Saturday, August 23, 2014

আজকের উপলব্ধিতে বাংলাদেশ (২৩/৮/১৪)

1. সরকারের প্রকল্প বাস্তবায়নে অদক্ষতা, দুর্নীতি, অনিয়ম অপসারণ

"পদ্মা সেতু প্রকল্পের মূল কাজ শুরুই হয়নি। এরই মধ্যে প্রকল্পের টাকায় ৩৮টি গাড়ি কেনা হয়ে গেছে। এর ৩৬টিই মিতসুবিশি কোম্পানির পাজেরো ব্র্যান্ডের গাড়ি। সেতু বিভাগের পুরোনো আরও ১০টি গাড়িও এই প্রকল্পে ব্যবহার করা হচ্ছে।
মহাখালীর ‘গুলশান সার্ভিস স্টেশন’ নামের একটি পাম্প থেকে এই গাড়িগুলোর জন্য প্রতি মাসে গড়ে সোয়া দুই লাখ টাকার জ্বালানি তেল নেওয়া হচ্ছে।
দেশীয় অর্থায়নের প্রকল্পে এত গাড়ি ও জ্বালানি অপচয় কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।"

জনগণের ট্যাক্সের টাকার যথেচ্ছ অপব্যবহার, অপচয় গ্রহণযোগ্য নয়।
অপচয়, অপব্যবহারের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট সচিবালয়ের ত্বরিত পদক্ষেপ কাম্য।  


2. উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ন্যস্ত করা: প্রতিক্রিয়া 

সংসদের মাধ্যমে তদন্ত নয়ঃ সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ (prothom-alo.com)

- "বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটা করা সঠিক হবে না। বিচারক ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে।
আমি এটা অবশ্যই দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে পারি, তদন্তে রাজনীতিকেরা থাকলে বিচারকের স্বাধীনতা থাকবে না।"

বিচারকদের ওপর চাপ বাড়বে: বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন (prothom-alo.com)

- "বর্তমান অনির্বাচিত ও একদলীয় সংসদের হাতে এই ক্ষমতা ন্যস্ত হলে বিচারব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধসে পড়বে। বিচারকেরা ভয়ভীতি ও চাপের মধ্যে থাকবেন।"

উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ন্যস্ত করা হলে সরকারের জবাবদিহিতা বলে কিছু থাকবে না। এটি হবে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার উপর বিশাল আঘাত। 
আমাদের মন্ত্রীপরিষদ শাসিত সরকার ব্যবস্থায় নির্বাহী বিভাগ এবং আইনবিভাগ - দুটি-ই সংসদের হাতে। এখন বিচার বিভাগ ও যদি পুরোপুরিভাবে সরকারের হাতে চলে যায় - তবে একটি একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে।  
সংবিধানের ৭০ এর খ অনুচ্ছেদ অনুসারে দলীয় সাংসদ দলের উত্থাপিত প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দিলে সংসদ সদস্যপদ বাতিল হয়। এখন বিচার বিভাগ ও সরকারের হাতে চলে গেলে - দেশের সরকার প্রধান বিচারবিভাগকে যেভাবে খুশি সেভাবে পরিচালিত করতে পারবেন।

আমরা উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ন্যস্ত করার বিধান পাশ না করার প্রস্তাব করছি।

3. তথ্যপ্রযুক্তি, ডেটা এনালাইসিস, ফরেনসিক সায়েন্স এ সমৃদ্ধ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী 




"চলি্লশ হাজার অপরাধীর ডাটাবেজ প্রস্তুত - সুইচ টিপলেই বের হয়ে আসবে ছবিসহ যাবতীয় তথ্য।
ওদের পরিচয় আর গোপন থাকবে না। সুইচ টিপলেই বের হয়ে আসবে ছবিসহ যাবতীয় তথ্য। এরই মধ্যে ৪০ হাজার অপরাধীকে ক্রিমিনাল ডাটাবেজের আওতায় আনা হয়েছে। প্রত্যেক অপরাধীর ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ছবি, শরীরের বিশেষ ধরনের চিহ্ন, চোখের মণিসহ ১৫০ ধরনের তথ্যসংবলিত ডিজিটাল ডাটাবেজ তৈরি করেছে রাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (রাব)। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) আদলে ক্রিমিনাল ডাটাবেজ তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাবের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।"  

এই ডেটাবেইস একদিকে যেমন আটককৃত অপরাধীদের সম্পর্কে তথ্য দ্রুত জানতে সহায়তা করবে (আগে আটককৃত অপরাধীদের সম্পর্কে তথ্য খুঁজে পাওয়া কঠিন ছিল) তেমনি অপরাধীদের নেটওয়ার্ক আইডেন্টিফাই করতে এবং কোন নির্দিষ্ট অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের আইডেন্টিফাই করতে সহায়তা করবে। যেমন - আমরা যদি জানি, "ক" একটি অপরাধে জড়িত এবং "ক" ফোনে "খ" এবং "গ" এর সাথে প্রায়ই কথা বলে, তবে "খ" এবং "গ" ও অপরাধটিতে জড়িত থাকতে পারে। আমরা "খ" এবং "গ" এর উপর নজরদারি বাড়াতে পারি। 

তথ্য এবং যুক্তি ব্যবহার করার একটা নমুনাঃ

      
4. মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডাব্লিউ মজীনাঃ বাংলাদেশের জন্য জিনি আন্তরিকভাবে কাজ করেন



5. তথ্যপ্রযুক্তিতে বিশ্বজয় 



6. রূপসী বাংলায় মুগ্ধ অতিথিরা  



7. সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের কর্মোদ্যোগ 

"সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক সেনাপ্রধান ও সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) কে এম সফিউল্লাহ।"

8. গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ছিল গণতন্ত্রের হত্যার: মাহমুদুর রহমান মান্না (prothom-alo.com)

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান বলেছেন, গত ৪৩ বছরে বাংলাদেশে অসুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। পরিচর্যার অভাবে গণতন্ত্র শুকিয়ে গেছে। হিংসা, বিদ্বেষ, প্রতিপক্ষকে ধ্বংস করার মনোভাব বড় হয়ে গেছে। বাংলাদেশ এখন বাজিকরদের হাতে। আর বাজিকরেরা তাদের গডফাদারদের হাতে।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ছিল গণতন্ত্রের হত্যার।
মূল প্রবন্ধে রাষ্ট্রবিজ্ঞান সমিতির সভাপতি আতাউর রহমান বলেন, গত ৫ জানুয়ারির প্রধান বিরোধী দলবিহীন নির্বাচন, রাজনৈতিক সহিংসতা এবং রাষ্ট্রীয় নির্যাতন দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যতকে অন্ধকারে নিক্ষেপ করেছে।




"আলোচনা সভা থেকে বাংলাদেশের উপযোগী সংবিধান প্রনোয়ন, সংসদের উচ্চ পর্যায়ের তত্ত্বাবধায়নে নির্দোলীয় এবং নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন এবং প্রাদেশিক সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ প্রস্তাব জানান বক্তারা।"

9. "জ্ঞানের আলোয় উন্নত বাংলাদেশ"


"বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র‌্যাংকিং করা হবে। অনেকের অভিযোগ, বৈশ্বিকভাবে আমাদের র‌্যাংকিং নেই। তাই, প্রথমে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র‌্যাংকিং করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। 

মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শিক্ষার্থীরা যেন পড়তে পারে, সে জন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান শিক্ষামন্ত্রী। 
উচ্চ শিক্ষায় গবেষণা বৃদ্ধির জন্যও আহ্বান জানান তিনি।"


No comments:

Post a Comment