Friday, November 29, 2013

Peace in Syria

The Syrian civil war has to end. We want peace.

Iran can play a vital role. Russia and Iran can converse with the rest of Middle East and Western countries to make the Syrian government and all the different groups sit together, find a roadmap that is acceptable to everyone and end the civil war and restore peace.

As a first step, military and arms support from outside countries should be stopped immediately. More than 110,000 people have lost their lives. What is the point of adding more to that?

The veto power in the United Nations has been a major roadblock.

People belonging to the “rebels” groups who have lost their family members are not ready to accept Bashar Al-Assad as the President.

Democracy has to be restored. People should be given the right to choose their own leaders and representatives and it's the responsibility of leaders to win people's hearts.


Followups
'Massive evidence' links Syrian regime to war crimes, U.N. official says
Iran Moves to Assert Clout on Syria

Tuesday, November 19, 2013

আদর্শ রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী পরিকল্পনা – ২

জনগনের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে হবে। বিভিন্ন ডেমোগ্রাফিকের জনগণের সমস্যা, আশা আকাঙ্ক্ষা বুঝতে হবে। তাদের সমস্যার সমাধান কিভাবে করা যায়? উদ্যোগ? প্লাটফর্ম? জনগণের নিরাপত্তা? আমরা সমস্যা সমাধানে কতটুকু আন্তরিক বুঝিয়ে দিতে হবে।


সুপরিকল্পিত সুশাসন এর মাধ্যমে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে উঠবে এই স্বপ্নে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। স্বপ্নের বাংলাদেশের বাস্তবমুখী গল্প, ভিডিও চিত্র (দলের ট্রেডমার্কসহ) জনগণের কাছে ছড়িয়ে পড়বে।


সবার মাঝে নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে হবে।
তরুণদের কাছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দিয়ে পৌঁছান সবচেয়ে সহজ।
নেতারা আসবেন strength দেখে। নেতাদের মাঝে যোগাযোগের বাবস্থা করতে হবে। এতে সবার মাঝে বন্ধন গড়ে উঠবে। নেতাদের মাঝে নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে পারলে সেই নেটওয়ার্ক এর আকার বাড়তে থাকবে।
বিভিন্ন নেটওয়ার্ক – তরুণদের নেটওয়ার্ক, বাবসায়িদের নেটওয়ার্ক, বুদ্ধিজীবীদের নেটওয়ার্ক, সাংবাদিকদের নেটওয়ার্ক গড়ে উঠবে। ভিন্ন ভিন্ন পেশা, ভিন্ন ভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের মাঝেও নেটওয়ার্ক গড়ে উঠবে। নেটওয়ার্ক দ্রুত বড় হবে।
আমাদের হিশেব নিকেশ রাখতে হবে আমাদের নেটওয়ার্ক এ কারা কারা আছেন। এই নেটওয়ার্কগুলোকে কিভাবে বাড়ানো যায়। নেটওয়ার্কগুলো নিজেরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যমে দ্রুত বড় হতে থাকবে। যারা নেটওয়ার্ক এ আছেন, তারা নেটওয়ার্ক এর বাইরের অন্যদের নেটওয়ার্ক এ আনবেন।
নেটওয়ার্কগুলো গড়ে উঠবে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে।
নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে পারলে মানুষ সম্মিলিতভাবে নিজেদের সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন উদ্যোগ নেবে। বুদ্ধিজীবীদের নেটওয়ার্ক এক্ষেত্রে অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করবে।


Monday, November 18, 2013

অন্ধকারাচ্ছন্ন রাজনীতির বদলে স্বপ্নের বাংলাদেশ

আমরা যারা আদর্শ রাজনৈতিক দলের স্বপ্ন দেখি আমরা জানি আমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হলে বিপুল সম্ভনাময় এই দেশকে আমরা সবাই মিলে কোথায় নিয়ে যেতে পারব। জাতি ধর্ম বর্ণ শ্রেণী পেশা নির্বিশেষে জনগণের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আমরা প্রাণশক্তিতে ভরপুর বিশাল তরুন প্রজন্মকে নিয়ে বাবসা বান্ধব, শিল্প বান্ধব, উদ্যোক্তা বান্ধব এবং সর্বপরি অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী একটি দেশ গড়ে তুলবো।


আমরা আরও জানি আমরা এগিয়ে না এলে কি ঘটবে।.
গডফাদারদের হাতে সাধারণ মানুষের খুন টর্চার অব্যাহত থাকবে।
গুজব রটিয়ে মানুষ হত্যা, ঘরবাড়ি পোড়ান অব্যাহত থাকবে।
হরতালে “জ্বালাও পোড়াও” এর মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার ক্ষতি, দেশের অর্থনীতি ধ্বংস চলতে থাকবে।
বিনিয়োগ কারিদের থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে ঠকানো অব্যাহত থাকবে।
প্রতিটি কাজে ঘুষ, দুর্নীতির প্রয়োজন হবে।

আমাদের দেশের সরকারি দলের হাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং বিচার বিভাগের নিয়ন্ত্রণ চলে যাওয়ায় রাজনীতিবিদরা আইনের উরধে উঠে যান। নিজেদের আইনের উরধে ভাবায় এদের মধ্য থেকে দেশে কিছু দানবের জন্ম হয়েছে। এসব দানবরা চাঁদাবাজি, খেলাপি ঋণের অর্থ দিয়ে কি করে? টর্চার সেলে গুন্ডা, মাস্তানদের বেতন দিয়ে মানুষকে কষ্ট দিতে দিতে খুন করা হয়। নারীদের উপর চালানো হয় নির্যাতন। ভূমিদস্যুর ভূমিকায় হয় জমি দখল। মানুষকে ছলে বলে কৌশলে খারাপ কাজ করতে বাধ্য করে গোপন ক্যামে ধারণ করা হয়। বেডরুম, বাথরুমের কার্যকলাপ পর্যন্ত গোপনে ধারণ করা হয়। খেলাপি ঋণের, চাঁদাবাজির টাকা দিয়ে এরা ভোট কেনেন। ভোট না দিলে নির্যাতন, খুন করার জন্য টর্চার সেল তৈরি থাকে। মাস্তান, গুণ্ডারা এসব দানবের পাশে থেকে আইনের উরধে থাকার নিশ্চয়তা পায়। কিন্তু একটু এদিক ওদিক হলে তাদের ভাগ্যেও জোটে টর্চার এর মাধ্যমে খুন।
এসব দানবের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করার দায় আমরা এড়াতে পারি না।

আমাদের বাবসায়িদের রাজনীতিবিদদের চাঁদা দিয়ে বাবসা করতে হয়। তার বিনিময়ে এই চাঁদাবাজ রাজনীতিবিদরা বাবসা বান্ধব, শিল্প বান্ধব, উদ্যোক্তা বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে কতটুকু করেন? দেশের উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নেওয়া এবং বাস্তবায়ন আশা করাতো অলীক স্বপ্ন কল্পনার ব্যাপার।

আমরা যারা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছি, আমরা স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবকিছু করতে পারি। আমাদের আশে পাশের মানুষকে সেই স্বপ্নে উদ্বুদ্ধ করা দরকার।

Sunday, November 17, 2013

আদর্শ রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী পরিকল্পনা - ১


  1. এবার ৩টি পক্ষের (দল / জোট) মধ্যে ভোট ভাগাভাগি হবে। একটি আসনে ৩৫ - ৪০% ভোট পেয়েই প্রার্থী নির্বাচিত হতে পারেন। পুরো দেশে ৩৩% ভোট নিয়েই এক পক্ষ ১৫১+ আসন পেতে পারে। প্রতি আসনে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বী থাকায় শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থী কম থাকবেন। গতবার দুই প্রধান জোট মিলে ৮২.২% ভোট ভাগাভাগি করেছিল। 
  2. বাংলাদেশের মানুষ পরিকল্পনাবিহীন অপরাজনীতি দেখে অভ্যস্ত। জনগণ জানে না সুপরিকল্পিত সুশাসন দেশকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে। আদর্শ রাজনৈতিক দলটি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে জনগণের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেবে। আমাদের রাজনীতি সচেতন জনগণও শুধুমাত্র চায়ের কাপে নেতানেত্রীদের আলোচনা - সমালোচনার মাঝে রাজনীতিকে সীমাবদ্ধ রাখবেন না, বরং তারাই হবেন রাজনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ - তাদের কেন্দ্র করেই দেশের রাজনীতি পরিচালিত হবে - আদর্শ দল তা নিশ্চিত করবে।
  3. আদর্শ রাজনৈতিক দলের নেতারা ইতিহাসের মহানায়কদের মত জানেন, ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির, ভিন্ন আদর্শ, মূল্যবোধে বিশ্বাসী মানুষকে নতুন যুক্তিযুক্ত দৃষ্টিভঙ্গি দেখাতে পারলে তারা তা গ্রহণ করবেন। দলের নেতারা নিজেরাও নিজেদের সবজান্তা ভাবার ধৃষ্টতা না দেখিয়ে, নিজেদের পথই একমাত্র সঠিক পথ না ভেবে, ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি, ভিন্ন মূল্যবোধ গভীরভাবে বোঝার এবং গ্রহণ করার মানসিকতা দেখাবেন। সমগ্র দেশের চেতনাকে ধারণ করতে তারা বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির মানুষদের দূরত্ব দূর করে একতাবদ্ধ করবেন।
  4. দলটি দেশের জনসংখ্যাকে বিভিন্ন ডেমোগ্রাফিকে বিভক্ত করে ভিন্ন ভিন্ন ডেমোগ্রাফিকের কাছে আলাদা আলাদা ভাবে পৌঁছাবে। পরিকল্পনা হাতে নেবে। 
    1. তরুণদের কাছে পৌঁছাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে ব্যবহার করবে। তরুণদের জন্য প্লাটফর্ম তৈরি করে দেবে যাতে ওরা বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে পারে। 
    2. গ্রামের গরিব দুঃখী অসহায় মানুষগুলোর পাশে গিয়ে তাদের সমস্যা বোঝার চেষ্টা করবে। গ্রামের বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা সবাই মিলে সমাধানের উদ্যোগ নেবে।
    3. শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে তাদের পাশে দাঁড়াবে। 
    4. বাবসায়িদের বাবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির উপায় নিরুপন করে উদ্যোগ নেবে। 
    5. সৎ বিনিয়োগকারিদের অভিযোগগুলো বোঝার চেষ্টা করবে। 
    6. দেশের সম্পদ রক্ষায়, দেশের বৃহত্তর কল্যাণে যারা কাজ করছে তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়াবে।
    7. বিভিন্ন ক্ষেত্রে যারা অন্যায় করছে, দুর্নীতি করছে, সেই অন্যায়, দুর্নীতিগুলোর বিরুদ্ধে সবাইকে নিয়ে অবস্থান নেবে।
  5. ভোটঃ (rough estimate করার জন্য ৯ লক্ষ ভোট = ১% ধরা যায়) 
    1. গ্রামীণ নারী (এবং তাদের পরিবার) - ৬%+ 
    2. জাতীয় পার্টি, বিকল্প ধারা, গণফোরাম, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, জাসদ(রব) এবং অন্যান্য দল - ৭-১০% 
    3. মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট, আলেমসমাজ (এবং তাদের পরিবার) - ২-৩%+ 
    4. বিভিন্ন সংসদীয় এলাকার নেতা
    5. বুদ্ধিজীবী সমাজ, সুশীল সমাজ
    6. তরুণ প্রজন্ম (১৮-৩৫ বছর - দেশের মোট ভোটারের ৪৫%) 
    7. মুসলিম বাতীত অন্যান্য জাতি, ধর্মের জনগোষ্ঠী (দেশের মোট ভোটারের ১০%) 
  6. জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবার নিরাপত্তার জন্য ঐক্য। গ্রামে গ্রামে একতার উদ্যোগ। গুজব রটিয়ে সহিংসতা সৃষ্টি যাতে কেউ করতে না পারে সে লক্ষ্যে সচেতনতা সৃষ্টি।
  7. বাংলাদেশ সঠিকভাবে পরিচালিত হলে স্বপ্নের বাংলাদেশ কেমন হবে তার এবং সেই স্বপ্নের বাংলাদেশে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের জীবনের একটা চিত্র জনগণের সামনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তুলে ধরে জনগণকে সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্নে উজ্জীবিত করা হবে। 
  8. ডিজিটাল মিডিয়া / সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, তারুণ্য। স্বপ্নের বংলাদেশের ভিডিও (দলের নাম, প্রতীক) -> লিংকঃ ফেইসবুক, ইউটিউব পেইজ, ওয়েব সাইট (সবাই পড়তে পারবে, কিন্তু সাইটে কমেন্ট করতে / মতামত দিতে ফেইসবুক লগইন। সাইট ব্লগে নিজেদের চিন্তা ভাবনা, প্রত্যাশা প্রকাশ করার সুযোগ দেওয়া যেতে পারে।)। দলটা আমাদের সবার। সবার মতামতের ভিত্তিতেই পরিচালিত হবে দল এবং দেশ। স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে উঠবে তারুণ্যের শক্তিতে। তরুণদের জন্য প্ল্যাটফর্ম গড়ে দেওয়া হবে যাতে তারা বিভিন্ন কল্যাণমুখী, উদ্ভাবনী উদ্যোগ নিতে পারে। লেখাগুলো ভাগ করে ইমেইজ হিসেবে শেয়ার দেওয়া হবে (দলের ট্রেডমার্ক থাকবে ইমেইজে) - সবাই পড়বে, লাইক - শেয়ার দিবে এবং এভাবে ছড়িয়ে পড়বে। গ্রামে সবাই ফোন ব্যবহার করে এক্সেস করবে। কাজেই মোবাইল অপ্টিমাইজড ডিজাইন।
  9. তরুণদের এমনভাবে গড়ে তোলা হবে যাতে তারা ভবিষ্যতে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে এবং দেশ গঠনে নেতৃত্ব দিতে পারে।

Friday, November 15, 2013

আদর্শ রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারের রূপরেখা

আদর্শ রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে যেসব বিষয় থাকবেঃ
  1. শিক্ষা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেকটা মানুষ তার সুপ্ত ক্ষমতাকে জাগিয়ে তুলে এক একটা বিশাল শক্তি হয়ে উঠতে পারে শিক্ষার মাধ্যমে। জ্ঞান আর মেধা দিয়ে জীবনে সবকিছু অর্জন করা যায়। যে কেউ প্রায় যে কোন বয়সে সঠিকভাবে চেষ্টা করলে যে কোন কিছু হয়ে উঠতে পারে – এই বিশ্বাসটা সবার মধ্যে জাগিয়ে তুলতে হবে। মানুষগুলোকে জাগিয়ে তুলতে পারলে আর কিছু লাগবে না। (শিক্ষা শুধুমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় সীমাবদ্ধ না, আমরা চাইলে জীবনের প্রতিটা মুহূর্তে চারপাশ থেকে শিখতে পারি।) ইতিহাসের যে কোন সময়ের তুলনায় নিজেকে উপরে তোলার সুযোগও সবচেয়ে বেশি আমাদের প্রজন্মের। আধুনিক প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন আমাদের হাতে দিয়েছে অনন্য সব আবিষ্কার - মানুষ এখন যে কোন প্রান্তে বসে যে কোন কিছু শিখতে পারে, যে কারও সাথে যোগাযোগ করতে পারে, কোটি মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে, কাজ করতে পারে, পারে আয় রোজগার করতে।
  2. দেশের ৫০ ভাগ মানুষের বয়স ২৩ বা তার কম। এই বিশাল তরুণ প্রজন্মকে, যারা কর্মক্ষেত্রের জন্য নিজেদের তৈরি করছে, তাদের অগ্রাধিকার দিয়ে গড়ে তোলা হবে (এবং সাথে বাবসা বান্ধব, বিনিয়োগ বান্ধব, উদ্যোক্তা বান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলা লক্ষ লক্ষ তরুনের জন্য) যাতে তারা নিজেদেরকে এবং দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে। (একটা সামগ্রিক পরিকল্পনা - কত হাজার তরুনের শিক্ষা, দক্ষতা কোথায়, তাদের কর্মসংস্থান / উদ্যোগ কিরকম হতে পারে।)
  3. বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সূচকে (মাথাপিছু আয়, জিডিপি প্রবৃদ্ধি, দুর্নীতি হ্রাস ইত্যাদি) উন্নতিকে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে নেওয়া হবে। কিছু সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রার উল্লেখ থাকবে ইশতেহারে। বিভিন্ন সূচকে উন্নতিকে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে নিয়ে কর্ম পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হবে – 
    • জিডিপি প্রবৃদ্ধির হারকে প্রথমে ৮% এ উন্নীত করা হবে এবং লক্ষ্য অর্জিত হলে ১০% কে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে নেওয়া হবে।
    • মাথাপিছু আয়ের দিক দিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোকে ছাড়িয়ে যাওয়ার লক্ষ্য থাকবে।
    • দুর্নীতি দমন সূচকে ব্যাপক উন্নতি আনা হবে।
    • অপরাধ শক্তভাবে দমন করে বিভিন্ন অপরাধ দমন সূচকে উন্নতি ঘটানো হবে।
    • বিভিন্ন সামাজিক সূচকে (যেমন শিক্ষা, শিশু মৃত্যু হার, আয়ুষ্কাল ইত্যাদি) লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা হবে।
    • নিজেদের মানদণ্ডে নিজেদের সাফল্য, অপরের বার্থতার প্রচার নয়, বরং আন্তর্জাতিক মানদণ্ডই সাফল্য - বার্থতার মূল্যায়ন করবে।
  4. বাবসা বান্ধব, বিনিয়োগ বান্ধব, উদ্যোক্তা বান্ধব, শিল্প বান্ধব নীতিমালা প্রনয়ন এবং বাস্তবায়ন।
    • অর্থনীতিবিদদের নেতৃত্বে “ন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড প্ল্যানিং কাউন্সিল” গঠন। অর্থনীতিবিদদের নেতৃত্বে এই কাউন্সিলে যোগ দেবেন শিল্প বাবসায়ি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি বাবসায়ি, প্রকৌশলী, নগর পরিকল্পনাবিদ, স্থপতি, পরিসংখ্যানবিদ, কৃষক এবং শ্রমিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
    • উন্নত অবকাঠামো তৈরি + জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিতকরণ + রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা > অধিকতর বিনিয়োগ > জিডিপি প্রবৃদ্ধি।
    • দেশের জনগণকে ভয় দেখিয়ে, “জ্বালাও - পোড়াও” চালিয়ে, জানমালের ক্ষতি করে অর্থনীতির জন্য চরমভাবে ক্ষতিকর হরতাল পালনে কেউ যাতে বাধ্য করতে না পারে - সে লক্ষ্যে কঠোর বাবস্থা।
    • উদ্যোক্তাদের নতুন বাবসা শুরু করার প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য বাবস্থা গ্রহণ - সমস্যাগুলো সমাধান করা। উদ্যোক্তাদের জন্য ভেঞ্চার ক্যাপিটাল, ইঙ্কিউবেটার ফার্ম প্রতিষ্ঠায় সহায়তা
    • আইসিটি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে এই খাতের বিকাশে সামগ্রিক পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন। দক্ষ আইসিটি পেশাজীবী, উদ্যোক্তা গড়ে তোলা, সারা দেশে দ্রুতগতির ইন্টারনেট ছড়িয়ে দেওয়া, আইসিটি ভিত্তিক শিল্প গড়ে তুলতে দূরদর্শী পরিকল্পনা হাতে নেওয়া।
    • বিভিন্ন সম্ভাবনাময় শিল্প (শিপ বিল্ডিং, পর্যটন শিল্প প্রভৃতি) কে চিহ্নিতকরণ, অগ্রাধিকার দিয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ, ক্ষেত্র সংশ্লিষ্ট সমস্যা সমাধান এবং বাস্তবায়ন।
    • বাংলাদেশকে বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির অফশোরিং এর কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন - অবকাঠামো, জ্বালানি, দক্ষ কর্মী, কূটনৈতিক উদ্যোগ, বিশ্বব্যাপী মার্কেটিং।
    • ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পের বাবসায়িদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া
    • শেয়ারবাজার নিয়ে কেউ যাতে কারসাজি করতে না পারে সেই লক্ষ্যে বাবস্থা গ্রহণ। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারিদের আস্থা ফিরিয়ে আনা। কোম্পানির মূল্যমান নির্ধারণে আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করা।
    • ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর বাবস্থা। ব্যাংক পরিচালনায় স্বচ্ছতা আনা। দেশের ফাইনান্সিয়াল সিস্টেমকে ঢেলে সাজানো।
    • বিভিন্ন সমস্যা (যেমন ঢাকার যানজট সমস্যা) নিরসনে সৃজনশীল কার্যকরী উদ্যোগ নেওয়া।
    • শিল্পের বিকাশে (যেমন - শুল্ক মুক্ত প্রবেশাধিকার ইত্যাদি) কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করা, কূটনৈতিক উদ্যোগ নেওয়া।
    • দেশের প্রকৌশলীরা বিভিন্ন শিল্পে উদ্ভাবনী কর্মকাণ্ডে আত্মনিয়োগ করবেন। তাদের উন্নত প্রশিক্ষনের বাবস্থা করা।
  5. দীর্ঘ মেয়াদি এবং স্বল্প মেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নিয়ে বাজেট এ বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ দেওয়া এবং বরাদ্দকৃত অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকরণ - বিভিন্ন মন্ত্রনালয়, স্থানীয় সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। কর আদায়ে স্বচ্ছতা আনা। শুল্ক নির্ধারণে বেক্তি স্বার্থ নয়, বরং জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া (যেমন সিগারেট আমদানির উপর শুল্ক বাড়ানো, কম্পিউটার এবং অন্যান্য তথ্যপ্রযুক্তি পণ্যের আমদানির উপর শুল্ক কমানো ইত্যাদি)।
  6. শিক্ষাবিদদের পরামর্শের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী - অভিভাবকদের মতামত নিয়ে প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত শিক্ষাবাবস্থার প্রতিটি পর্যায়ে আমূল সংস্কার আনা হবে। 
    • শিক্ষার্থীরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিজেরা শিখবে। 
    • পরীক্ষা পদ্ধতি, মূল্যায়ন পদ্ধতিতে সংস্কার আনা হবে। সৃজনশীল এবং বাস্তব জীবনে প্রয়োগ নির্ভর শিক্ষাবাবস্থা গড়ে তোলা হবে। 
    • শিক্ষার্থীরা মেধাভিত্তিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। বিভিন্ন অলিম্পিয়াড, প্রতিযোগিতা এবং অন্যান্য উদ্যোগের মাধ্যমে মেধাবী জাতি গড়ে তোলা হবে।
    • বাংলাদেশে বিশ্বমানের কয়েকটা বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় - ইন্ডাস্ট্রি এর মধ্যে যোগাযোগ গড়ে তোলা হবে। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি প্রদানে স্বচ্ছতা আনা হবে - ন্যূনতম মান নিশ্চিত করা হবে। 
    • উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষা কার্যক্রম যাতে অপরাজনীতির কারণে বাঁধাগ্রস্থ না হয় সে ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমরা শিক্ষাঙ্গনে সুস্থ রাজনীতির চর্চা, উদ্ভাবনী উদ্যোগ দেখতে চাই - ছাত্রছাত্রীরা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে, মানুষের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে দল বেঁধে কাজ করবে। 
    • মাদ্রাসা শিক্ষাবাবস্থার সংস্কার (সবার মতামতের ভিত্তিতে) - আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞান অন্তর্ভুক্তিকরন - যাতে তারা মেডিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং, বাবসা, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও বেশি সুযোগ পায়।
  7. দলীয় পরিচয়ের উরধে উঠে সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ বিচারের মাধ্যমে মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের সাজা দেওয়া হবে এবং জাতিকে গ্লানিমুক্ত করা হবে। এরপর সমগ্র জাতি ঐক্যবদ্ধ হবে।
  8. সবরকম অপরাধ শক্ত হাতে দমন করা হবে। অপরাধ হারে ব্যাপক হ্রাস আনা হবে। অপরাধী যত বড় হোক, আর অপরাধ যত ছোট হোক না কেন - অপরাধ করে কেউ পার পাবে না। আইনের চোখে সবাই সমান হবে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। 
    • আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সরকারি প্রভাবমুক্ত করা, আধুনিক প্রযুক্তি এবং আধুনিক বিজ্ঞান (ফরেনসিক, ডিএনএ টেস্ট ইত্যাদি) সমৃদ্ধ করা, বেতন ভাতাবৃদ্ধি, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘুষ - দুর্নীতি বন্ধ, উন্নত প্রশিক্ষন, পুরস্কার প্রবর্তন। 
    • তদন্ত নিরেপেক্ষ এবং প্রভাবমুক্ত থেকে শেষ করা। 
    • শক্তিশালী দুর্নীতি দমন কমিশন এবং দলীয় রাজনীতির প্রভাবমুক্ত বিচার বিভাগ। 
    • মাদকের বিস্তার রোধে কঠোর বাবস্থা। দেশে মাদকের প্রবেশ প্রবেশপথেই থামিয়ে দেওয়া হবে
    • সাইবার ক্রাইম রোধে কঠোর বাবস্থা নেওয়া হবে। (দেশে এখন মানুষের বাসাবাড়ি-বাথরুমে লুকিয়ে গোপন ক্যাম বসানো, কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, গুজব রটিয়ে সহিংসতা ছড়ানো এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে আঘাত করার কাজে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর ব্যবহার থেকে শুরু করে অনেক রকম সাইবার ক্রাইম ঘটছে।) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তিতে উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কিন্তু জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বন্ধ করা হবে। 
    • জনগণ অপরাধ এবং অপরাধীকে সামাজিকভাবে বয়কট / প্রতিহত করবে, ঘৃণার চোখে দেখবে।
  9. জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা 
    • কোন নির্দিষ্ট জাতি, ধর্ম, বর্ণের মানুষের উপর গুজব রটিয়ে বা অন্য কোন উপায়ে কোন রকম অন্যায় করা হলে, দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে আঘাত এলে, তদন্ত করে দায়ি বাক্তিদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে। 
    • দেশের জনগণ একতাবদ্ধ থেকে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
  10. দুর্নীতি দমন কমিশন, মানবাধিকার কমিশন, নির্বাচন কমিশন, আইন বিভাগকে (বিচারপতি এবং আইনজ্ঞদের পরামর্শ অনুসারে) সরকারি প্রভাবমুক্ত করে স্বাধীন, শক্তিশালী করে গড়ে তোলা হবে।
  11. দেশের রাজনীতিতে গুনগত পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে সবার মতামত, পরামর্শ নিয়ে শাসন বিভাগ, আইন বিভাগ এবং বিচার বিভাগের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য রেখে, কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় সরকারের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টনের বিধান রেখে সংবিধানে সংশোধন আনা হবে।
  12. শ্রমিকদের অধিকার সংরক্ষণ
  13. প্রবাসে কর্মসংস্থান 
    • শ্রমিক রপ্তানি বাড়াতে কূটনৈতিক উদ্যোগ নেওয়া হবে। 
    • আন্তর্জাতিক চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে দক্ষ শ্রমিক, দক্ষ কর্মী গড়ে তোলা হবে।
  14. জনগণকে সম্পৃক্ত করা। জনগণের জন্য প্ল্যাটফর্ম গড়ে দেওয়া যাতে তারা বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে পারে।
  15. গ্রামের উন্নয়ন 
    • শিক্ষায় সাফল্য, স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান, তথ্য প্রযুক্তির বিকাশ, কৃষিতে উদ্ভাবন ইত্যাদি ক্ষেত্রে গ্রামে গ্রামে প্রতিযোগিতা শুরু করা যায়। বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে সেরা গ্রাম, সেরা উদ্যোক্তা ইত্যাদি নির্বাচন করা যায়। (প্রত্যেক গ্রামের মানুষ নিজের গ্রাম, নিজের ইউনিয়ন, নিজের থানা নিয়ে গর্ব করে।) এতে গ্রামের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। 
    • বিভিন্ন সামাজিক সূচকে উন্নতির লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে কর্ম পরিকল্পনা হাতে নেওয়া।
  16. নারী অধিকার সংরক্ষণ এবং নারীদের ক্ষমতায়ন 
    • নারী নির্যাতন, যৌতুক, বাল্য বিবাহ এর মত সামাজিক সমস্যাগুলোকে শক্তভাবে দমন করা
    • নারী অধিকার সংরক্ষণে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি। 
    • গ্রামের নারীরা যাতে আইনি সহায়তা পায় - সেই লক্ষ্যে বাবস্থা।
  17. দারিদ্র বিমোচন 
    • সরকারি পরিকল্পনা 
    • এনজিওগুলো যাতে দেশের দারিদ্র বিমোচনে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে কাজ করতে পারে - সেই পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে বাবস্থা নেওয়া। এনজিওগুলোর কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা আনা।
  18. ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে - সৎ এবং ন্যায়ের পথে থেকে চেষ্টা করলে জীবনে যে কোন কিছু অর্জন করা যায় এবং অন্যায় করলে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে - এই বোধ জাগ্রত করা হবে।




পাদটীকাঃ

  1. নির্বাচনী ইশতেহারের বিভিন্ন বিষয় ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হবে।
  2. দেশের বড় অপরাধীরা সরাসরি রাজনীতিতে বা রাজনীতিবিদদের ছত্রছায়ায় থেকে নিজেদেরকে আইনের উরধে ভাবে। এক একজন শীর্ষ অপরাধীকে থামিয়ে দেওয়া মানে অনেক অনেক অপরাধ এবং অনেক ছোট অপরাধী / মাস্তানকে থামিয়ে দেওয়া। কয়েকজন শীর্ষ অপরাধীকে থামিয়ে দিতে পারলে / দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে পারলে বাকিরা ভয়ে অপরাধ জগত ছেড়ে দেবে। 
    • আমাদের প্রকৃত বড় অপরাধী আর ভুল বুঝিয়ে, ফাঁদে ফেলে ভুল পথে আনা হয়েছে - এই দুই দলের পার্থক্য করতে হবে। যাদের ভুল বুঝিয়ে ভুল পথে আনা হয়েছে, তাদেরকে সঠিক পথ দেখালে তারাও সঠিক পথে আসবে।
    • শীর্ষ অপরাধীদের (মানবতাবিরধী যুদ্ধাপরাধী, গডফাদার, শীর্ষ দুর্নীতিবাজ, শীর্ষ সন্ত্রাসী) বাদ দিয়ে সমগ্র বাংলাদেশের চেতনাকে ধারণ করা হবে।

Thursday, November 14, 2013

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারঃ কিছু প্রস্তাব - ৩

আমরা সরকারি দলের প্রধান বিরোধী দলকে আমলে না নিয়ে নেতা কর্মীদের গ্রেপ্তার করে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে দমন নিপীড়ন চালিয়ে একতরফা নির্বাচন করে ফেলার যে সম্ভবনা দেখছি - সেই প্রচেষ্টাকে যেমনি প্রত্যাখ্যান করি, তেমনি প্রধান বিরোধী দলের “দা - কুড়াল”, ককটেল ইত্যাদি দিয়ে “জ্বালাও - পোড়াও” চালিয়ে, জনগণের জানমালের ক্ষতি করে হরতাল পালনে বাধ্য করাকেও একইভাবে প্রত্যাখ্যান করি।

দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি বিবেচনা করলে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনই জনগণের কাছে নির্বাচন অনুষ্ঠানের একমাত্র গ্রহণযোগ্য মাধ্যম এবং দেশের সিংহভাগ জনগণ সাম্প্রতিক কিছু জরিপেও এমনটাই জানিয়েছে।

সরকারি দল একতরফাভাবে নির্বাচন করলে এবং বিরোধী দলগুলো তাতে অংশ না নিলে দেশের ৫০ ভাগের উপর জনগণ ভোট দিতে নির্বাচন কেন্দ্রে যাবে না এবং দেশি বিদেশি নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোও নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে না। জনগণের বিপুল অর্থে একটি তথাকথিত নির্বাচনকে জনগণও প্রতিহত করবে। প্রয়োজনে অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া যেতে পারে, কিন্তু জনগণের জানমালের ক্ষতি করে এমন কোন কর্মসূচি মেনে নেওয়া হবে না।

এমতাবস্থায় সরকারের ভেতরে এবং বাইরে থাকা সবগুলো দলের সাথে আলোচনা করে, সবগুলো দলের কাছে গ্রহণযোগ্য একজনকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান হিসেবে রাষ্ট্রপতি মনোনয়ন দিতে পারেন এবং বর্তমান সংবিধান সমুন্নত রাখতে প্রয়োজনে তাকে উপনির্বাচনে বিজয়ী করে আনার বাবস্থা করা যেতে পারে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান এবং রাষ্ট্রপতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করবেন (সংসদের মেয়াদ যেহেতু এখনও শেষ হয়নি কাজেই প্রয়োজনীয় আইন পাশ করিয়ে আনা যেতে পারে) এবং একটি অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন জনগণকে উপহার দিবেন।

Sunday, November 3, 2013

Evolution Of My Dreams And Understandings

My first aim in life as far as I can remember (I was 2 or 3 years old at that time) (1988 / 1989) was to become a milkman. To be precise, the goal was not about becoming a milkman. Rather, I wanted to become the honest person (who was a milkman by the name Mubarak) continuously appreciated by my parents. (“I want to become Mubarak.”) 

Next, I wanted to become a building mechanic. I used to stare with awe at those mechanics who built houses. My uncle sent me a box of tools as gift from America.

My next major change in aim occurred when I wanted to join the military. Each night, I used to wait awake until the national anthem was played with the national flag on BTV and I used to salute throughout the play. I used to watch a television program depicting military life. My uncles used to joke - “Tahsin wants to become the President!”. 


My mom told me of an incident that took place when I was a baby of few months old (1986 / 1987). One day, General Ershad (who was then the President) was delivering a speech. My mom was studying for her exams. I was lying right beside my maternal Grandfather. My Grandfather suddenly started praying loudly, "God, make my grandson a President just like President Ershad." My Grandmother called my mom, "Come. Quick. See how your dad is praying for your son!"     

During first grade (1993), the serial that influenced me most was “The sword of Tipu Sultan”. Tipu Sultan and Hyder Ali were my hero at that time. The serial drew me to History. I was deeply influenced by another historical novel during Grade 3 / 4 - “খুন রাঙ্গা পথ”. Besides History, books on General Knowledge were among my favorites from an early age. My father bought me my first book on General Knowledge at the age of 5. Then I found general knowledge books in my aunt’s house. Later, I started buying general knowledge books myself. I used to stare at the world map and fantasize (
Grade 3 / 4). I fantasized of first becoming a King of ancient Bengal, then King of Myanmar and later King / lifetime President of Kazakhstan. 

I remember playing computer games (Soccer and Prince of Persia) at one of our relative’s house during fifth grade (1997). Almost everyone around me wanted to become a Computer Engineer at that time. So I thought I should try to become one myself - a Computer Engineer.

During my middle school days, I was a voracious reader of novels. Reading novels was the most fun activity I could think of. I could understand different writing techniques employed by novelists. Becoming a novelist, writing great novels was my dream during 7th to 10th grade (1999 - 2002). For living, I could become a Physician, Engineer or Architect.

During 10th grade, I was determined to study medicine (there was huge encouragement from my parents) and become a Physician besides writing novels.

When I read a book on Psychology for the first time (my mom’s book on Educational Psychology from her M.Ed. course), I understood that an intense interest in the workings of human mind is one of the reasons I wanted to become a novelist. Moreover, Literature could only depict human subjective experience, but the objective theories of Psychology applied to all humans.

I thought that I could become a Physician and specialize in Psychiatry or Neurology.

Studying Psychology helped me understand the essence of science - understanding the experimentally provable general rules that govern everything we see around us.

Studying Psychology gave me the confidence that I can come up with original ideas, that I should question what is written in books.

Trying to understand the theories of Psychology in terms of my own experiences and what I see around me, made me aware of the connection between real world and the world of books and theories.

One day, as I was preparing for my high school (11th grade) admission test (later it was decided that admission would be based on results of matriculation exam), a chapter on different forms of energy from my Physics book grabbed my attention. I thought that maybe I could work on both Psychology / Neurology and Physics. I went through my 9-10th grade Physics book. I thought and wrote down my understandings. I bought other books on Physics (e.g., A Brief History of Time).

Physics taught me to understand everything in terms of fundamental constituents and few fundamental laws that govern everything we see around us.

Physics made me realize the necessity of learning Mathematics. Mathematical Olympiad was gaining popularity in Bangladesh at that time (it was 2003). I bought books and started solving problems.

One of the first problem books was “নিউরনে অনুরণন” (“Resonance in neurons”). The idea was creating resonance in neurons of your brain by solving problems rather than leaving those neurons idle!

I found out that the more I worked on problems, the better I could think - my neurons were really resonating! My interest in Psychology helped me appreciate brain function improvement and mathematical problem solving better. I discovered ways of improving brain function myself. 


It was an amazing realization - I could become anyone I wanted if I worked in the right way.

Other sciences started grabbing my attention. Psychology led me to Neuroscience - the biology of what happens in the mind. Physics led me to Cosmology (the study of the evolution of the Universe) and some of those books described evolution of our planet and Biological evolution. Evolutionary Biology was among my favorites. At that point, I saw myself as a future Scientist - trying to understand the truth and decode the laws of nature.

I became interested in Computer Science and Engineering for the first time after reading an article which described the field of Artificial Intelligence The
 article was written by Dr. Ali Asgar (প্রফেসর ডঃ আলি আসগর) included in a popular science book ("বিজ্ঞানের বিচিত্র জগত থেকে") by him . I learned about the fields of Neuroscience and Evolutionary Biology from his books.) (Grade 11). Psychology and Neuroscience always grabbed my attention. So when I figured out that there is a subfield in CS that tries to emulate intelligence on computers, I became interested almost instantly. Later, I participated in International Mathematical Olympiad, 2005 along with 2 others who were serious participants in programming contests and I felt that I really liked contests and competitions. Besides, computation seem to be everywhere - required in almost every branch. I could do Physics on computers. I read an inspirational book (“মেধাবী মানুষের গল্প” - ডঃ কায়কোবাদ) which depicted lives of eminent Computer Scientists and students of Computer Science. The choice was either Physics or Computer Science and Engineering, but my parents wouldn't have accepted if I had chosen Physics. Choosing Computer Science and Engineering also made sense when I considered the practical aspects - making money and marrying a nice girl - both at an early age. I thought that I could still pursue my multi-disciplinary interests besides studying CSE at college. 

In college, things didn't go out as I had expected but I am happy now and that's all that matters at the end!



If you find my life and my understandings interesting you might like Looking back and connecting the dots.

During April 2013, I thought that I should try to analyze and understand and learn from everything I see around me - just as I did with the sciences and engineering. I started with the political situation in Bangladesh. I wanted to find out what would happen if I started a new political party. Next, I applied my analysis to different domains.



I am coming across new understandings almost on a daily basis. I am looking forward to share my newer understandings at sometime in not too distant future - “living to tell the tale” - truly!

Friday, November 1, 2013

দেশের জনগণের পক্ষে আবেদন

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধী দলীয় নেত্রীর নির্বাচনকালীন সরকার প্রস্তাবের মাঝে আমরা যে আশার আলো দেখেছিলাম, তা এক ঝলকে নিভে গেছে তিনদিন ব্যাপী হরতাল এবং সেই তিনদিনের প্রতিদিনই নিহত এবং হতাহতের ঘটনায়।

দুই নেত্রী বহুদিন পর কথা বলছেন। এমন অবস্থায় আমরা দেশের জনগণ যখন নির্বাচনকালীন সরকার বিষয়ে দুই নেত্রীর মতৈক্যের আশায় ছিলাম, তখন আমরা দেখলাম মূল সমস্যার সমাধান না করে দুই নেত্রীর পারস্পরিক আক্রমণ।


বিরোধী দল “দা-কুড়াল” বা অন্য কোন উপায়ে সহিংস কর্মসূচি গ্রহন করলে দেশের সচেতন নাগরিকরা তীব্রভাবে এর প্রতিবাদ করবেন এবং জনগণ আগামী নির্বাচনে তাদের প্রত্যাখ্যান করবে।

অন্যদিকে, সরকারি দল আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে দমন - নিপীড়ন চালালে তারা সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে তা হাস্য রসাত্মক বিষয়ে পরিণত হবে।

দেশে দুই দলের এই মুখোমুখি অবস্থানের সুযোগ নিয়ে মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতে কোন দল ধর্মের দোহাই দিয়ে যুবকদের সহিংসতা চালানো কিংবা অপপ্রচার, গুজব রটানোর কাজে ব্যবহার করলে সচেতন নাগরিকরা প্রতিবাদ করবেন এবং যুবকরাও এই পথ পরিহার করবেন। ইসলাম ধর্মে উদ্দেশ্য প্রণোদিত সহিংসতা কিংবা অপপ্রচারের (ইসলাম শব্দটি এসেছে "সালাম" থেকে, যার অর্থ "শান্তি"; ইসলামে গীবত করা মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার মত বড় অপরাধ) কোন স্থান নেই।


জনগণ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে প্রতিবাদ হিসেবে হরতাল পালন করলে তাতে কারোরই সমস্যা থাকার কারন নেই - কারণ যারা প্রতিবাদ জানাতে চান শুধুমাত্র তারাই হরতাল পালন করবেন। কিন্তু জনগণের জানমালের ক্ষতি করে, "জ্বালাও - পোড়াও" চালিয়ে, ভয় দেখিয়ে জনগণকে দেশের অর্থনীতির জন্য চরমভাবে ক্ষতিকর হরতাল পালনে বাধ্য করা হলে জনগণ সম্মিলিতভাবে তা বর্জন করবে। দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার সময় হরতাল দিয়ে আমাদের রাজনীতিবিদরা কোমলমতিদের পড়াশোনার ক্ষতি করবেন না বলেই আমরা আশা করি।


দেশের জনগণ আর সহিংস কর্মসূচি কিংবা এর বিরুদ্ধে দমন - নিপীড়ন কোনটাই দেখতে চায় না।

দুই নেত্রী নিজেরা আলোচনা করে ঐক্যমতে পৌঁছাবেন এমন আশাও আমরা করতে পারছি না।

আমরা উভয় দলের কাছে গ্রহনযোগ্য এমন একজনকে দেখতে চাই যিনি নির্বাচনকালীন সরকার প্রধান হিসেবে দুই দলের প্রস্তাবের দূরত্ব দূর করে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করবেন এবং একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন জাতিকে উপহার দেবেন।

দুই দল দ্রুত নির্বাচনকালীন সরকার প্রধান হিসেবে গ্রহনযোগ্য একজনকে মনোনীত করে সংবিধান সমুন্নত রাখতে প্রয়োজনে তাকে উপনির্বাচনে বিজয়ী করে আনতে পারে।


দুই দল এই ব্যাপারে একমত হলে দেশ তার আরও সন্তান হারানোর সম্ভাবনা থেকে মুক্তি পাবে। জনগণের প্রতিনিধি রাজনীতিবিদরা কি আমাদের সাধারণ জনগণের কথা একটি বার ভাববেন না?