Tuesday, April 15, 2014

বাংলাদেশে বিদেশীদের বিনিয়োগে বাঁধা দূরীকরণ

নাগরিক শক্তি দেশী ব্যবসায়ীদের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে দেশে শিল্পের বিকাশে বিদেশী বিনিয়োগের পথে বাঁধাগুলো দূর করতে সম্ভাব্য সবরকম পদক্ষেপ নেবে। 

আমরা সরকারকে বিদেশী বিনিয়োগের পথে যুক্তিসংগত বাঁধাগুলো দূর করার লক্ষ্যে যথাযথ উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানাই।

"সস্তা শ্রম ও ইউরোপসহ উন্নত দেশগুলোতে জিএসপি সুবিধার হাতছানিতে ছুটে আসা বিদেশি ব্যবসায়ীদের বিমুখ হতে সময় লাগে না। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা রীতিমতো গবেষণা করেছেন। প্রতিবেদনও তৈরি করেছেন। এই গবেষণা প্রতিবেদন থেকে বিদেশিদের চোখে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ১৩টি বড় বাধার কথা জানা গেছে। তাঁরা এগুলো সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে বলেছেন, এসব বাধা দূর না করা হলে বাংলাদেশ থেকে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা মুখ ফিরিয়ে নিতেই থাকবেন।


বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের বাধাসংক্রান্ত এই গবেষণা প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অরগানাইজেশন (জেট্রো), কেআরআই ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন, মিৎসুবিশি ইউএফজে রিসার্চ অ্যান্ড কনসালটিং এবং মুড়ি হামাদা অ্যান্ড মাৎসুমুটু। 

বাংলাদেশে থাকা জাপানি বিনিয়োগকারী এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী বিদেশি উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে এ প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে তারা। জাপানের ট্রেড পলিসি ব্যুরোর দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়াবিষয়ক পরিচালক মিকিও এওকি ও জেট্রোর নয়াদিল্লি কার্যালয়ের ডিরেক্টর অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি রিসার্চার ইচিরো অ্যাবে গতকাল মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদের কাছে এ গবেষণা প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। এ সময় বাণিজ্যসচিবকে তাঁরা জানিয়েছেন, আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক জটিলতা এবং বিজিএমইএর মৌখিক আপত্তির কারণে পোশাক খাতসহ অন্যান্য অনেক খাতে বিনিয়োগ করতে আসা জাপানি ব্যবসায়ীরা ফিরে গেছেন। বাংলাদেশে গাড়ি প্রস্তুতকারী শিল্প প্রতিষ্ঠার আগ্রহের কথাও জানান তাঁরা।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা বাধাগুলো হলো- 
১. শিল্প ও সেবাখাতে বিদেশি বিনিয়োগের আইন-কানুন ও অবস্থা সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য না থাকা। 
২. ইউডি না দেওয়ার মাধ্যমে বিজিএমইএ দ্বারা পোশাক খাতে বিনিয়োগে পরোক্ষ নিষেধাজ্ঞা আরোপ।
৩. কেন্দ্রীয়ভাবে সংশ্লিষ্ট আইন-কানুন ও বিধি-বিধান ইংরেজিতে রূপান্তর না করা। 
৪. বিনিয়োগ বোর্ড শক্তিশালী করে ওয়ান স্টপ সার্ভিস ব্যবস্থা না থাকা। 
৫. জমির ধরন ও মালিকানা নির্ণয়ে জটিলতা। 
৬. বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন পেতে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর জটিলতা। 
৭. স্থানীয় বাজারে পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে রাজস্ব বোর্ডে ‘বিক্রয় মূল্য’র নিবন্ধন জটিলতা। 
৮. চলতি মূলধন জোগাতে বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা। 
৯. বৈদেশিক মুদ্রায় অ-বাণিজ্যিক রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে বাধা। 
১০. বন্ডেড ওয়্যারহাউস ব্যবস্থায় স্থানীয় বাজারে পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা না থাকা। 
১১. বাজার মূল্যের সঙ্গে তুলনা করে শুল্কারোপ করা, যা প্রকৃত মূল্যের চেয়ে বেশি। 
১২. স্থানীয় জনবল নিয়োগের বাধ্যবাধকতা এবং 
১৩. পিপিপি আইন কার্যকর না হওয়া।"




নাগরিক শক্তির অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে আরও 

No comments:

Post a Comment