আমাদের তরুণ প্রজন্মের দৃষ্টিভঙ্গিতে একইসাথে আধুনিকতা এবং আপন শেকড়, ঐতিহ্যকে ধারণ করা - এই দুইয়ের প্রশংসনীয় সংমিশ্রণ লক্ষ্য করার মত।
ওরা আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে। চলাফেরা, দৃষ্টিভঙ্গিতে ওরা আধুনিক। আধুনিক জ্ঞান - বিজ্ঞানে ওদের দখল।
একইসাথে ওরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হৃদয়ের গভীরে ধারণ করে। প্রাণের টানে শাহবাগে ছুটে যায়। ক্রিকেটে ম্যাচ জেতার পর ওরা লাল-সবুজ পতাকা হাতে বেড়িয়ে পড়ে।
শুধুমাত্র তরুণ ভলান্টিয়ারদের মাধ্যমেই সারা দেশে গণিত উৎসবের মত তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা ঘটে। রানা প্লাজা ধ্বসে ক্ষতিগ্রস্থদের দিকে ওরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। নির্বাচনোত্তর হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ সনাতনী সম্প্রদায়ের পাশে গিয়ে দাঁড়ায়। দলবেঁধে কাজ করাতেই ওদের আনন্দ।
সংখ্যায় ও ওরা এগিয়ে। দেশের ৫০ ভাগ মানুষের বয়স ২৩ বা তারও কম।
প্রাণশক্তিতে ভরপুর বিশাল এই তরুণ প্রজন্মের মাঝে স্বপ্ন, উদ্যম, উৎসাহের কোন ঘাটতি নেই। ওরা পরাজয় খুব একটা দেখেনি – তাই পরাজয় মানতেও চায় না। ওরা পছন্দ করে একসাথে সময় কাটাতে, connected হতে। connected হওয়ার এই ইচ্ছাটাকে জনকল্যাণমূলক নানা কাজে রুপান্তর করা যায় তরুণদের একত্রিত করে। দেশের তরুন তরুণীরা না হয় দল বেঁধে নতুন নতুন উদ্যোগ নিয়ে সমস্যা সমাধানে ঝাঁপিয়ে পড়ল – হতে পারে নিজেদের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন সমস্যা, হতে পারে নিজেদের এলাকার।
শুরুতে যা বলেছিলাম, বাংলাদেশে গণিত অলিম্পিয়াডের মত দেশ পাল্টে দেওয়া বিশাল কর্মযজ্ঞ ঘটছে শুধুমাত্র কিছু তরুণের স্বেচ্ছা কর্মোদ্যোগে [1]।
কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু তরুণ তরুণী মিলে "কান পেতে রই" নামে একটা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে যেটি অনেক প্রাপ্তবয়স্ক হতাশাগ্রস্ত মানুষকে সুন্দর জীবনে ফিরিয়ে এনেছে। ওদের দেখে প্রফেসর ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল লিখেছেন -
তরুণদের এই অফুরন্ত সম্ভাবনাকে কিভাবে কাজে লাগানো যায়?
তরুণরা আর দশজনের চাইতে নিজেকে আলাদা প্রমাণ করতে চাইবে! বিভিন্ন রকম কল্যাণমুখী প্ল্যাটফর্ম গড়ে দিয়ে ওদের কর্মস্পৃহা জাগিয়ে তোলা যায়।
তরুণদের হাতের কাছেই Google. ওরা চাইলেই জ্ঞানের দিক দিয়ে যে কাউকে হারিয়ে দিতে পারে। নাগরিক শক্তি তরুণদের এই অমিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগাবে।
আমাদের তরুণদের কেউ হয়ত উদ্ভাবন করে বসবে এমন কিছু যা দিয়ে অনেক অনেক মানুষের জীবনের একটা দিক পুরোপুরি বদলে যাবে। আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর এই তরুণ প্রজন্ম নিশ্চয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চাইবে!
সবরকম অন্যায় অবিচার দুর্নীতি অনিয়মের বিরুদ্ধে ওরা লক্ষ লক্ষ প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর হয়ে গর্জে উঠবে। দেশপ্রেমের বহিঃপ্রকাশ ঘটাবে দেশের জন্য কাজ করার মাধ্যমে।
আমাদের নতুন প্রজন্মের তরুণরা যুক্তরাষ্ট্র - ইউরোপের তরুণ, শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, ইঞ্জিনিয়ার, অর্থনীতিবিদদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে নিজেদের অনেক অনেক উপরে নিয়ে যাবেন।
আর এরাই তো গড়ে তুলবে আমাদের আরাধ্যের স্বপ্নের আধুনিক বাংলাদেশ।
ওরা আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে। চলাফেরা, দৃষ্টিভঙ্গিতে ওরা আধুনিক। আধুনিক জ্ঞান - বিজ্ঞানে ওদের দখল।
একইসাথে ওরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হৃদয়ের গভীরে ধারণ করে। প্রাণের টানে শাহবাগে ছুটে যায়। ক্রিকেটে ম্যাচ জেতার পর ওরা লাল-সবুজ পতাকা হাতে বেড়িয়ে পড়ে।
শুধুমাত্র তরুণ ভলান্টিয়ারদের মাধ্যমেই সারা দেশে গণিত উৎসবের মত তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা ঘটে। রানা প্লাজা ধ্বসে ক্ষতিগ্রস্থদের দিকে ওরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। নির্বাচনোত্তর হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ সনাতনী সম্প্রদায়ের পাশে গিয়ে দাঁড়ায়। দলবেঁধে কাজ করাতেই ওদের আনন্দ।
সংখ্যায় ও ওরা এগিয়ে। দেশের ৫০ ভাগ মানুষের বয়স ২৩ বা তারও কম।
প্রাণশক্তিতে ভরপুর বিশাল এই তরুণ প্রজন্মের মাঝে স্বপ্ন, উদ্যম, উৎসাহের কোন ঘাটতি নেই। ওরা পরাজয় খুব একটা দেখেনি – তাই পরাজয় মানতেও চায় না। ওরা পছন্দ করে একসাথে সময় কাটাতে, connected হতে। connected হওয়ার এই ইচ্ছাটাকে জনকল্যাণমূলক নানা কাজে রুপান্তর করা যায় তরুণদের একত্রিত করে। দেশের তরুন তরুণীরা না হয় দল বেঁধে নতুন নতুন উদ্যোগ নিয়ে সমস্যা সমাধানে ঝাঁপিয়ে পড়ল – হতে পারে নিজেদের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন সমস্যা, হতে পারে নিজেদের এলাকার।
শুরুতে যা বলেছিলাম, বাংলাদেশে গণিত অলিম্পিয়াডের মত দেশ পাল্টে দেওয়া বিশাল কর্মযজ্ঞ ঘটছে শুধুমাত্র কিছু তরুণের স্বেচ্ছা কর্মোদ্যোগে [1]।
কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু তরুণ তরুণী মিলে "কান পেতে রই" নামে একটা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে যেটি অনেক প্রাপ্তবয়স্ক হতাশাগ্রস্ত মানুষকে সুন্দর জীবনে ফিরিয়ে এনেছে। ওদের দেখে প্রফেসর ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল লিখেছেন -
“তোমরা কিছু তরুণ-তরুণী মিলে নিঃসঙ্গ, বিপর্যস্ত, হতাশাগ্রস্তদের মানসিক সেবা দেবার জন্যে একটা হেলপ লাইন খুলেছ। এমনকি আত্মহত্যা করতে উদ্যত কেউ কেউ শেষ মূহূর্তে তোমাদের ফোন করেছিল বলে তোমরা তাদের মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে এনেছ। তোমরা এই বয়সেই মানুষের জীবন বাচাঁতে পার– কী আশ্চর্য!’
আমি আমার জীবনে একটা সত্য আবিস্কার করেছি; সেটি হচ্ছে, বড় কিছু করতে হলে সেটি ভলান্টিয়ারদের দিয়ে করাতে হয়, যে ভলান্টিয়াররা সেই কারণটুকু হৃদয় দিয়ে বিশ্বাস করে। কাজেই মানসিক সেবা দেওয়ার এই কাজটুকুও আসলে ভলান্টিয়াররা করে।" [2]
তরুণদের এই অফুরন্ত সম্ভাবনাকে কিভাবে কাজে লাগানো যায়?
তরুণরা আর দশজনের চাইতে নিজেকে আলাদা প্রমাণ করতে চাইবে! বিভিন্ন রকম কল্যাণমুখী প্ল্যাটফর্ম গড়ে দিয়ে ওদের কর্মস্পৃহা জাগিয়ে তোলা যায়।
তরুণদের হাতের কাছেই Google. ওরা চাইলেই জ্ঞানের দিক দিয়ে যে কাউকে হারিয়ে দিতে পারে। নাগরিক শক্তি তরুণদের এই অমিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগাবে।
আমাদের তরুণদের কেউ হয়ত উদ্ভাবন করে বসবে এমন কিছু যা দিয়ে অনেক অনেক মানুষের জীবনের একটা দিক পুরোপুরি বদলে যাবে। আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর এই তরুণ প্রজন্ম নিশ্চয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চাইবে!
সবরকম অন্যায় অবিচার দুর্নীতি অনিয়মের বিরুদ্ধে ওরা লক্ষ লক্ষ প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর হয়ে গর্জে উঠবে। দেশপ্রেমের বহিঃপ্রকাশ ঘটাবে দেশের জন্য কাজ করার মাধ্যমে।
আমাদের নতুন প্রজন্মের তরুণরা যুক্তরাষ্ট্র - ইউরোপের তরুণ, শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, ইঞ্জিনিয়ার, অর্থনীতিবিদদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে নিজেদের অনেক অনেক উপরে নিয়ে যাবেন।
আর এরাই তো গড়ে তুলবে আমাদের আরাধ্যের স্বপ্নের আধুনিক বাংলাদেশ।
রেফরেন্স
No comments:
Post a Comment