Thursday, September 25, 2014

নাগরিক ঐক্যের আলোচনা সভা - সমাবেশ - উদ্যোগ (25.09.14)

  • তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নাগরিক ঐক্য দেশের আপামর জনসাধারণকে নিয়ে অহিংস কিন্তু শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলবে।

গণজাগরণ মঞ্চের মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের প্রাপ্য বিচার আমরা নিশ্চিত করেছিলাম। তারই ধারাবাহিকতায় গণমানুষের প্রতিটি দাবিদাওয়া অহিংস এবং শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে আদায় করা হবে।



"আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, দেশে যারা গুম-খুনের রাজনীতি করছে তারা আমাদের কাছে অদৃশ্যমান নয়, দৃশ্যমান। সুতরাং তাদের বিচার একদিন হবেই।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে স্বাধীনতা প্রজন্ম বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় সংসদ আয়োজিত ‘গুম রাজ্যে প্রত্যাবর্তন-গণতন্ত্রের শবযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এই সিনিয়র নেতা বলেন, অবৈধ সরকার নিজেদের স্বার্থে আইন করছে বেআইনীভাবে সংসদে বসে। তারা কোনোভাবেই আইন প্রণয়নের ক্ষমতা রাখে না। কারণ তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নন।
তিনি বলেন, ইতিহাস বলে জনগণের আন্দোলনের কাছে সবকিছুই পরাজিত হয়। আগামীতেও পরাজিত হবে বলে আমি মনে করি। আর সে জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারের বিরুদ্ধে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। দেশের সুশীল সমাজের সবাইকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, দেশের এই গুম-খুন সব সরকারের আমলেই হয়েছে। এটা বিএনপি অস্বীকার করতে পারবে না।"




  • সর্বজন শ্রদ্ধেয় মুক্তিযুদ্ধের ডেপুটি চীফ অফ স্টাফ এয়ার ভাইস মার্শাল (অব:) এ কে খন্দকারকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে কথা দিয়ে আঘাত করা - আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে আঘাত করার শামিল।

শুধুমাত্র একজন নিচু মনের ব্যক্তির পক্ষেই এই ধরণের কাজ করা সম্ভব।


যখন আমি দেখি এয়ার ভাইস মার্শাল এ.কে. খন্দকারকে তীব্র ভাষায় শুধু সমালোচনা নয়, অপমানের চেষ্টা করা হচ্ছে, তখন সেটি আমাকে তীব্রভাবে আহত করে। যারা তাঁকে নানাভাবে অপমান করার চেষ্টা করছেন তারা কী বুঝতে পারছেন না, এভাবে আসলে আমরা শুধু আমাদেরই নিজেদেরকেই না, আমরা মুক্তিযুদ্ধকেও অপমান করছি? তাঁর অবদানকে খাটো করে দেখার চেষ্টা করছি? - See more at: http://www.priyo.com/blog/2014/09/26/109165.html#sthash.mQhTBYOV.dpuf

"বাংলাদেশে ভবিষ্যতে নিশ্চয়ই নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী কিংবা সাহিত্যিক হবে, ফিল্ড মেডেল বিজয়ী গণিতবিদ হবে, অস্কার বিজয়ী চিত্রপরিচালক হবে, অলিম্পিক স্বর্ণবিজয়ী দৌড়বিদ হবে, ওয়ার্ল্ডকাপ বিজয়ী ক্রিকেট টিম হবে, এমনকী মহাকাশ বিজয়ী মহাকাশচারী হবে, কিন্তু আর কখনোই মুক্তিযোদ্ধা হবে না! এই সম্মানটুকু সৃষ্টিকর্তা যাদের জন্যে আলাদা করে রেখেছেন শুধু তারাই তার প্রাপ্য, অন্যেরা নয়।

মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আমার ভেতরে এখন গভীর ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা।

তাই যখন আমি আবিষ্কার করেছি একটি বইয়ের বিষয়বস্তুর কারণে এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকারকে অপমান করার চেষ্টা করা হচ্ছে, তখন বিষয়টি আমাকে গভীরভাবে আহত করেছে। এ কে খন্দকার শুধু একজন মুক্তিযোদ্ধা নন, তিনি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ডেপুটি চীফ অফ স্টাফ। ষোলই ডিসেম্বর যখন পাকিস্তান সেনাবাহিনী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আত্মসমর্পণ করে, তখন তিনি আমাদের বাংলাদেশের প্রতিনিধি ছিলেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়টা তিনি এবং তাঁর সহযোদ্ধারা মিলে সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম তৈরি করে নতুনভাবে আমাদের সামনে নিয়ে এসেছিলেন এবং আমাদের তরুণরা সেটা সাগ্রহে গ্রহণ করেছে এবং মুক্তিযুদ্ধের জন্যে ভালোবাসা এদেশে আবার নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার তাঁর সহযোদ্ধাদের নিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে দেশের আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়িয়েছেন, দেশের মানুষকে সংগঠিত করেছেন। মনে আছে তিনি এবং তাঁর সহযোদ্ধারা একবার আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন এবং এয়ারপোর্ট থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পর্যন্ত পথটুকু আমি গাড়িতে তার পাশে বসে এসেছিলাম। মুক্তিযুদ্ধের এরকম একজন ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বের পাশে বসে আছি চিন্তা করেই আমি শিহরিত হয়েছিলাম। তিনি এবং তার সহযোদ্ধারা আমাদের ছাত্রছাত্রীদের সাথে কথা বলেছিলেন, তাঁদের অনুপ্রাণিত করেছিলেন। আমরা তাঁদের নিয়ে আমাদের একটা খোলা চত্বরে তাঁদের হাতে কিছু গাছ লাগিয়েছিলাম, এতোদিনে গাছগুলো বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি নিয়ে অনেক বড় হয়েছে। আমরা সেই চত্বরটিকে সেক্টর কমান্ডার্স চত্বর বলে ডাকি।

সে কারণে যখন আমি দেখি এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকারকে তীব্র ভাষায় শুধু সমালোচনা নয়, অপমান করার চেষ্টা করা হচ্ছে, তখন সেটি আমাকে তীব্রভাবে আহত করে। যারা তাঁকে নানাভাবে অপমান করার চেষ্টা করছেন তারা কী বুঝতে পারছেন না, এভাবে আসলে আমরা শুধু আমাদের নিজেদেরকেই না, মুক্তিযুদ্ধকেও অপমান করছি? তাঁর অবদানকে খাটো করে দেখার চেষ্টা করছি?"



  • স্বাস্থ্যখাতে উন্নত বিশ্বের সমস্ত স্বাস্থ্য সুবিধা বাংলাদেশে নিশ্চিত করা হবে।

    চিকিৎসা, সার্জারির জন্য প্রয়োজনীয় উন্নত যন্ত্রপাতি দেশেই স্বল্প ব্যয়ে উৎপাদনের লক্ষ্যে আমি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশান গড়ে তুলবো।

    চিকিৎসকদের প্রয়োজনীয় ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করা হবে।

    "উন্নত চিকিৎসার জন্য" "ভারত গেছেন", "সিঙ্গাপুর গেছেন" - আর শুনতে চাই না!

  •  আমরা কিছুদিন আগে দেখেছি, কয়েকজন ব্যক্তি একত্রিত হয়ে বিএনপি জোটের কাছে গেলেই - সেই অজুহাতে - বিএনপি তাদের জোটের দলসংখ্যা বাড়িয়ে ফেলে!
এভাবে ১৮ দলীয় জোটকে আমরা হঠাৎ আবিষ্কার করি ১৯ দলীয় জোট হিসেবে এবং অতঃপর ১৯ দলীয় জোটকে আমরা কিছুদিন পর আবিষ্কার করি ২০ দলীয় জোট হিসেবে!

[আমরা চিন্তিত ছিলাম! কারণ নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দল আছে ৪০টি। অতি উৎসাহী ব্যক্তিদের তৎপরতায় বিএনপি জোটের দলসংখ্যা ৪০ ছাড়িয়ে গেলে বিএনপির কিছু না এসে যাক - আমরাই লজ্জায় পড়ে যাই!]

এভাবে কারণে - অকারণে - নানা অজুহাতে জোটের সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে ফেলার প্রক্রিয়াটি বিএনপির কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় হলেও প্রক্রিয়ার সমস্যাটি এখন ধীরে ধীরে উন্মোচিত হচ্ছে!

দিন কয়েক আগে খবরে এসেছে - ২০ দলীয় জোট ভেঙে হচ্ছে ১১ দলীয় জোট!

ফলে বিএনপি নেতৃত্বাধীন অংশটি "৯ দলীয় জোট"এ - অর্থাৎ "সংখ্যালঘু" জোটে রুপান্তরিত হচ্ছে!

[তবে মন্দের ভালো - নিবন্ধিত দলের সংখ্যা নিয়ে আমাদের দুশ্চিন্তার আর কোন কারণ নেই!] 




  • আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ব্যাপারে আমাদের শত অভিযোগ থাকতে পারে।
কিন্তু আন্তর্জাতিক কোন সম্মেলনে তিনিই বাংলাদেশের প্রতিনিধি।

বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে বাংলাদেশের ন্যায্য দাবিদাওয়া আদায় করে নেওয়ার দায়িত্ব তার। বিদেশের মাটিতে প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার ব্যাপারটি - বাংলাদেশের এবং প্রবাসী বাংলাদেশীদের অধিকার আদায়ের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।

দেশে সংগত কারণেই প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে রাখা সরকার পতনের আন্দোলন আমরা করতে পারি।

কিন্তু জাতিসংঘ সম্মেলন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর New York আগমনে New York বিএনপির কার্যকলাপ আমাদের ব্যথিত করেছে।

আমরা দেখে আসছি - আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠনের পদে বিএনপির মনোনয়নকে বিরোধী দল আওয়ামী লীগ আন্তর্জাতিকভাবে বিরোধিতা করে এবং একইভাবে আওয়ামী লীগের মনোনয়নকে বিরোধী দল বিএনপি আন্তর্জাতিকভাবে বিরোধিতা করে।

আমরা দেখে আসছি - প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাঝে নানা দল, নানা সংগঠনে বিভক্তি প্রবাসে আমাদের অবস্থানকে দুর্বল করে দিচ্ছে।

এভাবে প্রবাসে আমরা শক্তিশালী একটা অবস্থান করে নিতে ব্যর্থ হচ্ছি। আমরা একদিকে বাংলাদেশের জন্য ভালকিছু আদায় করে নিতে যেভাবে ব্যর্থ হচ্ছি, একইভাবে যুক্তরাষ্ট্রে এবং অন্যান্য দেশে নিজেদের দাবি আদায় করে নিতেও বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে আমাদের অনৈক্য।

আগামী ১০ থেকে ২০ বছরের মাঝে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত একজন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারেন। কিন্তু সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাদের দল মতের উরধে উঠে এখন থেকেই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

ঐক্যবদ্ধ থাকলে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া - যে দেশেই আমরা থাকি না কেন - সে দেশের Politics এ আমাদের influence থাকবে। 
যখন আমি দেখি এয়ার ভাইস মার্শাল এ.কে. খন্দকারকে তীব্র ভাষায় শুধু সমালোচনা নয়, অপমানের চেষ্টা করা হচ্ছে, তখন সেটি আমাকে তীব্রভাবে আহত করে। যারা তাঁকে নানাভাবে অপমান করার চেষ্টা করছেন তারা কী বুঝতে পারছেন না, এভাবে আসলে আমরা শুধু আমাদেরই নিজেদেরকেই না, আমরা মুক্তিযুদ্ধকেও অপমান করছি? তাঁর অবদানকে খাটো করে দেখার চেষ্টা করছি? - See more at: http://www.priyo.com/blog/2014/09/26/109165.html#sthash.mQhTBYOV.dpuf

No comments:

Post a Comment