গত দুই দশক ধরে আমরা দেখেছি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের মানুষ পাঁচ বছর পর পর একদিন গণতন্ত্র ফিরে পায় এবং সেদিন ভোট দিয়ে একটি দলের হাতে ক্ষমতা তুলে দেয় আর সেই দলটি পরবর্তী পাঁচ বছর নিজেদের তন্ত্র কায়েম করে!
সরকারি দল সংসদের নিয়ন্ত্রণে থাকে আর বিরোধী দল সংসদ বর্জন করে। সরকারি দল আইন পাশ করে আর বিরোধী দল সংসদে কথা না বলে হরতাল ডাকে, জনগণের জানমালের ক্ষতি করে। সংবিধানের মাধ্যমে সাংসদদের দলীয় সিধান্তের বাইরে কথা বলার অধিকার পর্যন্ত কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
সংসদীয় সরকার বাবস্থায় এই সাংসদদের মাঝ থেকেই ৯০ ভাগের উপরে মন্ত্রী নির্বাচিত হন।
শুধুমাত্র আইন বিভাগ আর শাসন বিভাগ না, বিচার বিভাগেও আমরা দেখি ব্যাপক দলীয়করণ – এই কোর্ট অমুক দলের, ঐ কোর্ট তমুক দলের। তার উপর যখন দেখা যায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও সাংসদ, মন্ত্রী আর সরকারি দলের নেতাদের নির্দেশের বাইরে যেতে পারেন না (গেলে চাকরি “খেয়ে” ফেলতে পারেন!), তখন পরিস্থিতি কিরকম ভয়ানক তা সহজেই অনুমেয়। আমরা দুইয়ে দুইয়ে চার মেলালে বুঝবো – সরকারি দল চাইলেই যে কাউকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে ধরে নিজেদের “কোর্টে” বিচারের বাবস্থা করতে পারে। আর সরকারি দলের সাংসদরা হয়ে যান আইন শৃঙ্খলার উরধে।
কেন্দ্রীয় সরকারের এমন অবস্থার পর যখন দেখা যায় স্থানীয় সরকার বাবস্থাও অত্যন্ত দুর্বল - তখন গ্রামের অসহায় দরিদ্র মানুষগুলোকে নিয়ে ভাবার মত কেউ থাকে না।
দুর্নীতি দমন কমিশন আর নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ স্বাধীনতা নেই এবং তারচেয়েও বড় কথা যতটুকু আছে তারও প্রয়োগ নেই। আইন শৃঙ্খলার উরধে থাকা সাংসদ, নেতাদের কারও রয়েছে নিজস্ব নির্যাতন সেল, কারও খেলাপি ঋণের পরিমাণ কোটি কোটি টাকা, কেউ কেউ খুনের মামলা নিয়ে দিব্যি (অপ)রাজনীতি করা অব্যাহত রাখেন। (ত্বকীর মত সোনার টুকরা ছেলেকে এদেশে খুন হতে হয়।) তারা দুর্নীতি করে কাউকে অবৈধ সুবিধা দিলে কারও কিছু বলার থাকে না।
অবৈধ সুবিধাগুলো নেওয়ার জন্য আমরা দেখি সরকারি দলের যুব এবং ছাত্র সংগঠনগুলোর অপতৎপরতা। সবার চোখের সামনেই তারা অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করে। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি তাদের লক্ষ্য। একটু ভালমত খবর নিলে আমরা জানতে পারি, ছাত্র সংগঠনগুলোর অনেক নেতাই সত্যিকারের ছাত্র নন – কেউ কেউ ঠিক ছাত্র নন, তবে ছাত্রের বাবা!
৫ বছর শেষে যখন নির্বাচনের সময় আসে তখন প্রধান দলগুলোতে বসে মনোনয়ন বিক্রির নিলাম হাট। এই হাট এ যিনি সবচেয়ে বেশি দর হাঁকতে পারেন তিনি নিলামে জয়ী হন। চাঁদাবাজি, খেলাপি ঋণের টাকা দিয়ে তিনি মনোনয়ন কেনেন এবং সেই কালো টাকা বাবহার করে নির্বাচনে জয়ী হয়ে আসেন। ৫ বছর সরকারি দলের দুঃশাসনে অতিষ্ঠ জনগণ বিরোধী দলকে ক্ষমতা দেয় এবং সেই বিরোধী দল আবার ৫ বছরের জন্য গনতন্ত্রের নামে নিজেদের “তন্ত্র” কায়েম করে। আবারও শুরু হয় একই খেলা - পার্থক্য শুধু এবার সরকারি দল বিরোধী দলের ভূমিকায়, বিরোধী দল সরকারি দলের ভূমিকায়।
আমরা বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ এই বাবস্থার পরিবর্তন চাই।
সরকারি দল সংসদের নিয়ন্ত্রণে থাকে আর বিরোধী দল সংসদ বর্জন করে। সরকারি দল আইন পাশ করে আর বিরোধী দল সংসদে কথা না বলে হরতাল ডাকে, জনগণের জানমালের ক্ষতি করে। সংবিধানের মাধ্যমে সাংসদদের দলীয় সিধান্তের বাইরে কথা বলার অধিকার পর্যন্ত কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
সংসদীয় সরকার বাবস্থায় এই সাংসদদের মাঝ থেকেই ৯০ ভাগের উপরে মন্ত্রী নির্বাচিত হন।
শুধুমাত্র আইন বিভাগ আর শাসন বিভাগ না, বিচার বিভাগেও আমরা দেখি ব্যাপক দলীয়করণ – এই কোর্ট অমুক দলের, ঐ কোর্ট তমুক দলের। তার উপর যখন দেখা যায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও সাংসদ, মন্ত্রী আর সরকারি দলের নেতাদের নির্দেশের বাইরে যেতে পারেন না (গেলে চাকরি “খেয়ে” ফেলতে পারেন!), তখন পরিস্থিতি কিরকম ভয়ানক তা সহজেই অনুমেয়। আমরা দুইয়ে দুইয়ে চার মেলালে বুঝবো – সরকারি দল চাইলেই যে কাউকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে ধরে নিজেদের “কোর্টে” বিচারের বাবস্থা করতে পারে। আর সরকারি দলের সাংসদরা হয়ে যান আইন শৃঙ্খলার উরধে।
কেন্দ্রীয় সরকারের এমন অবস্থার পর যখন দেখা যায় স্থানীয় সরকার বাবস্থাও অত্যন্ত দুর্বল - তখন গ্রামের অসহায় দরিদ্র মানুষগুলোকে নিয়ে ভাবার মত কেউ থাকে না।
দুর্নীতি দমন কমিশন আর নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ স্বাধীনতা নেই এবং তারচেয়েও বড় কথা যতটুকু আছে তারও প্রয়োগ নেই। আইন শৃঙ্খলার উরধে থাকা সাংসদ, নেতাদের কারও রয়েছে নিজস্ব নির্যাতন সেল, কারও খেলাপি ঋণের পরিমাণ কোটি কোটি টাকা, কেউ কেউ খুনের মামলা নিয়ে দিব্যি (অপ)রাজনীতি করা অব্যাহত রাখেন। (ত্বকীর মত সোনার টুকরা ছেলেকে এদেশে খুন হতে হয়।) তারা দুর্নীতি করে কাউকে অবৈধ সুবিধা দিলে কারও কিছু বলার থাকে না।
অবৈধ সুবিধাগুলো নেওয়ার জন্য আমরা দেখি সরকারি দলের যুব এবং ছাত্র সংগঠনগুলোর অপতৎপরতা। সবার চোখের সামনেই তারা অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করে। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি তাদের লক্ষ্য। একটু ভালমত খবর নিলে আমরা জানতে পারি, ছাত্র সংগঠনগুলোর অনেক নেতাই সত্যিকারের ছাত্র নন – কেউ কেউ ঠিক ছাত্র নন, তবে ছাত্রের বাবা!
৫ বছর শেষে যখন নির্বাচনের সময় আসে তখন প্রধান দলগুলোতে বসে মনোনয়ন বিক্রির নিলাম হাট। এই হাট এ যিনি সবচেয়ে বেশি দর হাঁকতে পারেন তিনি নিলামে জয়ী হন। চাঁদাবাজি, খেলাপি ঋণের টাকা দিয়ে তিনি মনোনয়ন কেনেন এবং সেই কালো টাকা বাবহার করে নির্বাচনে জয়ী হয়ে আসেন। ৫ বছর সরকারি দলের দুঃশাসনে অতিষ্ঠ জনগণ বিরোধী দলকে ক্ষমতা দেয় এবং সেই বিরোধী দল আবার ৫ বছরের জন্য গনতন্ত্রের নামে নিজেদের “তন্ত্র” কায়েম করে। আবারও শুরু হয় একই খেলা - পার্থক্য শুধু এবার সরকারি দল বিরোধী দলের ভূমিকায়, বিরোধী দল সরকারি দলের ভূমিকায়।
আমরা বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ এই বাবস্থার পরিবর্তন চাই।
No comments:
Post a Comment