Friday, January 17, 2014

নাগরিক শক্তির পক্ষে গনজোয়ার

নাগরিক শক্তির শক্তিঃ
  1. মুক্তিযোদ্ধা সমাজ 
  2. নাগরিক সমাজ
  3. ব্যবসায়ি সমাজ
  4. তরুণ প্রজন্ম
  5. গ্রামীণ নারী
  6. মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট, আলেমসমাজ
  7. ক্ষুদ্র ও মাঝারী ব্যবসায়ী 
  8. পাহাড়ি জনগোষ্ঠী
  9. কৃষক সমাজ
  10. রাজনৈতিক দল, নেতাকর্মীরা
  11. ঘোষণা দেওয়ার পর আমাদের “স্টার-প্যাকড” নেতৃত্ব

আমাদের অত্যন্ত শক্তিশালী তিনটি নেটওয়ার্ক আছে - তিনটি নেটওয়ার্কের প্রতিটির আওতায় মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ আছেন।

আরও দুটি ডেমগ্রাফিক আছে - প্রত্যেকটি কয়েক মিলিয়ন মানুষের।



গ্রামীণ নারী - ৫০ লক্ষ +

মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট, আলেমসমাজ - ৩০ লক্ষ +

গার্মেন্টস কর্মী - ৪০ লক্ষ

শেয়ারবাজারে ক্ষতিগ্রস্থ বিনিয়োগকারী - ৩০ লক্ষ +

তরুণ ভোটার - (১৮ - ৩৫ বছর) - মোট ভোটারের ৪৫%, অর্থাৎ ৯ কোটি + ভোটারের মধ্যে প্রায় ৪ কোটি+।
এদের overwhelming majority নাগরিক শক্তির সাথে থাকবে।

ফেইসবুক ব্যবহারকারি - আনুমানিক ৫০ লক্ষ - এই সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এদের overwhelming majority নাগরিক শক্তির সাথে থাকবে।

নারী ভোটার - ৪ কোটি ৫০ লক্ষ +।
মেডিক্যাল কলেজগুলোতে আনুমানিক ৬০ ভাগ ছাত্রী। গ্রামীণ ব্যাংক - ৮৪ লক্ষ গ্রাহক, ৯৭% নারী। গার্মেন্টস - ৪০ লক্ষ কর্মীর মধ্যে প্রায় ৮৫% নারী কর্মী।

আমাদের এলাকা ভিত্তিক ভোটার হিসাবে যেতে হবে।


নাগরিক শক্তির পরবর্তী লক্ষ্য

কৃষক সমাজ
আমাদের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে এদের সংগঠিত করা হবে।
(প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।)

ভিন্ন ধর্মাবলম্বী, জাতিগোষ্ঠী (প্রায় ৮০ লক্ষ ভোটার)
বিএনপি-জামায়াত জোট সুযোগ পেলে ঝাপিয়ে পড়বে। আওয়ামী লীগের পক্ষে নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব না। একমাত্র নাগরিক শক্তির পক্ষে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব। নাগরিক শক্তি ক্ষমতায় গিয়ে ২০০১ নির্বাচন উত্তর সংখ্যালঘু নির্যাতন, রামু, পটিয়া, অন্যান্য হামলা এবং সাম্প্রতিক নির্বাচনকালীন হামলাগুলোর সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে বাংলাদেশে চিরদিনের জন্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠিত করবে। এখন জনগণকে সংগঠিত করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে ভিন্ন ধর্মাবলম্বী, জাতিগোষ্ঠীর মন জয় করতে হবে।
(প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।)

প্রবাসে কর্মরতদের পরিবার।
প্রবাসে প্রায় ১ কোটি কর্মী কর্মরত আছেন। তাদের পাঠানো ফরেইন রেমিটেন্সের অর্থ আমাদের অর্থনীতিতে একটা নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তারা একটা নতুন ডেমগ্রাফি গড়ে তুলছে। তাদের কারও কারও পরিবারের একটা অংশ গ্রামে থাকলেও ছেলেমেয়েরা শহরে পড়াশোনা, কাজ করছে। এই ডেমগ্রাফির আশা আকাঙ্ক্ষা স্বপ্ন বোঝার চেষ্টা করতে হবে। প্রবাসে কর্মরতদের বিভিন্ন সমস্যা যেমন উন্নত কাজের পরিবেশ, থাকার পরিবেশ এবং সর্বোপরি স্বাস্থ্য সুবিধা নিশ্চিত করতে ক্ষমতায় গিয়ে বাংলাদেশ এম্বেসিগুলোর ভূমিকা বাড়ানো হবে এবং এখন সবাইকে সাথে নিয়ে সরকারকে যথাযথ উদ্যোগ নিতে চাপ দেওয়া হবে। এক একটি দেশে কর্মরতদের পরিবারদের নিয়ে এক একটি সংগঠন গড়ে তোলা যায়। এভাবে শুরু করতে পারলে যারা সংগঠনে আছেন তারাই নিজেদের শক্তিশালী করতে, অধিকার দাবি দাওয়া আদায় করতে অন্যদের অন্তর্ভুক্ত করবেন।
(প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।)


এরা সবাই যখন পরিবার, পরিচিতদের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়বে!

সাথে যোগ দেবেন প্রাজ্ঞ রাজনীতিবিদরা।

আমাদের “স্টার-প্যাকড” নেতৃত্বের পাশে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো!

সবার উপরে আমাদের ভিশন এবং জনগণের পাশে থেকে জনগণের জন্য উন্নয়নের রাজনীতি করার অভিপ্রায়। আর মেধা - নেটওয়ার্ক এবং উন্নত ইলেকশান ক্যাম্পেইন স্ট্রাটেজি

মানুষ সমাজসেবকদের ভোট দেবেন নাকি সন্ত্রাসীদের গডফাদার, দুর্নীতিবাজদের ভোট দেবেন?

সন্ত্রাসীদের গডফাদাররা, দুর্নীতিবাজরা কালো টাকা, পেশি শক্তি ব্যবহার করতে না পারলে (নির্বাচনী আচরণবিধি সঠিকভাবে প্রয়োগ হলে) তাদের কে ভোট দেবে? অভিজ্ঞতা থেকে জানি, এসব নির্যাতনকারী, খুনি সন্ত্রাসীদের গডফাদারদের বিরুদ্ধে মানুষের চরম ক্ষোভ - কাউকে পেলে ছাড়বেন না - প্রাণের ভয়ে চুপ করে থাকেন।

আর আওয়ামী বাংলাদেশ - জাতীয়তাবাদী বাংলাদেশের নামে দেশ বিভক্তি নয় - এবার নাগরিক শক্তির নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ।

গণজোয়ার উঠবে!

আগামী নির্বাচনে নাগরিক শক্তির লক্ষ্য মোট প্রদত্ত ভোটের ৭০%+ ভোট নিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার।







কয়েকমাস আগের সার্ভেইতে AL - ৩৪% এবং BNP - ৪৮%।

শেয়ার বাজার ধ্বস (কারসাজির মাধ্যমে ৩০ লক্ষাধিক বিনিয়োগকারির সর্বস্ব কেড়ে নেওয়া), গ্রামীণ ব্যাংকে অন্যায় হস্তক্ষেপ (৮৪ লক্ষ গ্রাহকের ব্যাংককে ভেঙে ১৯ টুকরা করার প্রচেষ্টা; এমন একটি ব্যাংক যেটি শুধুমাত্র দারিদ্র্য দূর করেনি, ব্যাংকের মালিকানায় গ্রাহকদের অংশও দিয়েছে), দুর্নীতি (হলমার্ক, পদ্মা সেতু ইত্যাদি), সন্ত্রাসী কার্যকলাপ (ত্বকী হত্যা, সাগর-রুনি হত্যা), চাঁদাবাজি (ছাত্র লীগ, যুব লীগ, পরিবহণক্ষেত্র ইত্যাদি), মাদক ব্যবসা করে দেশের তরুণ সমাজকে বিপথে নেওয়া, আস্তিক-নাস্তিক প্রচার - এসব কারণে AL এর এই দশা। ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত সিটি করপরেশান নির্বাচনগুলোতে আমরা এর প্রতিফলন দেখেছিলাম। গত কয়েক মাসে সমর্থন আরও বেশ খানিকটা কমেছে।

BNP কি মহান কিছু করেছে? আমরা উত্তরটা জানি। AL এর দুঃশাসনে অতিষ্ঠ জনগণ পরিবর্তন চায়। আস্তিক - নাস্তিক প্রচারও পক্ষে গেছে, যদিও ২০০১-২০০৬ তে আমরা এদেরকে দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত দেখেছিলাম।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে নির্বিচারে মানুষ খুন, অবরোধ-হরতালের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস জনগণ ভালভাবে নেইনি। BNP র সাংগঠনিক দুর্বলতা, নেতাকর্মীদের কমিটমেন্টের অভাব ফুটে উঠেছে।

BNP র কোন কালেই কোন আদর্শ ছিল না। ভোটের আগে ইসলামী চেতনার একটা মুখোশ ধারণ করে ক্ষমতায় গিয়ে দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়ে সেই চেতনা জলাঞ্জলি দিয়েছে। ইসলামী চেতনার মুখোশ নিয়ে সুযোগ পেলে জামায়াত ইসলামীর নেতৃত্বে সংখ্যালঘুদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ধ্বংস করেছে। আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর অসাম্প্রদায়িকতার আদর্শ যা ছিল এবার তা ভূলুণ্ঠিত করেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে স্বৈরাচারী চেতনাকে তারা গ্রহণ করেছে। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে তারা শুধু বার্থ হয়নি, বরং ভূমিদস্যুতাকে লক্ষ্য হিসেবে নিয়ে সর্বদলীয় সাম্প্রদায়িক হামলা চালিয়েছে।


দেশ এবং জনগণ এখন নাগরিক শক্তির নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার অপেক্ষায়।


আরও
নাগরিক শক্তির ইলেকশান ক্যাম্পেইন স্ট্রাটেজি

No comments:

Post a Comment