Monday, December 16, 2013

মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে সহিংসতা

প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের বিধান ইসলাম এ আছে। প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করা না হলে সমাজে বিশৃঙ্খলা - নৈতিক অবক্ষয় দেখা দেয়। অপরাধীরা মনে করে অপরাধ করেও আইনের উরধে থাকা যাবে। মানবতাবিরধী অপরাধীদের বিচার না হলে দেশে আবার মানবতাবিরধী অপরাধ ঘটতে পারে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সব অপরাধীকেই বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

ইসলাম শব্দটি এসেছে “সালাম” থেকে; সালাম অর্থ “শান্তি”। 
ইসলাম শান্তির ধর্ম। বিনা বিচারে সহিংসতা, বিনা অপরাধে কারও উপর আক্রমণ ইসলাম সমর্থন করে না। আর বিনা কারণে মানুষ হত্যা কত বড় পাপ। (৭১ এ যারা খুন, নারীদের সম্ভ্রমহানি করেছে বা করতে সহায়তা করেছে তাদের রক্ষার জন্য ২০১৩ তে আরও খুন? এরাই নিরপরাধ বেক্তিকে খুন করার লক্ষ্যে প্রচেষ্টা চালিয়েছিল অন্যের ভিত্তিহীন উদ্দেশ্য প্রণোদিত গুজবে প্ররোচিত হয়ে - এমন অভিজ্ঞতা রয়েছে। কোন রকম বিবেক বিবেচনার ধার না ধেরে মানুষ হত্যা - এটা কিরকম বর্বরতা।) ইসলাম রক্ষার নামে সহিংসতায় উৎসাহিত করা কাউকে জেনে বুঝে বিপথে পরিচালিত করার নামান্তর মাত্র। 

হজরত মুহম্মদ (স) আমাদের শিখিয়েছেন “দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ।” নিজের দেশের সম্পদ ধ্বংস করে কি আমরা ঈমান থেকে দূরে সরে যাচ্ছি না?

দেশবাসির প্রতি অনুরোধ, সবাই যে যার অবস্থানে থেকে দেশের যুব সমাজকে বিপথে নিয়ে যাওয়ার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবেন। শান্তির পথে, কল্যাণের পথে ফিরিয়ে আনবেন।

আমরা প্রত্যাশা করি, আমাদের যুব সমাজ ভাল-মন্দের পথ নির্ধারণে অন্যের কথায় অন্ধভাবে পরিচালিত না হয়ে নিজেদের বিচার-বুদ্ধি কাজে লাগাবেন।

আর যারা এই আহ্বানে কর্ণপাত না করে সহিংসতা, মানুষ হত্যা অব্যাহত রাখবেন, তাদের নিরপেক্ষ তদন্ত এবং উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

No comments:

Post a Comment