Sunday, May 4, 2014

তরুণ আদর্শবান নেতৃত্বের জন্য বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা

সোহেল তাজ পদত্যাগের পর পরই তিনি তাঁর এলাকা ও দেশবাসীর উদ্দেশে একটি খোলা চিঠি লেখেন।
চিঠিটি হুবহু তুলে দেওয়া হলো।

"অনেক কষ্ট করে গড়ে তোলা সুন্দর একটি জীবন ছিল যুক্তরাষ্ট্রে। কৈশোর বয়স থেকে নিজে দিনরাত কাজ করে পড়াশোনার খরচ চালিয়েছি। বাবা-মায়ের দেওয়া শিক্ষা, দেশপ্রেম থেকেই দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে সবকিছু ছেড়ে দেশে ফিরে গিয়েছিলাম। প্রথমে সামাজিকভাবে কাজ শুরু করেছিলাম। আর্সেনিক নিয়ে সচেতনতার কাজও অনেক করেছি। গ্রামে-গঞ্জে ঘুরেছি দিনের পর দিন। বাবা ও মায়ের রাজনৈতিক সহকর্মীদের পরামর্শ এবং কাপাসিয়ার মানুষের অনুরোধেই আমার সক্রিয় রাজনীতিতে আসা। তাঁরা আমাকে বুঝিয়েছিলেন, রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম থেকে আরও ভালো করে দেশের মানুষের জন্য কাজ করা সম্ভব। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও শরীরে বয়ে চলা বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদের রক্তই আমাকে আরও বেশি অনুপ্রাণিত করেছে সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে যোগ দিতে এবং দেশের মানুষের জন্য ভালো কিছু করতে। ক্ষমতা, অর্থসম্পদ, খ্যাতি প্রতিপত্তির জন্য আমি রাজনীতিতে যোগ দিইনি। যদি উদ্দেশ্য তা-ই হতো, তাহলে সবকিছু মেনে নিয়ে এখনো এমপি ও মন্ত্রিত্বের পদ আঁঁকড়ে থাকতাম। মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা, তিনি যেন আমাকে বাকি জীবন এই লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে রাখেন।

নিজের দলীয় ও তত্কালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সৃষ্টি করা শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ২০০১ সালের নির্বাচনে কাপাসিয়ার মানুষের ভালোবাসায় প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলাম। দুর্ভাগ্য, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে ক্ষমতায় আসে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। আমার কাপাসিয়ার মানুষের ওপর বিএনপি-জামায়াত জোটের চলতে থাকে একের পর এক হামলা, মামলা ও নির্যাতন। প্রতিবাদে কাপাসিয়ার সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলি। বিএনপি-জামায়াতের হাতে নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন আমার ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহযোগী যুবলীগের সভাপতি জালাল উদ্দীন সরকার। পুলিশ নির্মমভাবে হত্যা করেছে জামাল ফকিরকে। এসবের প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ অনশন করতে গিয়ে বারবার পুলিশের নির্মম হামলার শিকার হয়েছি। বস্তুত বিএনপি-জামায়াতের পাঁচটি বছর হামলা, মামলা ঠেকাতে আমাকে বেশির ভাগ সময় রাজপথ ও আদালত প্রাঙ্গণে সময় কাটাতে হয়েছে। কোনো ব্যবসা-বাণিজ্যে নিজেকে জড়াইনি। পৈতৃক সম্পত্তি থেকে যা আয় হতো, তাই দিয়েই চলত আমার রাজনীতি। এমনকি পৈতৃক সম্পত্তিও বিক্রি করেছি রাজনীতির জন্য। খুব সাদামাটা সাধারণ জীবনযাপন করেছি। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুই বছরের কর্মকাণ্ড আমাকে হতাশ করলেও ২০০৮ সালের নির্বাচনে দলের যুগোপযোগী নির্বাচনী ইশতেহার আমাকে রাজনীতিতে আরও বেশি উত্সাহিত করে। যে ইশতেহারটি ছিল প্রগতিশীল ও দিনবদলের একটি ঐতিহাসিক অঙ্গীকার। আশাবাদী হই, একটি সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতির। যে সংস্কৃতির মাধ্যমে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। জনগণ পাবে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার। যুদ্ধাপরাধী, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড, জাতীয় চার নেতা, উদীচী ও একুশে আগস্ট হত্যাকাণ্ড, সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া ও অহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যাকাণ্ড এবং ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলাসহ সব হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে। বাংলাদেশ হবে সন্ত্রাস ও জঙ্গিমুক্ত একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা—সব মিলিয়ে একটি সুন্দর সমাজব্যবস্থার স্বপ্ন দেখেছিলাম। আর তাই যে মন্ত্রণালয় কেউ নিতে চায়নি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাসে সেই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েছিলাম। এই দায়িত্বটি ছিল শুধু মন্ত্রিত্ব নয়, একটি চ্যালেঞ্জ। কারণ সুশাসন ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব অপরিসীম। আর সুশাসন প্রতিষ্ঠার দায়িত্বের অনেকটাই ছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। আমার সব সময়ই চেষ্টা ছিল পুলিশ বাহিনীকে একটি সুশৃঙ্খল পেশাদার বাহিনী হিসেবে গড়ে জনগণের বন্ধু করে তোলা। মন্ত্রিত্বের শেষ দিন পর্যন্ত আমার সেই চেষ্টা অব্যাহত ছিল। কতটুকু পেরেছি বা কেন পারিনি, সে কথায় না গিয়ে শুধু এইটুকু বলতে চাই, আমি আমার মায়ের কাছ থেকে শিখেছি, সব সময় অনিয়ম ও অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে। সেটা যে-ই করুক না কেন। যতটুকু সম্ভব আমি আমার সীমিত ক্ষমতার মধ্যে চেষ্টাও করেছিলাম। সেই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারপ্রক্রিয়াও শুরু করতে সহযোগিতা করেছিলাম।
কথার পেছনে অনেক কথা থাকে। অনেক লুকায়িত সত্য থাকে। যা দেশ, জনগণ ও দলের বৃহত্তর স্বার্থে জনসম্মুখে বলা উচিত না। আর তা সম্ভবও নয়। শুধু এইটুকু বলি, আমি ‘সংগত’ কারণেই এমপি ও মন্ত্রিত্বের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। যে কয়দিন দায়িত্বে ছিলাম, মন্ত্রিত্বের শপথ থেকে বিচ্যুত হইনি। সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছি। দুর্নীতি অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত সোচ্চার ছিলাম। যখন মনে করেছি, আমার সীমিত ক্ষমতায় জনগণের প্রতি দেওয়া কমিটমেন্ট আর রক্ষা করা সম্ভব নয়, তখন স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছি। কারণ পদ বা ক্ষমতার লোভে আমি রাজনীতিতে আসিনি। যদি তা-ই হতো তাহলে মন্ত্রিত্বের লোভনীয় সুযোগ-সুবিধা ছেড়ে প্রবাসে চাকরির জীবন বেছে নিতাম না। অর্থসম্পদ বা ক্ষমতার বিন্দুমাত্র মোহ আমার নেই।
আমার কাপাসিয়াবাসীর উদ্দেশে বলতে চাই, সংসদ সদস্যের পদ থেকে পদত্যাগের এই সিদ্ধান্ত নিতে আমার অনেক চিন্তাভাবনা করতে হয়েছে। মানুষের প্রত্যাশা, ভালোবাসা, স্নেহ—আমার জন্য এলাকার মানুষের ত্যাগ স্বীকার, আবেগ এই সবকিছু চিন্তা করার পরও বাস্তবতা বিচার করে আমি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছি। কাপাসিয়ার মানুষের সম্মান রক্ষার্থে আমার সামনে এ ছাড়া আর কোনো পথ খোলা ছিল না। কারণ কাপাসিয়ার মানুষের মর্যাদা ও সম্মান আমার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত বলে আমি বিশ্বাস করি। আমি জানি, আমার এই সিদ্ধান্তে আপনারা ক্ষুব্ধ ও অভিমানী হবেন, প্রতিবাদ করবেন। কারণ যে ভালোবাসা ও সম্মান আপনারা আমাকে দিয়েছেন, এই সম্মানের ওপর কোনো কালিমা পড়ুক, তা আমি চাই না। সংগত কারণেই সবকিছু খুলে বলতে পারছি না। এই কাপাসিয়ার মাটি ও মানুষের সঙ্গে আমার নাড়ির সম্পর্ক। এই কাপাসিয়ার মাঠে-ঘাটেই বেড়ে উঠেছেন আমার বাবা বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদ। সেই মাটির গন্ধ আমার গায়েও। তাঁর আদর্শ নিয়েই আমার পথচলা। কাপাসিয়ার মানুষের জন্য অনেক কিছু করার স্বপ্ন নিয়েই আমি প্রবাস-জীবনের ইতি টেনেছিলাম। আপনাদের অকুণ্ঠ সমর্থন ভালোবাসা ও দোয়া পেয়েছি। এর প্রতিদান হয়তো ততটুকু দিতে পারিনি। তবে সেই চেষ্টা আমার সব সময় ছিল। আমি এইটুকু বলতে চাই, সংসদ সদস্যের পদ থেকে পদত্যাগ করলেও আপনাদের পাশে থাকব সব সময়। হয়তো অন্য কোনোভাবে, অন্য কোনো পথে। এই প্রতিজ্ঞা করছি।
সক্রিয় রাজনীতিতে পুনরায় আসার সম্ভাবনা না থাকলেও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আমার বাবা তাজউদ্দীন আহমদের আদর্শে গড়া আওয়ামী লীগই আমার শেষ ঠিকানা। কারণ এই দলটির সঙ্গে আমার বাবার রক্ত মিশে আছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি বিশ্বস্ত থেকে তিনি জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়েছেন। কোনো ষড়যন্ত্রের কাছে মাথা নত করেননি। জীবন দিয়েও তা প্রমাণ করে গেছেন।
কাপাসিয়ায় আমার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহকর্মী যাঁরা আমার জন্য ত্যাগ স্বীকার, জেল-জুলুম ও অত্যাচার সহ্য করেছেন, তাঁদের উদ্দেশে বলব, আমি সব সময় যেটা আপনাদের বলে এসেছি, তা হচ্ছে ব্যক্তি-স্বার্থকেন্দ্রিক রাজনীতি পরিহার করতে হবে। ক্ষমতা ও প্রতিপত্তির রাজনীতি বাদ দিয়ে বঙ্গবন্ধু ও তাজউদ্দীনের মতো নীতি আদর্শের রাজনীতি করতে হবে। ঐতিহ্যবাহী কাপাসিয়ার নেতৃত্ব যেন ভালো মানুষের দ্বারা পরিচালিত হয়, সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আপনাদের ওপর। কাপাসিয়ার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আপনারা সেই পথে এগিয়ে যান। আপনাদের সবার মতো আমিও তাকিয়ে আছি ভবিষ্যতের দিকে। হয়তো একদিন সুস্থ একটি রাজনৈতিক সংস্কৃতির মাধ্যমে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ হবে সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী একটি দেশ।

এই প্রত্যাশায়

তানজিম আহমদ (সোহেল তাজ)
তারিখ: ২৩ এপ্রিল ২০১২

বাংলাদেশের জনগণের আবেগঘন প্রতিক্রিয়া 


জনাব সোহেল তাজ, আপনার সুযোগ ছিল এই আওয়ামীলীগ থেকে বেরিয়ে এসে আপনার পিতার আদর্শে নতুন দল করার। আপনার পিতা আওয়ামিলিগে তার উপযুক্ত মর্যাদা ও কাজ করার সুযোগ পান নি। দেশের মানুষের হাতে এই দুই দলের বাইরে একমাত্র গ্রহণযোগ্যতা ছিল আপনার। মানুষ মুক্তি চায়, মুক্তির দূত চায়। এখনো সময় আছে, তরুণদের নিয়ে দল করুন যেখানে কোন অন্যদল থেকে আসা রাজনীতিবিদ থাকবে না, সবাই উচ্চশিক্ষিত হবে, সহিংস আন্দোলন করবে না। দল গুছিয়ে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করুন, বাংলার মানুষ আপনার দলকে উজাড় করে ভালোবাসা দেবে। আন্দোলনও করতে হবে না।

সাহসের জন্য ধন্যবাদ। তবে সত্য কথা জনগন জানতে চায়। আলাদা দল করুন। দেশে আপনাদের মত রাজনীতিবিদ দরকার।

এভাবেই সব কিছু রয়ে যাবে নষ্টের অধিকারে, ভাল মানুষগুলো হারিয়ে যাবে.. এই জাতি কিভাবে বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে দাঁড়াবে??

রাজনিতি এমন হআর কথা ছিলো । আমরা যারা যুবক তারা শেখ মুজিব হতে চাই, তার চাটুকার হতে চাই না ।

আমি কোন ধরনের রাজনিতির সাথে কোন ভাবেই জরিত নই, তবু ও আমি খুশি হয়েছি যে, আপনি অন্যায়ের সাথে আপোষ না করে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন সমস্ত লালসা আর বৈভবের হাতছানি থেকে। আপনাকে সালাম, আর যে কোনও কাজে আপনাকে আমি বিন্দু মাত্র সহযোগিতা করতে পারলে নিজেকে ধন্য মনে করব।

তুমিই আমাদের তারুন্যের অহংকার।দুর্ভাগ্য আমাদের তোমার সেবা আমরা গ্রহন করতে পারলাম না শকুনদের উৎপাতের কারণে।

সোহেল তাজকে আমার স্যালুট, স্বধীনতার এত বছর পরও আমারা আজও মুক্ত হতে পারিনি, তবে আপনারা না থাকলে আমরা কিভাবে স্বাধীনতা পাব?

আপনি কি পারতেন না আমাদের মতো যারা সৎ আদর্শবান নেতৃত্বের স্বপ্ন দেখে জীবন কাটায় তাদেরকে একত্রিত করে যুদ্ধের ময়দানে ঝাপ দিতে? আওয়ামীলীগের ছায়াতে যেটা পারেননি সেটা নিজে আরেকটা বৃক্ষ রোপন করে সেই বৃক্ষের ছায়াতে পারতেন কিনা একবার তো যাচাই করার সুজোগ ছিল না কি! আপনার বাবার উপরও তো একসময় ছায়া ছিলনা, কিন্ত তারা ছায়া নির্মান করে গেছেন। সময়ের প্রেক্ষাপটে হয়ত আপনার বাবার নির্মিত ছায়া কুলষিত হয়ে গেছে কিন্ত তাতে কি হতাশ হয়ে দমে যেতে হবে? প্রবাসী জীবনের ইতি ঘটিয়ে এসে এই দেশে যা শিখেছেন সেটা নিয়ে পুনরায় মাঠে নেমে আমাদেরকে একবার সুজোগ করে দিন প্লিজ! আমরা ভোট অস্ত্রে বিশ্বাসী, গ্রেনেড বোমাতে নই। আপনি যদি সেটাই চান তাহলে প্লিজ আবার ফিরে আসুন............।

ধন্যবাদ জনাব সোহেল তাজ। তবে আপনার সিধান্ত মানতে পারলাম না। কারন আপনার মত সৎ লকের দেশে খুব দরকার। আপনি একজন শুরু করেন দেখেন আপনার সাথে কুটি জনগন যোগ দিবে। দেশ আমাদের, কিছু জুলুম ভাজ চোরের কাছে দেশ জিম্মি হতে পারেনা। আবার ও ধন্যবাদ জনাব সোহেল তাজ।

আপনি যদি সত্যিই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে লালন করেন, তবে প্লিজ আপনার সীদ্ধান্ত পূনর্বিবেচনা করে এই বাংলার মাটিতে ফিরে আসুন এবং শরীরের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও দেশের মঙ্গলে কিছু করুন। প্লীজ প্লীজ প্লীজ..........

আপনার মত আরও নেতা আমাদের দরকার, সরব ভঙ্গিতে। শুধু কাপাসিয়া কেন? সারাদেশ বাসীর কথা ভাবুন এবং নতুন রুপে, নতুন শক্তি, নতুন উদ্যমে ফিরে আসুন। শিক্ষিত-সচেতন নাগরিকেরা আপনাদের মত নেতার অপেক্ষা অনেক দিন যাবত, আমাদের অপেক্ষা আর কত দিনের.. ?

রাজনীতিতে একটি অমিত সম্ভাবনাকে নষ্ট করে দিল আওয়ামী লীগের তথকথিত রাজনীতিবিদেরা, ঠিক যেমনটি করেছিল মাহী বি চৌধুরীর ক্ষেত্রে বিএনপি'র তথকথিত রাজনীতিবিদেরা।

খুব জোর করে বলি, একটি বার আমাদের মত প্রগতিশীল, শিক্ষিত সমাজ কে একটু দেশ এর দায়িত্ব তা নিতে দিন, একটি বার আমাদের মত আমাদের দেশ টা চালাতে দিন, আমরা আপনাদের চেয়ে খারাপ নয়, বরং খুব ভালই চালাব ! 
আমাদের সম্ভবত একটা ভয়ংকর পরিবর্তন দরকার, সম্ভবত আরেকটা যুদ্দ দরকার !!!!

আমি আগে ভাবতাম আমাদের দেশে যোগ্য নেতার অভাব। একজন যোগ্য নেতার অভাবে দেশের আজ এই অবস্থা কিন্তু দেখছি একজন সুযোগ্য নেতাকে পেয়েও আবার আমরা তাকে হারাচ্ছি। আমার এই লেখাটা লেখার সময় মনে হচ্ছে আল্লাহ যদি আমাকে এমন কোন অলৈকিক ক্ষমতা দিত যার দ্বারা দেশের সকল অপশক্তিকে ভেঙ্গে তাকে দেশের প্রধান মন্ত্রি বানাতে পারতাম। আমার এই কথা পড়ে অনেকে হয়ত হাসবেন! আর এটাই সাভাবিক। কিন্তু আমি একজন সাধারন ব্যক্তি হবার কারনে এই অবাস্তব চিন্তা ছাড়া আরত কিছুই করার নাই। কিন্তু আমি এটা বিশ্বাস করি দেশের মানুষের যদি একটু দেশের না হোক নিজের কথাই চিন্তা করে তাহলেও হয়ত সম্ভব। কেননা দশে মিলে পারেনা বা জনগন পারেনা এমন কোন কাজ নেই। তাই চলুন আবার নতুন করে যুদ্ধে নামি দেশকে নতুন করে আর একবার স্বাধীন করি। আর এর হাতিয়ার হলো আমাদের মন আর মনুসত্ত।একটু চিন্তা করে দেখুন!! এখনই হয়ত চিন্তা করার সঠিক সময়। যে যেভাবে পারেন জনমত গড়ে তুলুন আমাদের এই সোনার দেশটাকে বাচাতে।

রাজনীতি মানেই হরতাল - গুম - হত্যা - নির্যাতন। চারিদিকে এত অস্থিরতার মধ্যে এইটুকু আশা যে এখনো কোন এক রাজনীতিবিদ সুদুরে বসেও দেশটিকে নিয়ে চিন্তা করে। আপনি সশরীরে ফিরে এসে নতুন দল গঠণ করুন। গণতন্ত্রকে বাজিয়ে রাখুন। একজন আদর্শ নেতার আমাদের খুবই দরকার। না হলে আবারও রাজাকারদের হাতে দেশটা চলে যাবে। please please please আপনি ফিরে আসুন। আবার স্বকীয় আদর্শে অনুপ্রাণিত করেন সবাইকে। শুরু হোক দেশ গড়ার নতুন যুদ্ধ।

জনাব সোহেল তাজ আপনি দেশে আসুন। আমাদের সবই আছে এখন শুধু একজন নেতা দরকার। আপনারা সবাই অভিমান করে দেশ ছেড়ে চলে গেলে এই সোনার দেশটা চলবে কিকরে। আমরা কার ছায়ায় দড়াবো। প্লিজ ফিরে আসুন।

আমরা সবাই রাজনীতির দিকে তাকিয়ে থাকি। কিন্তু আমরা ্যদি নিজ নিজ অবসথান থেকে দেশের জন্যে ছোট বড় দু একটা ভাল কাজ করি সবার মিলিত ভাল কাজে সমাজ সুনদর হবে আর সুনদর সমাজে আসুনদর রাজনীতি টিকতে পারে না ! ড: ইউনুস একদা বলেছিলেন" স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের যা কিছু অর্জন তা ব্যক্তিগত উদ্যোগের ফসল ! আমরা সবাই ব্যক্তিগত উ দ্যোগেই দেশের জন্যে ভাল কাজ করি ্যার ্যার সাম র্থ অনু্যায়ী । এই আশুভ রাজনীতি পালাবেই !

আপনার এই সততাকে জানাই হাজারো সালাম। আপনি হয়তো জানেন না এই তরুন প্রজন্ম ঠিক এমনই কাউকে খজছে যে ভালো কাজের জন্য এই প্রজন্ম কে আহবান করবে দেশ কে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

আপনাদের সবার মতো আমিও তাকিয়ে আছি ভবিষ্যতের দিকে। হয়তো একদিন সুস্থ একটি রাজনৈতিক সংস্কৃতির মাধ্যমে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ হবে সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী একটি দেশ। আমরাও তাকিয়ে আছি আপনাদের মতো ভাল রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দিকে.........

রেফরেন্স

No comments:

Post a Comment