগানকে হেয় করার অধিকার কারো নেই। আমেরিকান অ্যাপারেলস নগ্ন নারীবক্ষে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ লিখে বিজ্ঞাপন করে এই গর্বের বিষয়টিকেই খাটো করেছে। বাংলানিউজকে একথাগুলো বলেছেন বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)র প্রেসিডেন্ট আতিকুল ইসলাম।

বাংলাদেশি-আমেরিকান এক তরুণীকে এই বিজ্ঞাপনের মডেল বানিয়ে বাংলাদেশের লাখ লাখ নারী শ্রমিককে অপমান করা হয়েছে বলেও মত দেন তিনি।

আতিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে আরও বলেন, বাংলাদেশ যখন বড় বড় দুর্ঘটনার পর আন্তর্জাতিক চাপের মুখে আবারও ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে তখন এমন একটি বিজ্ঞাপন আমাদের আহত করেছে। বিশেষ করে আমরা মেড ইন বাংলাদেশ কথাটিকে বিশ্বের নামি দামি ব্র্যান্ডে সংযুক্ত করতে চাই। সে কারণেই মেড ইন বাংলাদেশ উইথ প্রাইড আমাদের স্লোগান। আমরা চাই না এই স্লোগানের যত্রতত্র ব্যবহার হোক।
মেড ইন বাংলাদেশ, গর্বের স্লোগান

২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে থ্রি-জি নিলামে গ্রামীণফোন ১০ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম কিনে নেয়। এরপর ‘সবার জন্য ইন্টারনেট’ এ স্লোগান নিয়ে কাজ শুরু করেছে গ্রামীণফোন।

এরই মধ্যে গ্রামীণফোন দেশের সব বিভাগীয় সদরসহ ৪০টি জেলায় থ্রি-জি সেবা চালু করেছে।

দেশের উচ্চগতির থ্রি-জি ডাটা সেবার মাধ্যমে ব্যক্তি বিশেষ এবং গ্রামীণ সমাজ যেমন উপকৃত হবে তেমনি ছোট বড় ব্যবসায়িক উদ্যোগগুলোও উপকৃত হবে। উন্নততর যোগাযোগ, আরো শক্তিশালী, উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ব্যবস্থা আমাদের গতিশীলতা এবং উৎপাদনের ওপর প্রভাব ফেলবে।

উচ্চগতির এ থ্রিজি ডাটা সেবা কাজে লাগাতে পারলে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ যে অর্থ আয় করছে তা আরো বহুগুণ বাড়বে।

বিশ্বব্যাংকের হিসেব অনুযায়ী, ২০১২ সালে প্রবাসীরা দেশে ১৪ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন। প্রতি বছর ১০ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি ধরে নিলে ২০১৫ সাল নাগাদ তা হবে প্রায় ১৯ বিলিয়ন ডলার। আর ডাটা এন্ট্রির মাধ্যমে আউটসোর্সিং করে বিশ্বে ৪৪৩ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণের কাজ হবে। এর ৫ শতাংশ মার্কেট শেয়ার নিতে পারলে বাংলাদেশ প্রায় ২৩ বিলিয়ন ডলার অর্থ আয় করতে পারবে, যা প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের চেয়ে বেশি হবে।
‘ডাটা’ হবে বিশ্বের নতুন প্রাকৃতিক সম্পদ

ক্রসফায়ারের পক্ষে সমর্থন করায় নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খানের বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

গতকাল শনিবার বিবিসি’র বাংলাদেশ সংলাপ অনুষ্ঠানে ‘দেশ থেকে সন্ত্রাস নির্মূল করতে কিছুটা ক্রসফায়ার প্রয়োজন’ বলে মন্তব্য করেন নৌপরিবহন মন্ত্রী।

বিবৃতিতে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, রাষ্ট্রের কোনো নাগরিকই বিচারের ঊর্ধ্বে নয়। অন্যদিকে অপরাধ যত ঘোরতরই হোক না কেন সন্ত্রাস নির্মূলের নামে তথাকথিত ক্রসফায়ারের মাধ্যমে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের পক্ষে একজন মন্ত্রীর এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত বক্তব্য সম্পূর্ণভাবে আইনের শাসনের পরিপন্থি, অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক। সরকারের একজন মন্ত্রীর কাছ থেকে এ ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য কখনোই কাম্য নয়। আমরা তার এই বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানাই।

মন্ত্রীর এ বক্তব্য বিচারিক প্রক্রিয়ার প্রতি মানুষের মধ্যে আস্থাহীনতা সৃষ্টি করবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অভ্যন্তরে আইন লঙ্ঘনের প্রবণতা বৃদ্ধি করবে। আইনের রক্ষক হিসেবে যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত তারাই ক্রমাগত উদ্বেগজনকভাবে আইনের ভক্ষক ও নির্বিকার লঙ্ঘনকারী হয়ে উঠবে, বিচারহীনতার সংস্কৃতি আরো প্রকটতর হবে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

‘ক্রসফায়ার প্রয়োজন’ বলায় নৌমন্ত্রীর বক্তব্যের কড়া সমালোচনা

এশিয়া কাপে সাকিব, তামিম ও মাশরাফির মতো সেরা খেলোয়াড়রা ছিলেন না। তাই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে আফগানরা নতুন বাংলাদেশকে দেখবেন এমনটি মনে করেন মুশফিক।
বাংলাদেশের ক্রিকেট পাগল দর্শকদের কথা মাথায় রেখে ঘুড়ে দাঁড়াতে মরিয়া তামিম-সাকিবদের দলনেতা মুশফিক বলেন, আমরা জানি বাংলাদেশের মানুষ অনেক ক্রিকেট পাগল। তারা আমাদের কাছে অনেক কিছু প্রত্যাশা করে। তাদের কথা চিন্তা করে যদি আমরা সর্বোচ্চ খেলাটা দিতে পারি তাহলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবো।

দলে কাউকে কোনো চাপ না নিয়ে প্রত্যেককে তার সেরা খেলাটা খেলতে অনুরোধ জানান মুশফিক, আমাদের দলে বেশ কয়েকজন ম্যাচ উইনার আছে। যারা যে কোনো সময় দলকে জয় এনে দিতে পারে। প্রত্যেকে যদি যার যার অবস্থান থেকে সেরা খেলাটা দিতে পারে তাহলে আমি মনে করি দলে নতুন প্রত্যয় যুক্ত হবে। কাউকে কোনো চাপ না নিয়ে স্বাভাবিক খেলেটা খেলতে হবে।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ঘুরে দাঁড়াতে চায় টাইগাররা

No comments:

Post a Comment