Tuesday, October 7, 2014

নাগরিক ঐক্যের আলোচনা সভা - সমাবেশ - উদ্যোগ (07.10.14)


"চলতি বছর আগস্ট পর্যন্ত দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা চার কোটি আট লাখ ৩২ হাজার ৩৮৭ জন। এর মধ্যে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা তিন কোটি ৯৩ লাখ ২৮ হাজার ৮৩১ জন। দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি হলে ২৫ শতাংশ মানুষই এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। আর মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১১ কোটি ৬৫ লাখ আট হাজার। এই হার প্রতিবেশী ভারত ও শ্রীলঙ্কার চেয়ে বেশি।

বাংলাদেশে প্রতিটি নারী-পুরুষ মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহার করুক। কেবল জনজীবন নয়, রাজনীতিও এনালগ থেকে ডিজিটাল পর্বে প্রবেশ করুক। 

ছাত্ররাজনীতিতে সুস্থধারা ফিরিয়ে আনার একটি উপায় হতে পারত ছাত্র সংসদগুলোর নির্বাচন। 

দেশে ফি বছর ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী ২৮ থেকে ৩০ লাখ তরুণ কর্মবাজারে প্রবেশ করলেও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তার অর্ধেকেরও কর্মসংস্থান করতে পারে না। 

 গত ৪৩ বছরে বাংলাদেশ একটি বিজ্ঞানমনস্ক ও যুগোপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা চালু করতে ব্যর্থ হয়েছে।"




“স্বাধীনতার পর দেশের সমগ্র জনগোষ্ঠীকে এক করার, সবার পক্ষে কথা বলার, সবার হয়ে কাজ করার মতো কোনো দল আসেনি। সবাই নিজ নিজ স্বার্থে চলেছে, এখনো চলছে। যারা বাঙালিদের স্বার্থের কথা বলেছে, তারা পাহাড়িদের কথা ভুলে গেছে। যারা মুসলমানের স্বার্থ রক্ষার কথা বলেছে, তারা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টানদের স্বার্থের কথা মনে রাখেনি। যারা জনগণতান্ত্রিক বিপ্লব করবে বলে বুলন্দ আওয়াজ তুলেছিল, তাদের চিন্তায়-কর্মেই জনগণের জায়গা ছিল না। আর সাধারণ মানুষের অবোধগম্য এসব অচেনা স্লোগান দিতে দিতে তারা একসময় জনগণ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

ফলে বাংলাদেশে গরিব-দুঃখী মানুষের পক্ষে কথা বলার রাজনীতিটাই হারিয়ে গেল।

আসলে কোনো রাজনৈতিক দলই গোটা দেশকে ধারণ করতে পারছে না। তারা কেউ আওয়ামী লীগকে ধারণ করে, কেউ বিএনপিকে, কেউ বা জাতীয় পার্টি বা জামায়াতকে। সবাই গোষ্ঠীগত স্বার্থে মগ্ন। ব্যক্তিস্বার্থে মশগুল। ৪২ বছর ধরেই আমরা নীতি-আদর্শের চেয়ে ক্ষমতাকেই বড় করে দেখছি।

আমরা এমন একটি রাজনৈতিক দল চাই, যে দলটি সব ভেদাভেদ ভুলে বাংলাদেশের সব মানুষকে হেফাজত করবে। কারও নাগরিক অধিকার ও মানবাধিকার হরণ করবে না। ধর্ম ও জাতিগত পরিচয়ে কারও প্রতি বৈষম্য দেখাবে না। আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান সুযোগ ও অধিকার ভোগ করবে। যে দলটি আইনের শাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় মনোযোগী হবে, এবং ব্যক্তি, দল ও গোষ্ঠীর ঊর্ধ্বে জাতীয় স্বার্থকে স্থান দেবে।
হেফাজতে ইসলাম বা অন্য কোনো ধর্ম নয়, কোনো বিশেষ জনগোষ্ঠী নয়, যে দলটি বাংলাদেশের সব মানুষের অধিকার ও স্বার্থ দেখবে, আমরা সেই দলের অপেক্ষায় আছি।“

No comments:

Post a Comment