সমাবেশে কামাল হোসেন বলেন, ‘দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ বলেছিল নির্বাচনের পর তারা সংলাপ করবে, কথাবার্তা বলবে, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করবে। আওয়ামী লীগ কথা দিয়ে কথা রাখেনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশের ৯০ শতাংশ লোক বলছে এ নির্বাচন হয়নি। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে আদালত মেনে নিলেও জনগণ এ নির্বাচনের প্রতিনিধিদের মানতে বাধ্য নয়’।
বাংলাদেশের সংবিধান প্রনেতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য সংবিধান ভাঙতে হবে, এ শিক্ষা বঙ্গবন্ধু দিয়ে যাননি। তিনি আমাদের জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নীতি-আদর্শ দিয়ে গেছেন। কোনো প্রকার আলাপ-আলোচনা না করেই ষোড়শ সংশোধনী করা হলো। এ সংশোধনী মানা হলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা থাকবে না। আগে বিচারক নিয়োগের আইন, বিচারকদের অপসারনের আগে সুষ্ঠু তদন্তের আইন করতে হবে।’
সমাবেশে উপস্থিত নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আওয়ামী লীগ-বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার প্রতিযোগীতায় লিপ্ত। তাদের হাতে দেশ, জনগণ, অর্থনীতি, দেশের সার্বভৌমত্ব নিরাপদ নয়। আওয়ামী লীগ ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে দেশে ভন্ডামি শুরু করেছে। এ নির্বাচনকে বিশ্ব মেনে নেয়নি।’
জেলা গণফোরাম সভাপতি তারিক উর রউফের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন গণফোরামের কার্যকরী পরিষদ সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সহসভাপতি জগলুল হায়দার, পররাষ্ট্র বিষয়ক সম্পাদক আবদুল হাসিব চৌধুরী। স্থানীয়দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক আইনজীবি সমিতির জেলা সভাপতি সফিকুর রহমান, গণফোরামের সদর উপজেলা সভাপতি আবদুল হক, কসবা উপজেলা আহ্বয়াক দেলোয়ার হোসেন, আশুগঞ্জ সদস্য সচিব ইসতিয়াক আহমেদ, ব্যবসায়ী নেতা বাবুল চন্দ্র বনিক ও আকরাম হোসেন প্রমুখ।"
No comments:
Post a Comment