Wednesday, February 26, 2014

অনলাইনে নেতাদের জনপ্রিয়তার তুলনা

অনলাইনে নেতাদের জনপ্রিয়তার তুলনা।

ফেইসবুকে লাইক, কমেন্ট, শেয়ারের সংখ্যা।

পেইজ লাইকের চেয়ে পোস্ট কমেন্ট, লাইক, শেয়ার বেশি গুরুত্বপূর্ণ - এরা পড়েছে, আন্তরিকভাবে পছন্দ করে।

চোরদের কথা সবসময়ই বিবেচনায় রাখতে হয়। এখন অনলাইনে টাকা দিয়ে লাইক কেনা যায় - বিবেচনায় রাখতে হবে। টাকা দিলে ফেইক প্রোফাইল বানিয়ে লাইক দিয়ে আসে! প্রোফাইল চেক করলে ধরা পড়ে।

আমাদের দেশের নেতারা টাকা ছাড়া মিছিল সমাবেশে লোক জমাতেও পারেন না। নির্বাচনের আগে সংসদ সদস্য পদ প্রার্থীদের প্রত্যেক মিছিল-সমাবেশে অংশগ্রহণের জন্য ৫০ / ১০০ টাকা করে দেওয়ার কথা আমাদের কাছে আসে এবং এটিই দেশে স্বাভাবিক চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সংসদ সদস্য পদ প্রার্থীরা কোটি কোটি টাকা খরচ করে নির্বাচনে জেতেন। সাধারণত কালো টাকার মালিকরাই এভাবে টাকা খরচ করতে পারেন এবং জেতার পর সুদে আসলে অনেক অনেক গুণ বাড়িয়ে নিয়ে আসেন।

রাজনীতি আজ হয়ে উঠেছে অবৈধ অর্থ উপার্জনের মাধ্যম।

গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনে শুধুমাত্র অনলাইনে তরুণদের একে অন্যকে আহ্বান জানানোর মাধ্যমে শাহবাগে লক্ষ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি নেতাদের তাক লাগিয়ে দিয়েছিল। এটিই অনলাইনে প্রকৃত জনপ্রিয়তা।

Tuesday, February 25, 2014

বিশ্বের বেসরকারি সশস্ত্র সংগঠনের তালিকায় তৃতীয় স্থানে শিবির




"২০১৩ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সবচেয়ে সক্রিয় অরাষ্ট্রীয় সশস্ত্র সংগঠনগুলোর তালিকায় তৃতীয় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ইসলামী ছাত্র শিবির।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইএইচএস জেইন টেরোরিজম অ্যান্ড ইনসার্জেন্সি সেন্টার তাদের জরিপের ভিত্তিতে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

তাদের জরিপ অনুযায়ী, এধরনের অরাষ্ট্রীয় সশস্ত্র সংগঠনের মধ্যে প্রথম অবস্থানে রয়েছে থাইল্যান্ডের বারিসান রেভোলুসি নাসিওনাল এবং দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে তালিবান। এরপরেই রয়েছে বাংলাদেশের ইসলামী ছাত্রশিবির।

আইএইচএস’র ওয়েবসাইটে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। বিভিন্ন দেশের উন্মুক্ত সূত্র থেকে প্রাপ্ত উপাত্তের ভিত্তিতে প্রতিবছর আইএইচএস জেইন টেরোরিজম অ্যান্ড ইনসার্জেন্সি সেন্টার সূচক অনুযায়ী এ তালিকা প্রস্তুত করা হয় প্রতিষ্ঠানটির ভোক্তাদের জন্য।

১৯৯৭ সাল থেকে আইএইচএস জেইন এ ধরনের উপাত্ত সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে আসছে বলে জানানো হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে।

স্বাধীনতার আগে জামায়াতে ইসলামী এই ছাত্রসংগঠনটির নাম ছিলো ইসলামী ছাত্রসংঘ। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ১৯৭৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ‘ইসলামী ছাত্রশিবির’ নাম নিয়ে পুনরায় আত্নপ্রকাশ ঘটে সংগঠনটির।

২০১২ সালের শেষদিকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াত নেতাদের বিচার প্রক্রিয়া শুরুর পরপরই পুলিশের ওপর ঝটিকা মিছিল থেকে হামলা চালানো শুরু করে ইসলামী ছাত্র শিবির।
এরপর বিভিন্ন সময়ে নাশকতা ও চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে মানুষ হত্যা ও আহত করার জন্য সংগঠনটিকে দায়ী করে আসছে সরকার ও পুলিশ।"

সূত্র - ‘তৃতীয় বৃহত্তম সশস্ত্র সংগঠন ছাত্রশিবির’



"২০১৩ সালে বিশ্বের ১০টি সক্রিয় বেসরকারি সশস্ত্র সংগঠনের তালিকার যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী-সমর্থিত ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক তথ্য ও মতামত সরবরাহকারী ওপেন সোর্স সংস্থা হিসেবে পরিচিতআইএইচএসের ‘আইএইচএস জেনস ২০১৩ গ্লোবাল টেরোরিজম অ্যান্ড ইনসারজেন্সি অ্যাটাক ইনডেক্স’-এ বাংলাদেশের এ সংগঠনটির নাম উঠে আছে।

বিশ্বব্যাপী জঙ্গি ও অন্যান্য হামলার ভয়াবহতা বিশেষ করে আরব বসন্ত আন্দোলনের ছোঁয়া লাগা দেশগুলোর ওপর হামলা, আত্মঘাতী হামলা, আল-কায়েদার আরও পাঁচ বেসরকারি সশস্ত্র সংস্থার আত্মপ্রকাশ এবং আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে সন্ত্রাসের ভয়াবহতা বাড়াকে প্রাধান্য দিয়ে আইএইচএস এই সূচকটি তৈরি করেছে। এই তালিকার তিন নম্বরে এসেছে ছাত্রশিবিরের নাম।"

সূত্র - বিশ্বের বেসরকারি সশস্ত্র সংগঠনের তালিকায় শিবির



Top 10 most active non-state armed groups in 2013

1. Barisan Revolusi Nasional (Thailand)

2. Taliban

3. Islami Chhatra Shibir (Bangladesh)

4. Communist Party of India – Maoist

5. Al-Qaeda in Iraq

6. Harakat al-Shabaab al-Mujahideen (Al-Shabaab)

7. FARC (Colombia)

8. New People’s Army (Philippines)

9. Jabhat al-Nusra (Syria)

10. Unified Communist Party of Nepal – Maoist


জঙ্গিবাদ দমনে চাই জাতীয় ঐক্য

"ময়মনসিংহের ত্রিশালে আজ রোববার সকালে প্রকাশ্যে প্রিজনভ্যানে গুলি চালিয়ে ও বোমা মেরে জঙ্গি মামলার তিন আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ সময় গুলিতে এক পুলিশ সদস্য নিহত হন। এক উপপরিদর্শকসহ (এসআই) আহত হন প্রিজনভ্যানে থাকা পুলিশের তিনজন সদস্য। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে ত্রিশালের সাইনবোর্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, ছিনিয়ে নেওয়া তিন আসামিই নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সঙ্গে যুক্ত।"

সূত্র - জেএমবির তিন দুর্ধর্ষ জঙ্গি প্রকাশ্যে ছিনতাই



আয়মান আল-জাওয়াহিরির বক্তব্য কি জঙ্গিদের উত্তেজিত করেছে?

ইসলাম শান্তির ধর্ম। হজরত মুহম্মদ (সঃ) মক্কা বিজয়ের পর শান্তি ও সংযমের যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন, আজকের দিনের মুসলিমদের কাছ থেকেও আমরা একই আচরণ প্রত্যাশা করি। শান্তির ধর্ম ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে সন্ত্রাস এবং অন্যান্য ঘৃণ্য কার্যকলাপ সংগঠিত হলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।



"জঙ্গিবাদ মোকাবিলা করতে হলে এর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও সামাজিক পদক্ষেপ নিতে হবে এবং তাতে দল-মতনির্বিশেষে সবাইকে একত্র করা জরুরি।

সরকার জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে, এটি অবশ্যই ভালো দিক। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক যে, এর সঙ্গে রাজনৈতিক মতৈক্য প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেই; বরং দোষারোপের রাজনীতি চলছে। সম্প্রতি পুলিশের গাড়ি থেকে জঙ্গি ছিনতাইয়ের যে ঘটনা ঘটল, তা নিয়েও অভিযোগের তির ছুড়ছে একে অপরের বিরুদ্ধে। এর অর্থ, জঙ্গিবাদের বিষয়টি কেউ-ই গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে না। এ থেকে দলীয় ফায়দা লোটার চেষ্টা চালাচ্ছে উভয় পক্ষ।

আমাদের সমাজটি মারাত্মকভাবে বিভাজিত। রাজনৈতিকভাবে যেমন, তেমনি মতাদর্শিকভাবেও। যেসব গোষ্ঠী বা সংগঠন ধর্ম নিয়ে কাজ করে, তাদের মধ্যে একধরনের বিচ্ছিন্নতাবোধ কাজ করে। এর কারণ যা-ই হোক, রাষ্ট্র বা সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে সেই বিচ্ছিন্নতা বাড়তে না দেওয়া এবং তাদের মূলধারায় ফিরিয়ে আনা। কেননা, সামাজিক সংঘবদ্ধতাই রাষ্ট্রের নিরাপত্তার পূর্বশর্ত। এর অর্থ এই নয় যে যারা সন্ত্রাস করছে বা জননিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ, সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে না।

বাংলাদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ হলেও ধর্মান্ধ নন। তবে ধর্মপ্রাণ মানুষ আহত হন এমন কিছু করলে জঙ্গিবাদীরা সেই সুযোগ নিতে পারে। অন্যদিকে শহর ও গ্রামাঞ্চলের মধ্যে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিভাজনটি অনেক বেশি প্রকট। সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থেই এই বৈষম্য দূর করতে হবে, শিক্ষার বিস্তার ঘটাতে হবে।

আয়তনে বাংলাদেশ ছোট হলেও এর রয়েছে বিশাল জনগোষ্ঠী। এত বড় সমাজে কেবল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে জঙ্গি মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। এর জন্য রাজনৈতিক, শিক্ষাগত, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।

সর্বোপরি জঙ্গিবাদ নির্মূলে চাই রাজনৈতিক ঐকমত্য। বিরোধী দলের সঙ্গে যতই মতবিরোধ থাকুক না কেন, এ ব্যাপারে সরকারের উচিত হবে তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসা।"

সূত্র - জঙ্গি দমনে জাতীয় ঐকমত্য প্রয়োজন



এরপর

Thursday, February 20, 2014

Java Development Skills

Java Language & Standard Library
  • Language features
    • Class, Object; Garbage Collection; Inheritance, Polymorphism, Interface; Nested Type; Package; Assertion; Generics; Enum; Exception; Annotation; Reflections;
  • Data Manipulation API 
    • Math; Random number; BigDecimal; BigInteger; String, Character, Regular Expression; Primitive Wrapper; Array; Collections; XML Processing;
  • Development API 
    • Internationalization; Preferences; References; JMX; JNI. 
  • Systems and Network Programming API 
    • System; GUI, Swing, AWT; File; JDBC; Threading (Thread & Lock); Concurrency; Networking - Protocols; Servlet, JSP; Web Services; JMS. 


Java Vital Techniques
  • Concurrency
  • Software Engineering: Maintainable, Replaceable Codebase, Modules
    • Design Patterns
    • Dependency Injection, Inversion Of Control
    • AOP 
      • AspectJ
    • Modular Java 
      • OSGi
    • Software Oriented Architecture (SOA)
  • Classfiles & Bytecodes
  • Performance Tuning

Java Libraries & Frameworks

  • Spring 
    • Dependency Injection framework 
    • Distributed Application Development
  • Android 
    • Mobile Application Development
  • Play 
    • Highly concurrent & distributed Rapid Web Application Development Framework
  • Google Guice
    • Dependency Injection framework.
  • ActiveMQ
    • Message broker. JMS Client. 
  • Hadoop 
    • Mapreduce framework for distributed data processing.
    • Hive
    • Pig
    • HBase
  • Mahout
  • Hama
  • Zookeeper
  • Lucene

Java Software Development Tools
  • Java Code Conventions
  • Software Development Processes
  • Automation: Productivity Increase
  • Testing
    • Unit Testing
    • Integration, Functional, Load, Performance Testing
  • Build 
    • Maven
  • Continuous Integration
    • Jenkins
  • Version Control
    • Git
  • Logging
    • SLF4J
  • Quality Metrics
  • Issue Management
    • Bugzilla
  • Technical Documentation Tools

Polyglot Programming on JVM
  • Scala
  • Clojure

Wednesday, February 19, 2014

দুই দল এখন কোথায়

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে বিএনপি জামায়াত ৫৫টি এবং ব্যাপক কারচুপি, জাল ভোট দিয়েও আওয়ামী লীগ ৩৪টি আসনে জিতেছে।

৫ মাস আগের সার্ভেইতে বিএনপি - ৫০%, আওয়ামী লীগ - ৩৬%। [2]

এই ৫ মাসে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা ৩৬% থেকে আরও অনেক কমেছে। বর্তমানে জনপ্রিয়তা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।

জনগণের কাছে বিকল্প নেই বলে দেড় শতাধিক খুনের সহিংস আন্দোলনের বিএনপি-জামায়াতকে ভোট দিচ্ছে।

গত ৪ মাসে আওয়ামী লীগের দুষ্কৃতকারিদের খুন, টর্চার সেলে নিয়ে নির্যাতন, সাইবার অপরাধ, মাদক চোরাচালানের সাথে সম্পৃক্ততা, "মাইকে চাঁদাবাজি", দুর্নীতিসহ সব ঘৃণ্য কার্যকলাপ; নেতাদের অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়া, শেয়ারবাজারে লক্ষ লক্ষ বিনিয়োগকারিকে নিঃস্ব করে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া, গ্রামের অসহায় মহিলাদের ব্যাংক কেড়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা, ছাত্র সংগঠনগুলোর সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, ক্ষমতা ধরে রাখতে দেশের স্বার্থ ও সম্পদ বিকিয়ে দেওয়ার ঘৃণ্য প্রক্রিয়া, দমন - নিপীড়ন - সংবিধান লঙ্ঘনের মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে প্রহসনের একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠান করে স্বৈরতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা - নাগরিক শক্তির সাথে সংশ্লিষ্ট আমরা সবাই জনগণের কাছে পৌঁছে দিয়েছি।

সবচেয়ে বড় কথা, নাগরিক শক্তির সাথে সংশ্লিষ্ট আমরা সবাই সবরকম অন্যায় - অপরাধ - দুর্নীতি - সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়ে গত ২ মাসে সব ধরণের অপরাধ কমিয়ে আনতেও প্রাথমিকভাবে সফল। আমাদের প্রচেষ্টা সামনের দিনগুলোতে জোরদার হবে। জনগণ এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পরিসংখ্যান আমাদের সফলতা বিচার করবে।

আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা উক্ত সার্ভেই এর সময় থেকে গত ৫ মাসে ১০%+ কমলে বিএনপির জনপ্রিয়তা একই সময়ে ১০%+ এর চেয়েও অনেক বেশি কমেছে। ৫ মাস আগে কোন কোন সংগঠন, গোষ্ঠী বিএনপির সাথে ছিলেন, যারা গত ৪ মাসে বিএনপি থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

সবচেয়ে বড় কথা, মানুষ প্রাণ থেকে বিএনপি করে না। এমনকি বিএনপির নেতাদেরও দলটির উপর আনুগত্য অনেক কম। সবাইকে এক করার মত তেমন কোন চেতনা বা নেতৃত্ব বিএনপির নেই। মানুষ বিএনপি করে আওয়ামী লীগের দুঃশাসনে অতিষ্ঠ হয়ে।

কাজেই আওয়ামী লীগ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবহার করে গ্রেপ্তার - দমন - নিপীড়ন চালালে বিএনপির জনগণকে নিয়ে বড় ধরনের আন্দোলন গড়ে তোলা কঠিন। বিএনপি হরতাল ডাকতে পারে, জামায়াত কক্টেল দিয়ে খুন-জ্বালাও-পোড়াও দিয়ে সহিংস আন্দোলন গড়তে পারে, সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের উপর নির্মম হামলা চালাতে পারে এবং বিএনপিও সেই সহিংস আন্দোলনে যোগ দিতে পারে। দেশের অর্থনীতি, শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করতে পারে।

কিন্তু জনগণ ভাবে, নিজের জীবন বাজি রেখে মাঠে নামব - এই বিএনপি আমাকে কি দেবে? বিকল্প যতদিন আসছে না ততদিন বিএনপিকে ভোট দিয়ে আসতে পারি - যদি সেই সুযোগ থাকে!

কাজেই জনসমর্থনহীন বর্তমান সরকার যদিও সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা ধরে রেখেছে কিন্তু বিএনপি-জামায়াতের সরকার পতন করা বা নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিতে আওয়ামী লীগকে বাধ্য করার মত ক্ষমতা নেই।


রেফরেন্স

Solving Programming Problems


    • Control Abstractions
      • Iteration
      • Recursion
      • Recursive Backtracking
    • Data Structures
    • Algorithms
  • Learn common mistakes. Avoid them. Develop Test cases that break the code.
  • Speed up.
    • Typing speed. 
    • IDE.

নাগরিক শক্তির সাংগঠনিক কর্মোদ্যোগ - ১

১.
সারা দেশের আইনজীবীদের সংগঠিত করার কাজ বেগবান করতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশান নির্বাচনে “নাগরিক আইনজীবী শক্তি”র প্রার্থীদের সবগুলো প্যানেলে জয়ী হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে হবে।

সাংসদরা আইন প্রণয়ন করেন। আইনজীবীদেরই সাংসদ হিসেবে বেশি মানায়!

নাগরিক শক্তির সাথে সংশ্লিষ্ট দেশের সিনিয়ার "রোল মডেল" আইনজ্ঞরা তরুণ আইনজীবীদের অনুপ্রাণিত করবেন, পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করবেন। তরুণ আইনজীবীরা জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আইনি লড়াই চালাবেন।


২.
প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা ধরে রাখা আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। কাজেই স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অনিয়ম, কারচুপি করে সরকার জনগণের কাছে তাদের বৈধতা প্রমাণের চেষ্টা করবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সব অনিয়ম, জাল ভোটের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষায় প্রয়োজনে বিচার বিভাগের শরণাপন্ন হতে হবে।


৩.
সেক্রেটারিয়েটের পক্ষ থেকে প্রত্যেক পার্টি উইংগসের আহ্বায়কদের মধ্যে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে যাতে তারা সম্মিলিতভাবে কাজ করতে পারে।


৪.
সবাইকে নাগরিক শক্তি এবং বাংলাদেশ সম্পর্কিত ব্লগপোস্টগুলো পড়তে recommend করতে হবে। এতে ওয়েব - মানুষের অর্জিত প্রায় সমস্ত জ্ঞান যেখানে সঞ্চিত আছে - ব্যবহারের অভ্যাস বাড়বে।


৫.
নাগরিক শক্তির এলাকাভিত্তিক সংগঠকদের দায়িত্ব নির্ধারণ করে দিতে হবে। যেমন -

নারায়ণগঞ্জ জেলা নাগরিক শক্তি আহ্বায়ক কমিটি
কক্সবাজার জেলা নাগরিক শক্তি আহ্বায়ক কমিটি
টাঙ্গাইল জেলা নাগরিক শক্তি আহ্বায়ক কমিটি
মুন্সিগঞ্জ জেলা নাগরিক শক্তি আহ্বায়ক কমিটি
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশান নাগরিক শক্তি আহ্বায়ক কমিটি

এভাবে জেলা, উপজেলা, সিটি কর্পোরেশান, গ্রাম পর্যায়ের আহ্বায়ক কমিটি।

শিক্ষায় উদ্যোগের পরিকল্পনা

ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে একজন শিক্ষকের পক্ষে অনেকগুলো এলাকায় অনেক অনেক ছাত্রছাত্রীর কাছে কাছে পৌঁছানো সম্ভব।

ধরা যাক, শিক্ষক আমি।

আমি লাইভ অথবা রেকর্ডেড লেকচার দেবো। স্কুলে স্কুলে প্রোজেক্টার - বড় স্ক্রিনে লেকচার সম্প্রচারিত হবে। আগ্রহী সব স্কুলে একই সময়ে লেকচার সম্প্রচারিত হবে।

লেকচার হবে সৃজনশীল এবং বাস্তব জীবনে প্রয়োগ নির্ভর। এতে বই থেকে শেখা জ্ঞান দিয়ে জগতটাকে দেখতে শেখানো হবে। আবার চারপাশটা পর্যবেক্ষণ করে নিজে শেখা - “লার্নিং বাই ডুইং” বা হাতে কলমে শিক্ষা - কিভাবে করা যায় - তাও শেখানো হবে। এতে বইয়ের জগত এবং বাস্তব জীবনের মধ্যে মেলবন্ধন তৈরি হবে।

লেকচার শেষে প্রশ্ন-উত্তর পর্ব। প্রশ্ন-উত্তর পর্বটা হবে লাইভ। যে কোন স্কুলের যে কেউ প্রশ্ন করতে পারবে। আমি স্ক্রিনে উত্তর দেবো।

পুরো লেকচার ফ্ল্যাশ এ করে ছাত্রছাত্রীরা নিজের কাছে রাখতে পারবে।

প্রোজেক্টারের জন্য স্পন্সর জোগাড় করতে হবে। স্পন্সর তাদের অ্যাড দেখাবে প্রোজেক্টারে - “বিজ্ঞাপন বিরতি!”।

পরবর্তীতে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, আগ্রহী তরুণদের জন্য তাদের শিক্ষা, দক্ষতা, চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে একই ধরণের উদ্যোগ নেওয়া যায়।



সরকার এগিয়ে এলে কত কি করা যায়!

স্কুলগুলোতে আধুনিক লাইব্রেরি গড়ে তোলা যায়। লাইব্রেরিগুলো হতে পারে জ্ঞান চর্চা ও জ্ঞান আদানপ্রদানের কেন্দ্র। বই, উচ্চগতির ইন্টারনেটসহ কম্পিউটার এবং কিছু যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা যায়। স্কুল লাইব্রেরিগুলো সবসময় খোলা রাখা যায়। শিক্ষার্থীরা যতক্ষণ খুশি লাইব্রেরিতে সময় কাটাতে পারবে।

শিক্ষার্থীরা আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে নিজেরা শিখতে পারবে। সার্চ করে, পারস্পরিক যোগাযোগের মাধ্যমে এবং শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে জ্ঞান আহরণ করবে। লাইব্রেরিতে যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে হাতে কলমে শিখবে।

আরেকটা ব্যাপার সবাইকে শেখানো যায় - “ভাবতে” শেখানো। ছাত্র - ছাত্রীরা সবাই অবসরে ধাধার সমস্যা, বিজ্ঞানের সমস্যা সমাধান করবে। মেধা-বুদ্ধি শানিত করবে। প্রত্যেকে হয়ে উঠবে চিন্তাশীল, মেধাবী, বুদ্ধিমান। 


বাংলাদেশ হবে মেধাবী মানুষদের দেশ!

Monday, February 17, 2014

বাংলাদেশ ক্রিকেট দল নিয়ে পরিকল্পনা



২০১৫ বিশ্বকাপ ক্রিকেট কিন্তু এগিয়ে আসছে!

মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা করার এখনই সময়। 

২০১৫ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে খেলতেই হবে। আর সেমিফাইনালে পৌঁছে গেলে যে কোন কিছু ঘটতে পারে।

তরুণ মুশফিকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দলটির প্রায় সবাই বয়সে তরুণ। এদের নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করা যায়।

সাকিব, মুশফিক, নাসিরকে নিয়ে আমাদের মিডল অর্ডারটা সলিড। 

এখন তামিম আর শামসুর, মমিনুল, আনামুল কে নিয়ে আমাদের টপ অর্ডারটাও অনেক ব্যলান্সড হয়ে উঠছে। 


খেলোয়াড়রা ব্যক্তিগত টার্গেট করতে পারে - 

ICC Ranking Top 50 ODI Batsman - ৭ জন বাংলাদেশী, 
Top 20 ODI Batsman - ৩ জন বাংলাদেশী , 
(বর্তমানে সাকিবের রাঙ্কিং ২২, তামিম ৩১, নাসির ৩৫, মুশফিক ৪৮) [1]

ICC Ranking Top 40 ODI Bowlers - ৫ জন বাংলাদেশী 
Top 10 ODI Bowlers - ২ জন বাংলাদেশী
(বর্তমানে আব্দুর রাজ্জাক ১২, সাকিব ২০, মাশরাফি ৩৮, রুবেল ৫২) [1]

Top 10 ODI all-rounders - ২ জন বাংলাদেশী
Top ODI all-rounder in the world - বাংলাদেশী
(বর্তমানে সাকিব ২) [1]

তাহলে অনেক বালেন্সড টীম হবে। 

ব্যক্তিগত অনুপ্রেরণা হিসেবেও টার্গেট ভাল কাজ করে।



প্রতিটা ম্যাচকে সত্যিকারের “game” হিসেবে নিতে হবে। “উপভোগ” করতে হবে। খেলা মানুষ খেলে কেন? উপভোগ করার জন্যই তো, নাকি? “চাপ” শব্দটাই বাদ দিতে হবে।

“চাপ” কমাতে আমরা সাপোরটাররাও আরও সহনশীল হব। প্রিয় দল হেরে গেলে কার না খারাপ লাগে? কিন্তু প্রিয় খেলোয়াড় ভাল খেললে প্রশংসার পাশাপাশি কোন খেলোয়াড় একদিন ভুল করলে আমরা তার পাশে থাকবো। 



ফুটবলের জাদুকর ব্রাজিলের পেলে প্রতি ম্যাচের আগে কি করতেন?

পেলে relaxed হয়ে ফুটবল নিয়ে অতীত সুখস্মৃতিগুলো থেকে ঘুরে আসতেন!

এতে একদিকে ম্যাচের সময় টেনশান থাকতো না। অন্যদিকে confidence এবং নিজের ক্ষমতার উপর faith শক্তিশালী হত - আমি পেরেছিলাম, আমি আজকেও পারবো।

পেলের তো ল্যাপটপ ছিল না! আমাদের ছেলেরা ম্যাচের আগে ল্যাপটপে নিজের সাফল্যের ভিডিও দেখে অনুপ্রাণিত হতে পারে।



ক্রিকেটের মত খেলায় এক একটা skill acquire করা গুরুত্বপূর্ণ। যেমন এক একটা স্ট্রোক পারফেক্টলি খেলতে শেখা বা ইয়রকার পারফেক্ট করা।

Skill acquire করতে গুরুত্বপূর্ণ

  • Feedback থেকে শেখা - ধরা যাক, কেউ cover drive পারফেক্ট করতে চাইছে। নিজে বারবার চেষ্টা করে নিজের ভুল, নিজের সাফল্য থেকে শেখা হল Feedback থেকে শেখা। ফুটওয়ার্ক ঠিকমত হচ্ছে তো? বলটা ঠিক কোনদিকে পাঠাতে চায়? ফিল্ডাররা কোথায়? সেবার ভুল কেন হল? ঐবার এত দারুণভাবে খেললাম কিভাবে? যিনি cover drive ভাল খেলেন, তিনি কিভাবে খেলেন? (তাড়াতাড়ি তাকে ফোন!)
  • Concentration - সম্পূর্ণ মনোযোগ ব্যাটিং এ আবদ্ধ রাখা। পড়াশোনায় যেমন মনোযোগ লাগে, তেমনি ভাল প্লেয়ারদের সাথে অ্যামেচারদের পার্থক্য গড়ে দেয় Concentration। আমি Meditation রিকমেন্ড করবো। 
  • অনেক অনেক প্র্যাকটিস - 
    • কোন একটা স্ট্রোক পারফেক্টলি খেলার দক্ষতা অর্জন করতে অনেক প্র্যাকটিস লাগে। জাতীয় দলের ব্যাটসম্যানরা কিশোর - তরুণ বোলারদের নিয়ে প্র্যাকটিস করতে পারে। নিজেদের ব্যাটিং প্র্যাকটিস হয়ে গেলো। আবার কিশোর - তরুণ বোলারদের বোলিং প্র্যাকটিস হয়ে গেলো। জাতীয় দলের ব্যাটসম্যানদের বল করতে পেরে ওদের অনুপ্রেরণাও বাড়বে।
    • Win -win! এমন পরিকল্পনা যাতে সবাই জিতল! খেলোয়াড়রাও, তরুণরাও। 
    • জাতীয় দলের বোলাররা ও এটা করতে পারে। 



প্রিন্সেসকে লেখা চিঠি - ৪


সময় কাটছে কেমন?

নতুন কিছু ডিজাইন করতে দেই - কি বল?

বিভিন্ন রকম Wearable Technology ডিজাইন করতে পারবে?

মানে এমন সব Technology যেগুলো মানুষ পরে।

যেমন ধর Google Glass.

কিংবা ধর, Smart watch.

Wearable Technology ডিজাইন করতে তোমাদের মেয়েদের খুব দরকার! মানুষ আবার এসব ব্যাপারে খুব ফ্যাশন সচেতন কিনা!

তুমি কি কখনও বিচ্ছিরি দেখতে একটা চশমা, তা যত হাই টেকই হোক না কেন, পরে ঘুরবে?

আরেকটা ব্যাপার মনে রেখো - Extreme Conditions, যখন Smart Phone হাতে নিয়ে দেখার সুযোগ থাকে না, তখন Wearable Technology অনেক কাজের হয়ে উঠে।

যেমন ধর, আমি সাঁতার পারি না, কিন্তু তুমি পারো। তুমি আমাকে শিখিয়ে দিলে। তুমি এত ভাল শেখালে যে আমি একেবারে সময় মেপে সাঁতার কাটা শুরু করলাম! আমি কি সাঁতার কাটার সময় বারবার Smart Phone বের করে “কেমন করছি” - তা দেখতে পারবো?

মোটেই না। কাজেই তোমাকে আমার জন্য একটা Smart Glass ডিজাইন করে দিতে হবে - goggles এর মত, কিন্তু glass এ সময় ওঠে।

আমার এমন একটা Smart Glass পেলে আর কি লাগে! তুমি খেতে ডাকলেও দেখা যাবে সাঁতার আগের বারের চেয়ে দ্রুত কাটছি কিনা তা মাপায় ব্যস্ত!

দাও না এমন একটা Smart Glass এর ডিজাইন!

Smart Glass, Smart Watch এর মত আর কি কি Wearable Technology হতে পারে? Wristband হতে পারে। আর? শার্ট বা জামায় sensor? দেহের কোন একটা quantity নির্দিষ্ট সময় পর পর মাপবে। অসুস্থদের কাজে আসতে পারে। আর কিছু?

ওগুলোতে কি কি feature থাকতে পারে? User Interface কেমন হবে? User কিভাবে interact করবে?

হেই! ডিজাইন করার সময় Flexible Electronics এর কথা মাথায় রাখতে পারো। চারপাশে যেসব Electronic Gadget দেখো, ওগুলো বাঁকানো যায় না - rigid. Flexible Electronics বাঁকানো যায়। চিন্তা ভাবনা করে দেখতে পারো Flexible Electronics দিয়ে কি কি বানানো যায়।  




(১৫/২/১৪)

আমাদের প্রাণের গণিত উৎসব ২০১৪

এবার আঞ্চলিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল জানুয়ারি মাসে। প্রতিযোগিতা হয়েছে ২২টি অঞ্চলে। গত বছর হয়েছিল ১৭টি অঞ্চলে। প্রাথমিক, জুনিয়র, সেকেন্ডারি ও হায়ার সেকেন্ডারি—এই চারটি বিভাগে ২৩ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী এতে অংশ নেয়। তাদের মধ্যে বিজয়ী এক হাজার ৫৫ জনকে নিয়ে গতকাল শুক্রবার থেকে ঢাকায় শুরু হলো দুই দিনের জাতীয় উৎসব।

দেশে গণিতের এই উৎসব শুরু হয়েছিল ২০০৩ সালে। এবার হলো তার যুগপূর্তি। এই এক যুগের সাফল্য—দেশের তরুণদের নয়টি অলিম্পিয়াডে অংশ নিয়ে একটি রৌপ্য, আটটি ব্রোঞ্জসহ নয়টি পদক জয়।

উৎসবের জমকালো সাজে সাজানো হয়েছিল সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের বিরাট মাঠটি।

বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলন করেন দেশের গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী। তিনি নবীন শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিয়ে বলেন, প্রতিবছরই অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা বাড়ছে। ভবিষ্যতে হয়তো এই মাঠে আর জায়গাই হবে না। আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা গ্রহণ করছে। তিনি বলেন, যেভাবে আমাদের তরুণ প্রজন্ম শিক্ষা-বিজ্ঞানের চর্চায় এগিয়ে এসেছে, তাতে ২০৩০ সালের মধ্যে বিজ্ঞানে আমাদের নোবেল পুরস্কার পাওয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনা আছে।

আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলন করে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এস তাবরেজ বলেন, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক এই আয়োজনের সঙ্গে জড়িত হয়ে আনন্দিত। গণিত অলিম্পিয়াড থেকে দেশের প্রতিযোগীরা ব্রোঞ্জ ও রৌপ্যপদক জয় করেছে। ভবিষ্যতে স্বর্ণপদকও জয় করবে বলে তিনি শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করেন।

দেশের সব ধর্মের মানুষ যেন মিলেমিশে একসঙ্গে বসবাস করতে পারে, সে জন্য নবীন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানালেন কমিটির সহসভাপতি অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল। তিনি বলেন, ‘এই দেশে মুসলিম, হিন্দু, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ—সবাইকে মিলেমিশে একসঙ্গে থাকতে হবে। হিন্দুদের বাড়িতে আগুন দেওয়া হচ্ছে। তাদের অনেকেই হয়তো এই উৎসবে আসতে পারছে না। সবাই যেন আসতে পারে, তোমাদের সেই দায়িত্ব নিতে হবে। তা না হলে শুধু অঙ্ক নিয়ে মেতে থাকা আর পদক জয় করা অর্থবহ হবে না।’

প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান তাঁর বক্তব্যে বিগত এক যুগে গণিত অলিম্পিয়াডের কার্যক্রম ও সাফল্য তুলে ধরে বলেন, ছোট করে শুরু হলেও আজ গণিত উৎসব দেশের একটি বিশাল উৎসবে পরিণত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে আরও বড় সাফল্য আনবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খোদাদাদ খান, লুৎফুজ্জামান, মোহাম্মদ কায়কোবাদ, এফ আর খান, আনোয়ার হোসেন, রাশেদ তালুকদার, মোহিত কামাল, মুসা ইব্রাহীম, মুনির হাসান প্রমুখ।


সূত্র - গণিত উৎসবে প্রাণের স্ফুরণ



অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথোপকথনের একপর্যায়ে জানতে চাইলেন, তারা দেশের প্রধানমন্ত্রী হলে কে কী করবে?
একজন উঠে বলল, ‘প্রধানমন্ত্রী একা কোনো দেশকে ভালো করতে পারে না। সবাই মিলে দেশকে ভালো করতে হয়। প্রধানমন্ত্রী হলে সবাইকে নিয়ে দেশকে ভালো করার কাজ করব।’ তার পর থেকে নিজের জন্য, দেশের জন্য ভালো কাজ করার প্রেরণা ও প্রত্যয়ই প্রধান সুর হয়ে থাকল পুরো অনুষ্ঠানে।

রুবিকস কিউব প্রতিযোগিতা। আগের ২২ সেকেন্ডের জাতীয় রেকর্ড ভেঙে দিয়ে ১৮ সেকেন্ডে কিউব মিলিয়ে নতুন রেকর্ড করে চ্যাম্পিয়ন হয় হাসান জহিরুল ইসলাম। দ্বিতীয় হুমায়ূন কবির ও তৃতীয় শাকিব বিন রশিদ।

এরপর শুরু হয় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। প্রথমেই গণিতে অবদান এবং গণিত উৎসবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় দেশের প্রবীণ গণিতবিদ লুৎফুজ্জামান ও খোদাদাদ খানকে দেওয়া হয় আজীবন সম্মাননা।
আরও নতুন চারটি পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয় এবার। এগুলো হলো প্রকৌশলী লুৎফর রহমান স্মৃতি পুরস্কার, জামাল নজরুল ইসলাম স্মৃতি পুরস্কার, গৌরাঙ্গ দেব রায় স্মৃতি পুরস্কার ও জেবুন্নেছা হোসেন পুরস্কার। এরপর বিতরণ করা হয় আগের দিনে সুডোকু প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের পুরস্কার। প্রথম হয়েছে রিফা মুহাইমিনা রহমান, দ্বিতীয় সাহিকা আহমেদ ও তৃতীয় হয়েছে হাসান ইশরাক।

বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, সারা দেশে গণিত উৎসবের মধ্যে দিয়ে শিক্ষার্থীদের মন থেকে গণিতভীতি দূর হয়েছে। সারা বিশ্বে এই উৎসব একটি ব্যতিক্রমী উৎসব হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

অনুষ্ঠানে আরও আলোচনা করেন গণিত অলিম্পিয়াডের কোচ মাহবুব মজুমদার, প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম ও আনিসুল হক। উপস্থিত ছিলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানী এ আর খান, এফ আর সরকার, জিনবিজ্ঞানী আবেদ চৌধুরী, বিজ্ঞান লেখক রেজাউর রহমান, সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের অধ্যক্ষ ব্রাদার রবি পিউরিফিকেশন, উপাধ্যক্ষ ব্রাদার বিকাশ ডি রোজারিও সিএসসি, তাজিমা মজুমদারসহ অনেকে।

এরপর গণিত প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে চারটি বিভাগের বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণীর পালা। এবার প্রাথমিক, জুনিয়র, সেকেন্ডারি ও হায়ার সেকেন্ডারি এই চারটি বিভাগে প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষার্থী আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। তাদের মধ্যে বিজয়ী এক হাজার ৫৫ জন অংশ নেয় জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায়। এদের মধ্যে ৮১ জন বিজয়ীকে গতকাল পদক, ক্রেস্ট, সনদ ও বিশেষ পুরস্কারের অর্থ দেওয়া হয়। এদের মধ্যে চার বিভাগে সেরাদের সেরা হয়েছে প্রাথমিকে শাহাদাৎ হোসাইন, জুনিয়রে তাহমিদ আনজুম, সেকেন্ডারিতে প্রীতম কুণ্ডু ও হায়ার সেকেন্ডারিতে নূর মোহাম্মদ শফিউল্লাহ।

উৎসব সঞ্চালনায় ছিলেন গণিত অলিম্পিয়াডের একাডেমিক কাউন্সিলর মাহমুদুল হাসান ও তামিম শাহরিয়ার।

সবাই মিলে ‘আমরা করব জয়’ গানটি গেয়ে জীবনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার প্রত্যয় নিয়ে বাড়ি ফেরে নবীন প্রজন্ম।


সূত্র - জীবনের স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রত্যয়


আরও 

অন্যায়-অপরাধ-দুর্নীতি-সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ অভিমুখে অগ্রযাত্রা

অন্যায়-অপরাধ-দুর্নীতি-সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে নাগরিক শক্তির সাথে সংশ্লিষ্ট আমরা সবাই আমাদের অবস্থান থেকে কাজ শুরু করেছি।

২০১৪ সাল থেকে শুরু করে নির্দিষ্ট সময় অন্তর পরিসংখ্যান ব্যবহার করে দেখা হবে - আগের ১০ বছরের তুলনায় অন্যায়-অপরাধ-দুর্নীতি-সন্ত্রাস কমিয়ে আনতে আমরা কতটুকু সফল।

জনগণ লক্ষ লক্ষ প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর নিয়ে নিজেদের অধিকার আদায়ে আমাদের সাথে যোগ দেবেন।

ক্ষমতায় গিয়ে কার্যক্রম জোরদার করা হবে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, বিচার বিভাগ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনকে স্বাধীন এবং শক্তিশালী করে ঢেলে সাজানো হবে। সবরকম অপরাধ শক্ত হাতে দমন করা হবে।

২০০১ নির্বাচন উত্তর সংখ্যালঘু নির্যাতন, রামু, পটিয়া, অন্যান্য হামলা এবং সাম্প্রতিক নির্বাচনকালীন সাম্প্রদায়িক হামলাগুলোর নিরপেক্ষ তদন্ত এবং সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে বাংলাদেশে চিরদিনের জন্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠিত হবে।

নিজেদের মানদন্ডে নিজেদের সাফল্য, অপরের ব্যর্থতার প্রচার নয়, বরং জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড আমাদের সাফল্য ব্যর্থতার মূল্যায়ন করবে।

আমাদের লক্ষ্য থাকবে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে দ্রুততম সময়ে সম্ভাব্য সর্বোচ্চ অগ্রগতি।

আমাদের স্বপ্ন - অন্যায় -অপরাধ-দুর্নীতি-সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ।

আমাদের স্বপ্ন - বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, যেখানে আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান হবে। অপরাধী যত বড় আর অপরাধ যত ছোট হোক না কেন - অপরাধ করলে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

সর্বোপরি, আমাদের স্বপ্ন - ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, যেখানে মানুষ সৎ পথে থেকে চেষ্টা করলে জীবনে যা চায় তা অর্জন করতে পারবে, কিন্তু অন্যায় করলে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হবে।

Friday, February 14, 2014

এরা কি ছাত্র সংগঠন নাকি সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য

"রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ রোববার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর অস্ত্র হাতে চড়াও হয়েছেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। এ সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পিস্তল উঁচিয়ে শিক্ষার্থীদের গুলি করে ও ইটপাটকেল ছোড়ে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। পরে শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট, ছড়রা গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে পুলিশ। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি ফয়সাল আহমেদ, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাকিম বিল্লাহ ও সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত সালামকে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি ছুঁড়তে দেখা যায় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।"

সূত্র - রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্ত্র উঁচিয়ে ছাত্রলীগ, পুলিশের গুলি


"রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গত রোববারের হামলার সময় যে ছয়জনকে অস্ত্র হাতে দেখা গেছে, তাঁদের পাঁচজনই ছাত্রলীগের নেতা। বাকি একজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে গতকাল পর্যন্ত অস্ত্রধারী কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
যে পাঁচজনের পরিচয় জানা গেছে তাঁরা হলেন ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নাসিম আহাম্মেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুজ্জামান ও ফয়সাল আহাম্মেদ, পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক মুস্তাকিম বিল্লাহ এবং বিগত কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সুদীপ্ত সালাম।
গত রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম প্রথম আলোকে জানান, নাসিম আহাম্মেদ ও শামসুজ্জামানকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
নাসিম আহাম্মেদ ছাত্রলীগ কর্মী আবদুল্লাহ আল হাসান হত্যা মামলার আসামি। তাঁকে ২০১২ সালের ২ অক্টোবরও ক্যাম্পাসে অস্ত্র হাতে দেখা গেছে। পরদিন পত্রিকায় সে ছবি ছাপা হয়েছে।
সুদীপ্ত সালামও এর আগে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তবে তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা না করে পুলিশ অসামাজিক কাজের অভিযোগে মামলা করেছিল। ওই মামলায় তিনি জামিনে আছেন।
দুই বছরেও প্রথম বর্ষ থেকে দ্বিতীয় বর্ষে উঠতে না পারায় গত বছর ৫ ফেব্রুয়ারি নেতা-কর্মীদের নিয়ে গিয়ে নাসিম আহাম্মেদ তাঁর বিভাগের পাঁচটি কক্ষের কাচের দরজা এবং সাতটি জানালার কাচ ভাঙচুর করেন। ভেঙে ফেলা হয় কক্ষগুলোর সামনে থাকা প্রায় ১২টি ফুলের টব। সাংবাদিকেরা ছবি তুলতে গেলে নাসিম আহাম্মেদ অস্ত্র বের করে তাঁদের হুমকি দেন এবং ধারণ করা ছবি মুছে ফেলতে বাধ্য করেন।
পুলিশ পেটানোর অভিযোগও আছে সুদীপ্তের বিরুদ্ধে। ২০১১ সালের ৩০ ডিসেম্বর শাহ মখদুম হলে এক পুলিশ সদস্যকে মারধর করেন তিনি। তবে এ ঘটনায় তখন কোনো মামলা হয়নি।"

সূত্র - অস্ত্রধারীরা ধরা পড়েনি


"রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের করা চার মামলার কোনোটিতেই ছাত্রলীগের অস্ত্রধারী কোনো নেতাকে আসামি করা হয়নি। আসামি করা হয়েছে আন্দোলনকারী প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতা ও শিক্ষার্থীদের।

মতিহার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শামসুন নূর বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যা অভিযোগ দিয়েছে, আমরা সে অনুযায়ীই মামলা করেছি।’ "

সূত্র - অস্ত্রধারীদের আসামি করা হয়নি


"এক বৈধ অস্ত্র বিক্রেতা ও বৈধ অস্ত্র ব্যবহারকারীর মারফত জানতে পারলাম, যে পিস্তল দিয়ে রাবির ছাত্রলীগ নেতা ইমন গুলি করছিলেন, তার ব্র্যান্ডের নাম বেরেটা টমক্যাট। দাম তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কুখ্যাত ক্যাডার এবং পরে সাংসদ হওয়া অভি নাকি চা-সিগারেট খেতেন না হাত কাঁপবে বলে। ছাত্রশিবিরের বন্দুকবাজদেরও তুখোড় নামডাক আছে। ছাত্রলীগের ক্যাডাররা অভিকে না পেলে শিবিরের ক্যাডারদের কাছ থেকে অস্ত্র চালনা শিখতে পারে।

তিন লাখ সাড়ে তিন লাখ টাকার অস্ত্র যে চালায়, তাকে চালাতে দলের কত টাকা লাগে? সেই টাকা কোথা থেকে জোগাড় হয়?

আর যাঁদের তাক করে সে গুলি করেছে, তাঁরা ‘সামান্য’ কয় টাকার বেতন বাড়ানো নিয়ে আন্দোলন করা ‘সস্তা’ ছাত্রছাত্রী।

পত্রিকা আর টিভিতে ইমনদের পিস্তলের বাহাদুরির পাশাপাশি এ রকম কিছু প্রজার ছিদ্রময় পিঠের ছবি এসেছে। অবশ্য গুলি-বন্দুক কিনতে সরকারকে কত টাকা ব্যয় করতে হয়, তা আমরা জানি না। সেই টাকায় কতজনের পড়ালেখার খরচ রাষ্ট্র দিতে পারত, তা-ও জানা নেই। পুলিশের অস্ত্র, জলকামান, টিয়ার গ্যাস ইত্যাদি কিনতে তো টাকার অভাব হয় না; অভাব হয় কেবল বিশ্ববিদ্যালয় চালাতে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, রাজশাহীর ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। গত বছর জগন্নাথ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করেছিল, তাদের কারোরই কি শাস্তি হয়েছে? জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জুবায়েরকে যারা কুপিয়ে হত্যা করেছিল, তাদের কি আটক করে আদালতে তোলা হয়েছে? এসব আশ্বাস মনকে ক্লান্ত করে। বিশ্বজিতের হত্যাদৃশ্য সমগ্র দেশবাসীর হূদয়ে যে হাহাকার আর ধিক্কারের জন্ম দিয়েছিল, তার ধাক্কায় খুনিদের বিচার হয়েছে। কিন্তু যে ছাত্রলীগকে মাস্তানি, খুনোখুনি, মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকতে দেখা যায়, যে সংগঠনের হাতে রয়েছে ইমনের পিস্তলের চেয়েও ভয়ংকর অস্ত্র, সেই ছাত্রলীগ নিয়ে আমরা কী করব? ছাত্রশিবিরের সন্ত্রাসকে আমরা ঘৃণা করেছি, ছাত্রলীগের বেলায় কি সেই ঘৃণার মনকে ঘুমিয়ে রাখব?

ইতিমধ্যে ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্র ফেডারেশন ও বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর নেতা-কর্মীসহ ৫০ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা করা হয়েছে। সেই পাঁচ তরুণ শিক্ষকেরই বা কী হবে, যাঁরা ছাত্রলীগের ক্যাডারদের সামনে বুক চিতিয়ে বলেছিলেন, ‘ওদের মারতে হলে আমাদের বুকের ওপর দিয়ে যেতে হবে।’ সেই পাঁচ শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের উসকানি দেওয়ার অভিযোগের তদন্ত হবে।"

সূত্র - ছাত্রলীগের দামি পিস্তল ও কিছু সস্তা জীবন


"রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের অস্ত্রধারীরাই সংগঠনের কমিটিতে বড় পদ পেয়েছেন। গত কমিটিতে এ রকম অন্তত চারজন স্থান পেয়েছেন, যাঁরা অতীতে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের ওপরে চড়াও হয়েছিলেন।

ছাত্রলীগের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক এস এম তৌহিদ আল হোসেন ওরফে তুহিন। ২০১২ সালের ২ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষের সময় তৌহিদকে পুলিশের সামনে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি ছুড়তে দেখা গেছে। পরদিন সে ছবি পত্রপত্রিকায় ছাপা হয়েছিল। গত বছরের ২২ আগস্ট দুর্বৃত্তরা তাঁর হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয়। এর জন্য ছাত্রলীগ শিবিরকে দায়ী করে।

২০১২ সালের ২ অক্টোবরের ওই ঘটনায় তৌহিদের পাশাপাশি পিস্তল রেব করে গুলি ছুড়তে দেখা যায় ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার তৎকালীন সহসভাপতি আখেরুজ্জামান ওরফে তাকিমকে। ছাত্রত্ব না থাকলেও ২০১২ সালের জুন মাসে গঠিত ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সহসভাপতির পদ পেয়েছিলেন। এই বছরের ১৫ জুলাই রাতে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কর্মী আবদুল্লাহ আল হাসান ওরফে সোহেল রানা গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন এবং পরে মারা যান। অভিযোগ রয়েছে, ওই ঘটনার সূত্রপাত ঘটিয়েছিলেন আখেরুজ্জামান ও তখনকার সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদ আল হোসেন। ২০১২ সালের ২১ নভেম্বর দুর্বৃত্তরা আখেরুজ্জামানের বাঁ পায়ের ও একটি হাতের রগ কেটে দেয়। এরপর তিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হন।"

সূত্র - অস্ত্রবাজেরা উঁচু পদে


"সন্ত্রাস চালিয়ে, শিক্ষার্থীদের জোর করে বের করে দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার পর এখন সেখানে প্রশাসন, সরকার দলীয় সন্ত্রাসী আর পুলিশ রাজত্ব করছে। এদের মুখে যতই মাস্তানী হাসি থাকুক এরা পরাজিত। বিজয়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, যারা ক্ষতবিক্ষত হয়েও পাবলিক বা সর্বজনের বিশ্ববিদ্যালয় রক্ষার নৈতিক লড়াই অব্যাহত রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় মানে হল এটি সমাজের, সর্বজনের, সকল মানুষের আগ্রহী ও মেধাবী সন্তানদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের দায়িত্বগ্রহণকারী প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা। অর্থবিত্ত বা ক্ষমতা নয়, মেধাই যাতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পথে একমাত্র নির্ধারক হয় তা নিশ্চিত করে সমাজে উচ্চশিক্ষার পথ প্রশস্ত ও নিশ্চিত করাই এই ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্য হবার কথা। সরকারের অর্থ বলে কিছু নেই, সবই জনগণের অর্থ। সরকার এসব প্রতিষ্ঠানের মালিক নয়, মালিক সমাজ, সমাজের সর্বজন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এমনকিছু করতে পারে না যা সর্বজনের শিক্ষার ক্ষেত্রটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে কিংবা তার সুযোগ সংকুচিত হয়। সরকার বা মন্ত্রণালয়কে খুশি করা বা তাদের মনমতো চলা নয়, মুনাফার লক্ষ্য নিয়ে নয়, বিশ্ববিদ্যালয় চলতে হবে ‘সর্বজনের মালিকানা, কর্তৃত্ব এবং শিক্ষার অধিকার’ নিশ্চিত করবার নীতি কেন্দ্রে রেখে।"

আনু মুহাম্মদ

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসব অস্ত্রধারি সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্তদের বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তোলার সময় এসেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সরকারি ছাত্র সংগঠনের অস্ত্রধারীদের প্রতিরোধ করে সরকারকে এদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করতে হবে।



আরও



"সিলেটের মদনমোহন কলেজে ভর্তি বাণিজ্য করে প্রায় ৭০ লাখ টাকা লুটকারী সেই ‘বদমাশ’ ছাত্রনেতাদের গ্রেফতার করতে নির্দেশ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

শুক্রবার বিকেলে তিনি কলেজ পরিদর্শনে গিয়ে পুলিশকে এ নির্দেশ দেন।
এসময় অর্থমন্ত্রী ছাত্রলীগের স্থগিত রাখা কলেজ কমিটির সভাপতি অরুণ দেবনাথের নেতৃত্বে ভাঙচুর করা কলেজ অধ্যক্ষের কার্যালয়সহ বিভিন্ন কক্ষ পরিদর্শন করেন।"

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে অপরাজনীতির এটি একটি রিয়েল পিকচার।" 

সূত্র - ‘বদমাশ’ ছাত্রনেতাদের গ্রেফতারের নির্দেশ অর্থমন্ত্রীর 

Sunday, February 9, 2014

সংখ্যালঘু পরিবারে জন্ম নেওয়ার অভিশাপ

ঠিক যেভাবে আমরা কে কোন পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেছি তার উপর আমাদের কোন নিয়ন্ত্রণ ছিল না, একইভাবে আমরা কে কোন ধর্মের অনুসারি হয়ে জন্মেছি তাতেও আমাদের কোন নিয়ন্ত্রণ ছিল না। আমি আর আপনি আজকে মুসলিম প্রধান বাংলাদেশে মুসলিম হয়ে জন্মেছি। কিন্তু আমি বা আপনি তো এই বাংলাদেশে কোন হিন্দু বা বৌদ্ধ পরিবারে জন্ম নিতে পারতাম। কয়জনকে দেখেন আজ ধর্ম পরিবর্তন করতে?

এবার আর "হতে পারতো" না, ধরে নেই, আপনার জন্মই হয়েছে বাংলাদেশের কোন হিন্দু পরিবারে। হঠাৎ কিছু বুঝে ওঠার আগেই একদল সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসী আপনার উপর হামলা চালাল। আপনি কোন অপরাধ করেননি, দুর্নীতি করেননি, ছিনতাই করেননি, যা করেছেন তা হল মুসলিম প্রধান বাংলাদেশে একটা হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহন করেছেন! কেমন লাগবে?


আমাদের পূর্ব পুরুষরা ছিলেন সনাতনী ধর্মাবলম্বি। এরপর মুসলমান শাসনামলে এ এলাকা মুসলিম প্রধান হয়ে ওঠে। ব্রিটিশদের মাধ্যমে আমাদের সংস্কৃতিতে ওয়েস্টার্ন কালচারেরও অনুপ্রবেশ ঘটেছে।

সব ধরণের সংস্কৃতি মিলে হল - বাঙালি সংস্কৃতি।

একটা উদাহরণ দেবো?

আমাদের বিয়ের আগে এঙ্গেইজমেন্ট হয় - ওটা ওয়েস্টার্ন কালচার থেকে শেখা। গাঁয়ে হলুদের অনুষ্ঠানগুলো হয় সনাতনী সংস্কৃতি [1] অনুসারে। আকদ [2] ইসলামিক। বউ ভাতটাও সনাতনী সংস্কৃতির।

আরেকটা উদাহরণ?

আমরা পায়ে ধরে সালাম করি। “সালাম” করাটা ইসলামিক। আর “পায়ে ধরা”টা সনাতনী সংস্কৃতির। দুটা মিলে “পায়ে ধরে সালাম”!

বাঙালি সংস্কৃতির সৌন্দর্য হল এই বৈচিত্র্য।

কাজেই এই বৈচিত্র্য-সৌন্দর্য কে অস্বীকার করে কেউ যখন (কালের বিবর্তনে পরিণত হওয়া) সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা চালায় তখন তা আমাদের ঐতিহ্য সংস্কৃতির সাথে বড় বেমানান দেখায়।



"স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম। আমাদের প্রধান পরিচয় ছিল বাঙালি। ধর্ম ছিল প্রত্যেকের ব্যক্তিগত বিশ্বাস। অথচ স্বাধীনতার চার দশক পর সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর হার ২১ থেকে নেমে এসেছে ৯ দশমিক ৭ শতাংশে। দুঃখের সঙ্গে লক্ষ করেছি, জনসংখ্যার এই ক্রমাবনতির কারণ আমাদের রাজনীতিবিদ বা বুদ্ধিজীবীরা অনুসন্ধান করেননি; এই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগও লক্ষ করা যায়নি।

আমরা অনেকেই আইয়ুব-মোনায়েম স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত ছিলাম। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ করেছি। কিন্তু আজকে এই জীবনসায়াহ্নে এসে মনে হয়েছে, আমার প্রকৃত ঠিকানা কী? অথচ একটি স্থায়ী ঠিকানার জন্যই আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি। দেশ ছেড়ে অন্য কোথাও যাওয়ার কথা ভাবিনি। প্রত্যাশা করি, বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পরিচালিত হবে; রাষ্ট্রের পরিচালকেরা রাজনীতি ও প্রশাসনকে সে ধারায় এগিয়ে নিয়ে যাবেন। তবেই ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনজীবনে আস্থা ফিরে আসবে।

লক্ষণীয়, সাম্প্রদায়িক ঘটনাগুলো যখনই হয়, একদল আরেক দলের ওপর দায় চাপায় এবং অপরাধীরা পার পেয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে কাউকে না কাউকে দায়বদ্ধ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সন্ত্রাসী যে-ই হোক, হামলাকারী যে-ই হোক, তাকে ছাড়া হবে না। অথচ যশোরে আমরা অন্য রকম অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলাম। সেখানে এক পুলিশ কর্মকর্তা আমাকে বলেছেন, তাঁরা গ্রেপ্তার করছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতারা অপরাধীদের ছাড়িয়ে নিতে আসছেন। কেউ বলছেন, আসামি তাঁর আত্মীয়। কেউ বলছেন, আসামি এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নন। আবার কেউ বলছেন, আগে আসামি জামায়াত করত, এখন সরকারি দল করে। তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁদের এই অসহায়ত্বের কথা যেন আমি আরও ওপর মহলে বলি।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের সরকার ক্ষমতায় এল। আমরা বলেছিলাম, ২০০১ সালের ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত কমিশন গঠিত হোক। জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা হোক। তখন হাইকোর্টের একটি নির্দেশনায় সাহাবুদ্দীন কমিশন গঠিত হয়েছিল। প্রায় ১৫ হাজারের মতো ঘটনা সেদিন সাহাবুদ্দীন কমিশনের কাছে উত্থাপিত হয়েছে। তার মধ্যে হাজার পাঁচেক ঘটনা নিয়ে কমিশন তদন্ত করেছিল। তদন্তের রিপোর্ট ২০১২ সালে পেশ করা হলেও কমিশনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন কিংবা দোষী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনা হয়নি।

..... সাঈদীর রায়ের পরে তারা সত্যি সত্যি যুদ্ধ ঘোষণা করল। তাদের অন্যতম লক্ষ্যবস্তু হলো ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি, জায়গা-জমি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং উপাসনালয়। কোথাও কোথাও ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু আসামিরা যে ধারায় আটক হয়, সেগুলোতে দুই দিন পরে জামিনে বেরিয়ে আসে। আবার দেখা যায়, স্থানীয় নেতারা হিন্দুদের ওপর চাপ দেন সম্প্রীতির নামে একধরনের আপস করার জন্য। তখন সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী আরও বেশি অসহায় হয়ে পড়ে।

সংখ্যালঘুদের ওপর যে হামলা হচ্ছে, তা মানবতাবিরোধী অপরাধ। আমাদের যে আইনগুলো আছে, সেসব দিয়ে এ সমস্যা মোকাবিলা করা যাবে না। নারীদের সুরক্ষায় যেমন নারী নির্যাতন দমন আইন আছে, একইভাবে সংখ্যালঘুদের ওপর যে হামলা হচ্ছে, সেই হামলাকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য একটি বিশেষ আইন প্রণীত হওয়া দরকার। এই আইন প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত সন্ত্রাস দমন আইন, দ্রুত বিচার আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের প্রয়োগ ঘটাতে হবে।

আমাদের সংবিধানে সব নাগরিক সমান কথাটি বলা আছে। একই সঙ্গে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ধর্মকে রাষ্ট্রের ধর্ম হিসেবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এতে সাম্প্রদায়িকতার বেড়াজালে সংবিধান আবদ্ধ হলো। ফলে রাজনীতি, প্রশাসনসহ সব ক্ষেত্রে সাম্প্রদায়িক মানসিকতা তৈরি হয়েছে। আবার আমাদের গণতান্ত্রিক-প্রগতিশীল দলগুলোতেও সাম্প্রদায়িক চক্রের অনুপ্রবেশ ঘটতে দেখা গেছে।"


রেফরেন্স
[1] Mehndi
[2] Akd Contract


আরও 

একবিংশ শতাব্দীতে প্রাযুক্তিক বিপ্লব

ভবিষ্যতের বিজ্ঞান আর প্রযুক্তি নিয়ে আমার সবসময়ই আগ্রহ। অনেক বছর আগে (২০০৬ এর দিকে) "Future Science", "Future Technology", "Future Artificial Intelligence" এসব নিয়ে Google করতে করতে চোখে পড়ে এসব বিষয় নিয়ে Ray Kurzweil [1] এর লেখা। তার লেখা আমাকে প্রচন্ডভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল। তার সেই লেখাগুলো থেকেই প্রথম জানি Exponential Technologies সম্পর্কে। 

আমি ব্যবহার করতাম অত্যন্ত ধীরগতির ইন্টারনেট। কিন্তু গভীর আগ্রহ নিয়ে এক একটা পেইজ লোড হওয়ার জন্য অপেক্ষা করাতেও আনন্দ ছিল!

২০০৮ সালে চট্টগ্রাম কলেজের ‘০৫ ব্যাচের রিইউনিয়ন উপলক্ষে প্রকাশিত ম্যাগাজিনে ভবিষ্যত প্রযুক্তি নিয়ে আমার নিচের লেখাটা প্রকাশিত হয়। ২০০৮ এর কোন এক সময় লেখা। তখনকার চেয়ে জ্ঞানের পরিধি অনেক বেড়েছে। আশেপাশের সবকিছু নিয়ে ভিউ ও অনেক পাল্টেছে। তারপরও লেখাটা খুব প্রিয়! সামান্য পরিমার্জিত।




কেমন হবে যদি আশেপাশের বুদ্ধিমান যন্ত্রপাতিগুলোর সাথে যখন তখন আড্ডা জুড়ে দেওয়া যায়? কিংবা তোমার অঙ্গ প্রত্যঙ্গের বেশিরভাগই হয় কৃত্রিম আর দেহের ভেতর ব্যস্তভাবে ঘুরে বেড়ায় খালি চোখে দেখা যায় না এমন সব ন্যানো রোবট? ভার্চুয়াল রিয়ালিটির জগতে কৃত্রিম সব অনুভূতি নিয়ে বেঁচে থাকতেই বা কেমন লাগবে?

কি? শুনতে অবাস্তব মনে হচ্ছে?

আসলে বিজ্ঞান আর প্রযুক্তির কল্যাণে বাস্তবতা আর অবাস্তবতার সীমারেখাটি দিন দিন ম্লান থেকে ম্লানতর হচ্ছে। আমাদের চোখের সামনেই ঘটে চলেছে এক অভুতপূর্ব বিপ্লব। বায়োপ্রযুক্তি আমাদের দিচ্ছে প্রাণকে ব্যবহার, নিয়ন্ত্রন এবং উন্নত করার হাতিয়ার। তথ্যের সহজলভ্যতা বিশ্বকে বিভিন্ন মাত্রায় প্রভাবিত করছে। আর ন্যানোপ্রযুক্তি অভিনব সব পণ্য উৎপাদনের পাশাপাশি পণ্যের কার্যক্ষমতাও বাড়িয়ে তুলছে।

এসব দেখে কম্পিউটার বিজ্ঞানী এবং লেখক ভারনার ভিঞ্জ প্রাযুক্তিক সিঙ্গুলারিটির ধারণাটা প্রবর্তন করেছিলেন। [2] তার ভবিষ্যৎবাণীটা মূলত কম্পিউটার প্রযুক্তির অগ্রগতিকে ভিত্তি করেই। ধারণাটা এরকম - একবিংশ শতাব্দীর কোন এক সময় কম্পিউটারের বুদ্ধিমত্তা মানব বুদ্ধিমত্তাকে ছাড়িয়ে যাবে আর তারপর উন্নয়ন এত বেশি ত্বরান্বিত হবে (কম্পিউটার যেহেতু মানুষের চেয়েও বুদ্ধিমান কাজেই কম্পিউটারই সব আবিষ্কার করা শুরু করবে), যে এর সম্পর্কে ভবিষৎবাণী করা যাবে না।


বাস্তববাদীঃ কিন্তু আসলেই কি ভবিষ্যৎ নিয়ে ভবিষৎবাণী করা যায়?

এই প্রশ্নের উত্তরে তাপগতিবিদ্যা থেকে একটা উদাহরণ দেওয়া যায়।

তাপগতিবিদ্যায় একটা ক্ষুদ্র গ্যাস অণু কোথায় যাবে, কত গতিতে যাবে, তা ভবিষৎবাণী করা প্রায় অসম্ভব - আরেকটা অণু এসে যে কোন সময় ধাক্কা দিতে পারে। কিন্তু লক্ষ কোটি অণুর সমন্বয়ে গঠিত গ্যাসের আচরণ, কিছু ধর্ম অনেকটাই ভবিষৎবাণীর যোগ্য। তা নাহলে গ্যাসের জন্য PV = nRT সূত্রটা আমরা পেতাম না। এখানে গ্যাসের তাপমাত্রা, চাপ আর আয়তন নিয়ে আমরা ভবিষ্যৎবাণী করতে পারি, কিন্তু কখনই একটা গ্যাস অণু নিয়ে আগাম কিছু নিখুঁতভাবে বলা সম্ভব না।

একইভাবে, প্রযুক্তির কোন একটা ক্ষেত্র বা উপক্ষেত্র কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা বলা কঠিন হলেও কোন কোন প্রযুক্তিবিদ মনে করেন, সবগুলো ক্ষেত্র উপক্ষেত্রের সম্মিলিত ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ায় মানব সমাজে প্রযুক্তির বিকাশ হয়ত ভবিষ্যৎবাণী যোগ্য।

ইনফরমেশান থিউরির প্রবক্তা ক্লড শানোন, পদার্থবিদ স্টিফেন হকিং থেকে শুরু করে প্রায় সব খ্যাতিমান বিজ্ঞানী, প্রকৌশলীই প্রাযুক্তিক বিপ্লবের নানা সম্ভাবনার কথা যুক্তি দিয়ে তুলে ধরেছেন। এদেরই একজন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশেষজ্ঞ রেই কুরযওয়েইল। ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে এবং ঠিক কখন কোন প্রযুক্তি বাজারে আসবে তা নিয়ে তিনি বেশ কয়েকটি বই লিখেছেন। [3] তার যুক্তির ভিত্তি ইন্টেলের প্রতিষ্ঠাতা মুরের সূত্র। মুরের সূত্রানুসারে ইন্টিগ্রেটেড সার্কিটে ট্রান্সিস্টার সংখ্যা প্রতি প্রায় দুবছরে দ্বিগুণ হচ্ছে। [4] অন্যভাবে বলা যায়, কম্পিউটারের বুদ্ধিমত্তার বৃদ্ধিহার এক্সপনেনশিয়াল (দ্রুত থেকে দ্রুততর হচ্ছে), সরলরৈখিক না।


এক্সপনেনশিয়াল বৃদ্ধিহার ব্যাপারটা বোঝা দরকার।

ধরা যাক, একটা পুকুরে ফুল আছে ২টি।

প্রথমে ধরি, ফুলের সংখ্যা সরলরৈখিক হারে বাড়ছে - প্রতিদিন ২টি করে বাড়ছে। তাহলে ২য় দিনে ফুল হবে ৪টি, ৩য় দিনে ৬টি, এভাবে ১০ দিন পর ২০টি।

এবার ধরি, ফুলের সংখ্যা এক্সপনেনশিয়াল হারে বাড়ছে - প্রতিদিন দ্বিগুণ হচ্ছে। তাহলে ২য় দিনে ফুল হবে ৪টি, ৩য় দিনে ৮টি, ৪র্থ দিনে ১৬টি, এভাবে ১০ দিন পর ১০২৪টি।

কোথায় ২০ আর কোথায় ১০২৪।

এক্সপনেনশিয়াল হার চলতে থাকলে ২০ দিন পর ফুলের সংখ্যা ১০ লক্ষ ছাড়াবে।

এক্সপনেনশিয়াল হারে কোন কিছু বাড়তে থাকলে পরিবর্তনটা কত দ্রুত হয় - বুঝতে পারছ? কম্পিউটার ক্ষমতা বাড়ছে এক্সপনেনশিয়াল হারে। 
এখন কল্পনা কর, কম্পিউটারের ক্ষমতা যদি প্রতি দেড় থেকে দুই বছরে দ্বিগুণ হতে থাকে, তাহলে কত দ্রুত তা বাড়ছে। একারনেই মাত্র কয়েক বছর আগে ডেস্কটপ কম্পিউটারের যে ক্ষমতা ছিল, এখন হাতের তালুতে থাকা স্মার্ট ফোনের তার চেয়ে বেশি ক্ষমতা।

কম্পিউটারের ক্ষমতা বৃদ্ধির ফলশ্রুতিতে যা ঘটেছে তা হল যেসব প্রযুক্তি কম্পিউটারনির্ভর ওগুলোও দ্বিগুণ হারে বাড়ছে। অল্প সময়ে আধুনিক ইন্টারনেটের বিস্ফোরণ এর উদাহরণ। ৯০ দশকের মাঝামাঝি ওয়েব (Web) এর সূচনা - এর আগে সাধারণ জনগণের মাঝে ইন্টারনেটের প্রচলন ছিল না। আর এখন ইন্টারনেট ছাড়া জীবন আমরা কল্পনা করতে পারি? 

প্রযুক্তির অন্যান্য ক্ষেত্রেও আমরা এক্সপনেনশিয়াল উন্নতির প্রভাব দেখছি। যেমন এইচ.আই.ভি কে সিকয়েন্স করতে আমাদের যেখানে সময় লেগেছিল ১৫ বছর, সেখানে SARS কে সিকয়েন্স করতে সময় লেগেছে মাত্র ৩১ দিন।


পদার্থবিজ্ঞানীঃ কিন্তু এক্সপনেনশিয়াল উন্নতি তো অনির্দিষ্ট কাল ধরে চলতে পারে না। একটা পর্যায়ে মৌলিক বিজ্ঞানের সাথে সংঘর্ষ ঘটতে পারে। যেমন ট্রানজিস্টারের আকার কোয়ান্টাম মেকানিক্স অনুসারে একটা সীমা পর্যন্ত ছোট হতে পারে। এরপর?

মৌলিক বিজ্ঞানের সাথে সংঘর্ষে না গিয়ে এক্সপনেনশিয়াল উন্নতি কিভাবে চলবে তাও বলেছেন কুরযওয়েইল। তার মতে সীমায় পৌঁছানোর আগেই প্যারাডাইম পরিবর্তন হবে। অর্থাৎ, একই ধারায় উন্নতি না ঘটে সম্পূর্ণ নতুন একটা ধারার সূচনা হবে। যেমনটা হয়েছিল ভ্যাকুয়াম টিউব থেকে ইন্টিগ্রেটেড সার্কিটে উত্তরণের সময়। এবার হয়ত ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট থেকে ত্রিমাত্রিক আণবিক কম্পিউটিং এ উত্তরণ ঘটবে।

তাহলে কথা না বাড়িয়ে দেখে আসা যাক ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি আমাদের জন্য কি কি নিয়ে অপেক্ষা করছে। প্রথমেই তাকানো যাক নিজের দিকে।


মানবদেহ ভার্সন ২.০

ছেলে মেয়ে দেখতে কখনই পুরোপুরি বাবা মায়ের মত হয় না। ভাই বোনরাও দেখতে একরকম হয় না। বাবামায়ের জীন রিকম্বিনেশান, মিউটেশানের মাধ্যমে পাল্টে সন্তানের কাছে যায়। আর প্রজন্ম থেকে প্রজন্মাতরে একটু একটু পাল্টে যাওয়ার প্রক্রিয়া বিবর্তনের হাজার লক্ষ বছরের ফসল আমাদের এই দেহ। বিবর্তনে আমাদের যোগ্যতর করে তোলার জন্য যে অসংখ্য অভিযোজন ঘটেছে তার একটা হল দেহে ক্যালরি জমা রাখার ব্যাপারটা - যাতে খাদ্যের প্রাচুর্যের পর ঘাটতি এলে ব্যবহার করা যায়। আমাদের পূর্ব পুরুষদের সবসময় খাওয়া জুটত না। কাজেই একবার খাওয়ার সন্ধান পেলে অনেকটুকু খেয়ে দেহে জমিয়ে রাখা দরকার ছিল। কিন্তু আজ এই জীববৈজ্ঞানিক কৌশল প্রায় সম্পূর্ণ ভাবে আমাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এটাই মূলত দায়ি স্থুলতা, করনারি আরটারি রোগ এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসের জন্য।

এটা শুধু একটা উদাহরণ। বিবর্তনের আরও অনেক প্রক্রিয়া আজ নতুন পৃথিবীতে আমাদের চাহিদার বিরুদ্ধে যাচ্ছে। তাই অনেক বিজ্ঞানী ভাবছেন দেহটিকে আধুনিক পৃথিবীর উপযোগী করে নতুনভাবে ডিজাইন করার সময় এসেছে। আমরা ইতিমধ্যে দেহের প্রাকৃতিক চক্রটিকে প্রভাবিত করছি ওষুধ দিয়ে, ডিভাইস দিয়ে প্রতিস্থাপন করছি অনেক অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে। জীব বিজ্ঞান, প্রাণ প্রকৌশল এবং ন্যানো প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা দেহের জন্য এমন সব সিস্টেম ডিজাইন করতে চাই যেগুলো হবে আরও দীর্ঘস্থায়ী, মজবুত, রোগ প্রতিরোধী এবং আনন্দদায়ক।

এক্ষেত্রে অন্যতম অগ্রগণ্য ভূমিকা রাখতে হবে ন্যানোবোট বা রক্ত কোষ আকারের রোবটকে। শরীরের রোগ সারাবার জন্য ন্যানো বোট ক্ষুদ্র রোবট সার্জনের ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে। ন্যানোবোটগুলো আমাদের সংবেদী অঙ্গগুলোর সাথে সরাসরি যোগাযোগ সৃষ্টি করে ভার্চুয়াল রিয়ালিটির কৃত্রিম সব অনুভূতির স্বাদ দেবে - এই স্বপ্ন কোন কোন বিজ্ঞানীর অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করছে। এখানেই শেষ না। ন্যানো মেডিসিন গবেষক রবার্ট ফ্রিটাস আমাদের লোহিত রক্ত কণিকাকে নতুনভাবে ডিজাইন করতে চান। তিনি এমনভাবে ডিজাইন করতে চান যাতে দেহে হৃদপিন্ডের প্রয়োজন কমে যায়। হৃদপিন্ড মূলত দেহে রক্ত পাম্প করার একটা জীব যন্ত্র। এমন লোহিত রক্ত কণিকা যদি ডিজাইন করা যায় যা নিজেই সারা দেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে তাহলে হৃদপিন্ডের প্রয়োজন কমে আসে। স্টেম সেল নিয়ে গবেষণাও এ ক্ষেত্রটিকে এগিয়ে দিচ্ছে। স্টেম সেল হচ্ছে এমন কোষ যা বিভিন্ন অঙ্গ, টিস্যুর মাতৃকোষ হিসেবে কাজ করে। [5] কিডনির স্টেম সেল থেকে ধীরে ধীরে কিডনি গড়ে ওঠে। হৃদপিন্ডের স্টেম সেল পরিণত হয় সম্পূর্ণ হৃদপিন্ডে। আমরা স্টেম সেলকে পোষ মানানো শিখতে পারলে যে কোন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ তৈরি করে নিতে পারবো। মোট কথা, একবিংশ শতাব্দীতে দেহের প্রায় সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে কৃত্রিম অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দিয়ে প্রতিস্থাপিত করা যাবে।


স্নায়ু বিজ্ঞানীঃ কিন্তু মস্তিষ্ককে প্রতিস্থাপিত করা তো সম্ভব না। মস্তিষ্ককে প্রতিস্থাপিত করলে একজন মানুষ অনুভন করতে পারবে না যে সে আগের মানুষটাই আছে। তাহলে? মানব সম্প্রদায়ের বুদ্ধিমত্তা কি সব সময় একই থাকবে?
মস্তিস্ক এবং বুদ্ধিমত্তার ব্যাপারটি এখন আলোচিত হবে।


বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ও ভবিষ্যৎ

আধুনিক বিজ্ঞানের অবিশ্বাস্য সাফল্যে আধুনিক বিজ্ঞানী আর প্রকৌশলীরা মনে করেন, আধুনিক বিজ্ঞান মহাবিশ্বের সবকিছু ব্যাখ্যা করতে পারে। কিন্তু আমরা যারা স্বাধীনভাবে সব ধরণের জ্ঞান আহরণ করি, আমরা জানি মহাজগতে এমন অনেক কিছু আছে, যেগুলো এখনও আধুনিক বিজ্ঞানের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। আধুনিক বিজ্ঞান বিশেষ করে আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান দিয়ে অনেক কিছু ব্যাখ্যা করা যায় না। বিজ্ঞানীরা সেসব ভালমত বিবেচনা করলে বলবেন, বিজ্ঞানকে নতুন করে লিখতে হবে! যাই হোক, আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে, আমরা ধীরে ধীরে আল্টিমেইট রিয়্যালিটি (“Ultimate Reality”) র সন্ধান পাবো। একমাত্র সৃষ্টিকর্তা বলতে পারেন কবে। আধুনিক বিজ্ঞান সেই আল্টিমেইট রিয়্যালিটির একটা অংশ।

আধুনিক বিজ্ঞান অনুসারে মহাবিশ্বে মানুষ অকিঞ্চিৎকর একটা ব্যাপার। বিশাল একটা মহাবিশ্ব - লক্ষ কোটি গ্যালাক্সি নিয়ে গঠিত। তাদেরই একটা মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সির সূর্য নামক নক্ষত্রের একটা গ্রহ পৃথিবীতে, যদিও সম্ভাবনা খুবই কম ছিল, কিন্তু বিবর্তনের মাধ্যমে মানুষের মত একটা প্রাণী সৃষ্টি হয়ে গেছে!

কিন্তু আমরা জেনেছি, পদার্থ এবং শক্তির বাইরে Consciousness বলে একটা ব্যাপার আছে, এবং সেই Consciousness এর এমন অনেক ক্ষমতা আছে, যেগুলো পদার্থ আর শক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না। Consciousness কে বিবেচনায় নিলে আমরা বুঝতে পারি, আমরা, মানুষরা মোটেই অকিঞ্চিৎকর নই, বরং আমাদের কেন্দ্র করেই মহাবিশ্বের অস্তিত্ব।



যাই হোক, আধুনিক বিজ্ঞান মহাবিশ্বের বিবর্তনকে ব্যাখ্যা করে এভাবেঃ

পদার্থবিজ্ঞানের অজানা সূত্রানুসারে যে মহাবিশ্বের সূচনা, পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়নের সম্মিলিত ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ায় তার বিকাশ। এরপর ডিএনএ কিংবা আরএনএ র মাধ্যমে প্রাণের উদ্ভব। তারও অনেক কাল পরে প্রাণের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণের জন্য মস্তিষ্কের উদ্ভব। মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটলে সেটি তৈরি করে প্রযুক্তি আর এখন আমরা দাঁড়িয়ে আছি এক সন্ধিক্ষণে। আমাদের অপেক্ষা প্রাণ ও প্রযুক্তির একীভূত হওয়া এবং উচ্চতর গঠনের জীবন ও বুদ্ধিমত্তা সৃষ্টির জন্য। এই লক্ষ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সৃষ্টি হওয়া প্রয়োজন যেটি মানুষের চেয়ে দ্রুতগতিতে প্রযুক্তিকে সেই পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারবে।


সমালোচকঃ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তো সেই কবে থেকেই আশার বাণী শুনিয়ে যাচ্ছে। সত্যিকারের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি আমরা আদৌ পাবো?

আরও অনেকের মতই রেই কুরযওয়েইল এ ব্যাপারে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তিনি তুলে ধরেছেন তার রোড ম্যাপ। এই রোডম্যাপ অনুসারে আমরা ন্যানো প্রযুক্তির মাধ্যমে আগামী দশকেই হার্ডওয়্যারের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের সমতুল্যতা অর্জন করবো। হয়ত সেটা হবে ত্রিমাত্রিক আনবিক কম্পিউটিং এর মাধ্যমে। আর সফটওয়্যারের ক্ষেত্রেও মস্তিষ্কের সমতুল্যতা অর্জন কঠিন হবে না।


সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারঃ সফটওয়্যারের ক্ষেত্রে অগ্রগতি কিন্তু সরলরৈখিক- অর্থাৎ ধীরগতির। দশ বছর আগে যে গুগল কে আমরা ব্যবহার করতাম আজও অনেকটা তাই ব্যবহার করি। যদিও স্বীকার করতেই হবে আজকের গুগলকে অনেক অনেক বেশি তথ্য বিবেচনায় নিতে হয়।
কুরযওয়েইলের ধারণা সফটওয়্যারেও ধীর নয় বরং দ্রুত গতির উন্নতি আসবে। তার যুক্তি আমরা মস্তিষ্ককে মডেলিং করা শুরু করেছি। মস্তিষ্ককে মডেলিং করা এবং এর গাণিতিক ও কম্পিউটেইশানাল মডেল তৈরির কাজ এক্সপনেনশিয়াল গতিতে এগুচ্ছে। যেমন ধরা যাক, লয়েড ওয়াটস শ্রবণ বিশ্লেষণের সাথে জড়িত মস্তিষ্কের ১৫টি অঞ্চলের মডেল তৈরি করেছেন এবং তাদের প্রয়োগ করেছেন কম্পিউটারে। অপরদিকে ম্যাশিন লারনিং এর বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে কার্নেগী মেলনের টম মিশেল মস্তিষ্কের কার্যপদ্ধতি বোঝার চেষ্টা করছেন। [6] মস্তিষ্কের সম্পূর্ণ মডেল তৈরির কাজ শেষ হলে আমরা সেটিকে কম্পিউটারে প্রয়োগ করবো এবং তৈরি হবে মানুষের সম পর্যায়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। কুরযওয়েইলের মতে ২০২৯ সালের মধ্যে ঘটতে চলেছে সেই অবিস্মরণীয় ঘটনাটি।

এখানে একটা ব্যাপার বোঝা দরকার। সেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গান উপভোগ করতে পারবে না, কিন্তু গানের সুর বাঁধতে পারবে। কোন সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবে না, কিন্তু সবকিছু ঠিকমত আইডেন্টিফাই করতে পারবে।


সমাজ বিজ্ঞানীঃ পৃথিবীতে ৭০০ কোটি মানুষের বাস। আর একটা মানুষের সম পর্যায়ের বুদ্ধিমত্তা যুক্ত হওয়ার গুরুত্ব কোথায়? সমাজে এটা কি প্রভাব ফেলবে?

আসলে গুরুত্ব এখনেই যে, ম্যাশিন অনেক দ্রুততার সাথে চিন্তা আর হিসাব নিকাশ করতে পারে, নিখুঁত ভাবে মনে রাখতে পারে, পারে প্রচন্ড গতিতে জ্ঞান আদান প্রদান করতে। আরও গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল, কুরযওয়েইলের মতে অজৈব বুদ্ধিমত্তা (Non-biological Intelligence) প্রতি বছর দ্বিগুণ হারে শক্তিশালী হবে। এরপর মানব মস্তিস্ক এবং কম্পিউটারের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপিত হবে আর তখন মানুষ পুরোপুরি ভাবে হয়ে উঠবে সাইবর্গ।

মানব বুদ্ধিমত্তা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সেই বিপুল শক্তি তখন মহাবিশ্ব জয়ে বেরিয়ে পড়বে। শুধু মহাবিশ্ব জয় নয়, বরং মহাবিশ্বের বস্তুকনাগুলোকে বুদ্ধিমত্তা ও কম্পিউটেশানের কাজে ব্যবহার করবে এবং আমরা ধাবিত হব বিবর্তনের শেষ পর্যায়ে।

এরপর? এরপর কি হবে তা নির্ধারণ করার দায়িত্ব দেওয়া যাক পাঠক তোমাকেই! এই মহাবিশ্বে তো তোমারও অংশিদারিত্ব আছে, নাকি?



                                        রেই কুরযওয়েইল (Ray Kurzweil)

রেফরেন্সঃ
  1. Kurzweil Accelerating Intelligence
  2. Vernor Vinge
  3. The Singularity Is Near: When Humans Transcend Biology
  4. Moore's Law
  5. Stem Cell
  6. Tom Mitchell

লেখাটা ২০০৮ এর। ২০১৪ তে প্রযুক্তি কোথায় দাঁড়িয়ে?
  • “আশেপাশের বুদ্ধিমান যন্ত্রপাতিগুলোর সাথে যখন তখন আড্ডা জুড়ে দেওয়া” 
    • iPhone Siri. প্রথম বাজারে আসে অক্টোবর ২০১১ তে।


  • "কিংবা তোমার অঙ্গ প্রত্যঙ্গের বেশিরভাগই হয় কৃত্রিম" 
    • - Hugh Herr এর 2014 TED Talk টি দেখুন! 


  • "দেহের ভেতর ব্যস্তভাবে ঘুরে বেড়ায় খালি চোখে দেখা যায় না এমন সব ন্যানো রোবট?"
    • পৃথিবীর সবচেয়ে বিখ্যাত ইঞ্জিনিয়ারদের একজন MIT Prof. Robert Langer (1030+ granted or pending patents.[1][14] 1,200+ published scientific papers) এমন সব Polymer, Nano-materials develop করেন যেগুলো দেহের যে স্থানে প্রয়োজন ঠিক সেই স্থানে ওষুধ পৌঁছে দেয়।

  • “ভার্চুয়াল রিয়ালিটির জগতে কৃত্রিম সব অনুভূতি নিয়ে বেঁচে থাকতেই বা কেমন লাগবে?”
    • Oculus Rift Virtual Reality Headset. Facebook March 2014 এ $2 Billion দিয়ে কিনে নিয়েছে। 2014 এর শেষদিকে অথবা 2015 এর প্রথমদিকে Market এ আসবে। 
    • Google glass (Augmented Reality) - সবার সামনে আসে ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তে। তুমি আর আমি - আমরা দুইজন দুইটা Google Glass ব্যবহার করলে - আমি যা দেখছি শুনছি, তুমিও ঠিক তাই দেখতে, শুনতে পাবে!

Saturday, February 8, 2014

বাংলাদেশ ক্রিকেট দল নিয়ে স্বপ্ন

আমাদের দেশের বিভেদের রাজনীতিতে একমাত্র বাংলাদেশ ক্রিকেট দলই এক একটা সাফল্য দিয়ে সারা দেশকে ঐক্যবদ্ধভাবে আনন্দ উল্লাসের উপলক্ষ এনে দিয়েছে।

এক একটা সাফল্যে আমরা দেখবাসী আনন্দে চিৎকার করে উঠি, রাস্তায় নেমে একসাথে উল্লাস করি।

বাংলাদেশ ক্রিকেট দল বাংলাদেশীদের গর্ব।

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ১১ জন যখন মাঠে নামেন তখন ১৬ কোটি হৃদয় এবং তাদের প্রার্থনাকে সাথে নিয়ে নামেন।


আমাদের ক্রিকেট দলটা এখন দারুন কম্বিনেশান।

ওপেনিং এ নামা তামিম ইকবাল অনেক বছর ধরে দেশ সেরা ব্যাটসম্যান।

২, ৩, ৪ এর জন্য - শামসুর, আনামুল, মমিনুল, ইমরুল, মার্শাল আইয়ুব, শাহরিয়ার নাফিস, নাজিমুদ্দিন, অলক কাপালি, জুনায়েদ সিদ্দিকী আর জহুরুল - প্রতি ম্যাচে এতজন থেকে ৩ জনকে বেছে নিতে হবে - কী কঠিন একটা কাজ - ক্রিকেট খেলাটা ১১ জনের না হয়ে ১৪ জনের হলেই মনে হয় ভাল হত!

মিডল অর্ডারটা সত্যিই দারুণ! বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, নির্ভরতার প্রতীক অধিনায়ক মুশফিক, তরুণ নাসিরকে নিয়ে গড়া।

এতই দারুণ যে মাহমুদুল্লাহ, জিয়াউর রহমান, ফরহাদ রেজা আর “ছক্কা” নাঈমের মত অলরাউন্ডারদের কাকে ছেড়ে কাকে নেবেন তা নির্বাচকদের “মধুর” মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়!

অনেক বছর ধরে “বাম হাতি স্পিনারের দেশ” হয়ে ছিল “বাংলাদেশ”।
সোহাগ গাজী এসে তা পাল্টে দিলেন। তিনি শুধু ডানহাতি স্পিনারই নন, ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি ও হাঁকাতে পারেন!

পেসার হিসেবে "নড়াইল এক্সপ্রেস" দেশসেরা মাশরাফি (আমাদের “ম্যাশ”), দ্রুতগতির রুবেল, “ইয়া লম্বা” (এবং অবশ্যই - "হ্যান্ডসাম") শাহাদাত, “বিশ্বকাপের হিরো” শফিউল, আল আমিন, রবিউল, আবুল হাসান, নাজমুল - বেছে নেওয়াই তো কঠিন! এত পেসারের কারণে আমরা তাপস বৈশ্য কিংবা বামহাতি মঞ্জুরুল, রাসেলদের ভুলে যেতে বসেছি।

তারপরও যখন বিশ্বমানের স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক বাকি থাকে তখন আমরা সোহরোওয়ারদি শুভ, এনামুল হক (জুনিয়র), ইলিয়াস সানি, আরাফাত সানিদের কথাও অনেক সময় ভুলে যাই!

আমাদের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরিয়ান মেহরাব হোসেন অপি আর শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুতদের খোঁজ কেউ দিতে পারেন? বিদ্যুৎ তো জিম্বাবুয়ের সাথে ঐ ম্যাচে ৯৫ করেছিলেন, আর ওপেনিং এ দুশো রানের জুটি, নাকি?

সাকিব আর তামিম অনেক বছর ধরে আমাদের সেরা পারফর্মার। ২০১১ বিশ্বকাপের পর ডেবিউ হওয়া নাসির এলেন আর জয় করলেন! আর ২০১৩ তে এলেন, জয় করলেন মমিনুল আর সোহাগ গাজী!

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ম্যাচ আনালাইসিস, প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের শক্তি-দুর্বলতা চিহ্নিত করা, ব্যাটিং প্র্যাকটিস - এসবের জন্য প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ভাবনা ছিল। কোনদিন হয়ত ভাবনাগুলো বাস্তবে পরিণত হবে।

কোচ বব উলমার কিংবা জন বুকাননদের কম্পিউটার সখ্যতার কথা আমরা কে না জানি!


ProBatter প্রযুক্তি 

“ক্যাপ্টেইন ফ্যান্টাস্টিক” “আবেগপ্রবণ” মুশফিকুরের নেতৃত্বাধীন দলটি বিশ্বকাপ জয় করে আনবে আর পুরো দেশ একটা উৎসবের দেশে পরিণত হবে - দেশবাসী সেই স্বপ্নে বিভোর!

"আমরা করব জয়!"



প্লেইলিস্ট


রেফরেন্স

৯৭ এ আমাদের শুরু

Friday, February 7, 2014

গণজাগরণ মঞ্চের প্রথম বর্ষপূর্তি

গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন আমাদের দেখিয়েছে, আমরা একাত্তরের মতোই বারবার জাগতে পারি। গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন আমাদের দেখিয়েছে, দেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে অহিংসভাবে যে কোন ন্যায্য দাবি আমরা আদায় করে নিতে পারি।

রানা প্লাজা ধ্বসে আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ানো আর সাম্প্রদায়িক হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ ছিল প্রশংসনীয়।

স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সকল অন্যায়, অবিচার, দুর্নীতি, অনিয়মের বিরুদ্ধে অহিংস এবং সৃজনশীল কর্মসূচীর মাধ্যমে প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর হিসেবে আমরা গণজাগরণ মঞ্চকেই দেখতে চাই।

প্রথম বর্ষপূর্তিতে গণজাগরণ মঞ্চ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন।

আরও

Tuesday, February 4, 2014

Gamifying The Process Of Achieving Goals

Introducing game mechanics into the process of achieving goals.
  1. Determine the Goal. 
    • Typical Goals:
      • Life Objectives.
      • Compete. Compare yourself to others. Beat others! You don’t have to take part in a competition. You might just figure out what a person is good at and try to be better than him / her. In the process become better at something. 
      • How do I build that product. What are the skills I need to master. How do I build everything that company has ever built. 
  2. Creative Visualization + Faith
    • Creative Visualization:
      • Visualization and Appreciation of how it feels like to turn the goal into reality.
    • Faith:
      • Strong belief that the goal is very much within reach. You can almost see how to achieve it. 
        • Go through your past successes and accomplishments. 
    • Now you have a burning desire to achieve the goal?
  3. Think backwards from the goal to present situation and find out requirements that lead you to the goal. 
    • Make a plan. 
    • Make a list of sub-goals that lead you to the main goal.
  4. Start working. 
    • Measure how much you have achieved and how much closer you are to the goal at regular time intervals. Use them as feedback. Success, progress pushes you just as getting closer to your desired goal does. 
    • Make the whole process similar to the games you have played. Suppose, you are playing a game, and you have earned say, 70 points (Yay!) and you need 30 more (pretty close!) to reach the next level. Exciting, huh?
  5. Use feedback to your advantage.
    • Hey, that part is taking me too long to finish. What can I do to make things faster? 
    • In the process, become a master. 
  6. Associate positive feelings with the task at hand.
    • Feel happy while you are doing it. Feel happy when you think of it.
  7. Go back to step 2 whenever you need little bit of extra motivation.