(নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের পর পর লেখা)
বর্তমান নতুন মন্ত্রিসভার সরকারকে “সর্বদলীয়”, “অন্তর্বর্তীকালীন”, “বহুদলীয়”, “মহাজোটিয়” ইত্যাদি কোন বিশেষণে বিশেষায়িত করা যায় তা নিয়ে ভেবে সময় নষ্ট না করে আমরা সাধারণ জনগণ সরকারের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করব এবং আমাদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরব।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ডঃ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ নভেম্বর ২০, ২০১৩ তে প্রথম আলোতে লিখিত কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন বর্তমান সরকারকে - “চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনা, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ সরকার পরিচালিত অন্যান্য গণমাধ্যমকে দলীয় প্রভাবমুক্ত করে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির কাজে ব্যবহার করা, দলীয়ভাবে চিহ্নিত কর্মকর্তারা জনপ্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকলে তাঁদের অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া, স্থানীয় পর্যায়ের প্রশাসনে কিছু রদবদলের মাধ্যমে নিরপেক্ষ নির্বাচন-প্রক্রিয়ার সপক্ষে একটি স্পষ্ট বার্তা পৌঁছে দেওয়া, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে দলনিরপেক্ষভাবে কাজ করার লক্ষ্যে কার্যকর প্রকাশ্য নির্দেশনা প্রদান এবং সর্বোপরি প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশনকে আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে পুনর্গঠিত করা।” এসব নিশ্চিত করা বিরোধী দলের মত আমলে না নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাবস্থা বাতিল করা বর্তমান সরকারের দায়িত্ব। বার্থ হলে বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন কেন সম্ভব নয় আমরা জনগণের সামনে তুলে ধরব - এ ব্যাপারে মাঠ পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
বর্তমান নতুন মন্ত্রিসভার সরকারকে “সর্বদলীয়”, “অন্তর্বর্তীকালীন”, “বহুদলীয়”, “মহাজোটিয়” ইত্যাদি কোন বিশেষণে বিশেষায়িত করা যায় তা নিয়ে ভেবে সময় নষ্ট না করে আমরা সাধারণ জনগণ সরকারের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করব এবং আমাদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরব।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ডঃ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ নভেম্বর ২০, ২০১৩ তে প্রথম আলোতে লিখিত কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন বর্তমান সরকারকে - “চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনা, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ সরকার পরিচালিত অন্যান্য গণমাধ্যমকে দলীয় প্রভাবমুক্ত করে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির কাজে ব্যবহার করা, দলীয়ভাবে চিহ্নিত কর্মকর্তারা জনপ্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকলে তাঁদের অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া, স্থানীয় পর্যায়ের প্রশাসনে কিছু রদবদলের মাধ্যমে নিরপেক্ষ নির্বাচন-প্রক্রিয়ার সপক্ষে একটি স্পষ্ট বার্তা পৌঁছে দেওয়া, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে দলনিরপেক্ষভাবে কাজ করার লক্ষ্যে কার্যকর প্রকাশ্য নির্দেশনা প্রদান এবং সর্বোপরি প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশনকে আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে পুনর্গঠিত করা।” এসব নিশ্চিত করা বিরোধী দলের মত আমলে না নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাবস্থা বাতিল করা বর্তমান সরকারের দায়িত্ব। বার্থ হলে বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন কেন সম্ভব নয় আমরা জনগণের সামনে তুলে ধরব - এ ব্যাপারে মাঠ পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
বর্তমান সরকার যদি সরকারি সুবিধা ব্যবহার করে, লোকদেখানো ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে এবং সরকারি অর্থ ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচারণা চালানো অব্যাহত রাখে তবে “লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড” সৃষ্টি করে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি প্রহসনের ব্যাপারে পরিণত হবে। বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না, ২০ ভাগ ভোটও সুষ্ঠুভাবে পড়বে কিনা তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ আছে (অনেকগুলো আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন), বিদেশি নির্বাচনী পর্যবেক্ষকরা পর্যবেক্ষণের জন্য থাকবেন না - জনগণের অর্থে বিপুল বায়বহুল এমন একটি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিরুদ্ধে জনগণ অহিংস অসহযোগ আন্দোলন গড়ে তুলবে। জনগণ নিজেদের ভোটের অধিকার রক্ষায়, স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে আমাদের পাশে থাকবে।
No comments:
Post a Comment