খুনি কাউন্সিলর নূর হোসেনের অপরাধ সাম্রাজ্য বন্ধ হচ্ছে। নূর হোসেন দ্রুত গ্রেপ্তার হোক। নারায়ণগঞ্জে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক।
অগ্রগতি
- নূর হোসেনের বালু সাম্রাজ্যের পতন শুরু
- নূর হোসেনের ব্যবহৃত গাড়ি মিলল শামীম ওসমানের আত্মীয়ের কারখানায়
- আওয়ামী লীগ খুন ধামাচাপা দিতে, দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরাতে র্যাবের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে। প্রকৃতপক্ষে, দেশে র্যাবের দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকায় যখন মাদক বন্ধ হচ্ছে, আজমেরী ওসমানের টর্চার সেল যখন র্যাবের অভিযানে ধরা পড়েছে [1], আওয়ামী লীগের অপরাধী নেতারা শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। নারায়ণগঞ্জের পুলিশ প্রশাসনের উপর চাকরি "খেয়ে" ফেলা, ইত্যাদির ভয় দেখিয়ে যেভাবে প্রভাব খাটাতে সক্ষম হয়েছেন, র্যাবের ক্ষেত্রে তা পারছেন না। নারায়ণগঞ্জ তথা বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ এসব দুরভিসন্ধিমূলক কার্যকলাপকে প্রত্যাখ্যান করে।
- নূর হোসেনের বাড়ি থেকে আটক ১৫ জন রিমান্ডে
- বেনাপোল সতর্ক, ফটকে নূর হোসেনের ছবি
- ২৬ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মতিউর রহমান বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের হত্যাকাণ্ডের পর সতর্ক থাকার জন্যে আমাকে কেউ কোনো নির্দেশ দেয়নি। তবে আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে সীমান্তের প্রত্যেকটি বিওপি’র (বিজিবি ক্যাম্প) সদস্যদের বিশেষ সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।’
- ঘটনা ভিন্ন খাতে নেওয়ার চক্রান্ত চলছে: আইভী
- নাগরিকের নিরাপত্তা বিধানে রাষ্ট্র ব্যর্থ: ড. কামাল
- গণফোরামের সভাপতি বলেন, ‘চন্দন সরকারসহ সাতজনকে হত্যার ঘটনায় বিচারের দাবিতে নারায়ণগঞ্জের আইনজীবীরা যেভাবে দলমত-নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন, তা আমাকে আশান্বিত করেছে। এই ঐক্যের চেতনা ছড়িয়ে পড়ুক সারা দেশে। জনগণ হচ্ছে দেশের মালিক। তাই সচেতন মালিকদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে। সংবিধান সমুন্নত রেখে দেশ পরিচালনায় বাধ্য করতে হবে। ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি বন্ধ করতে হবে। চন্দন সরকারের মৃত্যু আমাদের জাগ্রত করেছে।’
- নূর হোসেনদের অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল দাবি
- নূর হোসেন ও তাঁর ঘনিষ্ঠজনদের ১১টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল
- নারায়ণগঞ্জে নূর হোসেনদের ১১ অস্ত্রের তিনটি উদ্ধার
- নূর হোসেনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ চলছে
- নূর হোসেন-সহযোগীদের অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশের অভিযান
- নূর হোসেন সহযোগীদের ৪টি অস্ত্র উদ্ধার
- নূর হোসেনের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও মিছিল
- না’গঞ্জে ৭ খুন: আটককৃত ৩ জন রিমান্ডে
- প্রভাব খাটিয়ে বিচার কাজে বাধা সৃষ্টি করা যাবে না: ড. কামাল হোসেন
- নারায়ণগঞ্জে আইনজীবী চন্দন সরকার হত্যার বিষয় কারো ব্যক্তিগত বিষয় নয়; এটা ৫৪ হাজার আইনজীবীর বিষয়। এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাতে নারায়ণগঞ্জ এসেছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতা ও গণফোরাম চেয়ারম্যান ড. কামাল হোসেন।
- নূর হোসেনের ট্রাকস্ট্যান্ডে মিলল মাদক, দেশি অস্ত্র
- নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার শিমরাইলে নূর হোসেনের নিয়ন্ত্রণাধীন ট্রাকস্ট্যান্ডে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ২ হাজার ৮২৪ বোতল ফেনসিডিল, ৫টি রামদা, বিয়ারের ৩৭টি ক্যান ও বিপুল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
- নারায়ণগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার জীবন কান্তি সরকার জানান, এই ট্রাকস্ট্যান্ডটি মাদক ব্যবসার প্রধান কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এই স্ট্যান্ডে মেলার নামে চলছিল অশ্লীল নৃত্য ও জুয়ার আসর।
- আওয়ামী লীগ নীরব কেন?
- অভিযোগ আছে, নূর হোসেন যে কোটি কোটি টাকা অবৈধ উপায়ে অর্জন করেছেন, তার ভাগ পেয়েছেন সবাই৷ আর এসব কারণেই তিনি সাত খুনের মেতা ঘটনা ঘটাতে পেরেছেন৷ পত্রপত্রিকায় ও টেলিভিশনে তঁার অপকর্মের ফিরিস্তি প্রকাশ ও প্রচারের পরও নারায়ণগঞ্জ ও সিদ্ধিরগঞ্জ আওয়ামী লীগ তঁার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার অর্থ আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে তঁার পাপের বোঝা স্বেচ্ছায় কঁাধে নিয়েছে৷ শোনা যায়, কেবল নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগের নেতারা নন, কেন্দ্রীয় অনেক নেতাও তঁার কাছ থেকে মাসোহারা পেতেন৷
- ঘটনার দুই সপ্তাহ পর আহূত সংবাদ সম্মেলনেও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ অাশরাফুল ইসলাম নূর হোসেনের বিরুদ্ধে কোনো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুসংবাদ আমাদের জানাতে পারেননি৷
- নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় আওয়ামী লীগের বাকপটু নেতা-মন্ত্রীরাও নিশ্চুপ৷ এত বড় হত্যাকাণ্ডের পরও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একটি মানববন্ধন বা শোকসভাও করা হয়নি৷ না নারায়ণগঞ্জে, না ঢাকায়৷ তাদের এ নীরবতা কিসের ইঙ্গিত দেয়?
- নূর হোসেন-ইয়াছিনকে আ.লীগ থেকে অব্যাহতি
- নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নূর হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মিয়াকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁদের দল থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে।
- আজ শনিবার বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত হয়।
- নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যালেন মেয়র নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনের খুনের ঘটনায় করা মামলার অন্যতম আসামি হলেন নূর হোসেন।
- সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান প্রথম আলোকে জানান, আজকের সভায় নূর হোসেন ও ইয়াছিন মিয়াকে দলের সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। দলের এ সিদ্ধান্ত মহানগর কমিটিকেও জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, সভায় সাত খুনের ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়েছে।
- নারায়ণগঞ্জের ‘দুর্ঘটনায়’ দুঃখিত বাণিজ্যমন্ত্রী
- নূর হোসেনের ২ সহযোগী নোয়াখালীতে আটক
- নূর হোসেনের ভাতিজার বাসা থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার
- নূর হোসেনের গাড়ি চালক সহ ২ জন রিমান্ডে
- নূর হোসেনের সহযোগী রফিকুল রতন আটক
- সাত খুনের মামলার আসামি হাসু গ্রেপ্তার
- নূর হোসেনের অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ
- নূর হোসেনের বডিগার্ডের আস্তানায় অভিযান, অস্ত্র উদ্ধার
- নূর হোসেনের অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকে অভিযান শুরু
- নূর হোসেনের বাড়ি থেকে গুলিসহ রিভলবার উদ্ধার
শনিবার বেলা সাড়ে ১২টায় ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম উদ্ধারের বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক।
ওই সময় তিনি বলেন, একটি শার্ট উদ্ধার করা হয়েছে যার মধ্যে অনেক দাগ রয়েছে। সেটা আসলে রক্তের দাগ কি না পরীক্ষা করে দেখা হবে। এছাড়াও নূর হোসেনের পাসপোর্ট খতিয়ে দেখা হবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড় টেকপাড়া এলাকায় অবস্থিত নূর হোসেনের বাড়ির চারপাশ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ঘেরাও করে রাখে পুলিশ। পরে বেলা ১১টায় নূর হোসেনের বাড়িতে তল্লাশি শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা। অভিযান চলাকালে গণমাধ্যমের কোন কর্মীকে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(অপরাধ) শহিদুল ইসলাম অভিযানের সত্যতা স্বীকার করেছেন।"
সূত্র - নূর হোসেনের বাড়িতে রক্তমাখা মাইক্রোবাস, মোবাইল ফোন, আটক ২
গত রোববার দুপুরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সংযোগ সড়ক থেকে অপহূত কাউন্সিলর নজরুলসহ ছয়জনের লাশ গতকাল বুধবার উদ্ধার করা হয়েছে বন্দর থানার শীতলক্ষ্যা নদী থেকে। একই সড়ক থেকে প্রায় একই সময়ে অপহূত হন নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তাঁর গাড়ির চালক ইব্রাহিম। গতকাল উদ্ধার হওয়া লাশের একটি ইব্রাহিমের।
আওয়ামী লীগ-সমর্থক নজরুলের পরিবারের অভিযোগ, বিরোধের জের ধরে নূর হোসেন ও তাঁর লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। রোববার ও সোমবার নূর হোসেন এ অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে মঙ্গলবার থেকে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ থাকায় চেষ্টা করেও তাঁর বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
এলাকার লোকজন জানান, ট্রাকের সহকারী হিসেবে জীবন শুরু করা নূর হোসেন পরে চালক হন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তিনি শামীম ওসমানের হাত ধরে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। এরপর সিদ্ধিরগঞ্জে তিনি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে থাকেন। ওই সময় তাঁর বিরুদ্ধে দাঙ্গা-হাঙ্গামাসহ ১৩টি মামলা হয়। বাংলাদেশ ট্রাকচালক শ্রমিক ইউনিয়ন কাঁচপুর শাখার সভাপতিও হন তিনি। ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি এলাকায় ছিলেন না। ওই সময় তিনি ছিলেন পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তাঁকে ধরিয়ে দিতে ইন্টারপোলে রেড নোটিশও পাঠানো হয়েছিল। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নবম সংসদ নির্বাচনের পর তিনি এলাকায় ফেরেন। গত বছর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে তিনি ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, রাজধানীতে প্রবেশের অন্যতম পথ শিমরাইল মোড় ও কাঁচপুরে পরিবহনে চাঁদাবাজিসহ সবকিছু এখন নিয়ন্ত্রণ করেন নূর হোসেন ও তাঁর লোকজন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, রাজধানীতে প্রবেশের অন্যতম পথ শিমরাইল মোড় ও কাঁচপুরে পরিবহনে চাঁদাবাজিসহ সবকিছু এখন নিয়ন্ত্রণ করেন নূর হোসেন ও তাঁর লোকজন।
পরিবহনে চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে ২০১২ সালের আগস্টে নূর হোসেনের বিরুদ্ধে পুলিশ ও র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ দেন ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েতুল্লাহ। র্যাবের মহাপরিচালক বরাবর দেওয়া অভিযোগে বলা হয়, অনেক দিন ধরে কাঁচপুর সেতু ও চিটাগাং রোডে স্থানীয় হোসেন চেয়ারম্যানের (নূর হোসেন) নেতৃত্বে কিছু মাস্তান পরিবহনগুলো থেকে প্রতিদিন দু-তিন লাখ টাকা চাঁদা আদায় করছে। চাঁদা না দিলে পরিবহনকর্মীদের মারধর ও গাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে।
চাঁদাবাজির প্রতিবাদে ব্যাটারিচালিত রিকশার চালক ও মালিকেরা নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সমাবেশ করেন ও বিভিন্ন জায়গায় স্মারকলিপি দেন। পরে প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর হস্তক্ষেপে ওই চাঁদাবাজি বন্ধ হয়।
নদী দখল ও বিআইডব্লিউটিএর মামলা: বিআইডব্লিউটিএর সূত্র জানায়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় কাঁচপুর সেতুর নিচে শীতলক্ষ্যার তীর দখল করে নূর হোসেনদের গড়ে তোলা বালু ও পাথরের ব্যবসা উচ্ছেদ করা হলেও নবম সংসদ নির্বাচনের পর আবারও নদী দখল করে এ ব্যবসা করছেন তিনি। হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে কাঁচপুর সেতুর নিচে শীতলক্ষ্যার তীর অবৈধভাবে দখল করে বালু-পাথরের ব্যবসা গড়ে তোলার অভিযোগে নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে ২০১০ সালে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা করেছিলেন বিআইডব্লিউটিএর নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের পোর্ট কর্মকর্তা। মামলায় সরকারি কাজে বাধাদান, সরকারি কর্মকর্তাদের হুমকি দেওয়া এবং নদীতীরের প্রায় ৮০০ শতাংশ জমি দখলের অভিযোগ আনা হয়। গত কয়েক বছরে ওই দখল উচ্ছেদে আট-দশবার অভিযান চালানো হয়। মামলার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ২২টি চিঠি দেওয়া হয়েছে।
মেলার নামে অশ্লীল নৃত্য-জুয়া: অভিযোগ রয়েছে, সিদ্ধিরগঞ্জে সিটি করপোরেশনের ট্রাক টার্মিনালে এক বছরের বেশি সময় ধরে মেলার নামে চলছে অশ্লীল নৃত্য ও জুয়ার আসর। মেলায় অবাধে মাদকও বিক্রি হচ্ছে। স্থানীয় কাউন্সিলর নূর হোসেনকে এ মেলা বন্ধ করতে গত ১৬ এপ্রিল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল মজুমদার চিঠি দিলেও মেলা বন্ধ হয়নি।
অপহরণের পরে রবি ও সোমবার নূর হোসেনের ফোন খোলা থাকলেও মামলার পরে মঙ্গলবার থেকে ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তাই এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য নেওয়া যায়নি।"
সূত্র - আবার আলোচনায় সেই নূর হোসেন
"নূর হোসেনের কাঁচপুর শিমরাইল বাসভবনের সামনে ও পেছনে ২টি পুকুরে রাখা হতো ফেনসিডিল আর অস্ত্র। সীমান্ত থেকে সরাসরি কাভার্ড ভ্যান কিংবা ট্রাকযোগে ফেনসিডিল ও অস্ত্র নিয়মিত প্রতি রাতে উক্ত পুকুর পাড়ে এনে নামানো হতো। গভীর রাতে বস্তায় বস্তায় এসব ফেনসিডিল ও অস্ত্র পুকুরে রাখার দৃশ্য দেখতো এলাকাবাসী।
নূর হোসেনের সিমরাইল বাসভবনে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার মূল মনিটর। এখানে বসে মাদক ও অস্ত্রসহ আন্ডার গ্র্যাউন্ডের সকল কার্যক্রম মনিটর করতো নূর হোসেন। ইতিমধ্যে পুলিশ তার বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি মাইক্রোবাস জব্দ ও ১১ জনকে আটক করে। ঐ দিনই ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা থাকার বিষয়টি ধরা পড়ে। পুলিশসহ গোয়েন্দা সংস্থা রহস্যজনকভাবে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার বিষয়টি এড়িয়ে গেছে। ফলে সহজেই নূর হোসেনের ক্যাডার বাহিনী ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরায় ধারণকৃত মূল সফটওয়্যার সরিয়ে ফেলেছে।" [2]
রেফরেন্স
No comments:
Post a Comment