Thursday, May 8, 2014

রাজনীতিতে নির্বাচনকেন্দ্রিক সংস্কৃতি পরিবর্তনে নাগরিক শক্তি

নাগরিক শক্তি ইলেকশান কেন্দ্রিক দল হবে না। জনকল্যাণের প্ল্যাটফর্ম হিসেবেও দেশের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে, দেশের উন্নয়নে কাজ করবে [1]। 



সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন


বাংলাদেশের প্রচলিত রাজনীতি 

  • বড় দলগুলো অর্থ দিয়ে মনোনয়ন বিক্রি করে। মনোনয়ন প্রত্যাশীরা অর্থ দিয়ে মনোনয়ন বাণিজ্যের নিলাম হাট থেকে মনোনয়ন কেনেন কোটি টাকার বিনিময়ে। সাংসদ হয়ে নেতারা দুর্নীতি করে সুদে আসলে তুলে আনেন। অনেকটা বিনিয়োগের মতই! 
  • কাজেই এসব দলে “মনোনয়ন বঞ্চিত”রা দলত্যাগ করে ইলেকশানে অংশ নেন। 
  • বড় দুই দলে কালো টাকা, পেশি শক্তির প্রভাব হয়ে ওঠে যোগ্যতা নির্ধারণের মাপকাঠি। 

নাগরিক শক্তি 

  • নাগরিক শক্তি মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে জনপ্রিয়তা, যোগ্যতা, দক্ষতা, মেধা, সততা, অভিজ্ঞতা, এলাকার উন্নয়ন কাকে দিয়ে হবে - এসব বিষয় বিবেচনায় নেবে। তৃনমূল থেকে প্রার্থীদের নাম প্রস্তাবের আহ্বান জানানো হবে এবং কেন্দ্রিয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। একাধিক প্রার্থী প্রায় সমান যোগ্যতা সম্পন্ন হলে সার্ভেই করে দেখা হবে জনগণ কাকে চান। 





নির্বাচনী ব্যয়

বাংলাদেশের প্রচলিত রাজনীতি

  • দেশের বড় দুই দলে নির্বাচনী ব্যয় প্রার্থীই করেন। প্রার্থীরা কালো টাকা ব্যবহার করেন। কাজেই কোন হিসেব থাকে না।
  • ব্যবসায়ী এবং সমর্থরা রাজনৈতিক দলকে কোটি কোটি টাকা চাঁদা দেন। এই অর্থেরও কোন হিসেব থাকে না। নেতারা অর্থ ভাগাভাগি করে নেন।    


নাগরিক শক্তি 
  • প্রচলিত রাজনীতিতে বড় দুই দলের নেতারা অর্থ দিয়ে ভোট কেনেন। নাগরিক শক্তির প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া সীমার মাঝে স্বল্প ব্যয়ে নির্বাচন করবেন। আমাদের ইলেকশান ক্যাম্পেইন স্ট্রাটেজিতে থাকবে সামাজিক উদ্যোগ, ট্রাইব, নেটওয়ার্ক ইত্যাদি।  
  • নির্বাচনী ব্যয়ের জন্য ফান্ড রেইজ করা হবে। 
  • ফান্ড রেইজিং এর মাধ্যমে যে অর্থ রেইজড হবে তা শুধু মাত্র প্রার্থীদের ইলেকশান ক্যাম্পেইনে ব্যয় করা হবে। প্রতিটি পয়সা খরচের হিসাবও রাখা হবে। স্বচ্ছতা কেন্দ্রিয়ভাবে মনিটারিং করা হবে এবং কারও বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হলে দল থেকে বহিষ্কারসহ কঠোর বাবস্থা নেওয়া হবে।
  • নাগরিক শক্তির আয় ব্যয়ের হিসেব (রেইজড ফান্ডের হিসেবসহ) নির্দিষ্ট সময় অন্তর জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে। 





নেতাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য দৃষ্টিভঙ্গি

বাংলাদেশের প্রচলিত রাজনীতি
  • বড় দুই দলে নেতাদের কাছে সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়াই মুখ্য হয়ে ওঠে। 
  • কোনভাবে সাংসদ হতে পারলে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করা যাবে। 


নাগরিক শক্তি 

  • প্রকৃতপক্ষে, দুর্নীতি একটা সংস্কৃতি। আমাদের লক্ষ্য ঠিক করতে সমাজ বড় ভূমিকা পালন করে। ছেলেবেলায় বাবামায়ের মাধ্যমে আমরা ভাল-খারাপ শিখি। জীবনের লক্ষ্য ঠিক করতে পরিবার, বন্ধুমহল, দেশের আর্থসামাজিক পরিস্থিতি - সবকিছুই ভূমিকা পালন করে। অনেকে অপরাধ করা শুরু করলে একটা সমাজের সম্মিলিত নৈতিকতাবোধ - কি করা উচিত, কি করা উচিত না - তাতে অবনতি ঘটে। আমাদের দেশে রাজনীতিতে এমনটাই ঘটছে। রাজনীতি আর দুর্নীতি সমার্থক হয়ে পড়েছে। আশেপাশের আর দশজন রাজনৈতিক নেতাকে দুর্নীতি করে কোটি কোটি টাকার মালিক হতে দেখলে একজন তরুণ নেতার লক্ষ্য নির্ধারণেও তার প্রভাব পড়তে বাধ্য। রাজনীতি করলে আইনের উরধে ওঠা যায় - এমন রীতি পরিস্থিতিকে ভয়াবহ পর্যায়ে নিয়ে গেছে। অন্য দশজন দুর্নীতিগ্রস্থ ব্যক্তিকে দেখে নতুন রাজনীতিবিদও কুপথের দিকে যাত্রা করেন, কিন্তু তিনি ভুলে জান একদিন এই অপকর্মের জন্য বিচার - মামলা - মোকাদ্দমার মুখোমুখি হতে হবে, পরিবার ও সমাজের সামনে নিচু হতে হবে। 
  • নাগরিক শক্তি এই অপসংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনবে।   
  • নাগরিক শক্তির নেতৃত্বে সবাই ঐক্যবদ্ধ হবেন স্বপ্নের আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে। 
  • সাংসদ হিসেবে মূল লক্ষ্য হবে জনকল্যাণ। জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সাংসদরা বিখ্যাত হয়ে উঠবেন। 
  • ইলেকশানের বাইরেও নাগরিক শক্তি জনকল্যাণের প্ল্যাটফর্ম হিসেবেও দেশের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কাজ করবে [1]। নেতারা এসব প্লাটফর্মের অংশ হিসেবেও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে পারবেন। কাজেই ইলেকশান একমাত্র ফোকাস হবে না। 

একটি বৃহৎ পরিবার হিসেবে নাগরিক শক্তি 

নাগরিক শক্তির নেতা কর্মীদের মাঝে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন, স্নেহের বন্ধন, ভালবাসা এবং স্রদ্ধার বন্ধন থাকবে। নাগরিক শক্তি হবে একটা কমিউনিটির মত। মানুষ কখনও নিজের পরিবার ছেড়ে যেতে পারে না। নাগরিক শক্তির সাথে সংশ্লিষ্ট সবাই দলটিকে বৃহৎ একটি পরিবার হিসেবে দেখবেন।



রেফরেন্স

No comments:

Post a Comment