“স্বাধীনতার পর দেশের সমগ্র জনগোষ্ঠীকে এক করার, সবার পক্ষে কথা বলার, সবার হয়ে কাজ করার মতো কোনো দল আসেনি। সবাই নিজ নিজ স্বার্থে চলেছে, এখনো চলছে। যারা বাঙালিদের স্বার্থের কথা বলেছে, তারা পাহাড়িদের কথা ভুলে গেছে। যারা মুসলমানের স্বার্থ রক্ষার কথা বলেছে, তারা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টানদের স্বার্থের কথা মনে রাখেনি। যারা জনগণতান্ত্রিক বিপ্লব করবে বলে বুলন্দ আওয়াজ তুলেছিল, তাদের চিন্তায়-কর্মেই জনগণের জায়গা ছিল না। আর সাধারণ মানুষের অবোধগম্য এসব অচেনা স্লোগান দিতে দিতে তারা একসময় জনগণ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ফলে বাংলাদেশে গরিব-দুঃখী মানুষের পক্ষে কথা বলার রাজনীতিটাই হারিয়ে গেল।
আসলে কোনো রাজনৈতিক দলই গোটা দেশকে ধারণ করতে পারছে না। তারা কেউ আওয়ামী লীগকে ধারণ করে, কেউ বিএনপিকে, কেউ বা জাতীয় পার্টি বা জামায়াতকে। সবাই গোষ্ঠীগত স্বার্থে মগ্ন। ব্যক্তিস্বার্থে মশগুল। ৪২ বছর ধরেই আমরা নীতি-আদর্শের চেয়ে ক্ষমতাকেই বড় করে দেখছি।
আমরা এমন একটি রাজনৈতিক দল চাই, যে দলটি সব ভেদাভেদ ভুলে বাংলাদেশের সব মানুষকে হেফাজত করবে। কারও নাগরিক অধিকার ও মানবাধিকার হরণ করবে না। ধর্ম ও জাতিগত পরিচয়ে কারও প্রতি বৈষম্য দেখাবে না। আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান সুযোগ ও অধিকার ভোগ করবে। যে দলটি আইনের শাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় মনোযোগী হবে, এবং ব্যক্তি, দল ও গোষ্ঠীর ঊর্ধ্বে জাতীয় স্বার্থকে স্থান দেবে।
হেফাজতে ইসলাম বা অন্য কোনো ধর্ম নয়, কোনো বিশেষ জনগোষ্ঠী নয়, যে দলটি বাংলাদেশের সব মানুষের অধিকার ও স্বার্থ দেখবে, আমরা সেই দলের অপেক্ষায় আছি।“
সোহরাব হাসান | তারিখ: ১১-০৫-২০১৩ সুত্রঃ প্রথম আলো
সবকিছুর উপরে আমরা চাই, জাতীয় স্বার্থে এবং নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নে রাজনীতিতে গুনগত এবং স্থায়ী পরিবর্তন।
ফলে বাংলাদেশে গরিব-দুঃখী মানুষের পক্ষে কথা বলার রাজনীতিটাই হারিয়ে গেল।
আসলে কোনো রাজনৈতিক দলই গোটা দেশকে ধারণ করতে পারছে না। তারা কেউ আওয়ামী লীগকে ধারণ করে, কেউ বিএনপিকে, কেউ বা জাতীয় পার্টি বা জামায়াতকে। সবাই গোষ্ঠীগত স্বার্থে মগ্ন। ব্যক্তিস্বার্থে মশগুল। ৪২ বছর ধরেই আমরা নীতি-আদর্শের চেয়ে ক্ষমতাকেই বড় করে দেখছি।
আমরা এমন একটি রাজনৈতিক দল চাই, যে দলটি সব ভেদাভেদ ভুলে বাংলাদেশের সব মানুষকে হেফাজত করবে। কারও নাগরিক অধিকার ও মানবাধিকার হরণ করবে না। ধর্ম ও জাতিগত পরিচয়ে কারও প্রতি বৈষম্য দেখাবে না। আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান সুযোগ ও অধিকার ভোগ করবে। যে দলটি আইনের শাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় মনোযোগী হবে, এবং ব্যক্তি, দল ও গোষ্ঠীর ঊর্ধ্বে জাতীয় স্বার্থকে স্থান দেবে।
হেফাজতে ইসলাম বা অন্য কোনো ধর্ম নয়, কোনো বিশেষ জনগোষ্ঠী নয়, যে দলটি বাংলাদেশের সব মানুষের অধিকার ও স্বার্থ দেখবে, আমরা সেই দলের অপেক্ষায় আছি।“
সোহরাব হাসান | তারিখ: ১১-০৫-২০১৩ সুত্রঃ প্রথম আলো
আমরা যে আদর্শ রাজনৈতিক দলের স্বপ্ন দেখি সেই দলটি শুধু মিটিং – মিছিলের মাঝে নিজেদের কর্মকাণ্ড সীমাবদ্ধ রাখবে না, বরং সমাজের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সবাইকে নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
দলটি গ্রামের মানুষগুলোকে এক করে গ্রামের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসবে। কোন নির্দিষ্ট জাতি ধর্ম বর্ণ গোষ্ঠী দল বা পেশার মানুষের উপর যাতে অন্যায় না হয়, সবাইকে নিয়ে তা নিশ্চিত করবে। যৌতুক, বাল্যবিবাহ এবং এসব থেকে উদ্ভূত বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা, যেমন নারী নির্যাতন, এর বিরুদ্ধে সবাইকে নিয়ে সম্মিলিত অবস্থান নেবে।
তরুণ তরুণীদের মাঝে স্বপ্ন, উদ্যম, উৎসাহের কোন ঘাটতি নেই। ওরা পরাজয় খুব একটা দেখেনি – তাই পরাজয় খুব একটা মানতেও চায় না। ওরা পছন্দ করে একসাথে সময় কাটাতে। আদর্শ দলটি দেশের তরুন তরুণীদের অনুপ্রাণিত করবে, প্লাটফর্ম তৈরি করে দেবে যাতে ওরা দল বেঁধে নতুন নতুন উদ্যোগ নিয়ে সমস্যা সমাধানে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে – হতে পারে নিজেদের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন সমস্যা, হতে পারে নিজেদের এলাকার। কেউ হয়ত উদ্ভাবন করে বসবে এমন কিছু যা দিয়ে অনেক অনেক মানুষের জীবনের একটা দিক পুরোপুরি বদলে যাবে। আমাদের আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর তরুণ প্রজন্ম হয়ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চাইবে!
মানুষ চায় সামাজিক মর্যাদা ও স্বীকৃতি। আদর্শ রাজনৈতিক দলটি এমন সব প্লাটফর্ম গড়ে তুলবে যাতে মানুষ নিজের এবং দেশ ও সমাজের কল্যাণের মাধ্যমে সামাজিক মর্যাদা ও স্বীকৃতি অর্জন করতে পারে।
আদর্শ রাজনৈতিক দলটি দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন উদ্যোগ এর সমন্বয় করবে, দেশের বিভিন্ন সমস্যার নতুন নতুন সমাধান বের করে বাস্তবায়ন করবে, জাতিধর্মবর্ণ নির্বিশেষে প্রত্যেক শ্রেণীপেশার মানুষের স্বার্থ যাতে সংরক্ষিত হয় তা গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সবার মতামতের ভিত্তিতে নিশ্চিত করবে।
অযোগ্য সুবিধাভোগী, অন্যায়কারীরা সংখ্যায় মুষ্টিমেয়। জনগণের ঐক্যের সামনে দাঁড়ানোর ক্ষমতা তাদের নেই। আদর্শ রাজনৈতিক দলটি জনগণকে নিয়ে সকল অন্যায় – অবিচারের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেবে।
দলটি গ্রামের মানুষগুলোকে এক করে গ্রামের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসবে। কোন নির্দিষ্ট জাতি ধর্ম বর্ণ গোষ্ঠী দল বা পেশার মানুষের উপর যাতে অন্যায় না হয়, সবাইকে নিয়ে তা নিশ্চিত করবে। যৌতুক, বাল্যবিবাহ এবং এসব থেকে উদ্ভূত বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা, যেমন নারী নির্যাতন, এর বিরুদ্ধে সবাইকে নিয়ে সম্মিলিত অবস্থান নেবে।
তরুণ তরুণীদের মাঝে স্বপ্ন, উদ্যম, উৎসাহের কোন ঘাটতি নেই। ওরা পরাজয় খুব একটা দেখেনি – তাই পরাজয় খুব একটা মানতেও চায় না। ওরা পছন্দ করে একসাথে সময় কাটাতে। আদর্শ দলটি দেশের তরুন তরুণীদের অনুপ্রাণিত করবে, প্লাটফর্ম তৈরি করে দেবে যাতে ওরা দল বেঁধে নতুন নতুন উদ্যোগ নিয়ে সমস্যা সমাধানে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে – হতে পারে নিজেদের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন সমস্যা, হতে পারে নিজেদের এলাকার। কেউ হয়ত উদ্ভাবন করে বসবে এমন কিছু যা দিয়ে অনেক অনেক মানুষের জীবনের একটা দিক পুরোপুরি বদলে যাবে। আমাদের আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর তরুণ প্রজন্ম হয়ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চাইবে!
মানুষ চায় সামাজিক মর্যাদা ও স্বীকৃতি। আদর্শ রাজনৈতিক দলটি এমন সব প্লাটফর্ম গড়ে তুলবে যাতে মানুষ নিজের এবং দেশ ও সমাজের কল্যাণের মাধ্যমে সামাজিক মর্যাদা ও স্বীকৃতি অর্জন করতে পারে।
আদর্শ রাজনৈতিক দলটি দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন উদ্যোগ এর সমন্বয় করবে, দেশের বিভিন্ন সমস্যার নতুন নতুন সমাধান বের করে বাস্তবায়ন করবে, জাতিধর্মবর্ণ নির্বিশেষে প্রত্যেক শ্রেণীপেশার মানুষের স্বার্থ যাতে সংরক্ষিত হয় তা গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সবার মতামতের ভিত্তিতে নিশ্চিত করবে।
অযোগ্য সুবিধাভোগী, অন্যায়কারীরা সংখ্যায় মুষ্টিমেয়। জনগণের ঐক্যের সামনে দাঁড়ানোর ক্ষমতা তাদের নেই। আদর্শ রাজনৈতিক দলটি জনগণকে নিয়ে সকল অন্যায় – অবিচারের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেবে।
আদর্শ রাজনৈতিক দল নেতা কেন্দ্রিক দল হবে না, আদর্শ দল হবে জনগণের দল। আদর্শ দলের নেতারা জানেন, জনগণের পাশে দাঁড়ালে, জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষা বোঝার চেষ্টা করলে এবং সেই লক্ষ্যে কাজ করলে, জনগণও তাদের পাশে থাকবে।
দলের শীর্ষ পদসহ প্রতিটি পদে নিয়োগ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নির্ধারিত হবে। এতে যোগ্য বাক্তিদের বিজয় নিশ্চিত হবে। গণতান্ত্রিকতা চর্চার অংশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ সিধান্ত নিতে দুই- তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার বিধান রাখা যেতে পারে, আর দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকলে সভাপতির সিধান্ত গৃহীত হতে পারে। দলের প্রত্যেক নেতাকর্মী সমর্থক এবং তাদের মতামত হয়ে উঠবে গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয় থেকে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক - দলের প্রতিটি পর্যায়ে একক কর্তৃত্বের বদলে ক্ষমতার ভারসাম্য থাকবে। আর ক্ষমতার ভারসাম্য থাকলে নিশ্চিত হবে জবাবদিহিতা। প্রতিটি নির্বাচনে প্রার্থী নির্বাচনেও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রাধান্য পাবে। জনগণের আস্থা, জনগণের মন জয় করে দলের নেতা কর্মীরা প্রার্থিতা নিশ্চিত করবেন।
আদর্শ রাজনৈতিক দলটি যেহেতু গণতান্ত্রিকতার চর্চা করবে, সবার মতামতের ভিত্তিতে কাজ করবে, কাজেই দলীয় পদের জন্য নয়, বরং নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নে সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবেন।
আদর্শ রাজনৈতিক দলটিকে আমরা সংসদ নির্বাচনেও দেখবো নতুন ভুমিকায়। প্রত্যেক এলাকার সাংসদ প্রার্থীরা মনোযোগ দিবেন দক্ষতা আর সৃজনশীলতা আর সততার সাথে সবাইকে নিয়ে নিজ নিজ এলাকার বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে। তারা হবেন জনগণের নন্দিত নেতা। তারা জানেন, সবচেয়ে বেশি স্থায়ী এবং গুরুত্বপূর্ণ হল জনগণের হৃদয়ে স্থান। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন পরিকল্পনায় তারা সৃজনশীলতা দেখাবেন। নিজেদের বিজয় তারা নিশ্চিত করবেন মেধার মাধ্যমে। সাংসদ পদ প্রার্থীরা জরিপ করে জনগনের মন বোঝার চেষ্টা করবেন এবং সেই অনুযায়ী মন জয়ের চেষ্টা করবেন। তারা শুধু নিজেদের বক্তব্য জনগণকে শোনাবেন না, বরং তাদের আগ্রহ বেশি থাকবে জনগণের বক্তব্য, আশা আকাঙ্ক্ষা, সমস্যা শোনায় এবং সেইসব আশা আকাঙ্ক্ষা, সমস্যা বাস্তবায়নে বাস্তব কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণে। তারা জনগণের গঠনমূলক সমালোচনাকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে গ্রহণ করে নিজেদের ভুলভ্রান্তি দূর করে কর্মকাণ্ড আরও উন্নততর করার কাজে ব্যবহার করবেন।
যারা নির্বাচনে মনোনয়ন পাবেন না তারা মন খারাপ করবেন না, নিজেদের “মনোনয়ন বঞ্চিত” ভাববেন না। বরং দলের সহায়তায় বিভিন্ন প্রশংসনীয় সামাজিক উদ্যোগ নিয়ে দেশ গঠনে অবদান রাখবেন এবং দল ও জনগণ তাদের স্বীকৃতি, সম্মান দেবেন। জনপ্রিয়তার দৌড়ে, যোগ্যতায় একাধিক প্রার্থী কাছাকাছি হলে জরিপের মাধ্যমে প্রার্থী চূড়ান্ত হবে। জাতীয় স্বার্থে, নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নে সবাই একতাবদ্ধ।
দলের শীর্ষ পদসহ প্রতিটি পদে নিয়োগ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নির্ধারিত হবে। এতে যোগ্য বাক্তিদের বিজয় নিশ্চিত হবে। গণতান্ত্রিকতা চর্চার অংশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ সিধান্ত নিতে দুই- তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার বিধান রাখা যেতে পারে, আর দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকলে সভাপতির সিধান্ত গৃহীত হতে পারে। দলের প্রত্যেক নেতাকর্মী সমর্থক এবং তাদের মতামত হয়ে উঠবে গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয় থেকে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক - দলের প্রতিটি পর্যায়ে একক কর্তৃত্বের বদলে ক্ষমতার ভারসাম্য থাকবে। আর ক্ষমতার ভারসাম্য থাকলে নিশ্চিত হবে জবাবদিহিতা। প্রতিটি নির্বাচনে প্রার্থী নির্বাচনেও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রাধান্য পাবে। জনগণের আস্থা, জনগণের মন জয় করে দলের নেতা কর্মীরা প্রার্থিতা নিশ্চিত করবেন।
আদর্শ রাজনৈতিক দলটি যেহেতু গণতান্ত্রিকতার চর্চা করবে, সবার মতামতের ভিত্তিতে কাজ করবে, কাজেই দলীয় পদের জন্য নয়, বরং নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নে সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবেন।
আদর্শ রাজনৈতিক দলটিকে আমরা সংসদ নির্বাচনেও দেখবো নতুন ভুমিকায়। প্রত্যেক এলাকার সাংসদ প্রার্থীরা মনোযোগ দিবেন দক্ষতা আর সৃজনশীলতা আর সততার সাথে সবাইকে নিয়ে নিজ নিজ এলাকার বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে। তারা হবেন জনগণের নন্দিত নেতা। তারা জানেন, সবচেয়ে বেশি স্থায়ী এবং গুরুত্বপূর্ণ হল জনগণের হৃদয়ে স্থান। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন পরিকল্পনায় তারা সৃজনশীলতা দেখাবেন। নিজেদের বিজয় তারা নিশ্চিত করবেন মেধার মাধ্যমে। সাংসদ পদ প্রার্থীরা জরিপ করে জনগনের মন বোঝার চেষ্টা করবেন এবং সেই অনুযায়ী মন জয়ের চেষ্টা করবেন। তারা শুধু নিজেদের বক্তব্য জনগণকে শোনাবেন না, বরং তাদের আগ্রহ বেশি থাকবে জনগণের বক্তব্য, আশা আকাঙ্ক্ষা, সমস্যা শোনায় এবং সেইসব আশা আকাঙ্ক্ষা, সমস্যা বাস্তবায়নে বাস্তব কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণে। তারা জনগণের গঠনমূলক সমালোচনাকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে গ্রহণ করে নিজেদের ভুলভ্রান্তি দূর করে কর্মকাণ্ড আরও উন্নততর করার কাজে ব্যবহার করবেন।
যারা নির্বাচনে মনোনয়ন পাবেন না তারা মন খারাপ করবেন না, নিজেদের “মনোনয়ন বঞ্চিত” ভাববেন না। বরং দলের সহায়তায় বিভিন্ন প্রশংসনীয় সামাজিক উদ্যোগ নিয়ে দেশ গঠনে অবদান রাখবেন এবং দল ও জনগণ তাদের স্বীকৃতি, সম্মান দেবেন। জনপ্রিয়তার দৌড়ে, যোগ্যতায় একাধিক প্রার্থী কাছাকাছি হলে জরিপের মাধ্যমে প্রার্থী চূড়ান্ত হবে। জাতীয় স্বার্থে, নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নে সবাই একতাবদ্ধ।
আমাদের দেশের এক দল অপর দলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায় এবং এর জবাব দেওয়া হয় পাল্টা অপপ্রচারের মাধ্যমে। কিন্তু দলটি এই অপসংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে যুক্তি দিয়ে, তথ্য প্রমাণ দিয়ে অপপ্রচারকে মিথ্যা প্রমাণিত করবে এবং সচেতন জনগণ মিথ্যা অপপ্রচারের সংস্কৃতিকে ঘৃণার চোখে দেখবে। জনগণের দলটি অপরকে দোষারোপ করে সময় নষ্ট না করে দেশ ও দশের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করবে।
আদর্শ রাজনৈতিক দলটির প্রচার প্রসার শুধুমাত্র মিটিং মিছিলের মাধ্যমে হবে না, শুধুমাত্র নেতা থেকে জনগণের মাধ্যমে হবে না, বরং দেশের আপামর জনসাধারণের মাধ্যমেই অর্থাৎ একজনের মাধ্যমে আরেকজনের কাছে ছড়িয়ে পড়বে। যারা দলটির মূলনীতি, কার্যকলাপ এসবের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করবেন, তারাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাছের মানুষদের অবহিত করবেন এবং এভাবেই দলটি জনগণের হৃদয়ে স্থান করে নেবে।
আদর্শ রাজনৈতিক দল যাদের সমর্থন পাবে
1. তরুন প্রজন্ম, যারা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে
2. গ্রামের গরিব দুঃখী অসহায় মানুষ, যাদের হয়ে কথা বলার মত কেউ নেই
3. বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক, ন্যূনতম অধিকার থেকে যারা বঞ্চিত
4. সৎ বাবসায়ি, যাদের বাবসার বিকাশ অনুন্নত অবকাঠামো, অপ্রতুল জ্বালানি সরবরাহ, অপরাজনীতি, দুর্নীতির কারণে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে
5. বিভিন্ন পেশার যোগ্যতর বেক্তিরা, রাজনৈতিক সুবিধাভোগী অযোগ্যদের তুলনায় যারা অন্যায়ভাবে পিছিয়ে পড়ে
6. বিভিন্ন ধর্ম, বিভিন্ন গোষ্ঠীর মানুষ, নিজের দেশে যারা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকতে বাধ্য হয়
7. সৎ বিনিয়োগকারী, শেয়ার বাজারে গুটিকয়েক দুর্নীতিবাজের কারসাজির কাছে পরাজিত হয়ে যারা সর্বস্ব হারিয়েছেন
8. দেশপ্রেমিক সচেতন নাগরিক, দেশের সম্পদ রক্ষায়, দেশের বৃহত্তর কল্যাণে কাজ করতে যারা বদ্ধপরিকর
আদর্শ রাজনৈতিক দলটির প্রচার প্রসার শুধুমাত্র মিটিং মিছিলের মাধ্যমে হবে না, শুধুমাত্র নেতা থেকে জনগণের মাধ্যমে হবে না, বরং দেশের আপামর জনসাধারণের মাধ্যমেই অর্থাৎ একজনের মাধ্যমে আরেকজনের কাছে ছড়িয়ে পড়বে। যারা দলটির মূলনীতি, কার্যকলাপ এসবের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করবেন, তারাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাছের মানুষদের অবহিত করবেন এবং এভাবেই দলটি জনগণের হৃদয়ে স্থান করে নেবে।
আদর্শ রাজনৈতিক দল যাদের সমর্থন পাবে
1. তরুন প্রজন্ম, যারা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে
2. গ্রামের গরিব দুঃখী অসহায় মানুষ, যাদের হয়ে কথা বলার মত কেউ নেই
3. বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক, ন্যূনতম অধিকার থেকে যারা বঞ্চিত
4. সৎ বাবসায়ি, যাদের বাবসার বিকাশ অনুন্নত অবকাঠামো, অপ্রতুল জ্বালানি সরবরাহ, অপরাজনীতি, দুর্নীতির কারণে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে
5. বিভিন্ন পেশার যোগ্যতর বেক্তিরা, রাজনৈতিক সুবিধাভোগী অযোগ্যদের তুলনায় যারা অন্যায়ভাবে পিছিয়ে পড়ে
6. বিভিন্ন ধর্ম, বিভিন্ন গোষ্ঠীর মানুষ, নিজের দেশে যারা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকতে বাধ্য হয়
7. সৎ বিনিয়োগকারী, শেয়ার বাজারে গুটিকয়েক দুর্নীতিবাজের কারসাজির কাছে পরাজিত হয়ে যারা সর্বস্ব হারিয়েছেন
8. দেশপ্রেমিক সচেতন নাগরিক, দেশের সম্পদ রক্ষায়, দেশের বৃহত্তর কল্যাণে কাজ করতে যারা বদ্ধপরিকর
আদর্শ রাজনৈতিক দল খরচ চালানোর জন্য সৃজনশীল উপায় উদ্ভাবন করতে পারে। দলের সক্ষম সমর্থকদের বিনিয়োগে সামাজিক এন্টারপ্রাইস প্রতিষ্ঠিত হতে পারে, যার অর্থ সমাজের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে প্রতিষ্ঠিত বাবসায় বিনিয়োগ করা হবে এবং লভ্যাংশ দিয়ে দলের খরচ, মনোনীত প্রার্থীদের নির্বাচনী বায় বহন করা হবে। এমন বাবস্থায় সৎ, মেধাবী, যোগ্যতর প্রার্থীরা কালো টাকার মালিকদের পরাজিত করে সরকার গঠন করে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখবেন।
প্রত্যেক মানুষের কিছু মূলনীতি, আদর্শ থাকে।
প্রত্যেক দলে কিছু মূলনীতি, কিছু আদর্শের ভিত্তিতে, কিছু লক্ষ্য বাস্তবায়নে মানুষ ঐক্যবদ্ধ হন।
সবার মতামতের ভিত্তিতেই প্রতিষ্ঠিত হবে আদর্শ দল – প্রত্যেকে নিজ নিজ মতামত উপস্থাপন করবেন এবং সম্মিলিতভাবে সিধান্ত নেওয়া হবে। ভিন্ন মত, মতভেদ থাকতেই পারে – যুক্তি তর্কের মাধ্যমে সবাই মিলে দলের গঠনতন্ত্র অনুসারে প্রতিটি মতভেদ সমাধান করবেন।
ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে স্বপ্নের বংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সবাই একসাথে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া - এই সুযোগটি কি কেউ হারাতে চাইবেন?
আদর্শ রাজনৈতিক দলটি সমগ্র বাংলাদেশের চেতনাকে ধারণ করবে। বিভিন্ন মূলনীতি, বিভিন্ন আদর্শকে আত্তীকরণ করবে এবং সকলের মতামতের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত সাধারণ কিছু মূলনীতির ভিত্তিতে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নে সবাই ঐক্যবদ্ধ হবেন।
আদর্শ রাজনৈতিক দলের মূলনীতিতে যেসব বিষয় থাকতে পারেঃ
1. সবকিছুর উপরে জাতীয় স্বার্থ, নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নে সবাই ঐক্যবদ্ধ
2. মুক্তিযুদ্ধের চেতনা
3. জাতি ধর্ম বর্ণ শ্রেণী পেশা নির্বিশেষে সবার একতা, সবার স্বার্থ সংরক্ষণ
4. গণতন্ত্রমনা – দলের প্রতিটি কর্মকাণ্ডে জনগণের মতামত, আশা আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হবে, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে
5. সকল অন্যায়, অপকর্ম, অত্যাচার, দুর্নীতির বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান
প্রত্যেক মানুষের কিছু মূলনীতি, আদর্শ থাকে।
প্রত্যেক দলে কিছু মূলনীতি, কিছু আদর্শের ভিত্তিতে, কিছু লক্ষ্য বাস্তবায়নে মানুষ ঐক্যবদ্ধ হন।
সবার মতামতের ভিত্তিতেই প্রতিষ্ঠিত হবে আদর্শ দল – প্রত্যেকে নিজ নিজ মতামত উপস্থাপন করবেন এবং সম্মিলিতভাবে সিধান্ত নেওয়া হবে। ভিন্ন মত, মতভেদ থাকতেই পারে – যুক্তি তর্কের মাধ্যমে সবাই মিলে দলের গঠনতন্ত্র অনুসারে প্রতিটি মতভেদ সমাধান করবেন।
ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে স্বপ্নের বংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সবাই একসাথে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া - এই সুযোগটি কি কেউ হারাতে চাইবেন?
আদর্শ রাজনৈতিক দলটি সমগ্র বাংলাদেশের চেতনাকে ধারণ করবে। বিভিন্ন মূলনীতি, বিভিন্ন আদর্শকে আত্তীকরণ করবে এবং সকলের মতামতের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত সাধারণ কিছু মূলনীতির ভিত্তিতে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নে সবাই ঐক্যবদ্ধ হবেন।
আদর্শ রাজনৈতিক দলের মূলনীতিতে যেসব বিষয় থাকতে পারেঃ
1. সবকিছুর উপরে জাতীয় স্বার্থ, নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নে সবাই ঐক্যবদ্ধ
2. মুক্তিযুদ্ধের চেতনা
3. জাতি ধর্ম বর্ণ শ্রেণী পেশা নির্বিশেষে সবার একতা, সবার স্বার্থ সংরক্ষণ
4. গণতন্ত্রমনা – দলের প্রতিটি কর্মকাণ্ডে জনগণের মতামত, আশা আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হবে, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে
5. সকল অন্যায়, অপকর্ম, অত্যাচার, দুর্নীতির বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান
আদর্শ রাজনৈতিক দলটি বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলকে নতুন রাজনীতির পথে অনুপ্রাণিত করবে।
সবকিছুর উপরে আমরা চাই, জাতীয় স্বার্থে এবং নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নে রাজনীতিতে গুনগত এবং স্থায়ী পরিবর্তন।
No comments:
Post a Comment