Saturday, December 21, 2013

প্রিন্সেসকে লেখা চিঠি - ১


পড়াশোনা কর।

ডিজাইন নিয়ে ভাবতে ইচ্ছা করলে ভাব, আঁকতেও পারো।

Fresh eyes দিয়ে সবকিছু দেখো। ধর, একটা টেবল দেখছ। সবাই যে চোখে টেবল টাকে দেখে সেভাবে দেখলে তুমি নিজে টেবল ডিজাইন করবে কিভাবে? বরং একটা বাচ্চা যে চোখ দিয়ে টেবল টাকে দেখে, বা ধর তুমি মঙ্গল গ্রহে গেছ - সেখানকার একটা অদ্ভুত টেবল যে দৃষ্টি দিয়ে দেখবে সেই দৃষ্টিতে দেখো।

ওয়াও! কেমন অদ্ভুত একটা জিনিস! চারটা পায়ের উপর দাঁড়িয়ে। ওভাল সাইজের। সবাই মিলে এটার উপর খায়? ওভাল না হয়ে রেকটেঙ্গুলার হলে কেমন হত? আরেকটু ছোট হলে? রঙটা কেমন যেন! আরেকটু বাদামি হলে… হুম, দারুন হত।


একটা exercise দেই। একটা E-Book 2.0 ডিজাইন করতে পারবে? স্পেসিফিকেইশান বলে দেই। ফাঙ্কশানালিটি হবে E-Book Reader, Tablet এর মত, কিন্তু বই পড়তে যে সুবিধাগুলো পাওয়া যায় - যেমন ধর কয়েকটা পাতা একসাথে খোলা রাখা, দ্রুত এক পাতা থেকে আরেক পাতায় যাওয়ার সুবিধা, ওজনে হালকা, তারপর ধর কোন পাতায় চাইলে কিছু নোট করে, মার্ক করে রাখা যাবে - ওগুলো থাকতে হবে। চিন্তা করার সময় কোন constraint রেখো না - নতুন কি আনা যায় ভাবো। যেমন ধর, iPhone multi-touch screen introduce করেছে। User Interface এ নতুন আর কি থাকতে পারে ভাবো।
ট্রাই করে দেখো। ডিজাইনের কিন্তু কোন শেষ নাই। একটা ডিজাইন দাঁড় করাও, তারপর ওটাকে আরও ভাল কর, আবার কিছু যোগ কিছু বাদ - এভাবে।




তোমরা ডিজাইনাররা Multi-touch screen ডিজাইন করে বাচ্চাদের কি শিখিয়েছ দেখো! বাচ্চারা ম্যাগাজিনকেও touch screen ভাবছে!




ওয়েব পেইজ ডিজাইনও ট্রাই করতে পারো। ফটোশপ দিয়ে ডিজাইন কর - ভাল লাগে কিনা দেখো। দেখতে ভাল লাগে - এমন সাইটগুলো কেন দেখতে ভাল লাগছে বোঝার চেষ্টা কর।

সবকিছু নিয়ে ভাব। সবকিছু ভালভাবে বোঝার চেষ্টা কর। কম্পিউটার কিভাবে কাজ করে, ব্যাংক কিভাবে কাজ করে, একটা বাড়ি কোন কোন অংশের জন্য সুন্দর লাগছে - কোন কোন অংশ পাল্টে ফেলে আরও সুন্দর করা যায়।

পড়াশোনা, চিন্তা ভাবনার জন্য আমি কিছু Power Tools ব্যবহার করি। তোমাকে শিখিয়ে দেবো। তোমার মাঝে কত Potential লুকিয়ে ছিল - কখনও খেয়াল করনি - অবাক হয়ে দেখবে। Undergrad বেশি বেশি course নিয়ে তাড়াতাড়ি শেষ করে ফেলতে পারবে!

জীবনের সমস্যাগুলো নিয়ে ভেবে মন খারাপ না করে তোমার কি কি আছে - তা নিয়ে ভাব।

আমরা সবাই happy, satisfied, fulfilled হতে চাই। আসলে আমাদের প্রত্যেকের জীবনের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত - নিজে হ্যাপি হওয়া, আর যতগুলো মানুষকে পারা যায় হ্যাপি করা। আমরা মনে করি, অনেক টাকা রোজগার, চাকরিতে ওই পদ, পছন্দ হওয়া ডায়মন্ড সেট কিংবা ওই পুরষ্কারটাই জীবনের লক্ষ্য হওয়া উচিত। কিন্তু আসলে এগুলো লক্ষ্য না। লক্ষ্য হল - এগুলো অর্জনের মাধ্যমে হ্যাপি হওয়া। পুরষ্কার কিংবা পদ happy, satisfied, fulfilled হওয়ার tools, মূল লক্ষ্য না। মূল লক্ষ্য - happiness, satisfaction, fulfillment

কাজেই যেসব ব্যাপার ভাবলে মন খারাপ হয়, ওগুলো ভেবে মন খারাপ করা মানে নিজে নিজে ইচ্ছা করে জীবনে হেরে যাওয়া। গড তোমাকে যে ব্লেসিংসগুলো দিয়েছেন ওগুলো নিয়ে ভাব - কত ভাল লাগবে!

বড় কোন স্বপ্নকে লক্ষ্য হিসেবে নিয়ে তাতে নিজেকে উজাড় করে দাও - জীবনটা অনেক বেশি অর্থপূর্ণ মনে হবে। স্বপ্নের পথে একটু একটু করে এগোনোকে happy হওয়ার tool হিসেবে ব্যবহার কর।

Happiness এর আরেকটা Secret হল Happiness relative। ধর, একটা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছ - সামান্য একটু স্বস্তি এলে কি যে ভাল লাগবে! আবার ধর প্রতিটা দিনই অনেক মজার। তখন এত মজার মাঝেও bored feel করবে। অনেক অনেক বেশি exciting কিছু না হলে ভাল লাগবে না! এমন সময়ে happy হওয়ার উপায় হল - কঠিন সময়গুলোর কথা ভাবা, কাছের মানুষ যাদের জীবন তুলনামূলকভাবে সাধারণ তাদের কথা ভাবা। Happiness feel করে তারপর সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ভুলো না!

সবচেয়ে বড় যে সত্যটা বলতে চাইছি তা হল - আমাদের "পারিপার্শ্বিক" আমাদের যতটা না happy বা unhappy করে, তার চেয়ে বেশি করে আমরা "পারিপার্শ্বিক দেখে মনে মনে কি ভাবলাম"।

এই ব্যাপারগুলো তুমি নিজের জীবনেও অ্যাপলাই কর, কাছের মানুষদেরও শেখাতে পারো।
 

তুমি প্রিন্সেস - তোমাকে রোল মডেল হতে হবে - এটা সবসময় মাথায় রেখো।

No comments:

Post a Comment