প্রফেসর ড. ইউনূস আর Microsoft Founder Bill Gates - দুজনই পৃথিবীর মানুষের জীবনের উন্নয়ন নিয়ে কাজ করেন (Grameen [1] এবং Gates Foundation [2] র মাধ্যমে)। মানুষের জীবনের উন্নয়ন নিয়ে কাজ করায় সফলতার বিচারে পৃথিবীর সবচেয়ে বিখ্যাতদের দুজন।
এই দুজনের স্বপ্নের অংশ হতে পারাটা অনেক বড় ব্যাপার!
প্রফেসর ড. ইউনূস আর Microsoft Founder Bill Gates - আমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন, প্ল্যান করেন - আমিও মানুষের জন্য কাজ করবো। অন্যরকম একটা ব্যাপার!
আমি রাজনীতিতে কিভাবে - প্রশ্নটা নিশ্চয় অনেকের মনে!
প্রফেসর ড. ইউনূস আমাকে ছোটবেলা থেকে চিনতেন (আমাদের relative হন)।
খবর রাখতেন। 2005-এ International Mathematical Olympiad এ participate করেছিলাম - খুশি হয়েছিলেন।
আমি রাজনীতিতে আসবো - এমন একটা প্ল্যান প্রফেসর ড. ইউনূসের সবসময় ছিল।
২০১১'র শেষ দিকে America'র Catholic Church'র ফাদার'রা আমাকে "Discover" করে।
[ঐ গল্প আগেই বলেছি! : প্রিন্সেস শামিতা তাহসিনকে লেখা চিঠি – ১৬ ]
আমার সম্পর্কে জানতে America থেকে প্রফেসর ড. ইউনূসের সাথে যোগাযোগ করা হয়।
ব্যাপারটা অদ্ভুত না!
আমাকে চিনতেনও প্রফেসর ড. ইউনূস, ওরা যোগাযোগ করলোও উনার সাথে!
এরপর প্রফেসর ড. ইউনূস ২০১২'র প্রথম দিকেই বাংলাদেশে রাজনীতিবিদদের কাছে, নাগরিক সমাজের কাছে আমাকে পরিচয় করিয়ে দেন।
সৃষ্টিকর্তার কি অদ্ভুত প্ল্যান!
Social Media র মাধ্যমে ঠিক একই সময়ে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের কাছেও আমি পরিচিত হয়ে উঠি। It wasn't pre-planned - sort of happenstance!
রাজনীতিতে আমার এভাবেই শুরু।
মজার ব্যাপার হল - আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ - দুইজনই আমাকে ঘিরে প্ল্যান করেছিলেন ২০১২ তেই!
অবশ্য যথাক্রমে আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টির মাঝে!
সাবেক রাষ্ট্রপতি জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ২০১৩ সালের শেষদিকে বলেছিলেন, "আমি এমন একজনকে তৈরি করে যেতে পারিনি যে আমার পর জাতীয় পার্টির দায়িত্ব নেবে!"
"নাগরিক শক্তি"র মাধ্যমে - ইনশাল্লাহ - সবার স্বপ্নের - প্ল্যানের বাস্তব রূপ দেখা যাবে।
মানুষ সারা জীবনের স্বপ্ন, ১০ বছর, ২০ বছর, ৩০ কিংবা ৪০ বছরের সাধনার মাধ্যমে - নিজের দল গড়ে তোলেন।
আমাদের দেশের বেশ কয়েকটা রাজনৈতিক দলের প্রধান - নিজেদের ১০, ২০, ৩০ বছরের সাধনায়, নিজেদের হাতে গড়া দলের উরধে উঠে - "নাগরিক শক্তি"র অংশ হতে সাগ্রহে রাজি হয়েছেন।
পুরো ব্যাপারটা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না - চুপচাপ অনুভব করতে হয়।
[ছোটবেলার একটা ঘটনা বলি। জাতীয় পার্টি সম্পর্কিত।
আমি যখন একদম ছোট্ট - ছোট্ট মানে একেবারে পিচ্চি - কয়েকমাস বয়স (!) - আমার প্রয়াত নানা একদিন আমাকে নিয়ে টিভিতে জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ভাষণ দেখছিলেন। জেনারেল এরশাদ তখন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট।
তিনি হঠাৎ মুনাজাত ধরে বললেন, আল্লাহ্, আমার নাতনিকে এরশাদের মত বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট করে দাও!
আম্মুর পরীক্ষা - পড়ছিলেন।
আমার নানী ডেকে নিয়ে এলেন - দেখো, তোমার বাবা তাহসিনের জন্য কিভাবে দোয়া করছে!]
[আরেকটা মজার ব্যাপার বলি। এবার আওয়ামী লীগ!
২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব যখন জানলো, আমি নিজের দল করবো - প্রথমে ব্যাপারটাকে সহজভাবে নেয়নি।
সহজভাবে না নেওয়ার সুবাদে (!) - আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব - আমার যে International পরিচিতি আছে (Diplomatic) - প্রথম জেনেছিল এবং ফলশ্রুতিতে প্রক্রিয়া (!)টি দীর্ঘমেয়াদী হয়নি!
অন্য দশজনের মত ইউনিভার্সিটিতে যায়, সবার সাথে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকেট কিনে - এমন কারও বাইরে পরিচিতি থাকতে পারে - ভাবা যায় না! আমাদের দেশে তো না-ই!]
সৃষ্টিকর্তা এমন ব্যবস্থা করেছেন - আমাকে সবাই মনে রেখে দেন!
গণিত অলিম্পিয়াডের সময় ২০০৫ সালে "প্রথম আলো" আর অন্যান্য পত্রিকায় আমার ছবি, আমাকে নিয়ে লেখা ছাপিয়েছিল - আমাকে মনে রেখে দিয়েছিলেন প্রয়াত লেখক ড. হুমায়ূন আহমেদ।
মৃত্যুর আগে ২০১২ তে দেশে এসেছিলেন। আমাকে দেখতে চিটাগং চলে এসেছিলেন।
লেখক ড. হুমায়ূন আহমেদ বেঁচে থাকলে আজকে সবকিছু দেখে অনেক খুশি হতেন!
কে বলতে পারে - হয়তবা যোগ দিতেন রাজনীতিতে!
No comments:
Post a Comment