Friday, September 26, 2014

নাগরিক ঐক্যের আলোচনা সভা - সমাবেশ - উদ্যোগ (26.09.14)


  • সবকিছুকে Black and White হিসেবে দেখা, Stereotyping করা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে - এ ভালো, ও খারাপ; সে আওয়ামী লীগ, ও বিএনপি।

প্রত্যেকটা মানুষের বাহ্যিক লক্ষ্য, মূল্যবোধ যত differ করুক না কেন - internally সবাই একই। সবার ভেতরেই আবেগ, প্রেরণা, স্বপ্ন আছে।

কেউ আওয়ামী লীগারদের সাথে থাকার কারণে আওয়ামী লীগ করে, কেউ বিএনপি। কেউ চিকিৎসক হতে চায়, কেউ হতে চায় Entrepreneur. কিন্তু ভেতরে সবাই একই।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল - প্রত্যেকের প্রেরণা, স্বপ্ন, মূল্যবোধ পরিবর্তন করা যায়।

পরিবর্তন করার জন্য প্রত্যেককে বুঝতে হবে, তার দৃষ্টিকোণ থেকে জগতটাকে দেখতে হবে।

আমার দৃষ্টিতে এটা ভালো, ওটা খারাপ। কিন্তু ওর দৃষ্টিতে এটা খারাপ, ওটা ভালো। নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে - কেন ও এভাবে ভাবে?

একসময় সেও তোমার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে জগতটাকে দেখবে।

সে যদি তোমার দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করে - তার প্রেরণা, স্বপ্ন, মূল্যবোধ পরিবর্তন হবে।

কিংবা এমন ও তো হতে পারে - তোমার view টাই ভুল। ওকে যুক্তি দিয়ে ওর view প্রতিষ্ঠিত করার সুযোগ দাও। Open Mind নিয়ে ওর কথা শোন। তোমার নিজের viewpoint এর অনেক ব্যাপার - যা তোমার কাছেই clear ছিল না (তোমার মতের সাথে মিলে এমন কারও কাছ থেকে শুনে তুমি যুক্তি ছাড়াই গ্রহণ করেছ) - clear হবে।

প্রথম প্রথম আমি শুনতাম - "অমুক" নেতা বিএনপির একেবারে আসল মানুষ, অমুক আওয়ামী লীগের। কেউ কেউ আসলেও উনি আসবেন না। কিন্তু আমি প্রথম থেকেই জানি, আমি সবাইকে আমার কাছে আনতে পারবো।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ - সবকিছুকে Black and White হিসেবে দেখা, Stereotyping করা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।







  • আমাদের দেশের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক আনিসুল হকের রাজনৈতিক কলামের নাম "অরণ্যে রোদন", অর্থাৎ "বৃথা আবেদন"

আমরা এমন একটি দেশ গড়তে চাই, যে দেশে কারও সুচিন্তিত আবেদন "বৃথা" যাবে না।

আমরা এমন একটি দেশ গড়তে চাই, যে দেশে লেখক আনিসুল হকদের কলামের নাম জনগণের "আশা", "স্বপ্ন" কে ধারণ করবে।



  • মানুষ যেভাবে উপন্যাসের নায়ক হিসেবে নিজেকে কল্পনা করে বড় কোন পরিবর্তন নিয়ে আসে বা কম্পিউটার গেইম খেলে বড় কোন মিশনে অংশ নেওয়ার স্বাদ পায় - আমি সেই Experiences বাস্তব জীবনে নিয়ে আসবো।

বড় কোন লক্ষ্যকে স্বপ্ন হিসেবে নির্ধারণ করে সেই লক্ষ্যের দিকে এগুনোর মাঝে - মানুষ জীবনে পূর্ণতার স্বাদ পায়।

এই Mental State কে Mihaly Csikszentmihalyi তাঁর বইতে উল্লেখ করেছে "Flow" (The Psychology of Optimal Experience) হিসেবে।

আমি এমন সব System গড়ে দেবো, Guidance দেবো - যাতে সবাই বড় কোন লক্ষ্যকে স্বপ্ন হিসেবে নির্ধারণ করে সেই লক্ষ্যের দিকে এগুতে পারে। জীবনে আনন্দ এবং পূর্ণতার স্বাদ পায়।


রেফরেন্স


গণজাগরণ মঞ্চ

  • এখন গণজাগরণ মঞ্চের দায়িত্ব হবে মঞ্চের কার্যক্রমকে ধরে রাখা। সবাইকে উজ্জীবিত রাখা। কিছুদিন পর আমি সবাইকে নামিয়ে দেবো। ২০১৩ র চেয়েও অনেক বড় আন্দোলন হবে।
  • মানবতাবিরোধী অপরাধীদের প্রাপ্য বিচার নিশ্চিত করা, একাত্তরে ভূমিকার জন্য জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করা - গণজাগরণ মঞ্চের মূল দাবি।

যাদের ভুল পথ দেখানো হয়েছে, স্বাধীনতার সময় যাদের জন্মই হয়নি - তাদের সামনে প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। তাদের সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে হবে।

যুদ্ধে দুই দেশের "অস্ত্রধারী"দের মাঝে যুদ্ধ হতে পারে - এতে হতাহতের ঘটনাও ঘটতে পারে। কিন্তু যুদ্ধে "নিরস্ত্র" মানুষকে হত্যা করা আইনের চোখে অপরাধ - এটা যুদ্ধাপরাধ, আবার এটা মানবতাবিরোধী অপরাধ। ৩০ লক্ষ নিরপরাধ, নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করা - কত বড় অপরাধ। ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকেও Collateral damage হারাম - নিরপরাধ, নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করা যায় না। মহানবী মুহাম্মদ (স:) বলেছেন, যে বেক্তি একজন নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করলো, সে সমগ্র মানবজাতিকে হত্যা করলো।

  • পাশাপাশি, মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা এবং সংবিধানের মূল চেতনাগুলো সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে হবে। 
  • শিক্ষা, অর্থনীতিসহ জাতীয় বিভিন্ন সমস্যা, ভবিষ্যতের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে হবে (মঞ্চ সংশ্লিষ্ট কারও কারও লেখা আমার কাছে এসেছে)। 
  • গনজাগরণ মঞ্চ প্রথম থেকেই যা করে আসছে - সবার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া - 
    • রানা প্লাজা ধ্বসে আহতদের পাশে 
    • নির্বাচনী হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের পাশে 
    • বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্যে ত্রাণ সরবরাহ
- অব্যাহত রাখতে হবে।

গণজাগরণ মঞ্চ জনকল্যাণমূলক উদ্যোগে এখন আরও বেশি মানুষকে পাশে পাবে।

  • গণজাগরণ মঞ্চের কিছু নিষ্ঠাবান সংগঠক - সমর্থক ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আমাদের সাথে যোগ দিতে পারছেন না - সরকারি দলের কিছু নেতার প্ররোচনায়।

সকল বাঁধা অতিক্রম করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমি সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানাই।




"গণজাগরণ মঞ্চের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

পূজা ও ঈদের পর মঞ্চের একাধিক কর্মসূচি মধ্যে রয়েছে,

১৯ অক্টোবর আইন মন্ত্রণালয়ের দিকে পদযাত্রা।

১৪-১৫ নভেম্বর সারাদেশের গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের নিয়ে জাতীয় কনভেনশন।

১৩ নভেম্বর পর্যন্ত কনভেনশনের প্রচারণার জন্য জাগরণ যাত্রা।

এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার।

শুক্রবার বিকেলে শাহবাগে ‘যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি আর জামায়াত শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ’ করার দাবিতে আয়োজিত এক সমাবেশে এ নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেন তিনি।

এ সময় গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার মন্তব্য করেন, যুদ্ধাপরাধীদের রায় পরিবর্তনের মাধ্যমে সরকার যে রাজনীতি শুরু করেছে তাতে সুস্পষ্টভাবে তারা জামায়াতের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

সমাবেশে ভাষ্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী বলেন, লাখ লাখ শহীদ পরিবার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য অপেক্ষা করছে। যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির মাধ্যমে জাতিকে অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে হবে।

এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উদীচীর সহ-সাধারণ সম্পাদক জামশেদ আনোয়ার তপন, ডাকসুর সাবেক জিএস মোস্তফা হোসেন, রাকসুর সাবেক ভিপি রাগিব হাসান, ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লাকি আক্তার প্রমুখ।"

 













"গুম, খুনের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন রাজনীতিবিদ ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। 
আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন আবদুল্লাহ আল নোমান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের সভাপতি আবদুল হাই শিকদার, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, এনডিপির একাংশের চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মর্তুজা, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সুকোমল বড়ুয়া, ওয়াদুদ ভূঁইয়া, স্বাধীনতা প্রজন্ম বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়ক এস এম সায়মন কামালী প্রমুখ।"


No comments:

Post a Comment