"রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের ইআরসি সেমিনার হলে ‘বিচারপতিদের অভিশংসন-ন্যায়বিচার-সুশাসন’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. কামাল হোসেন এ মন্তব্য করেন।
ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘যেভাবে এটা প্রয়োগ হয়েছে, সংসদকে ধ্বংস করছে। ষোড়শ সংশোধনী সুপারসনিক গতিতে কেন হবে? বিচার কীভাবে হবে, সে বিষয়ে তিন মাসের মধ্যে আইন করার কথা বলা হয়েছে। এর আগেই সংবিধান সংশোধন করা হলো। খসড়া আইন ও খসড়া সংশোধনী হতে পারত। এটা নিয়ে আলোচনা হতে পারত।’
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না অভিযোগ করে বলেন, ‘৫ জানুয়ারি নির্বাচন হয়নি, ভণ্ডামি হয়েছে, শঠতা হয়েছে। এই সরকার নির্বাচিত সরকার নয়। পুরো বিচারব্যবস্থা টিউটর করছে সরকার। অথচ সরকারই যেখানে আইনসম্মত নয়।’
বিচারপতি শিকদার মকবুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইকতেদার আহমেদ। এতে আরও বক্তব্য দেন সাবেক সাংসদ হুমায়ুন কবির, আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, আইনজীবী সিগমা হুদা, সাবেক সাংসদ আহসান হাবিব লিংকন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সুকমল বড়ুয়া প্রমুখ।"
ড.
কামাল হোসেনকে আহবায়ক করে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষায় আইনজীবীদের
সর্বদলীয় ঐক্য পরিষদ নামের একটি কমিটি ঘোষণা করেছেন দেশের বিশিষ্ট
আইনজীবীরা। - See more at:
http://www.priyo.com/2014/09/09/104869.html#sthash.STcRf81j.dpuf
"ড.
কামাল
হোসেনকে আহবায়ক করে বিচার
বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষায়
আইনজীবীদের সর্বদলীয় ঐক্য
পরিষদ নামের একটি কমিটি ঘোষণা
করেছেন দেশের বিশিষ্ট আইনজীবীরা।
এ
কমিটিতে সদস্য সচিব করা হয়েছে
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন
খোকনকে ও সহ সদস্য সচিব করা
হয়েছে গণতান্ত্রিক আইনজীবী
সমিতির সভাপতি সুব্রত চৌধুরীকে।
কমিটির যুগ্ম
আহবায়করা হচ্ছেন- ব্যারিস্টার
এম আমীর-উল ইসলাম,
ব্যারিস্টার মঈনুল
হোসেন, খন্দকার
মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার
রোকন উদ্দিন মাহমুদ, ড.
শাহদীন মালিক।"
"লতিফ সিদ্দিকী জেলে যাওয়ার মতো অপরাধ করেছেন এর আগে বহুবার। তিনি ৪৬টি
সরকারি প্রতিষ্ঠান বিনা দরপত্রে, কখনো একক সিদ্ধান্তে, এমনকি কখনো বিনা
মূল্যে তাঁর পছন্দনীয় ব্যক্তিদের কাছে হস্তান্তর করেছেন। তিনি নিজের হাতে
সরকারি কর্মকর্তাকে পিটিয়েছেন। ছাত্রলীগের কর্মীদের হরতালকারীদের বাড়িতে
ঢুকে তাঁদের হত্যা করার জন্য প্রকাশ্যে আহ্বান জানিয়েছেন। হাইকোর্টের
প্রতি চরম অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন। এর প্রতিটি বাংলাদেশের ফৌজদারি আইনে
দণ্ডনীয় অপরাধ। অথচ দেশের সরকার, আইন-আদালত তাঁর সম্পর্কে নীরব থেকেছেন।
লতিফ সিদ্দিকীর মন্তব্য নিয়ে দেশ-বিদেশে তোলপাড়ে ধামাচাপা পড়ে গেছে
সরকারের ঢালাও, আকস্মিক এবং উচ্চহারে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির উদ্যোগের সংবাদ।"
আমাদের
দেশের মন্ত্রী সাংসদরা আরও নানা অপকর্মের সাথে আরেকটি অসভ্য অপরাধ করেন -
নিজ সংকীর্ণ স্বার্থে সাংবাদিক, প্রকৌশলী এবং অন্যান্য সম্মানিত মানুষদের
নিজ হাতে পেটান, গায়ে হাত তুলেন। কিছুদিন আগে এই সভ্যতা বিবর্জিত অপরাধটি
করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী।
"উত্তেজনার এক পর্যায়ে সামনে থাকা একটি লাঠি নিয়ে মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী পুনয় চন্দ্রের মাথায় আঘাত করেন। এতে পুনয় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
পরে তাকে উদ্ধার করে কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।"
কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ এখন ঐক্যবদ্ধ জনতার বিপুল শক্তি টের পাচ্ছে।
বাংলাদেশের মানুষ জানছে, অন্যায়কারীরা সংখ্যায় নগণ্য। জনগণের ঐক্যের সামনে দাঁড়ানোর মত ক্ষমতা তাদের নেই।
বাংলাদেশের মানুষ
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর অপরাধের তীব্র প্রতিবাদ
জানিয়েছে, বিচার দাবি করেছে। আমরাও এই শিষ্টাচার বহির্ভূত অপরাধের তদন্ত
এবং বিচার দাবি করছি।
বাংলাদেশের মাটিতে আর কখনও কোন মন্ত্রী বা সাংসদের হাতে কোন ব্যক্তিকে আমরা প্রহৃত হতে দেবো না।
জোর
গলায় বলতে পারি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে পড়ার যোগ্যতা এ দেশে
অনেক ছেলে-মেয়েরই আছে। শুধু তাই নয়, আমাদের দেশের অসংখ্য ছেলে-মেয়ে পৃথিবীর
যেকোনো দেশের যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো বিভাগে পড়ার মতো যোগ্যতা
রাখে। - See more at:
http://www.banglanews24.com/beta/fullnews/bn/329228.html#sthash.xUSB1XqG.dpuf
"জোর
গলায় বলতে পারি, ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি
বিভাগে পড়ার যোগ্যতা এ দেশে
অনেক ছেলে-মেয়েরই
আছে। শুধু তাই নয়, আমাদের
দেশের অসংখ্য ছেলে-মেয়ে
পৃথিবীর যেকোনো দেশের যেকোনো
বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো
বিভাগে পড়ার মতো যোগ্যতা রাখে।
আমি
মনে করি, সব
বিশ্ববিদ্যালয় মিলে একটি
সমন্বিত ভর্তি প্রক্রিয়া
হচ্ছে এই দেশের ছেলে-মেয়েদের
উচ্চ শিক্ষার সুযোগ দেওয়ার
নামে অমানবিক যন্ত্রণা (এবং
নতুন যোগ হওয়া অপমান) বন্ধ
করার একমাত্র উপায়।"
No comments:
Post a Comment