তরুণরা এবং ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতারা ছাত্র রাজনীতি নিয়ে যেসব পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছেন
মাক্সিমাস তরুণকণ্ঠ | ৭ম পর্ব
ছাত্রদল
বিএনপি নেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচন বন্ধ করতে না পারায় ছাত্র নেতাদের উপর বিরক্ত। তিনি বলেছেন - তাদের কাছ থেকে দলের জন্য ‘সার্ভিস’ পাওয়া যাচ্ছে না।
তা "সার্ভিস" যখন পাওয়া যাচ্ছে না, তখন তাদের আর মূল্য কি? পড়াশোনা লাটে উঠুক।
একজন ছাত্রনেতা কমিটিতে টাকার বিনিময়ে পদ দেওয়ার অভিযোগ করেন।
একপর্যায়ে খালেদা জিয়া জনতে চান, ‘তোমাদের এত বয়স, চাকরি করো না, ব্যবসা করো না, তোমরা চলো কীভাবে? তোমাদের পরিবার থেকে এখনো তোমাদের টাকা দেয়?’
একজন ছাত্রনেতা বলেন, এই প্রথম শুনলেন, ২৯ তারিখে ছাত্রদলের জন্য টাকা-পয়সা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা হয়তো পাই না, তবে কেউ না কেউ নিশ্চয় পায়।'
ছাত্রদল অছাত্রদের দখলে রয়েছে অনেক আগে থেকেই। নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে নাসির উদ্দীন আহম্মেদ পিন্টুকে সভাপতি ও সাহাবুদ্দিন লাল্টুকে সাধারণ সম্পাদক করে যে কমিটি হয়, তাতে অছাত্র-অনিয়মিতসহ বিবাহিতদের আধিপত্য বেড়ে যায়। এরপর তা অব্যাহত থাকে। সর্বশেষ কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি হয় ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে। তা-ও আংশিক। সাত মাস পর কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হলেও বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি আগের আংশিকই রয়ে গেছে। এ দুই কমিটিতে নিয়মিত ছাত্রদের কেউ ঠাঁই পাননি। এঁদের অনেকের বয়স ৪০-এর ওপরে। বর্তমান ২৯১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির শতাধিক নেতা বিবাহিত।
- ‘অছাত্রদের’ ছাত্রদল ব্যর্থ, পরিবর্তন চান খালেদা জিয়া
ছাত্রদলের কর্মী হিসেবে যেসব নিয়মিত ছাত্র গত দুই দিনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন, তাঁদের অনেকে ছাত্রশিবির ও ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ করেছেন সংগঠনটির অছাত্র জ্যেষ্ঠ নেতারা।
- শিবির-দূষণের অভিযোগ ছাত্রদের বিরুদ্ধে
ছাত্ররাজনীতি এখন লাভজনক ব্যবসা?
ছাত্রলীগ
এরা কি ছাত্র সংগঠন নাকি সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য
- ছাত্র সংগঠনগুলো রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তি করে। কেন্দ্রিয় নেতৃত্ব ছাত্রদের তাদের স্বার্থে ব্যবহার করেন। সরকারি দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ও বিরোধী দলকে দমনে কিংবা বিরোধী দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সংগঠনগুলো কাজ করে। ছাত্র নেতারাও (ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক) দলের কেন্দ্রিয় নেতৃত্বের প্রভাব থেকে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ থেকে মুক্তি চান - একমাত্র তাহলেই সুষ্ঠু ছাত্র রাজনীতি সম্ভব।
- অছাত্রদের নেতৃত্বে থাকা মূল সমস্যা (চাঁদাবাজি করতে পারেন)।
- ডাকসু ইত্যাদি নির্বাচন হয় না।
- ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। হল দখল করে রাখেন। হলে সিট পেতে নেতাদের কাছে যেতে হয়।
- সংঘাত হানাহানি, বিশ্ব বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অস্ত্রের অনুপ্রবেশ।
- সংঘাত হানাহানির কারণে সেশন জট।
- যে দল ক্ষমতায় সেই দলে যোগ দেন। সবাই মিলে বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলোকে ক্যাম্পাসে কোণঠাসা করে রাখেন।
- ছাত্রদের দাবি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সমস্যা দূর করতে ভূমিকা নেই।
- ছাত্র রাজনীতি শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করছে, মনে করেন - ৮৭%।
- শিক্ষক নিয়োগে নেতারা নিয়োগ পান।
মাক্সিমাস তরুণকণ্ঠ | ৭ম পর্ব
ছাত্রদল
বিএনপি নেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচন বন্ধ করতে না পারায় ছাত্র নেতাদের উপর বিরক্ত। তিনি বলেছেন - তাদের কাছ থেকে দলের জন্য ‘সার্ভিস’ পাওয়া যাচ্ছে না।
তা "সার্ভিস" যখন পাওয়া যাচ্ছে না, তখন তাদের আর মূল্য কি? পড়াশোনা লাটে উঠুক।
একজন ছাত্রনেতা কমিটিতে টাকার বিনিময়ে পদ দেওয়ার অভিযোগ করেন।
একপর্যায়ে খালেদা জিয়া জনতে চান, ‘তোমাদের এত বয়স, চাকরি করো না, ব্যবসা করো না, তোমরা চলো কীভাবে? তোমাদের পরিবার থেকে এখনো তোমাদের টাকা দেয়?’
একজন ছাত্রনেতা বলেন, এই প্রথম শুনলেন, ২৯ তারিখে ছাত্রদলের জন্য টাকা-পয়সা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা হয়তো পাই না, তবে কেউ না কেউ নিশ্চয় পায়।'
ছাত্রদল অছাত্রদের দখলে রয়েছে অনেক আগে থেকেই। নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে নাসির উদ্দীন আহম্মেদ পিন্টুকে সভাপতি ও সাহাবুদ্দিন লাল্টুকে সাধারণ সম্পাদক করে যে কমিটি হয়, তাতে অছাত্র-অনিয়মিতসহ বিবাহিতদের আধিপত্য বেড়ে যায়। এরপর তা অব্যাহত থাকে। সর্বশেষ কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি হয় ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে। তা-ও আংশিক। সাত মাস পর কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হলেও বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি আগের আংশিকই রয়ে গেছে। এ দুই কমিটিতে নিয়মিত ছাত্রদের কেউ ঠাঁই পাননি। এঁদের অনেকের বয়স ৪০-এর ওপরে। বর্তমান ২৯১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির শতাধিক নেতা বিবাহিত।
- ‘অছাত্রদের’ ছাত্রদল ব্যর্থ, পরিবর্তন চান খালেদা জিয়া
ছাত্রদলের কর্মী হিসেবে যেসব নিয়মিত ছাত্র গত দুই দিনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন, তাঁদের অনেকে ছাত্রশিবির ও ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ করেছেন সংগঠনটির অছাত্র জ্যেষ্ঠ নেতারা।
- শিবির-দূষণের অভিযোগ ছাত্রদের বিরুদ্ধে
ছাত্ররাজনীতি এখন লাভজনক ব্যবসা?
ছাত্রলীগ
এরা কি ছাত্র সংগঠন নাকি সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য
"ব্যবহারকারীর মারফত জানতে পারলাম, যে পিস্তল দিয়ে ইমন গুলি করছিলেন, তার ব্র্যান্ডের নাম বেরেটা টমক্যাট। দাম তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা।"
- ছাত্রলীগের দামি পিস্তল ও কিছু সস্তা জীবন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্ত্র উঁচিয়ে ছাত্রলীগ, পুলিশের গুলি
‘বদমাশ’ ছাত্রনেতাদের গ্রেফতারের নির্দেশ অর্থমন্ত্রীর
অস্ত্রবাজেরা উঁচু পদে
যোগ্যতার নাম ‘ছাত্রলীগ’
ছাত্রশিবির
বিশ্বের বেসরকারি সশস্ত্র সংগঠনের তালিকায় তৃতীয় স্থানে শিবির
‘তৃতীয় বৃহত্তম সশস্ত্র সংগঠন ছাত্রশিবির’
এই তাহলে আমাদের ছাত্ররাজনীতির দশা?
- ছাত্রলীগের দামি পিস্তল ও কিছু সস্তা জীবন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্ত্র উঁচিয়ে ছাত্রলীগ, পুলিশের গুলি
‘বদমাশ’ ছাত্রনেতাদের গ্রেফতারের নির্দেশ অর্থমন্ত্রীর
অস্ত্রবাজেরা উঁচু পদে
যোগ্যতার নাম ‘ছাত্রলীগ’
ছাত্রশিবির
বিশ্বের বেসরকারি সশস্ত্র সংগঠনের তালিকায় তৃতীয় স্থানে শিবির
‘তৃতীয় বৃহত্তম সশস্ত্র সংগঠন ছাত্রশিবির’
এই তাহলে আমাদের ছাত্ররাজনীতির দশা?
ব্যতিক্রম কি একেবারেই নেই?
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক লাকী আক্তার তার ডিপার্টমেন্টের ফার্স্ট গার্ল।
নারীর শ্রম ও মেধার মূল্যায়ন জরুরি
- লাকী আক্তার।
ত্বকী হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার দাবিতে অনশন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের দাবিদাওয়া আদায়ে আন্দোলন, গণজাগরণ মঞ্চের অংশ হিসেবে নির্যাতিত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশে গিয়ে দাঁড়ানো - এই ক্ষেত্রগুলোতে আমরা দেখেছি ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্র ফেডারেশানের প্রশংসনীয় ভূমিকা।
ত্বকীর হত্যাকারীদের গ্রেফতার দাবিতে অনশন
দিনাজপুরের কর্ণাই গ্রামে নিরীহ সংখ্যালঘুদের ওপরে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও নির্যাতনের ঘটনা জাতির জন্য লজ্জাজনক।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক লাকী আক্তার তার ডিপার্টমেন্টের ফার্স্ট গার্ল।
নারীর শ্রম ও মেধার মূল্যায়ন জরুরি
- লাকী আক্তার।
ত্বকী হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার দাবিতে অনশন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের দাবিদাওয়া আদায়ে আন্দোলন, গণজাগরণ মঞ্চের অংশ হিসেবে নির্যাতিত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশে গিয়ে দাঁড়ানো - এই ক্ষেত্রগুলোতে আমরা দেখেছি ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্র ফেডারেশানের প্রশংসনীয় ভূমিকা।
ত্বকীর হত্যাকারীদের গ্রেফতার দাবিতে অনশন
দিনাজপুরের কর্ণাই গ্রামে নিরীহ সংখ্যালঘুদের ওপরে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও নির্যাতনের ঘটনা জাতির জন্য লজ্জাজনক।
No comments:
Post a Comment