Friday, August 22, 2014

আজকের উপলব্ধিতে বাংলাদেশ (২২/৮/১৪)

1.সবার আগে দর্শক-শ্রোতাদের কথা ভাবুন: মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর (prothom-alo.com)

"তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর সর্বশেষ বক্তব্যের ওপর আমরা আস্থা রাখতে চাই। তিনি বলেছেন, ‘এই নীতিমালা আইন নয়, নির্দেশনা মাত্র। এই নীতিমালা বাস্তবায়নে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। এর কোনো আইনি ভিত্তিও নেই। কাজেই এই সম্প্রচার নীতি নিয়ে কারও শঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।’
আমাদের প্রস্তাব: সম্প্রচার আইনের একটা খসড়া দ্রুত প্রকাশ করা হোক। তারপর অংশীজন, আগ্রহী দর্শক-শ্রোতা নিজেদের মতামত দিতে পারবেন।
দর্শক-শ্রোতাদের উদাসীনতা ও নীরবতার ফলে বিটিভি সরকার ও সরকারি দলের আজ্ঞাবহ প্রচারযন্ত্রে পরিণত হয়েছে। এটা আমাদের বিরাট ব্যর্থতা। আশা করি দর্শক-শ্রোতারা চাইবেন না, দেশের প্রাইভেট টিভি চ্যানেলগুলোও সরকারের কাছে নতজানু থাকুক। আমরা চাই স্বাধীন ও দায়িত্বশীল গণমাধ্যম।"


2. "জ্ঞানের আলোয় উন্নত বাংলাদেশ"


"এবার এই পরীক্ষায় সব বোর্ড মিলিয়ে মোট আট লাখ ৮৫ হাজার শিক্ষার্থী পাস করেছেন। 
দেশে বর্তমানে ৩৪টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আনুমানিক ৩৭ হাজার আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ৯৫ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি করানো যাবে।
এর বাইরে আছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দুই হাজার সাতটি ডিগ্রি কলেজ, যেখানে তিন লাখ শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবেন। আছে ডেন্টাল কলেজ, পলিটেকনিক, কিছু বিশেষায়িত ইনস্টিটিউট। সব মিলিয় উচ্চশিক্ষার জন্য দেশে প্রাপ্ত আসনসংখ্যা আনুমানিক সাত লাখ ৪৫ হাজার। ভর্তি হতে পারবেন না প্রায় পৌনে দুই লাখ শিক্ষার্থী।
এই মুহূর্তে বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের বেতন সার্ক দেশগুলোর মধ্যেও সর্বনিম্ন। 
সব সরকারই অনেক অনুৎপাদনশীল খাতে অনেক অর্থ ব্যয় করে। সেই ব্যয় কমিয়ে তা শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যয় করলে লাভ হবে দেশের। শিক্ষায় যে ব্যয়টা হয়, তা খরচ নয়, এটি জনসম্পদ উন্নয়নে বিনিয়োগ। জনসম্পদের চেয়ে বড় সম্পদ কোনো দেশের জন্যই আর কিছু হতে পারে না।"

"বাঙালি শিশুরা তাদের মাতৃভাষার বই হাতে নিয়ে শিক্ষার স্বপ্নে বিভোর হয়ে ওঠে। কিন্তু এ দেশের প্রায় চার লাখ আদিবাসী শিক্ষার্থী সেই অধিকার ও আনন্দ থেকে বঞ্চিত রয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ছয়টি আদিবাসী ভাষাকে চিহ্নিত করা হয়, যাদের মাতৃভাষায় পাঠ্যপুস্তক তৈরি করা হবে এবং ভাষাভিত্তিক শিক্ষক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছয়টি ভাষা হচ্ছে চাকমা, মারমা, সাঁওতাল, সাদরি, ত্রিপুরা ও গারো।
আদিবাসীদের মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা প্রদানের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বিভিন্ন ভাষাভাষী শিক্ষক তৈরি এবং তাঁদের প্রশিক্ষণ।" 

আদিবাসীদের মাতৃভাষায় পাঠ্যপুস্তক তৈরি এবং ভাষাভিত্তিক শিক্ষক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থায় - দীর্ঘসূত্রিতা পরিহার করে কার্যকর উদ্যোগ নিতে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের ত্বরিত পদক্ষেপ আশা করছি।
 
"ঢাকা মহানগরের ৩৪২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ২৮টির জমি ও শ্রেণিকক্ষ বেদখল হয়ে গেছে। ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে দখল হওয়া এসব জমির পরিমাণ ২৪০ দশমিক ৯৫ শতাংশ বা প্রায় সাড়ে সাত বিঘা।
দখল করে ছাগলের স্থায়ী হাট বসানোয় একটি বিদ্যালয় বন্ধই হয়ে গেছে। কোনো কোনো বিদ্যালয়ে ভবন, দোকান নির্মাণ বা বস্তি বানিয়ে ভাড়া দিচ্ছেন স্থানীয় লোকজন। আবার কোনো বিদ্যালয়ে কক্ষ বানিয়ে বসবাস ও কমিউনিটি সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
একেবারে নিম্ন ও দরিদ্র পরিবারের সন্তানেরা এখানে পড়তে যায়।"


নিম্ন ও দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের অবহেলা করে শিক্ষার সুযোগ কেড়ে নেওয়ার এই প্রক্রিয়ার অবসান ঘটবে। 
বেদখল হওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমিগুলোতে পুনরায় প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করার সুযোগ চালু করা হবে। 






3. নাগরিক ঐক্যের কর্মোদ্যোগ

এই মুহূর্তে ‘মানি অ্যান্ড মাসল’র প্রভাবমুক্ত নির্বাচন হলে বিস্ময়কর ফলাফল হবে: নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না (banglanews24.com)

"‘গণতান্ত্রিক নয়, ক্ষমতা দখলের রাজনীতি করছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। তাই নতুন রাজনৈতিক শক্তি অর্থাৎ তৃতীয় শক্তি গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।
শুক্রবার বিকেলে রাজশাহী মহানগরের মিয়াপাড়ায় সাধারণ গ্রন্থাগারের গিরিশচন্দ্র হলে নাগরিক ঐক্যের রাজশাহী শাখার উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ আহ্বান জানান তিনি। 
এই মুহূর্তে ‘মানি অ্যান্ড মাসল’র প্রভাবমুক্ত নির্বাচন হলে বিস্ময়কর ফলাফল হবে। 
মতবিনিময় সভায় নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় সদস্য মাহমুদ জামাল কাদেরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এস এম আকরাম।"


4. রুপসী বাংলায় মুগ্ধ অতিথিদের কথা 




"সুশি হ্যালসেল থাকেন ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা মারিয়ায়।
তাঁকে দেখা যায় ঢাকায় দুপুরের কড়া রোদে ঘেমে–নেয়ে পথশিশুদের সঙ্গে স্কেটিং করতে ব্যস্ত।

‘শুরুতে আমার কাছে টাকা চাইত। কাছে এসে বলত, “মানি মানি।” এখনো তা-ই দুষ্টুমি করে অনেকে মানি আপা ডাকে। আমি অবশ্য কখনোই তাদের “মানি” দিই না। হলুদ দাঁত নিয়ে দুষ্টুগুলো ঘুরে বেড়ায়। তাই কখনো কখনো টুথব্রাশ দিই। কারও কারও চর্মরোগ আছে, তাদের ওষুধ কিনে দিই।’ 
ইচ্ছা ছিল, এখানে একটা স্কেটপার্ক (স্কেটিং করার উপযোগী জায়গা) তৈরি করব।’ শুরুর দিকের স্কেটপার্কের স্বপ্ন এখন আগের চেয়ে একটু বড় পরিধি পেয়েছে। ‘স্কেটপার্কে এসে পথশিশুরা আনন্দ করবে। স্কুল তো আমি খুলতে পারব না, তবে তাদের স্কুলে ভর্তির ব্যবস্থা করে দেব। ছুটির পর তারা স্কেটপার্কেই থাকবে।’"

5. অর্থনীতি শিল্প বাণিজ্যে অগ্রগতি


"ভারত থেকে বাংলাদেশে আসা পেঁয়াজের মূল্য প্রতি মেট্রিক টন পাঁচশ পাঁচ ডলার থেকে কমিয়ে তিনশ পাঁচ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করেছে ভারত সরকার।

শুক্রবার সকালে পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য কমানোর এ ঘোষণা দেয় ভারতের মূল্য নির্ধারণী সংস্থা ন্যাশনাল এগ্রিকালচার কো অপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া (ন্যাফেড)। শনিবার থেকে হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজের নতুন এ মূল্য কার্যকর হবে। 

হিলি স্থলবন্দরের ভারত অংশের হিলির সিএন্ডএফ এজেন্ট খোকন সরকার বাংলানিউজকে জানান, শুক্রবার সকালে দিল্লি থেকে হিলি কাস্টমসে প্রেরিত এক ফ্যাক্স বার্তায় পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য কমানোর বিষয়টি জানানো হয়েছে।" 

- ভারত সরকারের এই ঘোষণা প্রশংসার দাবিদার! 

No comments:

Post a Comment