Saturday, December 6, 2014

নাগরিক ঐক্যের আলোচনা সভা - সমাবেশ - উদ্যোগ [06.12.14]

তরুণ প্রজন্ম

জ্ঞানের আলোয় উন্নত বাংলাদেশ : মেধাভিত্তিক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মেধার উৎকর্ষ সাধন

 
 
"টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা এসিএম আন্তর্জাতিক কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার (আইসিপিসি) ঢাকা পর্বে চ্যাম্পিয়ন হলো শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)। বিশ্ববিদ্যালয়টির ‘ডাউন টু দ্য ওয়্যার’ দল প্রতিযোগিতায় ১০টি প্রোগ্রামিং সমস্যার মধ্যে সাতটির সমাধান করে। এ দলের সদস্যরা হলেন: ধনঞ্জয় বিশ্বাস, আবদুল্লাহ আল মারুফ ও সাকিবুল মাওলা।
 
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে মনে হয়েছে প্রযুক্তি সব জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন। আমরা এগিয়ে যাব যদি হাতের মুঠোয় কম্পিউটার থাকে।’
অনুষ্ঠানে এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের বিচারক দল এবং প্রশ্নকর্তা (প্রবলেম সেটার) দল খুবই নির্ভুল ও দক্ষতার সঙ্গে প্রোগ্রামিং সমস্যা তৈরি করেছে।’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মাদ কায়কোবাদ, বিইউবিটির উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আবু সালেহসহ অনেকে।
প্রতিযোগিতায় ১০টি সমস্যার মধ্যে ছয়টি করে সমস্যার সমাধান করে প্রথম ও দ্বিতীয় রানার্সআপ হয়েছে থাইল্যান্ডের এনটিইউর ‘থ্রিই৮এনএম’ দলশাবিপ্রবির ‘আত্মপ্রত্যয়ী ভার্সন টু’ দল।"
 

"এই প্রতিযোগিতায় যানজট, প্রশ্নপত্র ফাঁস, সড়ক দুর্ঘটনা, যৌন হয়রানি, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি, নৌ-দুর্ঘটনা, স্বাস্থ্যব্যবস্থার আচরণগত পরিবর্তন এবং অ-সংক্রামক রোগ বৃদ্ধি, এসব সমস্যা দেওয়া হয়েছে। এগুলোর সমাধান দিতে হবে মোবাইল অ্যাপ তৈরি করে।
জাতীয় হ্যাকাথনে ২৮৮টি দলে ১৬৭৫ জন প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন। আজ বিকেলে অ্যাপের চূড়ান্ত প্রদর্শনী ও বিজয়ী ১০ দলের নাম ঘোষণা করা হবে। আইসিটি বিভাগ আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় কারিগরি সহায়তা করছে এমসিসি লিমিটেড।"
"কম্পিউটার বিজ্ঞান শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে বিশ্বব্যাপী আয়োজিত শিক্ষার্থীদের জন্য কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শেখানোর আয়োজন ‘আওয়ার অব কোড’ আগামীকাল থেকে বাংলাদেশে পালন করা হচ্ছে।" 

Business & Economy

"তৈরি পোশাক রপ্তানিতে দীর্ঘদিন ধরেই শীর্ষ অবস্থানে আছে চীন। দেশটির শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতা ১০০ ধরা হলে ভারতে ৯২, পাকিস্তানে ৮৮, বাংলাদেশে ৭৭ ও কম্বোডিয়ায় ৬৮ শতাংশ।  
বিষয়টি ব্যাখ্যা করলে দাঁড়ায়, চীনের একজন পোশাকশ্রমিক নির্দিষ্ট সময়ে ১০০ ডলার পণ্য উৎপাদন করলে সেই একই সময়ে বাংলাদেশের শ্রমিক করেন ৭৭ ডলারের। ম্যাককেনজির প্রতিবেদনে শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়।
দেরিতে হলেও পোশাকশ্রমিকদের দক্ষতা বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছে পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সঙ্গে বিজিএমইএ যৌথভাবে একটি প্রকল্প নিয়েছে। এর অধীনে সেন্টার অব এক্সিলেন্স ফর বাংলাদেশ অ্যাপারেল ইন্ডাস্ট্রি (সিইবিএআই) গঠন করা হয়েছে। এ কেন্দ্রের মাধ্যমে শ্রমিকদের দক্ষতার উন্নতির প্রশিক্ষণের পাশাপাশি পোশাকশিল্পের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ, পূর্বাভাস ও নীতিনির্ধারণ বিষয় নিয়ে গবেষণা হবে।
জানা যায়, সেন্টার স্থাপনের জন্য ইতিমধ্যে আশুলিয়ায় ছয় হাজার ৯০০ বর্গফুটের একটি ফ্লোর ভাড়া নেওয়া হয়েছে। আগামী জানুয়ারি থেকে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হবে।"
 

No comments:

Post a Comment