Monday, September 29, 2014

নাগরিক ঐক্যের আলোচনা সভা - সমাবেশ - উদ্যোগ (29.09.14)

  • নাগরিক শক্তি যেদিন আত্নপ্রকাশ করবে সেদিন নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ১৫টি রাজনৈতিক দল নাগরিক শক্তিতে একীভূত হবে। প্রত্যেকটি দলের প্রধান সেদিন ১৫ টি দল বিলুপ্ত ঘোষণা করবেন।

সাথে যোগ দেবেন একটি দলের দেড় শতাধিক এমপি এবং অপর একটি দলের ত্রিশোরধ এমপি।



লিঙ্কস
দেশের রাজনীতিকে আরো অধুনিকীকরণে মাঠে নামছেন শতাধিক সাবেক এমপি ও অর্ধশতাধিক উপজেলা চেয়ারম্যান। এরা সবাই বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আদর্শের অনুসারী। - See more at: http://www.priyo.com/2014/09/19/107516.html#sthash.dgF30jXk.dpuf

"দেশের রাজনীতিকে আরো অধুনিকীকরণে মাঠে নামছেন শতাধিক সাবেক এমপি ও অর্ধশতাধিক উপজেলা চেয়ারম্যান। এরা সবাই বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আদর্শের অনুসারী।
বিএনপি’র সাবেক যুগ্মমহাসচিব ও সাবেক সংসদ সদস্য আশ্রাফ হোসেন বলেন, জিয়াউর রহমানের আদর্শ বিচ্যুৎ, জাময়াতপন্থি ও দুনীর্তিবাজ নেতারা এ তালিকায় নেই।" 






  • সংবিধান সংশোধন

নাগরিক শক্তি ক্ষমতায় গিয়ে জনগণের মতামত নিয়ে সংবিধান সংশোধন করবে।

  • (পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করে) তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল, 
  • ৭০ এর খ অনুচ্ছেদ বাতিল করে সাংসদদের নিজস্ব বিবেক-বিবেচনার ভিত্তিতে মতামত - ভোট দেওয়ার সুযোগ প্রদান 
  • বিচারপতিদের অপসারণ ক্ষমতা সংক্রান্ত ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করা হবে।

সংবিধান বিশেষজ্ঞ, বিরোধী দলের সদস্য এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি কমিশন গঠন করা হবে এবং প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংবিধানে মৌলিক পরিবর্তন আনা হবে।

  • সরকারের নির্বাহী বিভাগ (Executive Division), আইন বিভাগ (Legislative Division) ও বিচার বিভাগ (Judiciary Division) এর মাঝে ক্ষমতার ভারসাম্য ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে এবং 
  • কেন্দ্রীয় সরকার ও স্থানীয় সরকারগুলোর মাঝে ক্ষমতা বন্টন করে

সংবিধানে সংশোধনী আনা হবে।

সংশোধনীর জন্য সারা দেশে একটি "হ্যাঁ" - "না" ভোট আয়োজন করা হবে। ভোটে সংশোধনীগুলো একটি লিস্ট আকারে থাকবে এবং জনগণ প্রতিটি সংশোধনীকে "হ্যাঁ" কিংবা "না" ভোট দিতে পারবেন।






  • নাগরিক শক্তিকে ঘিরে আবেগ, স্বপ্ন, উত্তেজনা

আমি আগের একটা লেখায় উল্লেখ করেছিলাম, বাংলাদেশের মানুষ গভীর "আবেগ" নিয়ে নাগরিক শক্তির জন্য অপেক্ষা করছে।

শুধু "আবেগ" বললে পুরো চিত্রটা আসে না। সাথে বলা উচিত বাংলাদেশের মানুষ "প্রবল উত্তেজনা" নিয়ে অপেক্ষা করছে।

লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ, প্রফেসর ড. আসিফ নজরুলদের রাতে ঘুম হয় না উত্তেজনায়!

লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ এখন আদিবাসীদের অধিকার সুরক্ষায়, খাদ্যে ভেজাল ও ফরমালিনের বিরুদ্ধে আন্দোলনসহ বেশ কিছু উদ্যোগের সাথে কাজ করছেন। নাগরিক শক্তির সাথে সবগুলো জনকল্যাণমূলক কাজে যুক্ত হতে চান তিনি।

 
এই যদি হয় প্রবীণদের অবস্থা - তাহলে তরুণদের অবস্থা, তরুণদের প্রবল উত্তেজনা সহজেই অনুমেয়!

মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থানরত যুবকদের মন পড়ে আছে দেশে! কতদিন পর দেশে এসে আমাদের সাথে যোগ দিতে পারবেন উত্তেজনায় তার প্রহর গুনছেন! 


 
নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা ভাবছেন, অবশেষে দেশের জন্য কাজ করার সুযোগ এসেছে।


বছর খানেক আগে কথা হচ্ছিল নাগরিক সমাজের এক প্রতিনিধির সাথে।

একজন বললেন, তরুণরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছে!

নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি বললেন, শুধু তরুণরা না, তরুন-প্রবীণ সবাই-ই নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে!


বাংলাদেশের কোটি মানুষের ভালবাসা, কোটি মানুষের আবেগ, কোটি মানুষের স্বপ্নের নাগরিক শক্তি।





  • নাগরিক ছাত্র ঐক্য -> নাগরিক স্টুডেন্টস এসোসিয়েশান (NSA)

আমি দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ এবং মাদ্রাসায় "নাগরিক ছাত্র ঐক্য"র আহ্বায়ক কমিটি গঠনের আহ্বান জানাই।

নাগরিক শক্তির আনুষ্ঠানিক আত্নপ্রকাশ ঘোষণার পর "নাগরিক ছাত্র ঐক্য" - "নাগরিক স্টুডেন্টস এসোসিয়েশান (NSA)" এ রূপ নেবে।

যাদের ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ নেই - তাদের জন্য লেখা প্রিন্ট করে দেওয়া অব্যাহত রাখতে হবে।



"ড. কামাল হোসেন বলেছেন, জাতির স্বার্থে ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নামতে হবে।
সোমবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ভাষাসৈনিক অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদের স্মরণসভায় এসব কথা বলেন তিনি। স্মরণসভায় আরো বক্তব্য দেন সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম, গবেষক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, কবি আসাদ চৌধুরী, সাংবাদিক কামাল লোহানী প্রমুখ।"




১৭ সেপ্টেম্বর ছিল ঐতিহাসিক শিক্ষা দিবস।
নবগঠিত নাগরিক ছাত্র ঐক্য এই দিনকে স্মরণ করে শিক্ষাঙ্গনে পরিস্থিতি ও ছাত্র রাজনীতি শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করেছিল।
সেখানকার আলোচনায় বোঝা গেল কেন ১৭ সেপ্টেম্বর শিক্ষা দিবস হিসেবে তার গুরুত্ব হারাচ্ছে।”
নবগঠিত নাগরিক ছাত্র ঐক্য এই দিনকে স্মরণ করে শিক্ষাঙ্গনে পরিস্থিতি ও ছাত্র রাজনীতি শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করেছিল। - See more at: http://www.priyo.com/blog/2014/09/29/109925.html#sthash.IfBZXSvC.dpuf

 
লিঙ্কস

"অনুষ্ঠানে গণফোরাম সভাপতি ও বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেন, বিকল্পধারার সভাপতি ও সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক বি চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান, সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, আইনজীবী ড. শাহদিন মালিক, ডাকসুর সাবেক ভিপি ও আওয়ামীলীগ নেতা সুলতান মোঃ মনসুর, বিকল্প ধারা সাধারণ সম্পাদক মেজর (অব:) আব্দুল মান্নান, নাগরিক ঐক্য আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বাসদ সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান ও জেএসডি সভাপতি আ স ম রব বক্তব্য দেন।" 

 
  

ফরমালিন শুধু শাক-সবজি, ফলমূল, মাছ-মাংসে নয়, সমাজের সর্বস্তরেই বিশেষ করে রাজনৈতিক অঙ্গনে আরও মারাত্মকভাবে প্রতিভাত হচ্ছে। পাঠকের প্রশ্ন থাকতে পারে এর থেকে পরিত্রাণের উপায় কী। রাজনীতিসংশ্লিষ্ট অঙ্গনের বাইরে যে সীমিতসংখ্যক বিবেকাশ্রিত অংশ রয়েছে বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে জাগ্রত হতে হবে, সরব হতে হবে, প্রতিবাদী হতে হবে।
আল্লাহর কাছে সেটিই আমার প্রার্থনা এবং এই ঘোর সামাজিক অমানিশার মধ্যেও প্রদীপ্ত সূর্যকিরণের প্রত্যাশা ও স্বপ্ন নিয়ে আমি বেঁচে আছি।
- See more at: http://www.priyo.com/blog/2014/09/29/109997.html#sthash.Evpnsxa5.dpuf

“৫ জানুয়ারির নির্বাচন ব্যক্তিকেন্দ্রিকতার অর্থাৎ শেখ হাসিনার একক, অপ্রতিরোধ্য নেতৃত্বকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। যার অনিবার্য পরিণতি হিসেবে, বিচারব্যবস্থা, প্রশাসন এবং সংসদের ভেতর ও বাইরে গণতন্ত্রের চর্চা ও অনুশীলন তো অনেক দূরের কথা, গণতন্ত্রের অস্তিত্ব সংকটে বাংলাদেশের ভাগ্যাহত বিপুলসংখ্যক মানুষকে নিষ্ঠুর ও নির্মমভাবে অধিকার বঞ্চিত, আশঙ্কিত ও আতঙ্কিত করেছে।

২৯ ডিসেম্বরের পর প্রমাণিত হলো বিএনপি একটি গণবিচ্ছিন্ন নেতাসর্বস্ব দল। আন্দোলন ও গণবিস্ফোরণ তৈরি করার মতো সাংগঠনিক শক্তি তো দূরে থাক, মননশীলতা ও কৌশল সম্পর্কেও তারা সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ এবং আওয়ামী লীগের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে প্রতিহত করার বিন্দুমাত্র সাংগঠনিক শক্তি বিএনপি-জামায়াত জোটের নেই।

ফরমালিন শুধু শাক-সবজি, ফলমূল, মাছ-মাংসে নয়, সমাজের সর্বস্তরেই বিশেষ করে রাজনৈতিক অঙ্গনে আরও মারাত্মকভাবে প্রতিভাত হচ্ছে। পাঠকের প্রশ্ন থাকতে পারে এর থেকে পরিত্রাণের উপায় কী। রাজনীতিসংশ্লিষ্ট অঙ্গনের বাইরে যে সীমিতসংখ্যক বিবেকাশ্রিত অংশ রয়েছে বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে জাগ্রত হতে হবে, সরব হতে হবে, প্রতিবাদী হতে হবে।

আল্লাহর কাছে সেটিই আমার প্রার্থনা এবং এই ঘোর সামাজিক অমানিশার মধ্যেও প্রদীপ্ত সূর্যকিরণের প্রত্যাশা ও স্বপ্ন নিয়ে আমি বেঁচে আছি।” 


৫ জানুয়ারির নির্বাচন ব্যক্তিকেন্দ্রিকতার অর্থাৎ শেখ হাসিনার একক, অপ্রতিরোধ্য নেতৃত্বকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। যার অনিবার্য পরিণতি হিসেবে, বিচারব্যবস্থা, প্রশাসন এবং সংসদের ভেতর ও বাইরে গণতন্ত্রের চর্চা ও অনুশীলন তো অনেক দূরের কথা, গণতন্ত্রের অস্তিত্ব সংকটে বাংলাদেশের ভাগ্যাহত বিপুলসংখ্যক মানুষকে নিষ্ঠুর ও নির্মমভাবে অধিকার বঞ্চিত, আশঙ্কিত ও আতঙ্কিত করেছে। - See more at: http://www.priyo.com/blog/2014/09/29/109997.html#sthash.Evpnsxa5.dpuf

No comments:

Post a Comment