Friday, August 22, 2014

আজকের উপলব্ধিতে বাংলাদেশ (২১/৮/১৪)

1."দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ" গড়ার পথে অগ্রযাত্রা

আমাদের দেশের দুর্নীতিপরায়ণ মন্ত্রী বা সাংসদরা পৃথিবীর যে দেশেই অবৈধ সম্পদ লুকিয়ে রাখুক না কেন - আমরা ফিরিয়ে আনবো।

কয়েকবছর আগে পৃথিবীর শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্থ দেশ ছিল বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশ এখন সম্পূর্ণভাবে দুর্নীতিমুক্ত হওয়ার পথে।
রাজনীতি, ব্যাংকিং, স্টক মার্কেট সহ দেশের প্রতিটি সেক্টরকে "দুর্নীতিশুন্য" করা হবে।


2.আমাদের রাজনীতি চরম অন্যায় - অপরাধ - দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের রিপোর্টে দুর্নীতিতে বাংলাদেশ বেশ কয়েকবছর ধরে বিশ্বে শীর্ষস্থানে ছিল।
রাজনীতিবিদদের, এমনকি তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রত্যেকের নিজস্ব "টর্চার সেল" রয়েছে - একমাত্র স্বৈরাচারী শাসক ছাড়া এমন দৃষ্টান্ত পৃথিবীতে নেই।
ভারতের রাজনীতিতেও দুর্নীতি আছে - ব্যবসায়ীরা অর্থ ঘুষ দিয়ে সুবিধা আদায় করে নেন। কিন্তু আমাদের দেশে যেসব হয় - ভারতসহ বাইরের দেশের সবার কাছে বিস্ময়কর।  

বাংলাদেশের জনগণ সবসময় পরিবর্তন চেয়েছে। এই অনাচারের সমাজ থেকে মুক্তি চেয়েছে।  

কিন্তু আমরা অতীতে দেখেছি, রাজনীতিতে কেউ পরিবর্তন আনতে চাইলে - আওয়ামী লীগ - বিএনপি অনেকটা "রাজনৈতিক সিন্ডিকেট" তৈরি করে সেই প্রচেষ্টাকে গোঁড়াতেই থামিয়ে দিয়েছে।
৩ মাস বা ২ বছরের তত্ত্বাবধায়ক সরকার যেসব পরিবর্তন এনেছিল - ওগুলো টেকসই হয়নি।
"রাজনীতিবিদরা" ক্ষমতায় এসে আবারও আগের চেয়ে আরও খারাপ অবস্থায় দেশকে ফিরিয়ে নিয়ে গেছেন।

এ থেকে পরিবর্তনের উপায় কি?

স্থায়ী এবং টেকসই পরিবর্তনের জন্য জনগণের মাঝ দিয়েই পরিবর্তন আসতে হবে। জনগণকেই পরিবর্তনে নেতৃত্ব দিতে হবে। জনগণ একতাবদ্ধ হলে রাজনীতিবিদরা অন্যায় - অপরাধ - দুর্নীতি করতে পারবেন না।

আমাদের দেশে দুই দলের রাজনীতিবিদরা দেশকে দুই ভাগে বিভক্ত করে নিজেরা সুবিধা আদায় করে নিয়েছে।
আওয়ামী লীগের কেউ দুর্নীতি - সন্ত্রাস করলে - আওয়ামী লীগ (বিশাল সমর্থক গোষ্ঠী নিয়ে) তাদের রক্ষা করে।
অন্যদিকে, বিএনপির কেউ দুর্নীতি - সন্ত্রাস করলে - বিএনপি ও (বিশাল সমর্থক গোষ্ঠী নিয়ে) তাদের রক্ষা করে।
২০১৩ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার নিয়ে দেশে চরম বিভাজন আমরা প্রত্যক্ষ করেছিলাম। দুই দল দেশের জনগণকে দুই ভাগে বিভক্ত করে একের বিরুদ্ধে অপরকে উসকে দিয়েছেন। "লগি - বৈঠা"র বিরুদ্ধে "দা-কুড়াল" নিয়ে মাঠে নামতে আহ্বান জানিয়েছেন। নির্বাচনকালীন সহিংসতায় দেড় শতাধিক খুন আমরা প্রত্যক্ষ করেছি।    

কিন্তু জনগণ একতাবদ্ধ হলে অন্যায়কারীরা পার পাবে না। কারণ অন্যায়কারীরা সংখ্যায় নগণ্য।

সবচেয়ে মূল যে ব্যাপারটা - স্থায়ী পরিবর্তনের জন্য জনগণের মাঝে দিয়েই পরিবর্তন আসতে হবে - এটাই উল্লেখ করেছিলাম ২০১৩ অক্টোবরে লেখা - "নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন"এ।

বাংলাদেশের জনগণ ২০১৪ সালে প্রত্যক্ষ করছে - আমাদের এককালের "মহাপরাক্রমশালী" রাজনীতিবিদরা প্রকৃতপক্ষে কতটা দুর্বল।

রেফরেন্স 



4.অর্থনীতি শিল্প বাণিজ্যে অগ্রগতি

বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকবে।
সব ধরণের অপরাধ কমিয়ে আনা হচ্ছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে আনা হচ্ছে।
Infrastructure খাতে বড় ধরণের বিনিয়োগ আসবে। প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে। পরিমিত Power Supply, উন্নত Transportation, Communication Infrastructure গড়ে তোলা হবে। বন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি হান্ডলিং এ আসছে নতুন উদ্যোগ। 
বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ আদর্শ।




"বেসরকারিভাবে বাংলাদেশ বিনিয়োগ করতে আগ্রহী জাপান সরকার। বিশেষ করে . পোশাক, চামড়া, ওষুধপত্র, তথ্যপ্রযুক্তি, ট্যুরিজ অ্যান্ড হসপিটালিটি এবং স্বাস্থ্য খাতকে অধিক গুরুত্ব দিয়েছে দেশটি। 

জাপানি প্রতিনিধি দল জানান, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন করলে প্রচুর পরিমাণ বিদেশী বিনিয়োগ আসবে।
জাপানি বিনিয়োগকারীদের জন্য লাইসেন্স অনুমোদন, ভিসা সহজীকরণ, কাজের অনুমতি ইত্যাদি বিষয়গুলো সহজ করতে হবে।"
- Recommendations গুলো বিবেচনায় থাকবে।


5.আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হবে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি, Data Analysis এবং ফরেইন্সিক সাইয়েন্স ব্যবহার করে অপরাধ দমন এবং অপরাধী শনাক্তকরণে দক্ষ।





6.প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন 






7.২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।

8.এক বিস্ময়কর নিঃসঙ্গ বিজ্ঞানী (prothom-alo.com)

"যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আমন্ত্রণ করেছেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ১৬ জন মানুষকে, যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক খেতাব ‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম’ দিতে। দিনটিতে মুখোমুখি পেয়ে গেলাম দুনিয়া-কাঁপানো বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংকে।
‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম’ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রিত হয়েছিলেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী বাংলাদেশের মুহাম্মদ ইউনূসও।"



No comments:

Post a Comment