আমাদের তরুণ প্রজন্মের দৃষ্টিভঙ্গিতে একইসাথে আধুনিকতা এবং আপন শেকড়, ঐতিহ্যকে ধারণ করা - এই দুইয়ের প্রশংসনীয় সংমিশ্রণ লক্ষ্য করার মত।
ওরা আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে। চলাফেরা, দৃষ্টিভঙ্গিতে ওরা আধুনিক। আধুনিক জ্ঞান - বিজ্ঞানে ওদের দখল।
একইসাথে ওরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হৃদয়ের গভীরে ধারণ করে। প্রাণের টানে শাহবাগে ছুটে যায়। ক্রিকেটে ম্যাচ জেতার পর ওরা লাল-সবুজ পতাকা হাতে বেড়িয়ে পড়ে।
শুধুমাত্র তরুণ ভলান্টিয়ারদের মাধ্যমেই সারা দেশে গণিত উৎসবের মত তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা ঘটে। রানা প্লাজা ধ্বসে ক্ষতিগ্রস্থদের দিকে ওরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। নির্বাচনোত্তর হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ সনাতনী সম্প্রদায়ের পাশে গিয়ে দাঁড়ায়। দলবেঁধে কাজ করাতেই ওদের আনন্দ।
আমাদের সমাজে একটা কথা প্রচলিত আছে যে, আমাদের কারও কারও মাঝে নাকি ভারত প্রীতি দেখা যায়। আবার কারও কারও মাঝে পাকিস্তান প্রীতি দেখা যায়।
তাই তরুণ প্রজন্মের কেউ কেউ ভাবে, ভারত - পাকিস্তানকে যে যত ঘৃণা করতে পারবে সে তত খাঁটি দেশপ্রেমিক!
কিন্তু একটা দেশের সব মানুষকে ঘৃণা করার ব্যাপারটা আসলে হাস্যকর!
আমাদের নেতাদের অনেকে তো আমাদের সাথে অন্যায় করেন। আমাদের কোন নেত্রী যদি পার্শ্ববর্তী কোন দেশের উপর অন্যায় করেন, আর তাতে যদি সেই দেশের মানুষরা আমাদের সবাইকে ঘৃণা করা শুরু করে, আমাদের দেশের যাদের আমরা সম্মান করি তাদেরও - ব্যাপারটা নিশ্চয় ঠিক হবে না।
ভারত পাকিস্তান বা পৃথিবীর কোন দেশকে আমরা ঘৃণা করবো না। '৭১ এ যারা গণহত্যা চালিয়েছিলেন আমরা তাদের ঘৃণা করবো। সীমান্তে যারা আমাদের ভাই বোনদের হত্যা করেন, নির্যাতন চালান, আমরা তাদের ঘৃণা করবো।
আমরা ভারত পাকিস্তানের সাথে দেশ হিসেবে প্রতিযোগিতা করবো। প্রতিটা ক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব তাদের ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবো। '৭১ এ যারা মানবতাবিরধী অপরাধ চালিয়েছিলেন আমরা তাদের বিচার নিশ্চিত করবো। পৃথিবীর কোন দেশ আমাদের উপর অন্যায় করলে আমরা দৃঢ়তার সাথে প্রতিবাদ করবো।
দেশের জন্য কাজ করার মাধ্যমে আমরা আমাদের দেশপ্রেমের বহিঃপ্রকাশ ঘটাবো।
আমাদের নতুন প্রজন্মের তরুণরা যুক্তরাষ্ট্র - ইউরোপের তরুণ, শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, ইঞ্জিনিয়ার, অর্থনীতিবিদদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে নিজেদের অনেক অনেক উপরে নিয়ে যাবেন।
আর এরাই তো গড়ে তুলবে আমাদের আরাধ্যের স্বপ্নের বাংলাদেশ।
আজকের পত্রিকার সংবাদ
আজকের পত্রিকার সংবাদে আমরা দেখেছি
"পাকিস্তানের জিও টেলিভিশনের নির্বাহী সম্পাদক ও জনপ্রিয় উপস্থাপক হামিদ মীর অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে আহত হয়েছেন।
১৯৭১ সালে ২৫ মার্চের রাতের গণহত্যার ভয়াবহতা সচক্ষে দেখতে একদল শিক্ষার্থী নিয়ে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে ছুটে আসেন প্রয়াত অধ্যাপক ও সাংবাদিক ওয়ারিস মীর। নির্মমতার চিত্র দেখে ক্ষুব্ধ সাংবাদিক ওয়ারিস তা নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেন দৈনিক জং পত্রিকায়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে ভূমিকা রাখার জন্য ওয়ারিসকে সম্প্রতি সম্মাননা জানায় বাংলাদেশ সরকার। সেই ওয়ারিস মীরেরই সন্তান হামিদ মীর।"
- হামিদ মীর গুলিবিদ্ধ
ওরা আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে। চলাফেরা, দৃষ্টিভঙ্গিতে ওরা আধুনিক। আধুনিক জ্ঞান - বিজ্ঞানে ওদের দখল।
একইসাথে ওরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হৃদয়ের গভীরে ধারণ করে। প্রাণের টানে শাহবাগে ছুটে যায়। ক্রিকেটে ম্যাচ জেতার পর ওরা লাল-সবুজ পতাকা হাতে বেড়িয়ে পড়ে।
শুধুমাত্র তরুণ ভলান্টিয়ারদের মাধ্যমেই সারা দেশে গণিত উৎসবের মত তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা ঘটে। রানা প্লাজা ধ্বসে ক্ষতিগ্রস্থদের দিকে ওরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। নির্বাচনোত্তর হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ সনাতনী সম্প্রদায়ের পাশে গিয়ে দাঁড়ায়। দলবেঁধে কাজ করাতেই ওদের আনন্দ।
আমাদের সমাজে একটা কথা প্রচলিত আছে যে, আমাদের কারও কারও মাঝে নাকি ভারত প্রীতি দেখা যায়। আবার কারও কারও মাঝে পাকিস্তান প্রীতি দেখা যায়।
তাই তরুণ প্রজন্মের কেউ কেউ ভাবে, ভারত - পাকিস্তানকে যে যত ঘৃণা করতে পারবে সে তত খাঁটি দেশপ্রেমিক!
কিন্তু একটা দেশের সব মানুষকে ঘৃণা করার ব্যাপারটা আসলে হাস্যকর!
আমাদের নেতাদের অনেকে তো আমাদের সাথে অন্যায় করেন। আমাদের কোন নেত্রী যদি পার্শ্ববর্তী কোন দেশের উপর অন্যায় করেন, আর তাতে যদি সেই দেশের মানুষরা আমাদের সবাইকে ঘৃণা করা শুরু করে, আমাদের দেশের যাদের আমরা সম্মান করি তাদেরও - ব্যাপারটা নিশ্চয় ঠিক হবে না।
ভারত পাকিস্তান বা পৃথিবীর কোন দেশকে আমরা ঘৃণা করবো না। '৭১ এ যারা গণহত্যা চালিয়েছিলেন আমরা তাদের ঘৃণা করবো। সীমান্তে যারা আমাদের ভাই বোনদের হত্যা করেন, নির্যাতন চালান, আমরা তাদের ঘৃণা করবো।
আমরা ভারত পাকিস্তানের সাথে দেশ হিসেবে প্রতিযোগিতা করবো। প্রতিটা ক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব তাদের ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবো। '৭১ এ যারা মানবতাবিরধী অপরাধ চালিয়েছিলেন আমরা তাদের বিচার নিশ্চিত করবো। পৃথিবীর কোন দেশ আমাদের উপর অন্যায় করলে আমরা দৃঢ়তার সাথে প্রতিবাদ করবো।
দেশের জন্য কাজ করার মাধ্যমে আমরা আমাদের দেশপ্রেমের বহিঃপ্রকাশ ঘটাবো।
আমাদের নতুন প্রজন্মের তরুণরা যুক্তরাষ্ট্র - ইউরোপের তরুণ, শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, ইঞ্জিনিয়ার, অর্থনীতিবিদদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে নিজেদের অনেক অনেক উপরে নিয়ে যাবেন।
আর এরাই তো গড়ে তুলবে আমাদের আরাধ্যের স্বপ্নের বাংলাদেশ।
আজকের পত্রিকার সংবাদ
আজকের পত্রিকার সংবাদে আমরা দেখেছি
"পাকিস্তানের জিও টেলিভিশনের নির্বাহী সম্পাদক ও জনপ্রিয় উপস্থাপক হামিদ মীর অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে আহত হয়েছেন।
১৯৭১ সালে ২৫ মার্চের রাতের গণহত্যার ভয়াবহতা সচক্ষে দেখতে একদল শিক্ষার্থী নিয়ে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে ছুটে আসেন প্রয়াত অধ্যাপক ও সাংবাদিক ওয়ারিস মীর। নির্মমতার চিত্র দেখে ক্ষুব্ধ সাংবাদিক ওয়ারিস তা নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেন দৈনিক জং পত্রিকায়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে ভূমিকা রাখার জন্য ওয়ারিসকে সম্প্রতি সম্মাননা জানায় বাংলাদেশ সরকার। সেই ওয়ারিস মীরেরই সন্তান হামিদ মীর।"
- হামিদ মীর গুলিবিদ্ধ
No comments:
Post a Comment