নাগরিক শক্তির আত্মপ্রকাশের দিনটা হবে বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে তাৎপর্যপূর্ণ একটা দিন।
নাগরিক শক্তি যেদিন আত্মপ্রকাশ করবে সেদিন কোন জোট আত্মপ্রকাশ করবে না - নাগরিক শক্তি দল হিসেবে সবাইকে নিয়ে আত্মপ্রকাশ করবে।
আত্মপ্রকাশের দিনই বাংলাদেশের রাজনীতি চিরদিনের মত পাল্টে যাবে!
অমিত সম্ভাবনার বাংলাদেশের [12] সম্ভাবনা বিনষ্টকারী দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে [2] [13], সন্ত্রাসীদের গডফাদারদের বিরুদ্ধে [2] [9], মাদক চোরাচালানকারীদের [3] [4] [5] বিরুদ্ধে, সবরকম অন্যায়ের বিরুদ্ধে [8] আমরা তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছি।
আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারের রূপরেখা [14], অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিকল্পনার রূপরেখা [15], শিক্ষা উন্নয়ন পরিকল্পনা [16] - সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছে।
দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, আইন, শিক্ষা, বিজ্ঞান, ব্যবসার উজ্জ্বল নক্ষত্রদের আমরা একতাবদ্ধ করেছি এবং জনগণের সামনে উপস্থাপন করেছি [1]।
সবচেয়ে বড় কথা - জনগণের ভয় কেটে গেছে।
বাংলাদেশের জনগণ আমাদের প্রতি সমর্থনও ব্যক্ত করেছে।
এই দুটো বাদ দিলে আওয়ামী লীগ - বিএনপির নিশ্চিত ভোট বলতে কি থাকে?
আমি নাগরিক শক্তির সম্ভাবনাকে ভোটারের সংখ্যা দিয়ে প্রকাশ করি। কিন্তু সংখ্যা মানুষের স্বপ্ন, মানুষের ভালবাসাকে ধারণ করতে পারে না।
নাগরিক শক্তি নিয়ে তরুণদের মাঝে কত স্বপ্ন!
রাজনীতি নিয়ে তরুণদের মাঝে যে অনীহা ছিল, হতাশা ছিল, নাগরিক শক্তির প্রচেষ্টায় আমরা তা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছি। "রাজনীতিবিদ" ভাবলেই তরুণরা ভাবত দুর্নীতিপরায়ণ বা সন্ত্রাসীদের গডফাদারদের কেউ। তরুণদের সামনে সুস্থ ধারার রাজনীতি করেন এমন কোন রোল মডেল ছিল না। কিন্তু ২০১৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু করে মাত্র কয়েকমাসে আমরা লক্ষ লক্ষ তরুণের মানসিকতায় ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করছি। তরুণরা এখন সুখী সমৃদ্ধ স্বপ্নের বাংলাদেশ নিয়ে, উন্নত "innovative" রাজনীতি নিয়ে স্বপ্ন দেখছে। আমাদের আধুনিক তরুণরা এখন রাজনীতিতে আসতে চাইছে, রাজনীতিতে পরিবর্তন আনতে চাইছে। মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার নিয়ে ২০১৩ সালে আমরা দেখেছি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তরুণরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পরস্পরকে আক্রমণ করছে এবং নিজেদের পক্ষে দল ভারি করার চেষ্টা করছে। কিন্তু গত কয়েকমাসে আমরা লক্ষ্য করছি, তরুণরা সব ভেদাভেদ ভুলে দেশের জন্য কাজ করতে চাইছে।
শুধু কি তরুণরা?
কত কত মানুষ প্রাণ দিয়ে অপেক্ষা করছে!
অমিত সম্ভাবনার বাংলাদেশের [12] সম্ভাবনা বিনষ্টকারী দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে [2] [13], সন্ত্রাসীদের গডফাদারদের বিরুদ্ধে [2] [9], মাদক চোরাচালানকারীদের [3] [4] [5] বিরুদ্ধে, সবরকম অন্যায়ের বিরুদ্ধে [8] আমরা তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছি।
দুই দলের নেতাদের সীমাহীন দুর্নীতি, সন্ত্রাস সম্পর্কে জনগণের মাঝে সচেতনতা তৈরি করেছি।
আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারের রূপরেখা [14], অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিকল্পনার রূপরেখা [15], শিক্ষা উন্নয়ন পরিকল্পনা [16] - সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছে।
দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, আইন, শিক্ষা, বিজ্ঞান, ব্যবসার উজ্জ্বল নক্ষত্রদের আমরা একতাবদ্ধ করেছি এবং জনগণের সামনে উপস্থাপন করেছি [1]।
সবচেয়ে বড় কথা - জনগণের ভয় কেটে গেছে।
জনগণ উপলব্ধি করছে, অন্যায়কারীরা সংখ্যায় নগণ্য। সবাই একতাবদ্ধ থাকলে কারও উপর অন্যায় হতে পারে না। জনগণের মাঝে ঐক্য নেই বলেই অন্যায়কারীরা অন্যায় করার সুযোগ পেয়েছে।
বাংলাদেশের জনগণ প্রতিবাদ করছে। আমরা পাশে আছি [7] [10]।
বাংলাদেশের জনগণ আমাদের প্রতি সমর্থনও ব্যক্ত করেছে।
- দেশের আলাম ওলামা সমাজ (৩৫ লক্ষের চেয়ে অনেক বেশি) - এতদিন হিসেব ছিল বিএনপির ভোট ব্যাংক। আগামী নির্বাচনে আলেম ওলামা সমাজের প্রতিটা ভোট নাগরিক শক্তির প্রার্থীর পক্ষে পড়বে।
- সনাতনী ধর্মাবলম্বী - হিসেব ছিল আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংক। কাজ চলছে। আগামী নির্বাচনে ফলাফল দেখা যাবে।
- সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তা একমাত্র নাগরিক শক্তির পক্ষেই নিশ্চিত করা সম্ভব। বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিময় একটা দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা একমাত্র নাগরিক শক্তির পক্ষেই সম্ভব।
এই দুটো বাদ দিলে আওয়ামী লীগ - বিএনপির নিশ্চিত ভোট বলতে কি থাকে?
আমি নাগরিক শক্তির সম্ভাবনাকে ভোটারের সংখ্যা দিয়ে প্রকাশ করি। কিন্তু সংখ্যা মানুষের স্বপ্ন, মানুষের ভালবাসাকে ধারণ করতে পারে না।
নাগরিক শক্তি নিয়ে তরুণদের মাঝে কত স্বপ্ন!
রাজনীতি নিয়ে তরুণদের মাঝে যে অনীহা ছিল, হতাশা ছিল, নাগরিক শক্তির প্রচেষ্টায় আমরা তা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছি। "রাজনীতিবিদ" ভাবলেই তরুণরা ভাবত দুর্নীতিপরায়ণ বা সন্ত্রাসীদের গডফাদারদের কেউ। তরুণদের সামনে সুস্থ ধারার রাজনীতি করেন এমন কোন রোল মডেল ছিল না। কিন্তু ২০১৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু করে মাত্র কয়েকমাসে আমরা লক্ষ লক্ষ তরুণের মানসিকতায় ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করছি। তরুণরা এখন সুখী সমৃদ্ধ স্বপ্নের বাংলাদেশ নিয়ে, উন্নত "innovative" রাজনীতি নিয়ে স্বপ্ন দেখছে। আমাদের আধুনিক তরুণরা এখন রাজনীতিতে আসতে চাইছে, রাজনীতিতে পরিবর্তন আনতে চাইছে। মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার নিয়ে ২০১৩ সালে আমরা দেখেছি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তরুণরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পরস্পরকে আক্রমণ করছে এবং নিজেদের পক্ষে দল ভারি করার চেষ্টা করছে। কিন্তু গত কয়েকমাসে আমরা লক্ষ্য করছি, তরুণরা সব ভেদাভেদ ভুলে দেশের জন্য কাজ করতে চাইছে।
শুধু কি তরুণরা?
কত কত মানুষ প্রাণ দিয়ে অপেক্ষা করছে!
গ্রামে থাকা মানুষরা, শহরের নাগরিকরা, আমাদের আধুনিক তরুণরা - এত এতগুলো মানুষ সমস্ত আবেগ দিয়ে নাগরিক শক্তিকে ছড়িয়ে দেবে!
আমি যখন ছোট ছিলাম, হৃদয় দিয়ে, আবেগ দিয়ে চাইতাম - বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিবর্তন আসুক। এখন সেই আবেগটা এত এতগুলো মানুষের ভেতর!
সবাই প্রাণ দিয়ে চাইছে!
আমি যখন ছোট ছিলাম, হৃদয় দিয়ে, আবেগ দিয়ে চাইতাম - বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিবর্তন আসুক। এখন সেই আবেগটা এত এতগুলো মানুষের ভেতর!
সবাই প্রাণ দিয়ে চাইছে!
দেশের কোন তরুণ আদর্শবান নেতা যখন প্রচলিত রাজনীতির হায়েনাদের সাথে না পেরে পদত্যাগ করেন, তখন আমরা জনগণের আকুল আবেদন লক্ষ্য করি [11]। জনগণ মুক্তির দিশারী হিসেবে আদর্শবান দক্ষ কাউকে চায়।
আসলে হত কি - মনের গভীরে আমিও পরিবর্তন চাইতাম, আপনিও চাইতেন! কিন্তু আমাদের এক করবেটা কে?
নাগরিক শক্তি সেই শূন্যস্থান পূরণ করবে!
যারা নাগরিক শক্তি করবে তারা হৃদয় থেকে, ভালবাসা থেকে করবে। আমার মনে হয় না পৃথিবীর অন্য কোন দেশে একটা রাজনৈতিক দল এত মানুষের ভালবাসায় প্রতিষ্ঠিত হবে।
আমাদের দুই প্রধান দলের দিকে তাকাই।
আমাদের দুই প্রধান দলের দিকে তাকাই।
কয়জন মানুষ হৃদয় থেকে দুই দল করে? বিকল্প নেই বলে করতে বাধ্য - এই। যতটা দল করে তার চেয়ে বেশি করে অপর দলের প্রতি ঘৃণা থেকে। সমর্থন করলে অন্যায় কিছু সুবিধা পাওয়া যায়। আর দুই দলের নেতারা যে কি করে বেড়ান - লুকিয়ে রাখতেন। এখন আমরা সব জানছি।
মানুষ হৃদয় থেকে দুই দলের একটাকে সমর্থন করবেই বা কেন? নেতারা কি আমাদের কথা ভাবেন? ভালবাসা পেতে চাইলে ভালবাসা দিতেও হয়।
রাজনীতি যে অন্য রকম হতে পারে, চমৎকার একটা ব্যাপার হতে পারে, জনগণের সমস্যাগুলো আন্তরিকভাবে সমাধান করতে পারে, সারা দেশের মানুষকে এক করতে পারে - আমাদের দেশের মানুষ ভুলেই গিয়েছিল!
আমাদের ব্যবসায়ী সমাজ সরকার নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন - অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য, সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য বাংলাদেশের সরকারগুলো কিছুই করে না।
তার বিপরীতে দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য আধুনিক পরিকল্পনা, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সাথে অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে প্রতিযোগিতা - বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সমাজ তথা জনগণের জন্য সম্পূর্ণ নতুন একটা ব্যাপার।
আওয়ামী লীগ - বিএনপির ৩০০ বা ৩০০০ নেতা হিসেব কষেন ভোট কিভাবে বাড়ানো যাবে। আর নাগরিক শক্তি যিনিই করবেন, তিনিই ভাববেন - কিভাবে নাগরিক শক্তির মাধ্যমে কাছের মানুষদের একতাবদ্ধ করা যায়, সবাইকে নিয়ে একসাথে কাজ করা যায়।
মানুষের মাঝে উষ্ণ সম্পর্ক নিয়ে একতাবদ্ধ হয়ে থাকার আকুতি থাকে। নাগরিক শক্তি সেই আকাঙ্ক্ষাটা পূরণ করবে। নাগরিক শক্তি হবে বৃহৎ একটা পরিবার। ক্রিকেটে এক একটা সাফল্যে পুরো দেশ মিলে যেভাবে উল্লাস করে, আবেগের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়, নাগরিক শক্তির নেতৃত্বে ১৬ কোটি বাংলাদেশীর মাঝে ঠিক ওরকম স্পিরিট গড়ে তোলা হবে।
যতই দিন যাবে - বাংলাদেশ পুরোটা ধীরে ধীরে নাগরিক শক্তি হয়ে উঠবে!
রেফরেন্স
- নাগরিক শক্তির প্রতীক্ষায় দেশের নাগরিক সমাজ, রাজনীতিবিদরা ও জনগণ
- স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নাগরিক শক্তির অগ্রযাত্রা
- "মাদকমুক্ত বাংলাদেশ" গড়ার পথে অগ্রযাত্রা
- "মাদকমুক্ত বাংলাদেশ" গড়ার পথে অগ্রযাত্রা - ২
- "মাদকমুক্ত বাংলাদেশ" গড়তে ইয়াবা গডফাদারদের বিরুদ্ধে দৃঢ়তর অবস্থান
- "যৌতুক প্রথামুক্ত বাংলাদেশ" গড়ার পথে অগ্রযাত্রা
- জনতার ঐক্যের শক্তির মাধ্যমে অন্যায় এবং অন্যায়কারীকে রুখে দাঁড়ানো - ১
- বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশী হত্যা-নির্যাতনের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাই
- খুনি কাউন্সিলর নূর হোসেন দ্রুত গ্রেপ্তার হোক
- গুম অপহরণ খুন বন্ধে জনগণ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সম্মিলিত উদ্যোগ জরুরি
- তরুণ আদর্শবান নেতৃত্বের জন্য বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা
- সম্ভাবনার বাংলাদেশ
- কোটি টাকা পাচারকারী বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন
- নাগরিক শক্তির নির্বাচনী ইশতেহারের রূপরেখা
- নাগরিক শক্তির অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিকল্পনার রূপরেখা
- নাগরিক শক্তির শিক্ষা উন্নয়ন পরিকল্পনার রূপরেখা
- বাংলাদেশের তরুণদের পাশে যুক্তরাষ্ট্র
- টকশোতে নাগরিকদের মতামত - ১
- টকশোতে নাগরিকদের মতামত - ২
- Nagorik Shakti And The Story Of Bangladesh
No comments:
Post a Comment