গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র নিয়ে বক্তব্য
বাংলাদেশের জনগণের চোখে ডাঃ ইমরান এইচ সরকারই গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র।
আওয়ামী লীগের কয়েকজন সন্ত্রাসী গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে কি ঘোষণা দিয়েছে - বাংলাদেশের জনগণের তা নিয়ে মাথা বাথা নেই।
গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের উপর ছাত্রলীগ যুবলীগের সন্ত্রাসীদের হামলার নিন্দা
আমরা গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের উপর ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের সন্ত্রাসীদের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি, জড়িত সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
"শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের ওপর হামলায় অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে প্রজন্ম চত্বরে মিডিয়া সেলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনায় মামলা করতে গেলে থানার ভেতরে আবারও দুই পক্ষের মারামারির ঘটনা ঘটে।
গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের আবেগ
শফিক রহমানের মন্তব্য: আওয়ামী লীগের মূল উদ্দেশ্য ছিল এই গণজাগরণ মঞ্চকে কাজে লাগানো এবং যাতে কোনো ধরনের সরকারবিরোধী আন্দোলন না হতে পারে, তা নিশ্চিত করা। ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের এ রকমের নাটকের মঞ্চ আর যে কত দেখতে হবে, সেটাই এখন ভাবার বিষয়!
সায়েম সজল: কোনো সন্দেহ নেই গণজাগরণ মঞ্চ তৈরি হয়েছিল স্বতঃস্ফূর্তভাবেই। সরকার তার প্রয়োজনমতো মঞ্চকে ব্যবহার করেছে মাত্র।
পরাগ রহমান: আওয়ামী লীগ বড় বড় ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, সংগঠন থেকে শুরু করে অনেক নিচু লেভেল পর্যন্ত যখন, যাদের দরকার মনে করেছে, ব্যবহার করেছে আর ব্যবহার শেষে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে।
শিকদার দস্তগীর: শুরুতেই জানতাম, এর প্রয়োজনীয়তা সরকারের কাছে একসময় ফুরিয়ে যাবে। আওয়ামী লীগ কী জিনিস নতুন প্রজন্মের যারা জানত না, তারা এদের চিনে নিক।
কাজী এস আহমদ: যেভাবেই মঞ্চের শুরুটা হোক না কেন জনসমর্থন পাওয়ামাত্র সরকার এটাকে ছাত্রসংগঠন এবং তাঁবেদার সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের মাধ্যমে গ্রাস করে এদের ব্যবহার করে এবং কাজ হয়ে গেলে ছুড়ে ফেলে দেওয়াটা আওয়ামী লীগের চরিত্র।"
"গত বছর এই সময় সারা বাংলাদেশ কাঁপছে আবেগ, আনন্দ ও বিস্ময়ে। শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ ঘুমকাতুরে বাঙালিকে ঘাড় ঝাঁকিয়ে, চুলের মুঠো উঁচিয়ে রাস্তার মাঝখানে টেনে নামিয়েছিল। লাখ লাখ মানুষ, তাদের মধ্যে যেমন রয়েছে সদ্য স্কুলে যাওয়া কিশোর, তেমনই অশীতিপর বৃদ্ধ, ভিড় জমিয়েছিল শাহবাগ চত্বরে। দেশের প্রতিটি পত্রিকার শিরোনামে শাহবাগ, টিভি চ্যানেলগুলোর চৌপ্রহরের তাজা ধারাভাষ্যে শাহবাগ। বিদেশের তথ্যমাধ্যমেও সেই ঘটনা সমান গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার পায়। নিউইয়র্ক টাইমস-এর প্রথম পাতায় সচিত্র প্রতিবেদনে একদিকে বিস্ময়, অন্যদিকে উদ্বেগ। কেউ কেউ শাহবাগের টগবগে তরুণদের সঙ্গে আমেরিকার ‘অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট’ আন্দোলনকারীদের মিলও খুঁজে পায়। তাহরির স্কয়ারের তরুণ মিসরীয়দের আন্দোলনের সঙ্গে তাদের তুলনাও স্বাভাবিকভাবেই উঠে আসে।
শাহবাগ আন্দোলনের বাহ্যিক লক্ষ্য ছিল একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের সুবিচার নিশ্চিত করা। সেই বিচার-প্রক্রিয়া এগিয়েছে, কিন্তু এখনো সমাপ্ত হয়নি। এখনই যদি এই আন্দোলন থামিয়ে দেওয়া হয়, তাতে শুধু তাদেরই লাভ হয়, যারা সে বিচার-প্রক্রিয়া সম্পন্ন হোক, তা চান না বা তা বিলম্বিত হলে অধিক রাজনৈতিক মুনাফা আছে বলে বিশ্বাস করেন। শাহবাগ আন্দোলনের যুদ্ধাপরাধী-বিরোধী এই বাহ্যিক প্রকাশ ছাড়াও একটি অন্তর্গত চেহারা আছে, তা হলো একাত্তরের চেতনার নবায়ন। শাহবাগ আমাদের বুঝিয়েছিল, শুধু একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারকার্য সম্পন্ন করে আমাদের স্বপ্নের সেই বাংলাদেশের নির্মাণ সম্পূর্ণ হবে না। একাত্তর মানে শুধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নয়; একাত্তর মানে এক নতুন বাংলাদেশ, এক গণতান্ত্রিক, বহুপক্ষীয়, গণকল্যাণমুখী, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। শাহবাগের তরুণেরা বুঝেছিল, ক্ষমতার বৈঠা যাঁদের হাতে, অথবা যাঁরা ঘাপটি মেরে বসে আছেন কখন ক্ষমতার কুরসিতে বসবেন, তাঁদের দ্বারা সে লক্ষ্য অর্জিত হবে না, কারণ তাঁদের অনেকেই সে চেতনায় আদৌ বিশ্বাসী নন।"
- শাহবাগ, তাহরির, অকুপাই...
"শাহবাগের গণজাগরণের মাধ্যমে প্রচলিত রাজনীতির বাইরে তারুণ্যদীপ্ত একটা নতুন রাজনীতির প্রত্যাশাও প্রতিফলিত হয়েছিল। আমাদের বহু চেনা ডান এবং বামদলগুলোর বাইরে শাহবাগ চেতনায় উদ্বুদ্ধ একটা নতুন তরুণ রাজনৈতিক শক্তির সম্ভাবনা সেখানে সুপ্ত ছিল।
তাদের আরও বৃহৎ প্রেক্ষাপটে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনেতিক পরিকল্পনা নিয়ে গণমানুষের আরও কাছাকাছি যেতে হবে, তাদের আস্থা অর্জন করতে হবে। যে জন্য প্রয়োজন সীমাহীন সততা, আত্মত্যাগ। পেশিশক্তি, অর্থশক্তি নয়, সাইলেন্ট মেজরিটির আস্থাই কেবল হতে পারে তাদের শক্তির উৎস। সে ক্ষেত্রে অবশ্য তাদের গণজাগরণ মঞ্চ বা শাহবাগ চত্বরের কাঠামোর বাইরে আসতে হবে।
ভবিষ্যত বাংলাদেশের একটা ছবি হঠাৎ আলোর ঝলকানির মতো শাহবাগ চত্বরে ফুটে উঠেছিল। ছবিটি আবছা, যেমন থাকে ফিল্মের নেগেটিভে। নানা প্রক্রিয়ায় সেই অস্পষ্ট ছবিকে স্পষ্ট করে তুলতে হয়।
এখন যাদের সকালের আকাশের মতো বয়স– নানা মেরুকরণের মাধ্যমে ত্যাগী, নিষ্কলুষ একদল তারুণ-তরুণীই শাহবাগে জেগে ওঠা আগামী বাংলাদশের ছবিটা ষ্পষ্ট করবেন বলে বিশ্বাস করি।"
ছাত্রলীগ
বাংলাদেশের জনগণের চোখে ডাঃ ইমরান এইচ সরকারই গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র।
- শাহবাগের আন্দোলন, সৃজনশীল বিভিন্ন কর্মসূচী ঘোষণা
- রানা প্লাজা ধ্বসে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়ানো
- সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্বাচনকালীন হামলার প্রতিবাদ জানানো, পাশে দাঁড়ানো
আওয়ামী লীগের কয়েকজন সন্ত্রাসী গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে কি ঘোষণা দিয়েছে - বাংলাদেশের জনগণের তা নিয়ে মাথা বাথা নেই।
গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের উপর ছাত্রলীগ যুবলীগের সন্ত্রাসীদের হামলার নিন্দা
আমরা গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের উপর ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের সন্ত্রাসীদের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি, জড়িত সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
"শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের ওপর হামলায় অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে প্রজন্ম চত্বরে মিডিয়া সেলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনায় মামলা করতে গেলে থানার ভেতরে আবারও দুই পক্ষের মারামারির ঘটনা ঘটে।
ইমরান এইচ সরকার বলেন, যুবলীগ নেতা নাসিম রূপক ও ছাত্রলীগ নেতা শেখ আসমানের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি।"
- গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের ওপর হামলা, আহত ৬
‘কর্মীদের ওপর হামলা হলে অন্য কর্মীরা শাহবাগ থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যায়। কিন্তু ওসির রুমের সামনে অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের সামনেই লাঠি ও রড দিয়ে মঞ্চের কর্মীদের ওপর আবার হামলা চালায় আবির ও শিশির।এতে মঞ্চের কর্মী অরণ্য শাকিলের মাথা ফেঁটে যায় এবং নবেন্দু শাহা জয়ের হাত ভেঙে যায়।’
‘কর্মীদের ওপর হামলা হলে অন্য কর্মীরা শাহবাগ থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যায়। কিন্তু ওসির রুমের সামনে অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের সামনেই লাঠি ও রড দিয়ে মঞ্চের কর্মীদের ওপর আবার হামলা চালায় আবির ও শিশির।এতে মঞ্চের কর্মী অরণ্য শাকিলের মাথা ফেঁটে যায় এবং নবেন্দু শাহা জয়ের হাত ভেঙে যায়।’
- গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের ওপর হামলা, আহত ১০
ছাত্রলীগ, যুবলীগের সন্ত্রাসীরা খুন, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মে জড়িত। ছাত্রলীগ, যুবলীগের এসব সন্ত্রাসী এবং তাদের মদদদাতাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে। বদি, ওসমানদের জন্য যে ভয়ানক পরিণতি অপেক্ষা করছে - এদেরও আইন এবং বিচারের মুখোমুখি হয়ে একই পরিণতি বরণ করতে হবে।
ছাত্রলীগ, যুবলীগের সন্ত্রাসীরা খুন, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মে জড়িত। ছাত্রলীগ, যুবলীগের এসব সন্ত্রাসী এবং তাদের মদদদাতাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে। বদি, ওসমানদের জন্য যে ভয়ানক পরিণতি অপেক্ষা করছে - এদেরও আইন এবং বিচারের মুখোমুখি হয়ে একই পরিণতি বরণ করতে হবে।
গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের আবেগ
"পাঠক কাজী রহমান: যেভাবেই হোক, একটা জাগরণ তো এসেছে। একে সবাই মিলে ধরে রাখতে পারলে খুব ভালো হয়। যাদের জমছে না, তারা সরে যাক। স্বল্পসংখ্যক হলেও শুধু নিবেদিতপ্রাণরাই থাকুক এর সঙ্গে। যুবক-তরুণদের আশার আলো হয়ে। যাদের দৃষ্টি থাকবে অন্ধকার অতীতের দিকে নয়, বরং উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে। আজ না হোক কাল যারা দেশকে দেবে গর্ব করার মতো দিন। আমি যদি তাদের সঙ্গে না-ও থাকি, আমার আত্মা, আমার চেতনা যেন থাকে তাদের সঙ্গে। মানুষের হাসি দেখে আমি যেন বলতে পারি—এই তো আমার দেশ। আমি তো এদেরই একজন (ছিলাম)!
সায়েম সজল: কোনো সন্দেহ নেই গণজাগরণ মঞ্চ তৈরি হয়েছিল স্বতঃস্ফূর্তভাবেই। সরকার তার প্রয়োজনমতো মঞ্চকে ব্যবহার করেছে মাত্র।
পরাগ রহমান: আওয়ামী লীগ বড় বড় ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, সংগঠন থেকে শুরু করে অনেক নিচু লেভেল পর্যন্ত যখন, যাদের দরকার মনে করেছে, ব্যবহার করেছে আর ব্যবহার শেষে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে।
শিকদার দস্তগীর: শুরুতেই জানতাম, এর প্রয়োজনীয়তা সরকারের কাছে একসময় ফুরিয়ে যাবে। আওয়ামী লীগ কী জিনিস নতুন প্রজন্মের যারা জানত না, তারা এদের চিনে নিক।
কাজী এস আহমদ: যেভাবেই মঞ্চের শুরুটা হোক না কেন জনসমর্থন পাওয়ামাত্র সরকার এটাকে ছাত্রসংগঠন এবং তাঁবেদার সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের মাধ্যমে গ্রাস করে এদের ব্যবহার করে এবং কাজ হয়ে গেলে ছুড়ে ফেলে দেওয়াটা আওয়ামী লীগের চরিত্র।"
"গত বছর এই সময় সারা বাংলাদেশ কাঁপছে আবেগ, আনন্দ ও বিস্ময়ে। শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ ঘুমকাতুরে বাঙালিকে ঘাড় ঝাঁকিয়ে, চুলের মুঠো উঁচিয়ে রাস্তার মাঝখানে টেনে নামিয়েছিল। লাখ লাখ মানুষ, তাদের মধ্যে যেমন রয়েছে সদ্য স্কুলে যাওয়া কিশোর, তেমনই অশীতিপর বৃদ্ধ, ভিড় জমিয়েছিল শাহবাগ চত্বরে। দেশের প্রতিটি পত্রিকার শিরোনামে শাহবাগ, টিভি চ্যানেলগুলোর চৌপ্রহরের তাজা ধারাভাষ্যে শাহবাগ। বিদেশের তথ্যমাধ্যমেও সেই ঘটনা সমান গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার পায়। নিউইয়র্ক টাইমস-এর প্রথম পাতায় সচিত্র প্রতিবেদনে একদিকে বিস্ময়, অন্যদিকে উদ্বেগ। কেউ কেউ শাহবাগের টগবগে তরুণদের সঙ্গে আমেরিকার ‘অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট’ আন্দোলনকারীদের মিলও খুঁজে পায়। তাহরির স্কয়ারের তরুণ মিসরীয়দের আন্দোলনের সঙ্গে তাদের তুলনাও স্বাভাবিকভাবেই উঠে আসে।
শাহবাগ আন্দোলনের বাহ্যিক লক্ষ্য ছিল একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের সুবিচার নিশ্চিত করা। সেই বিচার-প্রক্রিয়া এগিয়েছে, কিন্তু এখনো সমাপ্ত হয়নি। এখনই যদি এই আন্দোলন থামিয়ে দেওয়া হয়, তাতে শুধু তাদেরই লাভ হয়, যারা সে বিচার-প্রক্রিয়া সম্পন্ন হোক, তা চান না বা তা বিলম্বিত হলে অধিক রাজনৈতিক মুনাফা আছে বলে বিশ্বাস করেন। শাহবাগ আন্দোলনের যুদ্ধাপরাধী-বিরোধী এই বাহ্যিক প্রকাশ ছাড়াও একটি অন্তর্গত চেহারা আছে, তা হলো একাত্তরের চেতনার নবায়ন। শাহবাগ আমাদের বুঝিয়েছিল, শুধু একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারকার্য সম্পন্ন করে আমাদের স্বপ্নের সেই বাংলাদেশের নির্মাণ সম্পূর্ণ হবে না। একাত্তর মানে শুধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নয়; একাত্তর মানে এক নতুন বাংলাদেশ, এক গণতান্ত্রিক, বহুপক্ষীয়, গণকল্যাণমুখী, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। শাহবাগের তরুণেরা বুঝেছিল, ক্ষমতার বৈঠা যাঁদের হাতে, অথবা যাঁরা ঘাপটি মেরে বসে আছেন কখন ক্ষমতার কুরসিতে বসবেন, তাঁদের দ্বারা সে লক্ষ্য অর্জিত হবে না, কারণ তাঁদের অনেকেই সে চেতনায় আদৌ বিশ্বাসী নন।"
- শাহবাগ, তাহরির, অকুপাই...
গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে আরও
তাদের আরও বৃহৎ প্রেক্ষাপটে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনেতিক পরিকল্পনা নিয়ে গণমানুষের আরও কাছাকাছি যেতে হবে, তাদের আস্থা অর্জন করতে হবে। যে জন্য প্রয়োজন সীমাহীন সততা, আত্মত্যাগ। পেশিশক্তি, অর্থশক্তি নয়, সাইলেন্ট মেজরিটির আস্থাই কেবল হতে পারে তাদের শক্তির উৎস। সে ক্ষেত্রে অবশ্য তাদের গণজাগরণ মঞ্চ বা শাহবাগ চত্বরের কাঠামোর বাইরে আসতে হবে।
ভবিষ্যত বাংলাদেশের একটা ছবি হঠাৎ আলোর ঝলকানির মতো শাহবাগ চত্বরে ফুটে উঠেছিল। ছবিটি আবছা, যেমন থাকে ফিল্মের নেগেটিভে। নানা প্রক্রিয়ায় সেই অস্পষ্ট ছবিকে স্পষ্ট করে তুলতে হয়।
এখন যাদের সকালের আকাশের মতো বয়স– নানা মেরুকরণের মাধ্যমে ত্যাগী, নিষ্কলুষ একদল তারুণ-তরুণীই শাহবাগে জেগে ওঠা আগামী বাংলাদশের ছবিটা ষ্পষ্ট করবেন বলে বিশ্বাস করি।"
ছাত্রলীগ
No comments:
Post a Comment