আগামী নির্বাচন কবে হবে, কিভাবে হবে – এটা সাম্প্রতিককালে দেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয়। সরকারি দল চাইছে নিজেদের অধীনে নির্বাচন। বিভিন্ন দল থেকে নির্দলীয় সরকারের দাবি উঠেছে। আবার জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে দেশের অধিকাংশ জনগণ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের পক্ষে।
দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি বিবেচনা করলে আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে - অন্তর্বর্তী সরকারটি যদি বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিদের নিয়েও গঠিত হয় তবে কি বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিরা প্রশাসনকে নিজেদের মত করে সাজাতে চাইবেন না এবং এক্ষেত্রে প্রশাসন সাজানো নিয়ে বিরোধ কি অনিবার্য না?
দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি বিবেচনা করলে আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে - অন্তর্বর্তী সরকারটি যদি বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিদের নিয়েও গঠিত হয় তবে কি বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিরা প্রশাসনকে নিজেদের মত করে সাজাতে চাইবেন না এবং এক্ষেত্রে প্রশাসন সাজানো নিয়ে বিরোধ কি অনিবার্য না?
তবে নির্দলীয় সরকারের দাবিতে দেশে অতীতের মত গোলযোগ, নৈরাজ্য, বিশৃঙ্খলা হোক, অর্থনীতির ক্ষতি হোক – এটাও সাধারণ জনগণ চায় না।
দেশের আপামর জনসাধারণ সমস্যাটির একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান দেখতে চায়।
দেশের আপামর জনসাধারণ সমস্যাটির একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান দেখতে চায়।
দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ যদি নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে বর্তমান সরকারের উপর আস্থা রাখে – তবে সেটিই হবে গ্রহণযোগ্য সমাধান। অন্যদিকে, সরকারের ভেতরে এবং বাইরে থাকা বিভিন্ন দল যারা নির্দলীয় সরকারের পক্ষে, তারা প্রতি আসনে স্বাক্ষর সংগ্রহের মাধ্যমে প্রমাণ করতে পারে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে এবং বিরোধী দল নির্বাচনে না গেলে ৫০ ভাগের উপরে মানুষ ভোট দিতে ভোট কেন্দ্রে যাবে না। দেশের জনগণ যদি নির্দলীয় সরকারকেই তাদের ভোটের অধিকার রক্ষার তথা সুষ্ঠু নির্বাচনের একমাত্র উপায় বলে মনে করে তবে নিজেরাও এই উদ্যোগ নিতে পারে। আর দেশের ৫০ ভাগের উপর মানুষ যদি ভোটকেন্দ্রেই না যায়, তবে কি সরকারি দলের নিজেদের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের নৈতিক অধিকার থাকবে? সেই নির্বাচনের কোন গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না, সেই নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত সরকার স্থায়ী হবে না এবং জনগণও চাইবে না জনগণের অর্থে বিপুল বায়বহুল একটি অগ্রহণযোগ্য নির্বাচন হোক।
No comments:
Post a Comment