Friday, September 12, 2014

কৃষিতে নবজাগরণ

কৃষিতে নবজাগরণ ঘটানোর লক্ষ্যে 
 
  • দেশেই উদ্ভাবিত এবং উৎপাদিত হবে নতুন নতুন কৃষি প্রযুক্তি। প্রযুক্তি ব্যবহার করার ফলে  কৃষকের উৎপাদনশীলতা বাড়বে। কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে একজন কৃষক অনেক বড় জমি চাষ করতে পারবেন। উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির সাথে বাড়বে কৃষকের আয়। 
    • উৎপাদনশীলতা  বাড়ার ফলে কৃষকের চাহিদা কমে যাওয়ায় কৃষকরা শহরে শিল্প কারখানা বা ব্যবসার দিকে মনোনিবেশ করবেন।
    • মাত্র কয়েক বছর আগের চিত্র ছিল - দেশের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ মানুষ পেশায় কৃষক এবং তারা মোট জিডিপির (দেশে উৎপাদিত মোট পণ্য ও সেবার) ৫ ভাগের ১ ভাগ উৎপন্ন করেন। গত কয়েকবছরে গার্মেন্টস শিল্প এবং প্রবাসে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে অবস্থা পাল্টেছে। কৃষকের সংখ্যা কমেছে। তারপরও দেশে উৎপাদিত মোট পণ্য ও সেবার সিংহভাগ উৎপন্ন করেন - এরাই:
      • কৃষক
      • গার্মেন্টস শ্রমিক (মোট রপ্তানি ২২ বিলিয়ন ডলারের বেশি, পাশাপাশি দেশের বস্ত্রের চাহিদা মেটানো; দেশের মোট জিডিপি ১৮০ বিলিয়ন ডলারের মত; পিপিপি হিসেবে জিডিপি ৩০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি;)
      • প্রবাসীকর্মী    
    • আমাদের এখন Knowledge Based Economy (জ্ঞান ভিত্তিক অর্থনীতি) র দিকে যাওয়ার সময় এসেছে।




কৃষি প্রযুক্তি




  • তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কৃষি পণ্য সরাসরি কেনাবেচা এবং মোবাইল কমার্স প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা হবে যাতে মধ্যভোগীর (Middleman) এর প্রয়োজন না পড়ে এবং কৃষক সরাসরি ন্যায্যমূল্যে শস্য এবং কৃষি ফসল বিক্রি করতে পারেন। 


  • ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে দেশের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় আনা হবে। যেমন আমাদের দেশের গার্মেন্টস শিল্পের প্রয়োজনীয় তুলা বিদেশ থেকে বেশি দামে আমদানি করা হয়। আমরা নিজেরাই যদি প্রয়োজনীয় তুলা উৎপন্ন করতে পারতাম - তাহলে গার্মেন্টস শিল্পের খরচ কমে যেত - যা গার্মেন্টস শিল্পের বিকাশে সহায়ক হত। 
    • কিছুদিন আগে এমনই একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যেসব জমিতে তামাক উৎপাদিত হত - সেসব জমিতে তুলা উৎপাদনের জন্য প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।

  • উচ্চ ফলনশীল জাতের ফসল উৎপাদনের জন্য দেশে কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা হবে।  
    • Biotechnology তে আমাদের সম্ভাবনা উজ্জ্বল। আমাদের ড. মাকসুদ আলম [1] দেশী বিজ্ঞানী - ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে পাটের জীবন রহস্য উন্মোচন (DNA sequence) [2] করেছেন। এতটুকুতে আমাদের বসে থাকলে চলবে না। সেই জ্ঞান ব্যবহার করে প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহনশীল এবং পোকামাকড়ের আক্রমণ প্রতিরোধী উচ্চ ফলনশীল পাট এবং অন্যান্য ফসল উদ্ভাবনের দিকে যেতে হবে। Functional Genomics নিয়ে দেশেই গবেষণা হবে। 
    • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের Genetic Engineering and Biotechnology Department গুলোতে কিন্তু দেশের সেরা শিক্ষার্থীরাই ভর্তি হন। Biotechnology র জন্য প্রয়োজনীয় Bioinformatics [3] এর কাজ আমাদের Computer Science and Engineering graduate রা-ই করবেন। প্রত্যেককে নিজেকে আরও ভালভাবে গড়ে তুলে বড় challenge নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে হবে! 


References
  1. Professor Dr. Maqsudul Alam 
  2. Bangladeshi scientists decode genome of jute variety 
  3. Bioinformatics

No comments:

Post a Comment