1. রাজনীতি - দেশজুড়ে
"মুক্তিযুদ্ধকালে চট্টগ্রাম শহর শাখা ইসলামী ছাত্রসংঘের (জামায়াতের তৎকালীন ছাত্রসংগঠন) সভাপতি মীর কাসেম স্থানীয় আলবদর বাহিনীর প্রধান ছিলেন। তিনি কেবল নিজেই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে অংশ নেননি। একই সঙ্গে তিনি তাঁর অধীনদের অপরাধ সংঘটনে নির্দেশ দিয়েছেন। মীর কাসেমের বিরুদ্ধে আটজনকে হত্যার অভিযোগ তোলে রাষ্ট্রপক্ষ। তাঁর বিরুদ্ধে ১১ নম্বর অভিযোগে বলা হয়, ১৯৭১ সালে পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর যেকোনো দিন মুক্তিযোদ্ধা জসিমকে চট্টগ্রাম শহরের অজ্ঞাত স্থান থেকে অপহরণ করে আলবদর সদস্যরা। পরে মীর কাসেমের নির্দেশে জসিমকে ডালিম হোটেলে নির্যাতন কেন্দ্রে নিয়ে নির্যাতন ও ২৮ নভেম্বর হত্যা করা হয়। পরে সেখানে নির্যাতনে নিহত আরও পাঁচজনের সঙ্গে জসিমের লাশ কর্ণফুলী নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। প্রমাণিত হওয়ায় সর্বসম্মত মতে এই অভিযোগে মীর কাসেমকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। ১২ নম্বর অভিযোগ অনুসারে, একাত্তরের নভেম্বরে মীর কাসেমের নির্দেশে আলবদর সদস্যরা চট্টগ্রামের হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা হাজারী গলির বাসা থেকে রঞ্জিত দাস ও টুন্টু সেনকে অপহরণ করে ডালিম হোটেলে নিয়ে যায়। পরে তাঁদের হত্যা করে লাশ গুম করা হয়। এ ছাড়া পাকিস্তানি সেনা ও সহযোগী রাজাকার-আলবদররা হাজারী গলির ২৫০ থেকে ৩০০ দোকান লুট ও অগ্নিসংযোগ করে। "
2. Other News
"সারা বিশ্বের সব স্নাতকপড়ুয়া শিক্ষার্থীর গবেষণা আর সৃজনশীলতার সম্মানজনক পুরস্কার হিসেবে বিবেচিত হয় আয়ারল্যান্ডের ‘দ্য আন্ডারগ্র্যাজুয়েট অ্যাওয়ার্ড’। প্রতিবছর সাহিত্য, অর্থনীতি, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশলসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর জমা দেওয়া অভিনব গবেষণা বা প্রকল্পের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হয় এই পুরস্কার। খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরা অধ্যাপকেরা বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন।২০১৪ সালের ‘কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি’ বিভাগে সারাবিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের তাবৎ শিক্ষার্থীর মধ্যে এই পুরস্কার পাওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সদ্যসাবেক শিক্ষার্থী হিমেল দেব। স্নাতক শেষ বর্ষে করা হিমেলের থিসিসের বিষয় ছিল User Interaction Based Community Detection in Online Social Networks.
অনলাইন সোশ্যাল নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারী মানুষগুলোর পারস্পরিক যোগাযোগের বিভিন্ন তথ্য ব্যবহার করে এ ধরনের গোষ্ঠীগুলোকে খুঁজে বের করাকে বলা হয় কমিউনিটি ডিটেকশন, যার প্রয়োগ রয়েছে ব্যবহারকারীদের তথ্য সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণের বিভিন্ন ক্ষেত্রে। আর এই কমিউনিটি ডিটেকশনের একটি নতুন পদ্ধতি বাতলে দিয়ে প্রায় ১২ হাজার শব্দের একটি বিস্তারিত পেপার জমা দেওয়ার মাধ্যমে এই খেতাব জিতে নেন হিমেল।তবে এই গবেষণার পুরস্কার এবারই প্রথম পেলেন না হিমেল। তাঁর কমিউনিটি ডিটেকশন-সংক্রান্ত গবেষণার ফলাফল প্রথম প্রকাশিত হয় এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের বিখ্যাত ডেটাবেইস কনফারেন্স ‘ডাসফা’য়। পরবর্তী সময়ে বিশ্বের অন্যতম সেরা ডেটাবেইস কনফারেন্স ‘সিগমডে’ প্রকাশিত হয় আরও দুটি পোস্টার।
কমিউনিটি ডিটেকশন ছাড়াও হিমেল কাজ করেছেন ক্লাউড কম্পিউটিং এবং ক্রাউডসোর্স সিস্টেমস নিয়ে। এই কাজগুলো প্রকাশিত হয়েছে সিগকাই, সুপার কম্পিউটিংসহ বিভিন্ন খ্যাতনামা কনফারেন্সে। গবেষণার স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন ‘হাইডেলবার্গ লরিয়েট সম্মেলনে’ বিশ্বের ১০০ জন উদীয়মান কম্পিউটার বিজ্ঞান গবেষকদের তালিকায় থাকার সম্মান। ইতিমধ্যে তাঁর ছয়টি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রকাশনা রয়েছে।
গবেষণা তত্ত্বাবধায়ক ড. মোহাম্মদ ইউনুস আলীর সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে তিনি জানান, ‘তরুণ গবেষকদের স্বল্পমেয়াদি সফলতার পেছনে না ছুটে কাজের মানের দিকে বেশি নজর দেওয়া উচিত।"
No comments:
Post a Comment