7.
নাগরিক শক্তি ক্ষমতায় গিয়ে সিলেটকে "এশিয়ান হাইওয়ে" এর সাথে যুক্ত করার মাধ্যমে পূর্বে জাপান এবং পশ্চিমে তুরস্কের সাথে সড়কপথে যোগাযোগের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
"আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পূর্ণ হতে চলেছে আরিফুল হক চৌধুরীর। দায়িত্ব গ্রহণের পর এবারই প্রথম বাজেট ঘোষণা করলেন তিনি।
পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরষণে সরকারি উদ্যোগে সুরমা নদীতে ড্রেজিং, নগরীতে ৮ কোটি লিটার পানির চাহিদা পূরণে আরো ১০টি উৎপাদক নলকূপ স্থাপন, নগরীর বিদ্যুৎ ঘাটতি পূরণে ৫০ থেকে একশ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন।
এছাড়া ট্রাক টার্মিনালকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে ২৩ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ, সিলেট কেন্দ্রীয় ট্রাক টার্মিনালের পাশে ফিলিং স্টেশন স্থাপনে ২০ একর জায়গা অধিগ্রহণ, নগরীর রাস্তা সম্প্রসারণে চৌহাট্টা থেকে বন্দর পর্যন্ত মাটির নিচ দিয়ে বিদ্যুৎ লাইন এবং সাইবার ভিলেজ স্থাপনের লক্ষ্যে নগরীর ১০টি স্থানে ফ্রি পাবলিক ওয়াইফাই জোন স্থাপন।
এছাড়া সিটি করপোরেশন এলাকার বর্জ থেকে সার উৎপাদনের উদ্যোগ এবং বর্জ অপসারণে ৫টি হাইড্রোলিক ট্রাক ক্রয়, নগরীর মাছিমপুরে মণিপুরী পাড়ায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি সংরক্ষণ, ধোপাদিঘীকে সংরক্ষণ করে চারদিকে হাঁটাচলার ব্যবস্থা করা, আইনশৃঙ্খলার সুবিধার্থে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ১২টি পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, নাগরিক সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ওয়ার্ড ভিত্তিক সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক অফিস চালুর উদ্যোগ বাস্তবায়ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।"
8. আমাদের প্রিয় নগরী ঢাকাকে আধুনিক রূপ দিতে পরিকল্পনা
প্রায় ৩৩ বছর আগে আমার সৌভাগ্য হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক স্টাফ কলেজে প্রশিক্ষণ নেওয়ার।
একবার সমাজ ও রাষ্ট্র নিয়ে আলোচনা করতে এসেছিলেন ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলের একজন স্বনামধন্য অধ্যাপক।
তিনি বলেছিলেন, একটি দেশ কীভাবে চলছে এবং সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে শৃঙ্খলা কেমন, তা জানতে হলে সে দেশে মাসের পর মাস থাকার প্রয়োজন হয় না।
তাঁর মতে, বিমানবন্দর যদি সিস্টেমেটিক হয়, সেখানে যাত্রীদের নানা অব্যবস্থাপনার কারণে হয়রানির সম্মুখীন না হতে হয়, তাহলে বুঝতে হবে ওই দেশে একটি দক্ষ সরকার আছে এবং ওই সরকার মোটামুটিভাবে ভালো প্রশাসনিক ব্যবস্থা দিতে পেরেছে। শুধু একটি সরকার নয়, দেশটি ধারাবাহিকভাবে ভালো শাসনব্যবস্থায় রয়েছে।
দ্বিতীয় যে বিষয়টি তিনি উল্লেখ করেছিলেন তা হলো, ওই দেশের সমাজে ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ও আইনের প্রতি জনসাধারণ থেকে শুরু করে ক্ষমতাবান পর্যন্ত সবাই শ্রদ্ধাশীল। তাঁর মতে, এর উদাহরণ পেতে বেশি সময়ের প্রয়োজন হয় না। বিমানবন্দর থেকে গন্তব্যস্থলে পৌঁছানো পর্যন্ত সড়ক ব্যবস্থাপনা এবং ওই শহরের ট্রাফিক শৃঙ্খলাই বলে দেবে দেশটিতে আইনের শাসন ও সমাজের শৃঙ্খলাবোধ কেমন।
আমাদের দেশের রাজধানীর একমাত্র বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপনা আর তার অবস্থা যাঁরা দেখেছেন বা অহরহ দেখছেন, তাঁরা ওই অধ্যাপকের মন্তব্য যৎসামান্য বিশ্লেষণ করলেই বুঝতে পারবেন আমাদের দেশের ব্যবস্থাপনার হালহকিকত। দুই ঘণ্টার যাত্রা শেষ করে বিমানবন্দরে নামার পর মালপত্র পেতে লেগে যায় সফরের সময়ের প্রায় অর্ধেক।
বিমানবন্দর কোনোভাবে পার হওয়ার পর রাস্তায় উঠলেই রাজধানী ঢাকার চরম অব্যবস্থা চোখে পড়বে। ডাস্টবিন নেই। রাস্তার পাশে আবর্জনার স্তূপ, তার ওপরে দুর্গন্ধ, মশা-মাছির জন্মস্থানে রূপান্তরিত হয়ে আছে। শহরের দু-একটি রাস্তা ছাড়া অক্ষত অবস্থায় কোনো রাস্তাঘাট নেই। এমনকি অভিজাত এলাকার রাস্তার অবস্থাও একই রকম। বারিধারার দূতাবাস এলাকার রাস্তাগুলোর করুণ অবস্থা। শহরের প্রশাসনে কোনো দায়িত্ববান নির্বাচিত ব্যক্তি নেই আজ প্রায় তিন বছর।
বিশেষত, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় এমন চরম হতাশাজনক চিত্র বিশ্বের অন্য কোনো শহরে আমার চোখে পড়েনি।
অনুরোধ করব আমাদের রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা আর বিমানবন্দরের হালহকিকত ওই আলোচিত অধ্যাপকের তত্ত্বের আলোকে নিরীক্ষণ করুন।"
"ঢাকামুখি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর চাপ কমাতে এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের লক্ষে দেশের পাঁচটি শহরে (সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভা) সাড়ে ৭ হাজার পরিবারের বাসস্থান নির্মাণের একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার।
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।
বস্তিতে বসবাসরত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে ‘প্রো-পুওর স্লাম ইন্টিগ্রেশন প্রজেক্ট’ (পিপিএসআইপি) বাস্তবায়নে বিশ্বব্যাংক ৮ কোটি মার্কিন ডলার অর্থায়ন করবে। এই প্রকল্পের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর।
প্রকল্পের উপ-পরিচালক ফজলুল কবির বাংলানিউজকে জানান, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন, সিরাজগঞ্জ পৌরসভা ও দিনাজপুর পৌরসভার প্রতিটিতে ৫টি করে মোট ২৫টি বসতিতে কমিউনিটি-নির্ভর এসব বাসস্থান নির্মাণ করা হবে।
এই ২৫টি কমিউনিটি বসতির প্রত্যেকটিতে ৩০০টি করে মোট ৭,৫০০টি পরিবারের বাসস্থান নির্মাণের জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এই পরিকল্পনার প্রকল্প এলাকায় রাস্তা, ড্রেন নির্মাণ, বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস সরবরাহসহ প্রয়োজনীয় সকল সুযোগ সুবিধা দিয়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সহযোগিতার জন্য বিশ্বব্যাংক আইডিএ ফান্ড থেকে অনুদান দেবে বলে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ-সূত্রে জানিয়েছে।
বর্তমানে বাংলাদেশের শহরাঞ্চলের ৪ কোটি দরিদ্র মানুষের প্রায় ৬২ শতাংশই বস্তিতে ও বিধি-বহির্ভূতভাবে বসবাস করে থাকে। বিশাল এ জনগোষ্ঠী বরাবরই যাবতীয় ভৌত অবকাঠামো সুবিধার বাইরে জীবনযাপন করে থাকে। এছাড়া মৌলিক সেবা ও সামাজিক সেবা থেকেও এরা বঞ্চিত।"
- বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন - দেশের Formal Economy র বাইরে থাকা বস্তিবাসীদের Formal Economy এর সাথে যুক্ত করতে Revolutionary ভূমিকা রাখবে।
ঢাকায় চাকরির সন্ধানে আসা বস্তিবাসীরা যেসব জমিতে থাকেন, বা দোকান করেন - সেসব অবৈধ। তাদের বিদ্যুৎ বা পানি সরবরাহ করা হয় - অবৈধ পথে। বস্তিবাসীদের বিদ্যুৎ বা পানি পেতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি খরচ করতে হয়।
কাজেই বস্তিবাসীদের একটি Formal Economy র আওতায় আনা যুগান্তরকারী পদক্ষেপ।
9. বাংলা শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতির অগ্রযাত্রা