১.
ছোটবেলায় (২০০২/০৩ হবে, যখন তাহসিন কাঁধে ব্যাগ নিয়ে স্কুলে যেত) রম্য ম্যাগাজিন আলপিনে একটা গল্প পড়েছিলাম!
এভাবে আর কতদিন?
২.
আজ ২৩ মার্চ। পতাকা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে সারা বাংলাদেশ জুড়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়েছিল।
মুক্তিযুদ্ধের সময়কার স্বাধীন বাংলা সংগ্রাম পরিষদের অবিসংবাদিত নেতা নুরে আলম সিদ্দিকী বঙ্গবন্ধুর হাতে পতাকা তুলে দিয়েছিলেন।
তিনি বলেছেন, "বঙ্গবন্ধু মানুষকে ভালবাসা দিয়ে সম্মান দিয়ে কাছে টানতেন কিন্তু (বর্তমান নেতৃত্ব) জানে কেমন করে প্রদীপ্ত প্রতিভাকে দমিয়ে রাখা যায়।
বঞ্চিত মানুষের বিজয় হবেই - কেউ রুখতে পারবে না।"
বাংলাদেশের বঞ্চিত মানুষ অবশেষে জেগে উঠেছে। আমরা এবার বিজয় দেখার অপেক্ষায়।
ছোটবেলায় (২০০২/০৩ হবে, যখন তাহসিন কাঁধে ব্যাগ নিয়ে স্কুলে যেত) রম্য ম্যাগাজিন আলপিনে একটা গল্প পড়েছিলাম!
গল্পটা মোটামুটি এরকম।
একটা ছেলেকে স্কুলে টিচার হোমওয়ার্ক দিয়েছে - “রাজনীতি কি” শিখে আসতে।
সে বাসায় ফিরে বাবাকে জিজ্ঞেস করল, বাবা, রাজনীতি কি?
বাবা ভেবে বললেন, উদাহরণ দিয়ে বোঝাই। আমাদের বাসায় আমি টাকা রোজগার করে আনি। আমি হচ্ছি “পুঁজিপতি” শ্রেণী। তোমার মায়ের কথামত সবকিছু চলে। তোমার মা হচ্ছে “সরকার”। তুমি আমাদের কথামত চল। তুমি হচ্ছ “জনগণ”। আমাদের বাসায় যে ছেলেটা কাজ করে ও হচ্ছে “শ্রমিক শ্রেণী”। আর তোমার ছোট ভাই হচ্ছে “ভবিষ্যৎ প্রজন্ম”।
তুমি সবার মাঝে সম্পর্কগুলো বোঝার চেষ্টা কর। তাহলেই “রাজনীতি কি” বুঝতে পারবে।
ছেলেটা এতটুকু জেনে দুপুরে ঘুমাতে গেলো।
হঠাত ছোট ভাইয়ের কান্না শুনে ঘুম ভেঙে গেলো।
ঘুম থেকে উঠে দেখল, ছোট ভাইটা বিছানায় বাথরুম করে ফেলেছে। কাজেই সে মা কে ডাকতে গেলো।
দেখা গেলো, মা নাক ডেকে ঘুমাচ্ছেন। বাবা নেই।
এবার সে বাবাকে ডাকতে গেলো।
অনেক খুঁজে দেখা গেলো, বাবা রেগে কাজের ছেলেটাকে মারছেন।
ছেলেটা আর কি করবে। নিজের রুমে ফিরে এলো।
বিকেলে নাস্তার টেবিলে আবার বাবা ছেলের দেখা।
এবার ছেলে বলল, বাবা, “রাজনীতি কি” আমি বোধহয় বুঝতে শুরু করেছি।
বাবা বললেন, কি বুঝলে বল।
ছেলে বলল, যখন “পুঁজিপতি শ্রেণী” “শ্রমিক শ্রেণী”র উপর অত্যাচার চালায়, “সরকার” তখন নাক ডেকে ঘুমায়। “জনগণ” সবকিছু দেখেও না দেখার ভান করে। আর আমাদের “ভবিষ্যৎ প্রজন্ম” আছে খুব খারাপ একটা জায়গায়। এই হচ্ছে রাজনীতি।
আমি রাজনীতির এই গল্পটা সুযোগ পেলেই সবাইকে বলতাম।
যা বলা হত না তা হল, আমাদের দেশের রাজনীতির অবস্থা আরও খারাপ - সরকার সরকারি দায়িত্ব পালনের মাঝে নিজেদের সীমাবদ্ধ না রেখে একইসাথে পুঁজিপতি শ্রেণীর ভূমিকা নিয়ে শ্রমিক শ্রেণীর উপর অত্যাচার চালাচ্ছে। দুর্নীতিতে সর্বোচ্চ স্থান নিয়ে আমাদের দেশের খেটে খাওয়া মানুষের মাথা নিচু করেছে।
জনগণ এতদিন "সবকিছু দেখেও না দেখার ভান" করছিল।
একটা ছেলেকে স্কুলে টিচার হোমওয়ার্ক দিয়েছে - “রাজনীতি কি” শিখে আসতে।
সে বাসায় ফিরে বাবাকে জিজ্ঞেস করল, বাবা, রাজনীতি কি?
বাবা ভেবে বললেন, উদাহরণ দিয়ে বোঝাই। আমাদের বাসায় আমি টাকা রোজগার করে আনি। আমি হচ্ছি “পুঁজিপতি” শ্রেণী। তোমার মায়ের কথামত সবকিছু চলে। তোমার মা হচ্ছে “সরকার”। তুমি আমাদের কথামত চল। তুমি হচ্ছ “জনগণ”। আমাদের বাসায় যে ছেলেটা কাজ করে ও হচ্ছে “শ্রমিক শ্রেণী”। আর তোমার ছোট ভাই হচ্ছে “ভবিষ্যৎ প্রজন্ম”।
তুমি সবার মাঝে সম্পর্কগুলো বোঝার চেষ্টা কর। তাহলেই “রাজনীতি কি” বুঝতে পারবে।
ছেলেটা এতটুকু জেনে দুপুরে ঘুমাতে গেলো।
হঠাত ছোট ভাইয়ের কান্না শুনে ঘুম ভেঙে গেলো।
ঘুম থেকে উঠে দেখল, ছোট ভাইটা বিছানায় বাথরুম করে ফেলেছে। কাজেই সে মা কে ডাকতে গেলো।
দেখা গেলো, মা নাক ডেকে ঘুমাচ্ছেন। বাবা নেই।
এবার সে বাবাকে ডাকতে গেলো।
অনেক খুঁজে দেখা গেলো, বাবা রেগে কাজের ছেলেটাকে মারছেন।
ছেলেটা আর কি করবে। নিজের রুমে ফিরে এলো।
বিকেলে নাস্তার টেবিলে আবার বাবা ছেলের দেখা।
এবার ছেলে বলল, বাবা, “রাজনীতি কি” আমি বোধহয় বুঝতে শুরু করেছি।
বাবা বললেন, কি বুঝলে বল।
ছেলে বলল, যখন “পুঁজিপতি শ্রেণী” “শ্রমিক শ্রেণী”র উপর অত্যাচার চালায়, “সরকার” তখন নাক ডেকে ঘুমায়। “জনগণ” সবকিছু দেখেও না দেখার ভান করে। আর আমাদের “ভবিষ্যৎ প্রজন্ম” আছে খুব খারাপ একটা জায়গায়। এই হচ্ছে রাজনীতি।
আমি রাজনীতির এই গল্পটা সুযোগ পেলেই সবাইকে বলতাম।
যা বলা হত না তা হল, আমাদের দেশের রাজনীতির অবস্থা আরও খারাপ - সরকার সরকারি দায়িত্ব পালনের মাঝে নিজেদের সীমাবদ্ধ না রেখে একইসাথে পুঁজিপতি শ্রেণীর ভূমিকা নিয়ে শ্রমিক শ্রেণীর উপর অত্যাচার চালাচ্ছে। দুর্নীতিতে সর্বোচ্চ স্থান নিয়ে আমাদের দেশের খেটে খাওয়া মানুষের মাথা নিচু করেছে।
জনগণ এতদিন "সবকিছু দেখেও না দেখার ভান" করছিল।
এভাবে আর কতদিন?
২.
আজ ২৩ মার্চ। পতাকা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে সারা বাংলাদেশ জুড়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়েছিল।
মুক্তিযুদ্ধের সময়কার স্বাধীন বাংলা সংগ্রাম পরিষদের অবিসংবাদিত নেতা নুরে আলম সিদ্দিকী বঙ্গবন্ধুর হাতে পতাকা তুলে দিয়েছিলেন।
তিনি বলেছেন, "বঙ্গবন্ধু মানুষকে ভালবাসা দিয়ে সম্মান দিয়ে কাছে টানতেন কিন্তু (বর্তমান নেতৃত্ব) জানে কেমন করে প্রদীপ্ত প্রতিভাকে দমিয়ে রাখা যায়।
বঞ্চিত মানুষের বিজয় হবেই - কেউ রুখতে পারবে না।"
বাংলাদেশের বঞ্চিত মানুষ অবশেষে জেগে উঠেছে। আমরা এবার বিজয় দেখার অপেক্ষায়।
No comments:
Post a Comment