বাংলাদেশে ধর্মীয় শিক্ষায় সুশিক্ষিত বলতে আমরা
অনেকে শুধুমাত্র মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিতদের বুঝি। বাক্তিগতভাবে আমি শিক্ষা এবং
ধর্ম দুটোকেই অনেক ব্যাপক অর্থে ব্যবহার করি। বিল গেটস এবং মার্ক যাকারবারগ
ব্যাচেলরস ডিগ্রি শেষ করার আগেই মাইক্রোসফট এবং ফেইসবুক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, আইনস্টাইন
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় নিজেকে সেভাবে মেলে ধরেননি, ১০৯৩টি পেটেন্টের অধিকারী টমাস
আলভা এডিসন স্কুলেই বেশিদিন যাননি – শিক্ষাকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় সীমাবদ্ধ রাখাটা
যে একেবারেই অনুচিত - তার জন্য এগুলোর চেয়ে ভাল উদাহরণ আর কি হতে পারে? রবীন্দ্রনাথ
আমাদের শিখিয়েছেন প্রকৃতি থেকে শিখতে।
“সুশিক্ষিত মাত্রই স্বশিক্ষিত” – প্রমথ চৌধুরীর এই উক্তিটি একটা গভীর সত্যকে ধারন
করে – সুশিক্ষিত বেক্তিরা নিজেদের বিচার বিশ্লেষণ দিয়ে নিজেদের মত করে নতুন জ্ঞান
আহরন করেন। আর
আমরা একটু ভালমত পড়লে জানবো – অসহযোগ আন্দোলনের নেতা মহাত্মা গান্ধী যিনি গীতা এবং
বিভিন্ন ধর্মের গ্রন্থ পড়ে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন, তিনি প্রচলিত একটি নির্দিষ্ট
ধর্মে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি।
ঈশ্বর এবং মহাবিশ্ব সম্পর্কে তার নিজস্ব কিছু বিশ্বাস ছিল এবং তিনি নিজেকে শুধু
এইসব বিশ্বাসে সীমাবদ্ধ রাখেননি - নিজের জীবন গড়ে তুলেছিলেন নিজস্ব বিশ্বাস
অনুসারে – তাকে কি আমরা ধর্মীয় শিক্ষায় সুশিক্ষিত আলোকিত মানুষ বলব না? (“I do not want my
house to be walled in on all sides and my windows to be
stuffed. I want the cultures of all lands to be blown
about my houses as freely as possible. But I refuse to
be blown off my feet by any.” –
Mahatma Gandhi)
No comments:
Post a Comment