Monday, March 24, 2014

নাগরিক শক্তির প্রতীক্ষায় তরুণ প্রজন্ম - ২

তরুণদের মত প্রকাশের মাধ্যম 

৯৫.১৫% তরুণ মনে করেন - বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্ব পূর্ণ সিধান্তে তরুণদের মতামত গুরুত্ব দেওয়া উচিত।৮১.৭৬% তরুণ মনে করেন - বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্ব পূর্ণ সিধান্তে তরুণদের মতামত গুরুত্ব দেওয়া হয় না। ৯১% তরুণ মনে করেন - তরুণদের মতামত জানার ও জানানোর যথোপযুক্ত মাধ্যম বাংলাদেশে নেই।



“৫ বছর পর পর নির্বাচন কিভাবে হবে তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে মতভেদ আছে। তরুণরা কি চাই - তা নিয়ে কারও মাথাবাথা নেই। প্রকাশ করার কোন মঞ্চ নেই।”

“নির্বাচন তরুণদের মতামত প্রকাশের একটা মাধ্যম। নির্বাচন যদি ঠিকভাবে না হয়, সবাই যদি participate না করে তরুণদের মতামত উপেক্ষিত হল।”
প্রচলিত রাজনীতি 

“মূল সমস্যা আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি। আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি কখনই একবিংশ শতাব্দীর রাজনৈতিক সংস্কৃতি না।”

“ভোটের সময় আমাদের তরুণদের মনে করা হয় দ্রুত গতির ইন্টারনেট আর সহজ লভ্য সার্টিফিকেট দিয়ে কিনে ফেলা যাবে।” 

"আমি নিজেও একসময় রাজনীতিতে বিশ্বাস করতাম না। রাজনীতিকে গালাগালি করতাম, ঘেন্না করতাম। কিন্তু খুব recently আমিও নিজস্ব উপলব্ধি থেকে মানুষের জন্য কিছু করার জন্য Politics এর সাথে কিছুটা হলেও involved হয়েছি।”
মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে বাঁধা

“কোন কিছুর দোহাই দিয়ে হোক, সংবিধানের দোহাই দিয়ে হোক আমাদের বাঁধা আছে।”


[‘কোনো ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যাহা মিথ্যা ও অশ্লীল, বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেহ পড়িলে, দেখিলে বা শুনিলে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হইতে উদ্বুদ্ধ হইতে পারেন, অথবা যাহার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র বা ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করিতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উস্কানি প্রদান করা হয়, তাহা হইলে তাহার এই কার্য হইবে একটি অপরাধ।’
কোনো ব্যক্তি এমন অপরাধ করলে ‘তিনি অনধিক ১৪ বৎসর এবং ন্যূনতম সাত বৎসর এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।’ এ ধরনের আইন কোনো দেশে বলবৎ থাকলে সে দেশের নাগরিকেরা, বিশেষত ইলেকট্রনিক সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কতটা স্বাধীনতা ভোগ করতে পারে? এমন আইন যে সরকার প্রণয়ন ও বলবৎ করে, সেটা কেমন সরকার?] 




“তরুণ কোন representative নেই। আমি যদি আমার বাবা বা মাকে বলতে যাই, বাবা মা আমি Politics করবো, আমার বাবা মা আঁতকে উঠবেন।” 

“মতামত প্রকাশের চ্যানেলগুলো তৈরি হয় democratic society তে। মনে রাখতে হবে আমাদের একটা গনতান্ত্রিক সমাজ আছে কিনা।”

“তরুণরা যা চাই, আমাদের যারা বৃদ্ধ - মনের দিক দিয়ে - তারা এটাকে সহজে মেনে নেবেন না। তাদের যে existing system তাতে আমাদের বাঁধা থাকবে নিজেদের express করার। তাই আমাদের unorthodox way ব্যবহার করতে হয়।”




তরুণদের সাফল্য

“স্বাধীনতার সময় থেকে ছাত্রছাত্রীদের অবদান আছে। কিন্তু আমাদের এখন সেই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। সুযোগ দেওয়া হলে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের অবদান আরও গুরুত্ব পূর্ণ হতে পারে।”

“তরুণদের কারনেই আজকে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির রায় কার্যকর হয়েছে। এক্ষেত্রে আমরা সফল।”

“ব্লগ, সোশ্যাল নেটওয়ার্ক আছে। Organized way তে গণজাগরণ মঞ্চ করে দেখিয়ে দিয়েছে কি সম্ভব।”




তরুণরা innovation পছন্দ করেন, নতুন কিছু চান

“একটা চেতনা আসা দরকার আমরাও কিছু করতে পারি। আমরা যতই ব্লগ করি, ফেইসবুকিং করি, At the end of the day আমাদের একটা প্লাটফরমে আসতে হবে। আমাদের রাজনীতিতে যেতে হবে শেষ পর্যন্ত একটা innovative কিছু করার জন্য। আমরা যতদিন না রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেব, আমরা যে পরিবর্তনটা চাই বাংলাদেশের জন্য সেই পরিবর্তনটা আনা সম্ভব না।”

“তরুণরা এখন innovative কিছু চায়। innovative কিছু চিন্তা ধারা তারা প্রকাশ করতে চায় এবং তারা চাই যে একটা different কিছু হোক দেশের মধ্যে। দেশটা যাতে সুন্দরভাবে এগিয়ে যায়। কিন্তু তাদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না কারণ পুরনোরা ভাবে তাতে আগের মত দেশ চলবে না।”



তরুণরা মতামত প্রকাশের জন্য নাগরিক সমাজের অংশ হতে চান 

সিভিল সোসাইটি তে তরুণদের অংশগ্রহণ সিভিল সোসাইটির ভুমিকাকে আরও অর্থবহ করে তুলতে পারে - ৯৭%।

“অভিজ্ঞ যারা সিভিল সোসাইটিতে আছেন তারা যদি তরুণদের আনেন - তাহলে তরুণরা সিভিল সোসাইটির অংশ হিসেবে মতামত প্রকাশ করতে পারবে।”

“বাংলাদেশে সুশীল সমাজের সদস্য হতে হলে একটু বয়স্ক হতে হবে, অভিজ্ঞ হতে হবে - ধারণাটা তৈরি হয়ে আছে। আসলে নাগরিক সমাজের যে ধারণা পুজিবাদি সমাজে তৈরি হয়েছে সেটি আসলে মতামত প্রকাশের চ্যানেল তৈরি হওয়া। এখানে আসলে বৃদ্ধ - যুবক এরকম কোন identity নেই। সিভিল সোসাইটির সদস্যরা গোষ্ঠীবদ্ধ হয়ে মতামত প্রকাশ করতে পারেন। কিন্তু তরুণরা সেই নাগরিক সমাজের অংশ হয়ে মতামত জানাতে পারবে তার প্রধান প্ল্যাটফর্ম ছিল ছাত্র ইউনিয়নগুলো। যতদিন পর্যন্ত না ছাত্র ইউনিয়নগুলো নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে পারবে ততদিন পর্যন্ত তরুণরা তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারবে না।”

“তরুণ প্ল্যাটফর্মের অংশ হিসেবে তরুণরা নাগরিক সমাজে অংশগ্রহণ করতে পারে।”

“নাগরিক সমাজের একটা existing প্লাটফর্ম আছে, কিন্তু তরুণদের মতামত জানানোর প্লাটফর্ম নেই।”

“নাগরিক সমাজের অনুষ্ঠানগুলোতে কোন তরুণকে দেখা যায় না।”

“নাগরিক সমাজের মূল ব্যাপার হল - নাগরিক মতামত তৈরি হওয়ার প্ল্যাটফর্ম তৈরি হওয়া। মূল ব্যাপার হল, নগরের লোকজন তাদের মতামতটা রাজনৈতিক পাইপ লাইনে দিতে পারছে কিনা।”




মত প্রকাশের নতুন মাধ্যম

“আমাদের তরুণদের মত প্রকাশের প্ল্যাটফর্ম নেই। আমরা অনলাইনে আক্টিভ হচ্ছি।”

“ব্লগের মত আমাদের যেন একটা প্ল্যাটফর্ম থাকে - ওখানে গিয়ে আমরা দাবি দাওয়া জানাতে পারবো।”

“মিডিয়াতে তরুণদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর সুযোগ করে দিতে হবে।”

“তরুণদের আরও competent হতে হবে, আরও জানতে হবে, সজাগ হতে হবে।”

“তরুণরা এখন volunteering করছে বিভিন্ন Organization এর সদস্য হিসেব। সরকার যদি এসব Organization কে recognize করে তাহলেও Platform তৈরি হবে।”

“Politics is all about Power. And power comes from Organization. তাই আমার suggestion হবে তরুণরা যত দ্রুত সম্ভব বিভিন্ন মাধ্যমে যাতে সংগঠিত হয়। তাহলে তারা তাদের মতামতকে সবার কাছে পৌঁছে দিতে পারবে।"  

“আমাদের Structured Organized একটা প্লাটফর্ম দরকার। আমাদের আরও elementary level থেকে grow up করতে হবে।”

“Participation দুইভাবে হয়- formal ভাবে আর informal ভাবে। formal ভাবে বলতে যে democratic institution গুলো আছে। আরেকটা হচ্ছে থানা ভিত্তিক, জেলা ভিত্তিক, পেশা ভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তৈরি করে নেওয়া।

৩য় বিশ্বে জনগণ তাদের মতামত জানায় ethnic group এর মাধ্যমে। ethnic group গুলো কোন একটা কিছুর reaction হিসেবে তাৎক্ষনিক ভাবে সৃষ্টি হয়। হাজার হাজার লাখ লাখ জনতা ঐক্য বদ্ধ হয়। এটা তৃতীয় বিশ্বে একটা common phenomena.

ডেভেলাপড দেশগুলোতে তরুণরা মতামত দিচ্ছে - তাদের identity ভিত্তিক গোষ্ঠীর মাধ্যমে। সরকারকে বাধ্য করছে - যে না তুমি আমার স্বার্থ লঙ্ঘন করতে পারো না। তরুণরা যতদিন না গোষ্ঠীবদ্ধ হবে ততদিন তরুণরা আবাল বৃদ্ধ বনিতার মত Justice থেকে বঞ্চিত হবে।”

“গণতন্ত্রমুখী সমাজ না হলে তরুণরা কেন, বৃদ্ধরাও পলিসি মেইকিং এ অংশ নিতে পারবে না।”

“প্রত্যেক মন্ত্রী বা ওই পর্যায়ের কারও under এ তরুণ একজন representative থাকতে হবে। তাতে আমাদের চিন্তা ভাবনার reflection থাকবে।”

“রাজনৈতিক নেতাদের available Mail ID থাকা উচিত যেখানে আমরা আমাদের বক্তব্য পৌঁছে দিতে পারবো।”

“আদিবাসী বা সংখ্যালঘুদের উপর যখন আক্রমণ হয় তখন কিছু কিছু Organization আছে যারা আমাদের সাপোর্ট করে।”  

“ফেইসবুকে কেউ যখন একটা স্টেইটাস দিচ্ছে, তখন নিজের তাড়না থেকেই দিচ্ছে। আমরা নতুন নতুন এভিনিউ তৈরি করতে পারি মত প্রকাশের জন্য।”


No comments:

Post a Comment