1.নাগরিক শক্তি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট প্রদত্ত ভোটের ৮০% এর বেশি ভোট নিয়ে এবং বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে প্রথমবারের মত এককভাবে ৩০০ আসনের সবকটিতে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসবে।
অপরদিকে, ৩০০ আসনের সবকটিতে বিএনপি প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে (৮ ভাগের ১ ভাগ বা ১২.৫% এর চেয়ে কম ভোট পাওয়ায়)।
2.আমাদের দেশের প্রচলিত রাজনৈতিক দলগুলো ক্রমান্বয়ে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে।
জনবিছিন্ন হতে হতে বিএনপি'র মত এককালের বড় দল শক্তিহীন হয়ে ধীরে ধীরে অস্তিত্ব সংকটের দিকে যাবে।
আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণ একতরফাভাবে ৫ জানুয়ারিতে "তামাশার" একটি নির্বাচন করে ফেলেছে (যেখানে ৩০০ টির মধ্যে ১৫৪ টি নির্বাচনী এলাকায় কোন নির্বাচন হয়নি) অথচ বিএনপি এখনও জনগণকে নিয়ে অহিংস কিন্তু শক্তিশালী কোন আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি।
জনগণ সঙ্গত কারণেই ভাবে - জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, জেল-জুলুম সহ্য করে বিএনপির আন্দোলনে যে নামবো - বিএনপি ক্ষমতায় গিয়ে নতুন কি দেবে?
বিএনপি'র হিসেব ছিল, আলেম ওলামা সমাজ এবং মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গদের অধিকাংশ ভোট বিএনপি'র পক্ষে পড়বে।
কিন্তু আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আলেম ওলামা সমাজ এবং মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গদের প্রতিটি ভোট (৩৫ লক্ষাধিক ভোট) নাগরিক শক্তির প্রার্থীর পক্ষে পড়বে।
(বিএনপি প্রচার করে, তারা ইসলামী চেতনাসম্পন্ন। তবে চরম দুর্নীতি - অন্যায় - সন্ত্রাস এ নিমজ্জিত থেকে কিভাবে ইসলামী চেতনা ধারণ করা যায় - তা আমাদের জানা নেই!)
বিএনপি দাবি করে তাদের জোটটি "২০ দলীয়"।
কিন্তু বিশ্লেষণ করলে আমরা দেখি, এই দলগুলোর মাঝে আছে "সাম্যবাদী দল (একাংশ)" - যেটি কয়েকজন প্রতারক ব্যক্তির সমষ্টি (সাম্যবাদী দলের সাথে তাদের কোনকালে কোন সম্পর্ক ছিল না) এবং নির্বাচন কমিশনে তাদের বৈধ নিবন্ধন নেই।
বিএনপি জোটে যারা গেছে তারা সাম্যবাদী দলের কেউ নয় ------------দিলীপ বড়ুয়া
বিএনপি জোটের বাকি ১৮টি দলের কয়টি এখনও বিএনপি'র সাথে আছে আর কয়টি নতুন একটি দলে একীভূত হওয়ার অপেক্ষায় আছে - তার হিসেব বিএনপি শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে নেই!
এই ১৮ "দল"এর মাঝেও নির্বাচন কমিশনে বৈধ নিবন্ধনবিহীন দল রয়েছে।
সবচেয়ে বড় কথা - সারা দেশের মানুষ জনকল্যাণমূলক নতুন রাজনীতির স্বপ্নে বিভোর।
দেশের মানুষের কাছে বিএনপির দুর্নীতি - সন্ত্রাসের রাজনীতির যে আর অ্যাপিল নেই, সারা দেশে বিএনপি যে সাংগঠনিকভাবে অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছে
- কিছুদিন পর পর সংবাদ সম্মেলন ডাকার মাঝে নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখা ঢাকায় অবস্থানরত বিএনপি'র গুটিকয়েক নেতা - তা আঁচও করতে পারেননি
(আলেম ওলামা সমাজ এবং মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা যে বিএনপি থেকে সরে এসেছেন - এটাও যেভাবে তারা ঢাকায় বসে সংবাদ সম্মেলন করার ফাঁকে আঁচও করতে পারেননি!)।
আগামী কয়েক মাসে বিএনপি'র অত্যন্ত দুর্বল ও ক্ষীণ হয়ে ওঠা পরিষ্কার হয়ে উঠবে এবং দলটির জন্য অস্তিত্ব রক্ষা করাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।
3.চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরিয়ে দিতে পারে।
আমাদের দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য গার্মেন্টস মূলত চট্টগ্রাম বন্দর দিয়েই বাইরের দেশগুলোতে রপ্তানি হয়।
বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে একটি জাহাজ turnaround হতে গড়ে আড়াই দিন সময় লাগে। তুলনামূলকভাবে, সিঙ্গাপুর বন্দরে সময় লাগে গড়ে ১২ ঘন্টা।
আমরা যদি চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ turnaround সময় কমিয়ে আনতে পারি তাহলে আমদানি - রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে।
একটা ব্যাপার মনে রাখতে হবে, আমাদের আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য কিন্তু দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
McKinsey ধারণা করছে, বাংলাদেশের আগামী ১০ বছরে গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি দ্বিগুণ করার সুযোগ রয়েছে। আমরা মনে করি, আগামী ৫ বছর বা তারও আগে গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি দ্বিগুণ হবে।
এই রপ্তানি কিন্তু চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করেই হবে।
এই রপ্তানির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে চট্টগ্রাম বন্দরের কনেটাইনার হান্ডলিং কাপাসিটি বাড়ানো এবং জাহাজ turnaround সময় কমিয়ে আনা। এই লক্ষ্যে আধুনিক যন্ত্রপাতি এবং Management চট্টগ্রাম বন্দরে
introduce করা হবে।
চট্টগ্রাম বন্দরের আন্তর্জাতিক গুরুত্ব অনেক বেশি।
নেপাল আর ভুটানের পণ্য আমদানি রপ্তানির জন্য নিজস্ব কোন নদী বা সমুদ্র বন্দর নেই।
চট্টগ্রাম বন্দরের আধুনিকায়ন করলে নেপাল, ভুটান পণ্য আমদানি রপ্তানির জন্য চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করবে।
আবার ভারত তার উত্তরপূর্ব প্রদেশগুলোর সাথে পণ্য আদান প্রদান করতে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে চাইবে।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হল - চট্টগ্রাম বন্দর একটি নদী বন্দর। কাজেই দীর্ঘ পণ্যবাহী জাহাজ (৬১৭ ফিট এর চেয়ে দীর্ঘ) চট্টগ্রাম বন্দরে প্রবেশ করতে পারে না।
কাজেই আমাদের রপ্তানি বাণিজ্য পণ্য প্রথমে সিঙ্গাপুর, শ্রীলংকা এবং মালয়েশিয়ার ৪টি বন্দরে পৌঁছানো হয় এবং সেসব বন্দর থেকে দীর্ঘ পণ্যবাহী জাহাজের মাধ্যমে বাইরের দেশগুলোতে যায়।
দীর্ঘ পণ্যবাহী জাহাজ প্রবেশের সুযোগ দিতে আমাদের একটি গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ করতে হবে। সোনাদিয়ায় একটি গভীর সমুদ্র বন্দর গড়ে তোলার পরিকল্পনা আছে।
এক্ষেত্রে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী মায়ানমারের নির্মাণাধীন Sittwe Port। ভারত নিজেদের সুবিধার্থে এই "গভীর সমুদ্র বন্দর" নির্মাণে মায়ানমারকে সহায়তা করছে।
আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত efficient গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ করতে পারলে চায়না, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ সেই বন্দর ব্যবহার করবে। আর এর মাধ্যমে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করবে।
টেকনিক্যাল কাজগুলোতে বিদেশী এক্সপারটাইসের উপর নির্ভরতার ট্রেন্ডটিতে পরিবর্তন আনা হবে।
আমাদের গভীর সমুদ্র বন্দর আমরা নিজেরা নির্মাণ করবো।
এই লক্ষ্যে আমি দেশে ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবো।
এই মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ হবে দ্রুত নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল চালু। শুধুমাত্র সিধান্ত নিতে দেরি হওয়ায় নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল চালু আটকে রয়েছে।
4.তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিলিয়ন ডলার রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন
দেশে সফটওয়্যার ডেভেলাপমেন্ট এখনও মূলত ওয়েব ডেভেলাপমেন্ট, মোবাইল অ্যাপস ডেভেলাপমেন্ট এবং ছোট আকারের ERP (Enterprise Resource Planning) সফটওয়্যারের মাঝে সীমিত।
আমাদের ভালো কাজের মাঝে Pageflakes আছে।
একটা ব্যাপার আমাদের দেশের ডেভেলাপারদের জানতে হবে আর তা হল এখন Open Source Tools, Cloud Computing
ব্যবহার করে উন্নত মানের সফটওয়্যার সহজেই ডেভেলাপ করা যায়।
আর উন্নত মানের সফটওয়্যার ডেভেলাপ করে মিলিয়ন ডলারের Market ধরা সম্ভব।
ভারতের কোম্পানিগুলো কিন্তু Hadoop, MongoDB, অন্যান্য NoSQL Database ইত্যাদি Open Source Tools ব্যবহার করে এবং Amazon Web Service এর মত Cloud Computing Infrastructure ব্যবহার করে
Big Data স্পেইসে কাজ করছে।
Hadoop, HBase, MongoDB, অন্যান্য NoSQL Database ইত্যাদি Open Source Tools ব্যবহার করে এবং Amazon Web Service, Microsoft Cloud এর মত
Cloud Computing Infrastructure ব্যবহার করে আমাদের ছেলেরাও Big Data অ্যাপ্লিকেশান দাঁড় করাতে পারে।
আমাদের ছেলেদের মাঝে Open Source Library / Framework ব্যবহার করে Software Development এর culture ছড়িয়ে দিতে হবে।
শুধু CakePHP, jQuery দিয়ে Web Development না, সাথে Cassandra, Hadoop, Pig ব্যবহার করে Distributed Application ডেভেলাপ করাও জানতে হবে।
Open Source Tools, Cloud Computing ব্যবহার করে সফটওয়্যার ডেভেলাপমেন্ট স্কিলস কিভাবে গড়ে তোলা যায়?
দেশে বিভিন্ন Open Source Framework / Library, Cloud Computing Infrastructure এসবের users' group গড়ে তুলতে হবে।
সবাই মিলে ডিসকাস করে, প্রজেক্টে কাজ করে শিখবে।
কিছুদিন আগে অনুষ্ঠিত Pycon Dhaka এর মত অন্যান্য Software Development Tools এর উপর নিয়মিত কনফারেন্স আয়োজন করতে হবে।
University তে 1st year এ Basic Programming, 2nd-3rd year এ Programming Contest, 4th year এ বিভিন্ন Open Source Tools ব্যবহার করে সফটওয়্যার ডেভেলাপমেন্ট - এর উপর জোর দেওয়া যায়।
Coursera, Udacity, MITx, EdX থেকে সবাই সেরা University গুলোর Course বাসায় বসে নিতে পারে। ইন্টারনেট সংযোগ খরচ কমিয়ে আনতে হবে।
আমাদের দেশে মূলত Outsourcing কাজগুলো হয় - বাইরের customer দের product আমরা ডেভেলাপ করে দেই।
আমাদের নিজস্ব প্রোডাক্ট ডেভেলাপমেন্ট এর দিকে যাওয়ার সময় এসেছে।
নিজেদের startup company গড়ে জন্য তোলার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
প্রথমে দরকার ডেভেলাপারদের মাঝে skills গুলো ডেভেলাপ করা।
Software Development শেখার পাশাপাশি International Market এ কি কি ধরণের Software product তৈরি হচ্ছে - সবসময় নজরে রাখতে হবে। readwrite.com, techcrunch.com বা
আমাদের tech.priyo.com থেকে নিয়মিত ঘুরে আসা কি খুব কঠিন?
Venture Capital Firm, Start-up incubator, Hackathon ইত্যাদি introduce করতে হবে।
Entrepreneurial culture গড়ে তুলতে হবে।
বর্তমান সময়টাই Entrepreneurial culture বিকাশের সময়।
সত্যি বলতে, ১০-১৫ বছর আগেও যে অ্যাপ্লিকেশান Government বা বড় কোম্পানি - বিশাল লোকবল ছাড়া develop করা সম্ভব ছিল না, বর্তমানে কিন্তু ছোট একটা startup ওরকম অ্যাপ্লিকেশান develop করতে পারে।
Open Source Tools আর Cloud Computing এর মাধ্যমে startup দাঁড় করানো এখন অনেক সহজ হয়ে গেছে, খরচ অনেকাংশে কমে গেছে।
যেমন - একটা Cluster (অনেকগুলো connected computer) এ run করবে - এমন computation intensive কোন processing এর code লেখা অনেক কঠিন। কিন্তু Hadoop ব্যবহার করে খুব সহজেই কাজটা আমরা
করতে পারি।
আবার অনেকগুলো কম্পিউটারের Cluster নিজেদের কিনে run করাতে হবে না, সামান্য খরচে Amazon Web Service এ সেই কোড Mapreduce Job হিসেবে run করানো যাবে।
Mark Zuckerberg যদি বন্ধুদের নিয়ে বর্তমানে ১০০ বিলিয়ন ডলার valuation এর Facebook প্রতিষ্ঠা করতে পারে - আমাদের ছেলেদের একটা startup কেন পারবে না?
বিলিয়ন ডলার আইটি ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তুলতে আমাদের BPO (Business Process Outsourcing), ITO (Information Technology Outsourcing) এর উপর জোর দিতে হবে।
এক্ষেত্রে Expertise, skillsগড়ে তুলতে হবে। সাথে প্রয়োজন হবে বাংলাদেশকে Outsourcung destination হিসেবে International Marketing.
Egypt কিন্তু BPO (Business Process Outsourcing), ITO (Information Technology Outsourcing) তে এই কাজটাই করেছে -
Skills development,
Institution গড়ে তোলা আর
International Marketing.
আমাদের BBA গ্রাজুয়েটদের নিয়ে দেশে Business Process Outsourcing (BPO) industry গড়ে তোলার যায়।
তথ্যপ্রযুক্তিতে স্বল্প মেয়াদী পরিকল্পনা ফ্রিলান্সিং কে ঘিরে করা উচিত।
ফ্রিলান্সিং এর বিভিন্ন স্কিলস, ইংরেজিতে দক্ষতা শেখানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠান (ব্যক্তিগত উদ্যোগেও হতে পারে) গড়ে তোলা, কম্পিউটার-ইন্টারনেট সংযোগের জন্য ঋণসুবিধা দেওয়া জরুরী।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফ্রিলান্সিং করে ঘরে বসে যথেষ্ট অর্থ উপার্জন করা যায় - এ ব্যাপারে সারা দেশে সচেতনতা সৃষ্টি।
লক্ষ টাকা ব্যয় করে মধ্যপ্রাচ্যে গিয়ে একজন বাংলাদেশী যে পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারে, ঘরে বসে ফ্রিলান্সিং করে একজন শিক্ষিত তরুণ তার চেয়ে বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারে।
"ঘরে বসে বড়লোক" - এমন দৃষ্টান্ত আরও আরও দেখতে চাই।
সবাই মিলে একসাথে কাজ করলে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিলিয়ন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন - খুব দ্রুতই সম্ভব।
5.বাজেটে অর্থ বরাদ্দ এবং মন্ত্রণালয় - সচিবালয়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পরিকল্পনা বাস্তবায়ন
আমাদের বাজেটে বিভিন্ন মন্ত্রানলয়ে বরাদ্দের কতটুকু উন্নয়নে ব্যয় হয় আর কতটুকু দুর্নীতি - লুটপাট হয় - তা নিয়ে গবেষণা হওয়া উচিত।
আমাদের সরকারগুলোর পরিকল্পনায় ভিশন নেই, বাস্তবায়নে আন্তরিকতা বা দক্ষতা কোনটাই নেই।
কয়েকটি মন্ত্রণালয় ও সচিবালয় সম্মিলিতভাবে এক একটা ভিশন বাস্তবায়নে আন্তরিকতা এবং দক্ষতার সাথে কাজ করবে, অগ্রগতির উপর নির্দিষ্ট সময় অন্তর পর্যালোচনা হবে, দেশের বিশেষজ্ঞদের কাজে লাগানো হবে - এমন কিছু দেখা যায় না।
মাঝে মাঝে বিপুল অর্থ ব্যয়ে দুই একদিনের জন্য বিদেশী বিশেষজ্ঞ আনা হয় এবং ওটুকুতেই সার। তার মতামত কতটুকু কাজে লাগানো হয় - তা নিয়েও সন্দেহের অবকাশ আছে।
কয়েক বছর আগে (২০১১) পত্রিকায় চোখে পড়েছিল মার্কেটিং গুরু ফিলিপ কটলারকে দেশে আনা হয়েছে। তিনি বাংলাদেশকে ফোকাস নির্ধারণ করে নিজস্ব কয়েকটি ব্র্যান্ড গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
এই পরামর্শ মত দেশে আদৌ কোন কাজ হয়েছে কি? না হলে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়ে বিদেশী বিশেষজ্ঞ আনা কি শুধুই ভোটের রাজনীতিতে লোক দেখানো ব্যাপার?
একবার পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপর একটা রিপোর্টে দেখি - বাজেটের বরাদ্দকৃত অর্থে মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টরা বিদেশে ট্যুর করেন। এসব ভ্রমণে দেশের ট্যুরিজমের প্রচার কতটুকু হয় - তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ আছে।
বাংলাদেশকে টুরিস্ট ডেস্টিনেশান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার কোন ভিশন আছে বলেও মনে হয়নি - বাস্তবায়ন তো দূরের কথা।
বিভিন্ন খাতে যে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয় - ব্যাপক দুর্নীতি এবং চরম অদক্ষতার পর - সত্যিকারের উন্নয়ন কতটুকু হয় - তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করার যথেষ্ট কারণ আছে।
আমাদের আরেকটা সমস্যা সরকারগুলোর কাজের অধারাবাহিকতা।
নির্বাচনে জয়ী হয়ে অপর দল ক্ষমতায় এলে পূর্ববর্তী সরকারের পরিকল্পনাগুলোর অনেকগুলোই বাতিল হয়ে যায়। ফলে শেষ পর্যন্ত কিছুই হয় না।
অর্থ বছরের শুরুতে বাজেটে যে বরাদ্দ দেওয়া হয় - তা মেনে চলতে হবে - আমাদের দেশে এমন কিছু নেই।
সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে হঠাৎ সিধান্ত নেওয়া হয় - "অমুক" পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। তখন বিভিন্ন মন্ত্রানলয় থেকে বরাদ্দকৃত অর্থ খরচ করে "অমুক" পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়!
আমাদের দেশে সবগুলো মন্ত্রণালয়ের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকলে - এই ধরণের গোঁজামিল - সমস্যা তৈরি করত।
উদাহরণ থেকে ব্যাপারটা বোঝার চেষ্টা করি।
ধরা যাক, বাজেটে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে মোট বরাদ্দের ১০ ভাগ আর কৃষিতে ৫ ভাগ।
হঠাৎ বছরের মাঝখানে সরকার ঠিক করলো কৃষিতে "ক" পরিকল্পনা বাস্তবায়নে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে বরাদ্দের ২ ভাগ কৃষিতে আনা হবে।
আমাদের দেশে দেখা যায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সেই ২ ভাগ বরাদ্দের জন্য "বাস্তবায়ন করতেই হবে" এমন কোন পরিকল্পনা - বছরের শুরুতে করে রাখেনি।
যদি রাখত - তাহলে বছরের মাঝখানে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বাজেটের অর্থ স্থানান্তর মেনে নিত না।
নাগরিক শক্তি ক্ষমতায় গিয়ে বাজেটে অর্থ বরাদ্দ, মন্ত্রণালয় ও সচিবালয়গুলোর কাজের মাঝে সমন্বয় সাধন করবে।
বাজেট ঘোষণার আগে অর্থ মন্ত্রণালয় সবগুলো মন্ত্রণালয়ের কাছে ভিশন, পরিকল্পনা এবং অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাবনা দিতে আহ্বান করবেন।
প্রত্যেক মন্ত্রণালয় সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ (এবং যদি কোন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে একাধিক সচিবালয়ের কাজের সমন্বয়ের প্রয়োজন পড়ে তবে সচিবালয়ের একাধিক বিভাগ) এবং দেশের Expertsদের সাথে নিয়ে
দেশের উন্নয়নে ভিশন, পরিকল্পনা এবং প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ প্রস্তুত করবেন।
তারপর অর্থ মন্ত্রণালয় বাজেট ঘোষণা করবেন।
এরপর মন্ত্রণালয়গুলো পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে বছরব্যাপী পরিকল্পনা হাতে নেবেন এবং পরিকল্পনার একটি copy প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জমা দেবেন।
পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অগ্রগতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দিষ্ট সময় অন্তর মনিটারিং করা হবে।
6.ক্রীড়ায় বাংলাদেশ
ক্যাপ্টেইন ফ্যান্টাস্টিক মুশফিকুর রহিমকে নতুন জীবন শুরুর আগাম শুভেচ্ছা!
7.অন্যায় অপরাধমুক্ত সিলেট জেলা গড়ে তোলায় অগ্রগতি
আগ্নেয়াস্ত্র-মাদক উদ্ধারে ১২ ঘণ্টার বিশেষ অভিযান
"দু চারটি ছিনতাই ছাড়া রমজানে ও ঈদ বাজারে বড় ধরণের কোন অপরাধ সংঘটিত হয়নি। এক প্রকার সংযমী ছিল মাদক ব্যবসায়ীরাও।
মাদক ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করবে সিলেট মহানগর পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হবে দাগি ও পরোয়ানাভুক্ত ২ হাজার ২শ' আসামীকে।"
8."মাদকমুক্ত বাংলাদেশ" গড়ার পথে অগ্রগতি
বাংলাদেশ মাদকমুক্ত হওয়ার পথে।
বাংলাদেশের নাগরিকদের দেশ নিয়ে গর্ব করার মত অর্জনের ভান্ডারে আরেকটা অর্জন কিছুদিন পর যোগ হবে।
বাংলাদেশ হবে পৃথিবীর প্রথম অবৈধ মাদকমুক্ত দেশ।
9."অবৈধ অস্ত্রমুক্ত বাংলাদেশ" গড়ার পথে অগ্রগতি
বাংলাদেশের কোন নাগরিকের কাছে অবৈধ অস্ত্র - মেনে নেওয়া হবে না।
দেশের প্রত্যেকটি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাজ করছেন।
গাংনীতে ২টি হাতবোমা উদ্ধার
10.নালিতাবাড়িতে বিজিবি - বিএসএফ এর মধ্যে পতাকা বৈঠক (banglanews24.com)
11.কৃষিতে নবজাগরণ
ধান গবেষণায় কোরিয়া-বাংলাদেশ সহযোগিতার নতুন দিগন্ত
12.ভেজাল খাদ্য ও ওষুধ এবং ফরমালিন্মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলায় অগ্রগতি
জয়পুরহাটে ২ লক্ষাধিক টাকার নকল ওষুধ জব্দ
13.বাংলাদেশ এখন আন্তর্জাতিকভাবে দৃঢ় অবস্থান তৈরি করার লক্ষ্যে কাজ করবে।
গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের মাধ্যমে নেপাল, ভুটান এবং ভারতের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হয়ে ওঠা,
সমুদ্রে তেল ও গ্যাস আবিষ্কার,
পলিটিকাল স্টাবিলিটি, দক্ষ কর্মশক্তি এবং প্রয়োজনীয় Infrastructure নিশ্চিত করার মাধ্যমে বিদেশী বিনিয়োগ,
নতুন নতুন শিল্প স্থাপন,
আইসিটি, জাহাজ নির্মাণ এ অগ্রগতির পাশাপাশি Construction, Medical Device, Automobile, Biotech এবং অন্যান্য প্রকৌশল ও প্রযুক্তি শিল্প গড়ে তোলা,
নতুন নতুন Market কে লক্ষ্য করে নতুন Product আনা এবং রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি,
- এসবের মাধ্যমে বাংলাদেশ হয়ে উঠবে দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার Regional Powerhouse.
আর উন্নত মানের সফটওয়্যার ডেভেলাপ করে মিলিয়ন ডলারের Market ধরা সম্ভব।
ভারতের কোম্পানিগুলো কিন্তু Hadoop, MongoDB, অন্যান্য NoSQL Database ইত্যাদি Open Source Tools ব্যবহার করে এবং Amazon Web Service এর মত Cloud Computing Infrastructure ব্যবহার করে
Big Data স্পেইসে কাজ করছে।
Hadoop, HBase, MongoDB, অন্যান্য NoSQL Database ইত্যাদি Open Source Tools ব্যবহার করে এবং Amazon Web Service, Microsoft Cloud এর মত
Cloud Computing Infrastructure ব্যবহার করে আমাদের ছেলেরাও Big Data অ্যাপ্লিকেশান দাঁড় করাতে পারে।
আমাদের ছেলেদের মাঝে Open Source Library / Framework ব্যবহার করে Software Development এর culture ছড়িয়ে দিতে হবে।
শুধু CakePHP, jQuery দিয়ে Web Development না, সাথে Cassandra, Hadoop, Pig ব্যবহার করে Distributed Application ডেভেলাপ করাও জানতে হবে।
Open Source Tools, Cloud Computing ব্যবহার করে সফটওয়্যার ডেভেলাপমেন্ট স্কিলস কিভাবে গড়ে তোলা যায়?
দেশে বিভিন্ন Open Source Framework / Library, Cloud Computing Infrastructure এসবের users' group গড়ে তুলতে হবে।
সবাই মিলে ডিসকাস করে, প্রজেক্টে কাজ করে শিখবে।
কিছুদিন আগে অনুষ্ঠিত Pycon Dhaka এর মত অন্যান্য Software Development Tools এর উপর নিয়মিত কনফারেন্স আয়োজন করতে হবে।
University তে 1st year এ Basic Programming, 2nd-3rd year এ Programming Contest, 4th year এ বিভিন্ন Open Source Tools ব্যবহার করে সফটওয়্যার ডেভেলাপমেন্ট - এর উপর জোর দেওয়া যায়।
Coursera, Udacity, MITx, EdX থেকে সবাই সেরা University গুলোর Course বাসায় বসে নিতে পারে। ইন্টারনেট সংযোগ খরচ কমিয়ে আনতে হবে।
আমাদের দেশে মূলত Outsourcing কাজগুলো হয় - বাইরের customer দের product আমরা ডেভেলাপ করে দেই।
আমাদের নিজস্ব প্রোডাক্ট ডেভেলাপমেন্ট এর দিকে যাওয়ার সময় এসেছে।
নিজেদের startup company গড়ে জন্য তোলার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
প্রথমে দরকার ডেভেলাপারদের মাঝে skills গুলো ডেভেলাপ করা।
Software Development শেখার পাশাপাশি International Market এ কি কি ধরণের Software product তৈরি হচ্ছে - সবসময় নজরে রাখতে হবে। readwrite.com, techcrunch.com বা
আমাদের tech.priyo.com থেকে নিয়মিত ঘুরে আসা কি খুব কঠিন?
Venture Capital Firm, Start-up incubator, Hackathon ইত্যাদি introduce করতে হবে।
Entrepreneurial culture গড়ে তুলতে হবে।
বর্তমান সময়টাই Entrepreneurial culture বিকাশের সময়।
সত্যি বলতে, ১০-১৫ বছর আগেও যে অ্যাপ্লিকেশান Government বা বড় কোম্পানি - বিশাল লোকবল ছাড়া develop করা সম্ভব ছিল না, বর্তমানে কিন্তু ছোট একটা startup ওরকম অ্যাপ্লিকেশান develop করতে পারে।
Open Source Tools আর Cloud Computing এর মাধ্যমে startup দাঁড় করানো এখন অনেক সহজ হয়ে গেছে, খরচ অনেকাংশে কমে গেছে।
যেমন - একটা Cluster (অনেকগুলো connected computer) এ run করবে - এমন computation intensive কোন processing এর code লেখা অনেক কঠিন। কিন্তু Hadoop ব্যবহার করে খুব সহজেই কাজটা আমরা
করতে পারি।
আবার অনেকগুলো কম্পিউটারের Cluster নিজেদের কিনে run করাতে হবে না, সামান্য খরচে Amazon Web Service এ সেই কোড Mapreduce Job হিসেবে run করানো যাবে।
Mark Zuckerberg যদি বন্ধুদের নিয়ে বর্তমানে ১০০ বিলিয়ন ডলার valuation এর Facebook প্রতিষ্ঠা করতে পারে - আমাদের ছেলেদের একটা startup কেন পারবে না?
বিলিয়ন ডলার আইটি ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তুলতে আমাদের BPO (Business Process Outsourcing), ITO (Information Technology Outsourcing) এর উপর জোর দিতে হবে।
এক্ষেত্রে Expertise, skillsগড়ে তুলতে হবে। সাথে প্রয়োজন হবে বাংলাদেশকে Outsourcung destination হিসেবে International Marketing.
Egypt কিন্তু BPO (Business Process Outsourcing), ITO (Information Technology Outsourcing) তে এই কাজটাই করেছে -
Skills development,
Institution গড়ে তোলা আর
International Marketing.
আমাদের BBA গ্রাজুয়েটদের নিয়ে দেশে Business Process Outsourcing (BPO) industry গড়ে তোলার যায়।
তথ্যপ্রযুক্তিতে স্বল্প মেয়াদী পরিকল্পনা ফ্রিলান্সিং কে ঘিরে করা উচিত।
ফ্রিলান্সিং এর বিভিন্ন স্কিলস, ইংরেজিতে দক্ষতা শেখানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠান (ব্যক্তিগত উদ্যোগেও হতে পারে) গড়ে তোলা, কম্পিউটার-ইন্টারনেট সংযোগের জন্য ঋণসুবিধা দেওয়া জরুরী।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফ্রিলান্সিং করে ঘরে বসে যথেষ্ট অর্থ উপার্জন করা যায় - এ ব্যাপারে সারা দেশে সচেতনতা সৃষ্টি।
লক্ষ টাকা ব্যয় করে মধ্যপ্রাচ্যে গিয়ে একজন বাংলাদেশী যে পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারে, ঘরে বসে ফ্রিলান্সিং করে একজন শিক্ষিত তরুণ তার চেয়ে বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারে।
"ঘরে বসে বড়লোক" - এমন দৃষ্টান্ত আরও আরও দেখতে চাই।
সবাই মিলে একসাথে কাজ করলে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিলিয়ন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন - খুব দ্রুতই সম্ভব।
5.বাজেটে অর্থ বরাদ্দ এবং মন্ত্রণালয় - সচিবালয়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পরিকল্পনা বাস্তবায়ন
আমাদের বাজেটে বিভিন্ন মন্ত্রানলয়ে বরাদ্দের কতটুকু উন্নয়নে ব্যয় হয় আর কতটুকু দুর্নীতি - লুটপাট হয় - তা নিয়ে গবেষণা হওয়া উচিত।
আমাদের সরকারগুলোর পরিকল্পনায় ভিশন নেই, বাস্তবায়নে আন্তরিকতা বা দক্ষতা কোনটাই নেই।
কয়েকটি মন্ত্রণালয় ও সচিবালয় সম্মিলিতভাবে এক একটা ভিশন বাস্তবায়নে আন্তরিকতা এবং দক্ষতার সাথে কাজ করবে, অগ্রগতির উপর নির্দিষ্ট সময় অন্তর পর্যালোচনা হবে, দেশের বিশেষজ্ঞদের কাজে লাগানো হবে - এমন কিছু দেখা যায় না।
মাঝে মাঝে বিপুল অর্থ ব্যয়ে দুই একদিনের জন্য বিদেশী বিশেষজ্ঞ আনা হয় এবং ওটুকুতেই সার। তার মতামত কতটুকু কাজে লাগানো হয় - তা নিয়েও সন্দেহের অবকাশ আছে।
কয়েক বছর আগে (২০১১) পত্রিকায় চোখে পড়েছিল মার্কেটিং গুরু ফিলিপ কটলারকে দেশে আনা হয়েছে। তিনি বাংলাদেশকে ফোকাস নির্ধারণ করে নিজস্ব কয়েকটি ব্র্যান্ড গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
এই পরামর্শ মত দেশে আদৌ কোন কাজ হয়েছে কি? না হলে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়ে বিদেশী বিশেষজ্ঞ আনা কি শুধুই ভোটের রাজনীতিতে লোক দেখানো ব্যাপার?
একবার পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপর একটা রিপোর্টে দেখি - বাজেটের বরাদ্দকৃত অর্থে মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টরা বিদেশে ট্যুর করেন। এসব ভ্রমণে দেশের ট্যুরিজমের প্রচার কতটুকু হয় - তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ আছে।
বাংলাদেশকে টুরিস্ট ডেস্টিনেশান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার কোন ভিশন আছে বলেও মনে হয়নি - বাস্তবায়ন তো দূরের কথা।
বিভিন্ন খাতে যে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয় - ব্যাপক দুর্নীতি এবং চরম অদক্ষতার পর - সত্যিকারের উন্নয়ন কতটুকু হয় - তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করার যথেষ্ট কারণ আছে।
আমাদের আরেকটা সমস্যা সরকারগুলোর কাজের অধারাবাহিকতা।
নির্বাচনে জয়ী হয়ে অপর দল ক্ষমতায় এলে পূর্ববর্তী সরকারের পরিকল্পনাগুলোর অনেকগুলোই বাতিল হয়ে যায়। ফলে শেষ পর্যন্ত কিছুই হয় না।
অর্থ বছরের শুরুতে বাজেটে যে বরাদ্দ দেওয়া হয় - তা মেনে চলতে হবে - আমাদের দেশে এমন কিছু নেই।
সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে হঠাৎ সিধান্ত নেওয়া হয় - "অমুক" পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। তখন বিভিন্ন মন্ত্রানলয় থেকে বরাদ্দকৃত অর্থ খরচ করে "অমুক" পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়!
আমাদের দেশে সবগুলো মন্ত্রণালয়ের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকলে - এই ধরণের গোঁজামিল - সমস্যা তৈরি করত।
উদাহরণ থেকে ব্যাপারটা বোঝার চেষ্টা করি।
ধরা যাক, বাজেটে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে মোট বরাদ্দের ১০ ভাগ আর কৃষিতে ৫ ভাগ।
হঠাৎ বছরের মাঝখানে সরকার ঠিক করলো কৃষিতে "ক" পরিকল্পনা বাস্তবায়নে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে বরাদ্দের ২ ভাগ কৃষিতে আনা হবে।
আমাদের দেশে দেখা যায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সেই ২ ভাগ বরাদ্দের জন্য "বাস্তবায়ন করতেই হবে" এমন কোন পরিকল্পনা - বছরের শুরুতে করে রাখেনি।
যদি রাখত - তাহলে বছরের মাঝখানে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বাজেটের অর্থ স্থানান্তর মেনে নিত না।
নাগরিক শক্তি ক্ষমতায় গিয়ে বাজেটে অর্থ বরাদ্দ, মন্ত্রণালয় ও সচিবালয়গুলোর কাজের মাঝে সমন্বয় সাধন করবে।
বাজেট ঘোষণার আগে অর্থ মন্ত্রণালয় সবগুলো মন্ত্রণালয়ের কাছে ভিশন, পরিকল্পনা এবং অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাবনা দিতে আহ্বান করবেন।
প্রত্যেক মন্ত্রণালয় সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ (এবং যদি কোন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে একাধিক সচিবালয়ের কাজের সমন্বয়ের প্রয়োজন পড়ে তবে সচিবালয়ের একাধিক বিভাগ) এবং দেশের Expertsদের সাথে নিয়ে
দেশের উন্নয়নে ভিশন, পরিকল্পনা এবং প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ প্রস্তুত করবেন।
তারপর অর্থ মন্ত্রণালয় বাজেট ঘোষণা করবেন।
এরপর মন্ত্রণালয়গুলো পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে বছরব্যাপী পরিকল্পনা হাতে নেবেন এবং পরিকল্পনার একটি copy প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জমা দেবেন।
পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অগ্রগতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দিষ্ট সময় অন্তর মনিটারিং করা হবে।
6.ক্রীড়ায় বাংলাদেশ
ক্যাপ্টেইন ফ্যান্টাস্টিক মুশফিকুর রহিমকে নতুন জীবন শুরুর আগাম শুভেচ্ছা!
7.অন্যায় অপরাধমুক্ত সিলেট জেলা গড়ে তোলায় অগ্রগতি
আগ্নেয়াস্ত্র-মাদক উদ্ধারে ১২ ঘণ্টার বিশেষ অভিযান
"দু চারটি ছিনতাই ছাড়া রমজানে ও ঈদ বাজারে বড় ধরণের কোন অপরাধ সংঘটিত হয়নি। এক প্রকার সংযমী ছিল মাদক ব্যবসায়ীরাও।
মাদক ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করবে সিলেট মহানগর পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হবে দাগি ও পরোয়ানাভুক্ত ২ হাজার ২শ' আসামীকে।"
8."মাদকমুক্ত বাংলাদেশ" গড়ার পথে অগ্রগতি
বাংলাদেশ মাদকমুক্ত হওয়ার পথে।
বাংলাদেশের নাগরিকদের দেশ নিয়ে গর্ব করার মত অর্জনের ভান্ডারে আরেকটা অর্জন কিছুদিন পর যোগ হবে।
বাংলাদেশ হবে পৃথিবীর প্রথম অবৈধ মাদকমুক্ত দেশ।
9."অবৈধ অস্ত্রমুক্ত বাংলাদেশ" গড়ার পথে অগ্রগতি
বাংলাদেশের কোন নাগরিকের কাছে অবৈধ অস্ত্র - মেনে নেওয়া হবে না।
দেশের প্রত্যেকটি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাজ করছেন।
গাংনীতে ২টি হাতবোমা উদ্ধার
10.নালিতাবাড়িতে বিজিবি - বিএসএফ এর মধ্যে পতাকা বৈঠক (banglanews24.com)
11.কৃষিতে নবজাগরণ
ধান গবেষণায় কোরিয়া-বাংলাদেশ সহযোগিতার নতুন দিগন্ত
12.ভেজাল খাদ্য ও ওষুধ এবং ফরমালিন্মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলায় অগ্রগতি
জয়পুরহাটে ২ লক্ষাধিক টাকার নকল ওষুধ জব্দ
13.বাংলাদেশ এখন আন্তর্জাতিকভাবে দৃঢ় অবস্থান তৈরি করার লক্ষ্যে কাজ করবে।
গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের মাধ্যমে নেপাল, ভুটান এবং ভারতের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হয়ে ওঠা,
সমুদ্রে তেল ও গ্যাস আবিষ্কার,
পলিটিকাল স্টাবিলিটি, দক্ষ কর্মশক্তি এবং প্রয়োজনীয় Infrastructure নিশ্চিত করার মাধ্যমে বিদেশী বিনিয়োগ,
নতুন নতুন শিল্প স্থাপন,
আইসিটি, জাহাজ নির্মাণ এ অগ্রগতির পাশাপাশি Construction, Medical Device, Automobile, Biotech এবং অন্যান্য প্রকৌশল ও প্রযুক্তি শিল্প গড়ে তোলা,
নতুন নতুন Market কে লক্ষ্য করে নতুন Product আনা এবং রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি,
- এসবের মাধ্যমে বাংলাদেশ হয়ে উঠবে দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার Regional Powerhouse.
14.নারী অগ্রগতি, ক্ষমতায়নের মাধ্যমে সামাজিক অগ্রগতি
বাংলাদেশের নারীদের বেশ কিছু পরিসংখ্যান অনন্য।
গ্রামীণ ব্যাংকের ৮৫ লক্ষাধিক গ্রাহকের মাঝে ৯৭% নারী। এই নারীরা ক্ষুদ্রঋণ গ্রহণ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।
নারীর ক্ষমতায়নে গ্রামীণ, ব্র্যাকসহ এনজিওগুলোর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশের সরকার জানে সরকারের একার পক্ষে দারিদ্র্য দূরীকরণ সম্ভব নয়। তাই আমাদের সরকার স্বাধীনতার পর থেকেই এনজিওগুলোর বিকাশের সুযোগ করে দিয়েছে।
গত দশকে দেশের শিল্প ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ঘটনা গার্মেন্টস শিল্পের বিকাশ। গার্মেন্টস কর্মীর সংখ্যা প্রায় ৪০ লক্ষ, যার ৮৫% এর উপর নারী।
শুধু কি দারিদ্র্য দূরীকরণে নারীদের অংশগ্রহণ?
শিক্ষা ক্ষেত্রে চিত্রটা আমরা দেখি।
আমাদের দেশের মেডিক্যাল কলেজগুলোতে প্রায় ৫৫-৬০% ছাত্রী (৪০-৪৫% ছাত্র)।
মেয়েদের জন্য ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষা এবং ছাত্রীদের জন্য বৃত্তি - নারী শিক্ষার প্রসারে ভূমিকা রেখেছে।
আমাদের রাজনীতি নিয়ে যতই অভিযোগ থাকুক, একটা ব্যাপারে আমাদের রাজনীতি পৃথিবীতে অনন্য - আমাদের প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধী দলীয় নেত্রী দুইজনই নারী।
দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি স্থান দুইজন নারীর দখলে - এটা নিশ্চয় আমাদের দেশের নারীদের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে।
নারী অগ্রগতি, ক্ষমতায়নের মাধ্যমে আমাদের দেশে (অনেকের অলক্ষ্যেই) সামাজিক অগ্রগতি ঘটেছে।
আমরা কি জানি, সামাজিক নানা সূচকে (যেমন শিশু মৃত্যুহার, গড় আয়ু, নারী শিক্ষা, শিশু পুষ্টি, শিশুদের টিকা - ভ্যাক্সিন দেওয়ার হার, ইত্যাদিতে) আমরা প্রতিবেশী ভারত, পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গিয়েছি?
"নারী অগ্রগতি, ক্ষমতায়নের মাধ্যমে সামাজিক অগ্রগতি" - কিভাবে?
শিক্ষিত - স্বাবলম্বী নারীরা ছেলেমেয়ে নেন কম (শিশুর জন্মের সময় কয়েকমাস ছুটি নেওয়া ইত্যাদি কারণে)। ছেলেমেয়ে কম নিলে তাদের প্রত্যেকের সর্বোচ্চ যত্ন নেওয়া সম্ভব হয়।
আবার, পরিবারে মায়েদের ভূমিকা বেশি থাকলে মেয়ে শিশুরা ছেলে শিশুদের সমান অধিকার, যত্ন, শিক্ষার সুযোগ পায়।
শিক্ষিত - স্বাবলম্বী নারীরা শিশুদের যত্ন নেন বেশি। টিকা - ভ্যাক্সিন দেওয়া ইত্যাদি নিশ্চিত হয়। শিশুদের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এসব ব্যাপার পরিসংখ্যানে শিশু মৃত্যু হার কমিয়ে আনে; শিশু পুষ্টি (স্বাস্থ্যবান শিশু) ইত্যাদি সূচকেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
আমাদের দেশে সামাজিক ক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়নের ভূমিকা দেখে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বলেছেন, যে দুটি দেশ থেকে ভারত সবচেয়ে বেশি শিখতে পারে তাদের একটি হল চায়না, অপরটি হল বাংলাদেশ।
রেফরেন্স
নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সামাজিক অগ্রগতি: প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ (March 6, 2014)
15.নাগরিক শক্তি আধুনিক যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে সবাইকে সাথে নিয়ে দেশের এক একটি সমস্যা সমাধান করবে।
এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে একটি সামাজিক যোগাযোগ সাইট ডেভেলাপ করা হবে।
দেশের নাগরিকরা দেশের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরবেন। যারা সমস্যাটি সম্পর্কে অবহিত তারা সমস্যাটি আরও বিস্তারিত করে তুলে ধরবেন।
আবার কেউ চিহ্নিত করবেন - এক ক্ষেত্র যেখানে অনেক উন্নতির সুযোগ রয়েছে।
অন্যরা সমস্যাটির বিভিন্ন সমাধান suggest করবেন।
তারপর সবাই মিলে সমস্যা সমাধানে একটা কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে। সাথে টাইমলাইন থাকবে - এই সময়ের মাঝে এতটুকু করা হবে।
সবাই যে যার অবস্থান থেকে সমস্যাটি সমাধানে ভূমিকা রাখবেন।
আর এভাবে এক একটি সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে, এক একটি ক্ষেত্রে উন্নতির মাধ্যমে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।
[
আজকে সারা দেশে ফরমালিন আর ভেজাল খাদ্য আর ওষুধ বিরোধী যে অভিযান চলছে - তার শুরুটা কিভাবে?
ফেইসবুকে ফরমালিন সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টিতে "Stop poisoning us" নামে একটি গ্রুপ করা হয়।
গ্রুপটি ঢাকায় মানববন্ধন করে।
আমরা ব্যাপারটি সম্পর্কে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের এবং দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেটদের সৃষ্টি আকর্ষণ করি।
চ্যানেল আইতে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন এবং একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়ে কৃষি ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ "তৃতীয় মাত্রা"য় একটি বিশেষ পর্ব করেন।
দেশের কয়েকটি এলাকায় প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং ম্যাজিস্ট্রেটরা ভেজাল খাদ্য এবং ফরমালিন বিরোধী অভিযান পরিচালনা শুরু করেন।
ডিএমপি (ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশ) কমিশনার বেনজীর আহমেদ ঢাকাকে ফরমালিন মুক্ত করতে ঢাকায় বিশেষ অভিযান শুরু করেন।
ঢাকার ভেতরে এবং বাইরে - দেশের বিভিন্ন স্থানে ফরমালিন এবং ভেজাল খাদ্য বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়।
দেশের বিভিন্ন স্থানে সচেতন জনগণ ফরমালিন এবং খাদ্যে ভেজালের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টিতে মানববন্ধন করে।
এই অভিযান এখনো চলছে।
ফলমূলে ফরমালিনের পাশাপাশি ভেজাল খাদ্য, ফরমালিনযুক্ত মাছ এবং সবচেয়ে ভয়ানক - ভেজাল ওষুধের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
কিছুদিন আগে সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর নীলফামারির একটি বাজারকে "ফরমালিনমুক্ত" হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। বাংলাদেশের আরও অনেক বাজার আজকে "ফরমালিন্মুক্ত"।
ফরমালিন কিন্তু মোটেই ছোট কোন ব্যাপার না - দেশের মানুষের গড় আয়ু অনেকখানি কমিয়ে দিতে, ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে এর ভূমিকা রয়েছে।
বাংলাদেশ কিছুদিন পর ফরমালিন মুক্ত হবে। তখন মানুষ পিছে ফিরে তাকালে - উপরের গল্পটি বলবে।
]
কেন্দ্রীয়ভাবে পরিকল্পনা করা হলে - দেশের সমস্যা সমাধানে এবং উন্নয়নে - এই ধরণের কর্মপরিকল্পনা আরও কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব।
সবাই মিলে কাজ করলে কি না হয়?
মানব উন্নয়ন সূচক বা Human Development Index এ একটি দেশে একজন শিশু
১. গড়ে কত বছর বাঁচবে
২. গড়ে কত বছর স্কুলে পড়াশোনা করবে এবং
৩. গড়ে কি পরিমাণ রোজগার করবে
- এই ৩টি বিষয়কে বিবেচনায় নেওয়া হয়।
মানব উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪২ তম। ভারত ও পাকিস্থানের অবস্থান যথাক্রমে ১৩৫ ও ১৪৬ তম অবস্থানে।
নারী পুরুধ সমতা উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৭ তম। ভারতের অবস্থান ১৩২ ও পাকিস্থানের অবস্থান ১৪৫ তম স্থানে।
২০১৩ সালের ডিসেম্বর থেকে অন্যায় - অপরাধ - দুর্নীতি - মাদক - ফরমালিন এর বিরুদ্ধে আমরা কাজ শুরু করি। অবদান রাখা শুরু করি অর্থনীতি - শিল্প - বাণিজ্য প্রসারে।
২০১৫ সালের Human Development Index বা মানব উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান অনেক উপরে থাকবে এবং অবশ্যই ভারতকে ছাড়িয়ে যাবে।
গড় আয়ু বা গড়ে কত বছর স্কুলে পড়াশোনা করবে - এই দুটো সূচকে রাতারাতি উন্নতি করা সম্ভব না।
সহজভাবে বলতে গেলে, আগামী ১ বছরে বাংলাদেশে কোন ব্যক্তি মারা না গেলেও গড় আয়ু মাত্র ১ বছর বাড়বে! এই সূচকে উন্নতি করার উপায় শিশু মৃত্যুহার কমিয়ে আনা।
স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা খাতে উন্নয়ন কর্মসূচী নিলে কয়েক বছর পর হিসেব করলে গড় আয়ু এবং স্কুলে পড়াশোনার সময় বাড়বে।
তবে আনন্দের ব্যাপার - গড় আয়ু এবং স্কুলে পড়াশোনা - এই দুটোতে দক্ষিণ এশিয়ায় আমরা বেশ এগিয়ে।
Human Development Index এর তৃতীয় ফ্যাক্টর - মাথাপিছু আয়ে দ্রুত উন্নতি সম্ভব।
নাগরিক শক্তি ক্ষমতায় গিয়ে নিজেদের মানদণ্ডে নিজেদের সাফল্য, অপরের ব্যর্থতা প্রচার করবে না। বরং Human Development Index এর মত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানদণ্ড-ই নাগরিক শক্তির সাফল্য ব্যর্থতা নিরূপণ করবে।
17.বাংলাদেশের মানুষ গভীর উৎসাহে দেশ গঠনে সমাজ সংস্কারে অংশ নিচ্ছে।
কেউ নিজেকে যুক্ত করছেন মাদক বিরোধী আন্দোলনে,
কেউ ফরমালিন বিরোধী, কেউ নারী অধিকার রক্ষায়, নারীরা একত্রিত হচ্ছেন বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে,
কেউ নিজেকে যুক্ত করছেন গণজাগরণ মঞ্চের সাথে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্নযাত্রায়।
আর সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে গড়ে উঠছে দুর্নীতিমুক্ত মাদকমুক্ত সন্ত্রাসমুক্ত
সব রকম অন্যায় অবিচার অনিয়ম মুক্ত সমৃদ্ধ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উন্নত স্বপ্নের বাংলাদেশ।
নাগরিক শক্তির প্রত্যেক সমর্থককে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের সদস্যপদ গ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে।
আত্নপ্রকাশ ঘোষণার "কয়েকদিন" এর মাঝে নাগরিক শক্তির Registered (নিবন্ধিত) সদস্য সংখ্যা ১ কোটি (10 Million) ছাড়াবে।
নাগরিক শক্তি এবং বাংলাদেশ নিয়ে আমার লেখাগুলো বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ পড়েছেন।
নাগরিক শক্তির Registered (নিবন্ধিত) সদস্য সংখ্যার বিভিন্ন মাইলস্টোন জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে।
১ লক্ষ Registered official সদস্য ...!
১০ লক্ষ Registered official সদস্য ... !!
৫০ লক্ষ Registered (নিবন্ধিত) সদস্য ...!!!!
১ কোটি Registered (নিবন্ধিত) সদস্য ... !!!!!!!!!
- এভাবে!
18.ফাইনান্সিয়াল সিস্টেমে সংস্কার:
দেশের পুরো ফাইনান্সিয়াল সিস্টেমকে ঢেলে সাজানো হবে।
ফাইনান্সিয়াল সিস্টেম (Financial System) বলতে কিছু শর্তের ভিত্তিতে এবং নিয়মকানুন মেনে অর্থ (Money) এক পক্ষ থেকে অপর পক্ষে হস্তান্তর করে এমন সব সিস্টেম।
ফাইনান্সিয়াল সিস্টেমের মাঝে রয়েছে ব্যাংক, ক্ষুদ্রঋণ (Micro-credit) প্রতিষ্ঠান, স্টক মার্কেট,
ভেঞ্চার ক্যাপিটাল শিল্প, ইন্টারন্যাশনাল এক্সচেঞ্জ (ফরেইন রেমিটেন্স ম্যানেজমেন্ট), ইনস্যুরেন্স।
শেয়ার মার্কেটে সংস্কার:
এক শেয়ার বাজারেই ২০১১ সালে ৪০ বিলিয়ন ডলারের ($40 Billion+) উপর অর্থ বা প্রায় ৩ লক্ষ কোটি টাকার উপর অর্থ কারসাজির মাধ্যমে সরানো হয়েছে।
শেয়ার বাজারেই ২০১১ সালের scam এর পুরোটা ছিল পূর্ব পরিকল্পিত।
প্রথমে সবাইকে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগে লাভের লোভ দেখিয়ে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত করা হয়। (ঠিক যেভাবে এমএলএম কোম্পানিগুলো লাভের লোভ দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।)
লক্ষ লক্ষ যুবক, বিভিন্ন পেশার মানুষ লাভের আশায় শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করেন। অনেকেই বিনিয়োগ করতে গ্রামে নিজেদের সহায় সম্পত্তি বিক্রি করেন।
তারপর কারসাজি করে লক্ষ কোটি টাকা সরিয়ে নেওয়া হয়।
প্রায় ৩২ লক্ষাধিক বিনিয়োগকারী সর্বস্ব হারিয়ে ফেলেন।
৩২ লক্ষাধিক বিনিয়োগকারী
এবং
৪০ বিলিয়ন ডলারের ($40 Billion+) উপর অর্থ বা প্রায় ৩ লক্ষ কোটি টাকার উপর অর্থ
দুটো অনেক বড় সংখ্যা।
আমরা বিদেশে পাচার করা কালো টাকা ফিরিয়ে আনবো।
নাগরিক শক্তি ক্ষমতায় গিয়ে স্টক মার্কেটে কোম্পানির মূল্যমান নির্ধারণ করার প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ এবং মানসম্পন্ন করবে। (আমাদের দেশে কিছু কোম্পানির বাস্তবে অস্তিত্ব নেই, কিন্তু শেয়ার মার্কেটে শেয়ার বিক্রি করে।)
ব্যাংকিং সেক্টরে সংস্কার:
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে স্বচ্ছতা আনতে আমরা কাজ শুরু করেছি।
দেশের রাস্ট্রায়ত ব্যাংকগুলো চরম অব্যবস্থাপনা এবং সীমাহীন দুর্নীতিতে নিমজ্জিত।
রাজনীতিবিদরা এবং রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহারকারীরা দেশের রাস্ট্রায়ত ব্যাংকগুলো থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট-দুর্নীতি-ঋণ খেলাপি করেছেন।
দেশের ব্যাংকিং সেক্টরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা হবে।
রাস্ট্রায়ত ব্যাংকগুলোতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, দুর্নীতিবাজদের বিচারের মুখোমুখি করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
- সোলায়মান খান সাত দিনের রিমান্ডে (samakal.net)
"১৪০ কোটি টাকা আত্নসাতের গুরুতর অভিযোগে মামলা হয়েছে।"
State-owned banks in Bangladesh: From cancer to pimple [The Economist, April 19th, 2004; Print edition]
বিশিষ্ট ব্যক্তিদের প্রস্তাব:
- ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ: অর্থনীতিবিদ; সাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক
- খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদঃ ব্যাংকার; সাবেক ডেপুটি গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক
নাগরিক শক্তি ক্ষমতায় গিয়ে রাস্ট্রায়ত ব্যাংকগুলোকে প্রাইভেটাইজেশনের (privatization) প্রক্রিয়া শুরু করবে।
হুন্ডির মাধ্যমে প্রবাসীদের অর্থ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান:
হুন্ডির মাধ্যমে প্রবাসীদের অর্থ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে আমরা কাজ শুরু করেছি। পুরোপুরি কার্যকর করতে পারলে ফরেইন রেমিটেন্স (Foreign Remittance) প্রায় দ্বিগুণ করা সম্ভব।
হুন্ডি ব্যবসায়ীরা মাদকসহ নানা অপকর্মে তাদের অর্থ ব্যবহার করেন।
হরতালের বিপক্ষে দৃঢ় অবস্থান:
দেশে আমরা কোন রাজনৈতিক দলকে জোর করে হরতাল পালন করতে দেবো না।
ফরেইন রেমিটেন্স এবং কালো টাকা - বিলিয়ন ডলার দেশে ফিরে আসবে।
ব্যবসার পথে আমলাতান্ত্রিক জটিলতাগুলো দূর করবো।
দেশের ব্যাংকগুলোতে যদি বিলিয়ন ডলার থাকে আর ব্যবসা করার প্রক্রিয়া যদি সহজ হয়, তাহলে দেশে বাণিজ্য এবং শিল্পের একটা নবজাগরণ ঘটবে।
সবকিছু পরিকল্পনামত এগুলে বাংলাদেশ শুধু "দুর্নীতিমুক্ত", "মাদকমুক্ত", "ফরমালিনমুক্ত" এবং "সন্ত্রাসমুক্ত"ই হবে না, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে রেকর্ড পরিমাণ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে।
বাংলাদেশে হরতাল - জ্বালাও - পোড়াও এর সংস্কৃতি বন্ধ হয়েছে।
একদিনের হরতালে দেশে ২ হাজার কোটি টাকার উপর ক্ষতি হয়।
এভাবে হিসেব করলে ২-৩দিনের হরতালে দেশের জিডিপি থেকে ১ বিলিয়ন ডলার হারিয়ে যায়।
হরতাল সংস্কৃতি বন্ধের ফলে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে জিডিপিতে ঊর্ধ্বগতি আমরা দেখবো।
২০১৪-১৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১০% ছাড়িয়ে যাবে।
সহজভাবে বলতে গেলে ব্যাপারটা হল, আগের ১ বছরে দেশে মোট যে পরিমাণ পণ্য ও সেবা উৎপাদিত হয়েছে, আগামী ১ বছরে তার চেয়ে ১০% এর বেশি পণ্য ও সেবা উৎপাদন।
ধরি, বাংলাদেশের বর্তমান জিডিপি আনুমানিক ১৫০ বিলিয়ন ডলার। তাহলে, ১০% প্রবৃদ্ধির জন্য ২০১৪-১৫ অর্থবছরে জিডিপি ১৬৫ বিলিয়ন ডলার (১৫ বিলিয়ন ডলার বেশি) হতে হবে।
১৫ বিলিয়ন ডলারের উপর জিডিপি প্রবৃদ্ধি কিন্তু খুবই সম্ভব।
আগের অর্থবছরের মত দিনের পর দিন হরতাল নেই। পোশাক শিল্পে রপ্তানি অনেকখানি বাড়বে। ব্যবসা ভালো চলবে।
অন্যায় - অপরাধ - মাদকের প্রকোপ নেই। জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে আগের মত অনিশ্চয়তা নেই।
দুর্নীতি অনেকখানি নিয়ন্ত্রণে।
স্থানীয় সরকারগুলো তাদের দায়িত্ব পালন করবে।
ব্যবসা - উদ্যোগের পথে সমস্যাগুলো দূর করা হবে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা (যেমন নিবন্ধন ইত্যাদি) দূর করা হবে।
হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ পাঠানো বন্ধ হলে ফরেইন রেমিটেন্স অনেকখানি বাড়বে - বেশ কয়েক বিলিয়ন ডলার।
নাগরিক শক্তি ক্ষমতায় গিয়ে স্টক মার্কেটে কোম্পানির মূল্যমান নির্ধারণ করার প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ এবং মানসম্পন্ন করবে। (আমাদের দেশে কিছু কোম্পানির বাস্তবে অস্তিত্ব নেই, কিন্তু শেয়ার মার্কেটে শেয়ার বিক্রি করে।)
ব্যাংক, স্টক মার্কেট এ শৃঙ্খলা আসলে শিল্প মালিক এবং উদ্যোক্তাদের নতুন ব্যবসা শুরু করতে অর্থের যোগান পেতে সমস্যা হবে না।
আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ হবে - বাইরে পাচার হওয়া কালো টাকা ফিরিয়ে আনা। আমরা পাচার হওয়া অনেক বিলিয়ন ডলার ফিরিয়ে এনে প্রকৃত মালিক জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেবো।
সবাই দায়িত্ব ভাগ করে নিলে ১০% এর অধিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যটা সহজ হয়ে যায়।
গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রির এক্সপোর্ট গত ১ বছরে ২০ বিলিয়ন ডলার হলে, আগামী ১ বছরে ২২ বিলিয়ন ডলার এক্সপোর্ট করতে হবে।
আবার, কোন মাঝারি আকারের ব্যবসা গত ১ বছরে ১০ লক্ষ টাকার পণ্য ও সেবা উৎপাদন করলে, আগামী ১ বছরে ১১ লক্ষ টাকার পণ্য ও সেবা উৎপাদন করতে হবে।
এভাবে আমরা যে যেখানেই আছি না কেন, প্রত্যেকে যদি পণ্য বা সেবায় নিজের contribution আগের ১ বছরের তুলনায় ১০% বাড়াতে পারি তবে আমরা ১০% জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারবো।
বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের লক্ষ্য হোক আগের বছরের তুলনায় ১০% বেশি উন্নতি।
[ছাত্রছাত্রীরাও এই প্রক্রিয়ার সাথে নিজেদের যুক্ত করতে পারে। কোন ছাত্র বা ছাত্রী আগের ১ বছর প্রতিদিন গড়ে ৬ ঘন্টা পড়াশোনা করলে আগামী ১ বছর প্রতিদিন গড়ে ৬ ঘন্টা ৩৬ মিনিট পড়াশোনা করতে হবে এবং প্রত্যেক বিষয়ে ১০% বেশি নাম্বার পেতে হবে। পারবে না?]
উল্লেখ্য, গত ১০ বছরে নিয়মিতভাবে আমরা আগের বছরের তুলনায় ৬ - ৬.৭% জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি।
অন্যভাবে বলতে গেলে, গত ১০ বছরে - প্রতিবছর আগের বছরের তুলনায় দেশে উৎপাদিত মোট পণ্য ও সেবার পরিমাণ ৬ - ৬.৭% বৃদ্ধি পেয়েছে।
সবকিছু পরিকল্পনামত এগুলে আমরা খুব দ্রুত মাথাপিছু আয়ের দিক দিয়ে প্রতিবেশী ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা আর ভিয়েতনামকে ছাড়িয়ে যাব!
বাংলাদেশ কয়েক বছরের মাঝে Emerging Economyগুলোর মাঝে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল এবং শক্তিশালী হিসেবে আবির্ভূত হবে।
স্বপ্নের বাংলাদেশের দিকে আমাদের দৃষ্টি নিবদ্ধিত।
রেফরেন্স:
নাগরিক শক্তির অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিকল্পনার রূপরেখা
19.আমি মার্কিন যুক্তরাস্ট্রে বাংলাদেশী পণ্যের অবাধ বাজার সুবিধা (জিএসপি) নিশ্চিত করবো। এ লক্ষ্যে যা করা দরকার - শ্রমিকদের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা, কূটনৈতিক উদ্যোগ - নেবো।
20.আমরা বাংলাদেশ থেকে অন্যায় অপরাধ দূর করতে কাজ করছি। দেশের মানুষের নিরাপত্তা অনেকখানি বেড়েছে। দুর্নীতি দূর করার লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি।
বাংলাদেশ থেকে সমস্ত অন্যায় - অপরাধ দূর করা হবে।
সারা পৃথিবীতে প্রথম মাদকমুক্ত দেশ হবে বাংলাদেশ। (অ্যাই, কি যে ভালো লাগছে না! পৃথিবীর একটা দেশ পুরোপুরিভাবে মাদকমুক্ত! ঐ দেশটাতে কোন মাদক নেই! কোন দেশ জানো? তোমার আমার বাংলাদেশ!)
কিছুদিনের মাঝে খাদ্যে ভেজাল বা ফরমালিন অতীতের একটা ব্যাপারে পরিণত হবে। ("জানো, দেশের ফলমূলে একসময় ফরমালিন দেওয়া হত!")
কয়েক বছর আগে পৃথিবীর শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্থ দেশ বাংলাদেশ হবে সম্পূর্ণভাবে দুর্নীতিমুক্ত।
কিছুদিন পর বাংলাদেশের কোন নাগরিকের কাছে অবৈধ অস্ত্র বলে কিছু থাকবে না। এই লক্ষ্যেও কাজ দৃঢ় পদক্ষেপে এগুচ্ছে।
উপরের লক্ষ্যগুলো অর্জনের পর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমাদের মেধাবী মানুষদের প্রয়োজন হবে।
দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে এবং নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে বিদেশে কর্মরত দক্ষ বিজ্ঞানী ইঞ্জিনিয়ার চিকিৎসক এক্সপার্টদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
আমরা তাদের ফান্ডিং, ইনভেস্টমেন্ট নিশ্চিত করবো। আর তারা দেশে নতুন নতুন Industry প্রতিষ্ঠা করবেন। বিশ্বমানের University গড়ে তুলবেন।
গড়ে উঠবে স্বপ্নের আধুনিক উন্নত বাংলাদেশ।
21.নাগরিক শক্তির যে কোন সদস্য দলের মেম্বার থেকে ধীরে ধীরে নিজ যোগ্যতায় শীর্ষপদে যেতে পারবেন এবং জনগণের মান্ডেট নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কিংবা রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হতে পারবেন।
ভারতে এক সময়কার চা বিক্রেতা মাত্র কিছুদিন আগে দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন।
বাংলাদেশেও ভবিষ্যতের কোন এক সময় অনুরূপ কাহিনী রচিত হবে।
দলের প্রতিটি পর্যায়ে গণতন্ত্রের চর্চা থাকবে, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে।
নির্দিষ্ট সময় অন্তর দলের প্রতিটি পদের জন্য দলের অভ্যন্তরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং নির্বাচনে জয়ী হয়ে নেতারা ধীরে ধীরে দলে উপরের দিকে উঠে আসবেন।
পারিবারিকভাবে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব দখল করে রাখার সংস্কৃতির অবসান ঘটবে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাবেক সাংসদ তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ, মাহী বি. চৌধুরী, ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থদের মত আদর্শবান তরুণ নেতারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
আমরা আদর্শবান দক্ষ যোগ্য তরুণ নেতাদের দেখতে চাই।
সম্ভবনাময় তরুণ নেতাদের প্রজেক্টারে প্রেসেন্টেশানের সুযোগ দেওয়া হবে। ইন্টারভিউ নেওয়া হবে। সময় নিয়ে লিডারশীপ স্কিলস গ্রো করা হবে। নাগরিক সমাজের সম্মানিত ব্যক্তিরা এবং প্রাজ্ঞ রাজনীতিবিদরা তত্ত্বাবধানে থাকবেন।
তবে নির্বাচনের আগে তৃণমূল থেকে নাম প্রস্তাব হতে হবে। জনপ্রিয়তা গ্রহণযোগ্যতা যাচাই করে দেখা হবে।
22.দেশে আমরা আর Pirated Software ব্যবহার করবো না - ওগুলো illegal.
আমরা ব্যবহার করবো Open Source Software এবং Web Apps - যেগুলো বিনামূল্যে পাওয়া যায়।
আমরা Pirated Microsoft Office ব্যবহার করবো না, তার পরিবর্তে ব্যবহার করবো Google Apps (Google Docs ইত্যাদি) বা Open Office.
আমরা Pirated Windows Operating System ব্যবহার থেকেও সরে আসবো। আজকেই বন্ধুদের নিয়ে Linux Operating System install করে ফেলুন। কয়জনই বা Linux ব্যবহার করে! হয়ে উঠুন সবার চেয়ে আলাদা!
এখন তো প্রায় কাজই Web এ , Cloud এ করে নেওয়া যায় - Operating System - Windows কি Linux - তাতে খুব বেশি কিছু আসে যায় না - Browser Chrome হলেই হল!
23.স্বাক্ষরতার হার ১০০% এ উন্নীত করতে বাধ্যতামূলক Adult Education প্রচলন করা হবে।
দেশের প্রতিটি মানুষ লিখতে (Writing), পড়তে (Reading), প্রাথমিক অংকের হিসেব করতে (Basic Arithmetic) এবং তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার (Basic Computer skills) করতে পারবে।
22.দেশে আমরা আর Pirated Software ব্যবহার করবো না - ওগুলো illegal.
আমরা ব্যবহার করবো Open Source Software এবং Web Apps - যেগুলো বিনামূল্যে পাওয়া যায়।
আমরা Pirated Microsoft Office ব্যবহার করবো না, তার পরিবর্তে ব্যবহার করবো Google Apps (Google Docs ইত্যাদি) বা Open Office.
আমরা Pirated Windows Operating System ব্যবহার থেকেও সরে আসবো। আজকেই বন্ধুদের নিয়ে Linux Operating System install করে ফেলুন। কয়জনই বা Linux ব্যবহার করে! হয়ে উঠুন সবার চেয়ে আলাদা!
এখন তো প্রায় কাজই Web এ , Cloud এ করে নেওয়া যায় - Operating System - Windows কি Linux - তাতে খুব বেশি কিছু আসে যায় না - Browser Chrome হলেই হল!
23.স্বাক্ষরতার হার ১০০% এ উন্নীত করতে বাধ্যতামূলক Adult Education প্রচলন করা হবে।
দেশের প্রতিটি মানুষ লিখতে (Writing), পড়তে (Reading), প্রাথমিক অংকের হিসেব করতে (Basic Arithmetic) এবং তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার (Basic Computer skills) করতে পারবে।
24.Entrepreneurship (উদ্যোক্তা) Development
১.উদ্যোক্তাদের ব্যবসা সংক্রান্ত সব তথ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে ওয়েবসাইট
২.উদ্যোক্তাদের কমিউনিটি গড়ে তোলা; পারস্পরিক যোগাযোগের মাধ্যমে শেখা এবং সম্মিলিতভাবে নতুন উদ্যোগ নেয়া;
৩.দেশে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল শিল্প গড়ে তোলা
৪.ব্যবসার ক্ষেত্রে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নিরসন; দ্রুততম সময়ে উদ্যোক্তারা যাতে ব্যবসা শুরু করতে পারেন সে লক্ষ্যে সমস্ত বাঁধাগুলো দূর করা;
৫.ব্যাংক ঋণ শর্ত সহজীকরণ; রাস্ট্রায়ত ব্যাঙ্কগুলোকে প্রাইভেটাইজেশনের উদ্যোগ নেওয়া
৬. তথ্যপ্রযুক্তিতে Entrepreneurship উৎসাহিত করতে Incubator প্রতিষ্ঠান, Hackathon প্রতিযোগিতা ইত্যাদি আধুনিক নানা উদ্যোগ চালু করা
"ভারত ২০০৬ সালেই হাতিয়াভাঙ্গার মুখের ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণের খাড়িতে ১০০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সন্ধান পেয়েছে, যেটি বাংলাদেশ-ভারতের বিরোধপূর্ণ এলাকা। একটি একক কেন্দ্রে এটি ভারতের সর্বোচ্চ মজুদ।
এই অঞ্চলে ভারতের দখল নিশ্চিত হওয়ায় সে দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ভারতের স্বস্তির কথা জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশের দক্ষিণ তালপট্টি এই এলাকাতেই অবস্থিত।"
বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ১০ ট্রিলিয়ন ঘনফুটের কিছু বেশি গ্যাসের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
অন্যদিকে, সমগ্র ভারতে ৫০ ট্রিলিয়ন ঘনফুটের কিছু বেশি গ্যাসের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
দক্ষিণ তালপট্টিতে ১০০ ট্রিলিয়ন ঘনফুটের বেশি গ্যাসের মজুদ থাকতে পারে।
দক্ষিণ তালপট্টি উপর বাংলাদেশের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সম্ভাব্য সবরকম উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বাংলাদেশে আমাদের তেল এবং গ্যাস সম্পদ আমরা নিজেরা আহরণ করতে পারলে দেশের অর্থনীতির চেহারা দ্রুত পাল্টে যাবে।
No comments:
Post a Comment